নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

p e r s e u s ....

কোলাহলের মুখরতায় আজও মানুষ খুঁজে বেড়াই

পার্সিয়াস রিবর্ণ

মুখোশে মানুষ মুখোশে পৃথিবী মুখোশে রঙ্গীন সব সাদাকালো ছবি ....।।

পার্সিয়াস রিবর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাস বিস্মৃত নারী বিপ্লবীরা : শেষ পর্ব

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৫





প্রথমদ্বিতীয় পর্বে বেশ সাড়া পাওয়াতেই তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম । এটাই এই সিরিজের শেষ পর্ব । হতাশ হবার কিছু নেই, অন্য কোন বিষয় নিয়ে অন্য কোন পোষ্টে দেখা হবেই । :-P



আজ তিনজন বিপ্লবীকে আপনাদের সামনে হাজির করছি । এর মধ্যে দু'জন বেশ পরিচিত । অনেকেই তাদের চেনেন । এই সিরিজে এঁদের অন্তভুক্ত না করাটা পাপ হবে ভেবেই এই পোষ্ট । :)



১. Lakshmi Sahgal :



প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশদের অধীনে থাকাকালীন উপমহাদেশ অসংখ্য বিপ্লবীর জন্ম দিয়েছে । সামাজিক-আর্থিক অনগ্রসরতার দরুণ যদিও নারী বিপ্লবীর সংখ্যা তুলনামূলক কম তবে উনিশ শতকের শুরুতে এ চিত্র পাল্টাতে থাকে । নারীরা সামাজিক বাঁধা পেরিয়ে পুরুষদের পাশাপাশি দেশাত্ববোধের টানে রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করে ।



২৪ শে অক্টোবর ১৯১৪ সালে ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের মাদ্রাজে এক আইনজীবীর ঘরে জন্ম নেন লক্ষি । বাবার নামের শেষ অংশ মিলিয়ে তার নাম ছিল Lakshmi Swaminathan১৯৩৮ সালে গাইনোকোলজির উপর মাদ্রাজ মেডিকেল থেকে MBBS ডিগ্রী নিয়ে চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে ডাক্তারি পেশা শুরু করেন ।



১৯৪০ সালে তিনি সিংগাপুরে গিয়ে একটি ক্লিনিক খোলেন যার বেশিরভাগ রোগীই ছিল অনাবাসী ভারতীয় শ্রমিক । সেখানে নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসুর Indian National Armyর কিছু সদস্যের সাথে তার পরিচয় হয় ( যা ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ নামেও সমধিক পরিচিত ) ।



সে সময় সিংগাপুর ছিল এশিয়ায় ব্রিটিশ সৈন্যদের সবচেয়ে বড় বেস ক্যাম্প । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ব্রিটেন-জাপান যুদ্ধে সিঙ্গাপুর জাপানের অধিকারে চলে যায় ( ১৯৪২ )। যুদ্ধপরবর্তী হাজার হাজার আহত সৈন্যদের চিকিৎসা দেন লক্ষি, যাদের মধ্যে অনেক ভারতীয় সৈন্য ছিল । জাপানের কাছে ব্রিটিশদের হার এবং সামরিক সামর্থ দেখে সেখানে অবস্থানরত ভারতীয় বিপ্লবীরা চাইছিল জাপানের হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ভারত থেকেও ব্রিটিশদের তাড়ানো সহজ হবে ।



এর পক্ষে মতের পাল্লা ভারী হতে থাকলে ১৯৪৩ সালের ২ জুলাই সুভাস বোস সিঙ্গাপুর গিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় বসেন । সুভাস বোস চাইছিলেন নারীদের নিয়ে একটি সামরিক রেজিমেন্ট খুলতে । লক্ষি সেটা জানতে পেরে তার সাথে দেখা করে তার আগ্রহের কথা জানান । সুভাস বোস তাকে সমর্থন দেন এবং তাকে ‘’ক্যাপ্টেন লক্ষি “ উপাধী দেন ( আজও তাকে এই নামেই ডাকা হয় ) । তার রেজিমেন্টের নাম রাখা হয় Rani of Jhansi Regiment



১৯৪৪ সালের ডিসেম্বরে জাপানিজ আর্মির সাথে Indian National Army বার্মা অভিমুখে রওয়ানা হয় । ততদিনে জার্মানী নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তি পরাজয়ের আঁচ পেয়ে গেছে । INA বুঝতে পারলো জাপানের আশা করে লাভ নেই । ফলে তারা ভারতে প্রবেশ করে ১৯৪৫ সালের মার্চে মণিপুরের কাছে ব্রিটিশদের সাথে এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে । মে মাসে ক্যাপ্টেন লক্ষি ব্রিটিশদের হাতে বন্দী হন । ১৯৪৬ সালের মার্চ পর্যন্ত তাকে বার্মাতেই বন্দী জীবন কাটাতে হয় ।



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রপক্ষ জয়ী হয় তবে ব্রিটিশরা চরম ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হয় । তাছাড়া উপমহাদেশে তখন স্বাধীনতা আন্দোলন তুঙ্গে । তাই ব্রিটিশদের উপমহাদেশ ছেড়ে যাওয়া ছাড়া কোন বিকল্প ছিলনা । ফলে অন্যান্য সকল বিপ্লবীদের সাথে তিনিও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান । ১৯৪৭ সালে তিনি Col. Prem Kumar Sehgal কে বিয়ে করে Lakshmi Sahgal নাম ধারণ করেন ।



১৯৭১ সালে তিনি Communist Party of India (Marxist) দলে যোগ দিয়ে ভারতের রাজ্যসভায় অংশ নেন । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ কলকাতায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। কলকাতার মার্ক্সবাদী নেতা জ্যোতি বসুর আমন্ত্রণে তিনি কলকাতায় গিয়ে সেইসব মানুষের পাশে দাড়ান । ১৯৮১ সালে All India Democratic Women's Association গঠনের অন্যতম কান্ডারী হিসেবে তিনি অজস্র ক্যাম্পেইন ও কাজের সাথে জড়িত ছিলেনএকজন সমাজসেবী, নারীনেত্রী, মার্ক্সবাদী হিসেবে তিনি সারাজীবন কাজ করে গেছেন । ২০০৬ সালে ৯২ বছর বয়সেও তিনি কানপুরে তার চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখতেন । ২০০২ সালে ভারতের সমস্ত মার্ক্সবাদী দলগুলো একত্রে তাকে প্রেসিডেন্ট পদে নোমিনেট করে । তার প্রতিপক্ষ ড. আবুল কালাম আজাদের কাছে তিনি হেরে যান ।





২০১২ সালের ২৩শে জুলাই ৯৭ বছর বয়সে তিনি কানপুরে মারা যান । ১৯৯৮ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব 'পদ্মভিবুষণ' দেয়া হয় ।



২. Asmaa Mahfouz



মিশরের একনায়ক হোসনি মোবারক প্রায় ৩ যুগ ধরে মিশর শাসন করেছেন । মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর মতই মিশরও পুলিশের অত্যাচার, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দূর্ণীতিতে ডুবে ছিল । ‘জুরুরী আইন’ এর ধুয়ো তুলে কোন অভিযোগ ছাড়াই বিরোধী পক্ষকে গ্রেফতার এবং বিপ্লব মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেই তাদের ধরপাকড় করার নিয়ম চলে আসছিল । একদিকে ধনী-গরীবের মধ্যে ব্যাবধান বেড়ে যাওয়া অন্যদিকে সমাজিক গুরুত্বপূর্ন ইস্যুগুলো তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল ।



এরপরের গল্পটা রাষ্ট্রক্ষমতার হাতে শোষিত হতে থাকা পৃথিবীর সমস্ত তরুণদের জন্য প্রেরণার । ইন্টারনেট বা যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যাবহার করে কিভাবে অহিংস আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা পাল্টে দেয়া যায় তার বাস্তব উদাহরণ ।



১৯৮৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারী মিশরের কায়রোতে জন্ম নেয়া আসমা মাহফুজ কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস এ্যাডমিনিসট্রেশন নিয়ে পড়াশোনা করতেন । ২০০৮ সালে মিশরের পোশাক শ্রমিকেরা নিরাপত্তা, কাজের স্বাধীনতা, উপযুক্ত পারিশ্রমিক, চিকিৎসা, যোগাযোগ এবং শিক্ষার দাবীতে সংঘবদ্ধ হতে চাইলে আসমা মাহফুজ তাতে যোগ দেন এবং ছাত্রদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেন । ফলে জন্ম নেয় April 6 Youth Movement



মোবারক সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করেন । অনেক ব্লগার, সাংবাদিক, এ্যাক্টিভিস্টদের সাদা পোশাকের পুলিশের হাতে গুম অথবা গ্রেফতার হতে হয় । ম্যুভমেন্ট বিফল হলেও অনেক আইনজীবী এবং সিকিউরিটি সার্ভিস তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে । আসমা মাহফুজ এই ম্যুভমেন্টকে তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করেন ।



“As long as you say there is no hope, then there will be no hope, but if you go down and take a stance, then there will be hope.” – Asmaa Mahfouz



পরবর্তী কয়েক বছর ধরে আসমা মাহফুজ সহ তরুণ অনেক বিপ্লবী নেতা বিপ্লব এবং ‘অহিংস’ আন্দোলন নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করতে থাকেন । চলতে থাকে সদস্য সংগ্রহের কাজও । তরুণরা ব্লগসহ নানান সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন ফেসবুক, টুইটারে তদের কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক, শিক্ষালাভ এবং একটা সংগঠন হিসেবে কিভাবে দাড়ানো যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করতেন ।







১৮ ডিসেম্বর ২০১০ সালে পার্শ্ববর্তী দেশ তিউনিশিয়ায় ঘটে যায় মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিপ্লব । দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সাধারণ মানুষ কি করতে পারে তার আরেকটি উদাহরণ সেদিন তৈরী হয়েছিল সেদিন । যার ফলে প্রেসিডেন্ট বেন আলীর ২৮ বছরের শাসন কোন রক্তপাত ছাড়াই ১৪ জানুয়ারী ২০১১ সালে সমাপ্ত হয়েছিল । ইতিহাসে এটি Tunisian Revolution বা Jeshmin Revolution নামে পরিচিত ।



খুব স্বাভাবিকভাবেই মিশরের পরিবর্তনকামী মানুষদের মাঝেও এটা বেশ প্রভাব ফেলে । কারণ তাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, রাষ্ট্রব্যাবস্থা এবং শোষিত হবার ধরণটা একই । তারপরও তারা ভয়ে কুঁকড়ে ছিল । যেখানে প্রায় ১৮ হাজার এ্যাক্টিভিস্ট জেলে বন্দী , ৫ জনের বেশি মানুষ এক জায়গায় জড়ো হওয়াটা আইনবিরুদ্ধ, জরুরী আইন জারী .. ভয় পাওয়াটা অবধারিতই । সরকারের প্রতি ভয়, গুম, সম্মানহানি, অত্যাচারিত হবার ভয় । এই ভয়টায় তাদের তিন যুগ ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল এক আবদ্ধ খোলসে । সেই খোলস থেকে বের করে আনার জন্য দরকার ছিল এমন একজন ত্রাতার যে তাদের ভয় কাটিয়ে মুক্তির স্বপ্ন দেখাতে পারে ।



১৮ ই জানুয়ারী ২০১১, মিশরে আসন্ন বিপ্লবের শুরুর দিন । এদিন আসমা মাহফুজ তার বক্তব্যসমেত একটি ভিডিও অনলাইনে আপলোড করেন । যাতে ২৫ জানুয়ারী তাহরীর স্কয়ারে সবাইকে জমায়েত হবার আহ্বান জানানো হয়েছিল ।



“I, a girl, am going down to Tahrir Square, and I will stand alone. And I’ll hold up a banner.” “I wrote that whoever is worried about this country should come with me, and that anyone who is worried about me or thinks that I am mentally ill should come in order to protect me.”- Asmaa Mahfouz



ভিডিও লিংক : View this link



এরপরের ঘটনাগুলো রুপালী জগৎকেও হার মানায় । ফেসবুক, ব্লগ, অনলাইনে, সেল ফোনে তার ভিডিওটি দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে । আসমা এবং তার সহকর্মীরা লিফলেট, ব্যানার, নতুন ভিডিওবার্তায় সবাইকে উৎসাহিত করতে থাকেন । তাদের ধারণা ছিল হয়তো কয়েক হাজার মানুষই হবে কিন্তু সেদিন প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিল তাহরীর স্কয়ারে । এর ফলে গোটা দেশ থেকেই লাখে লাখে মানুষ জমায়েত হতে থাকে ।



সরকারের নির্দেশ সত্বেও মিলিটারি সেখানে আক্রমণ করতে আসেনি । দাঙ্গাপুলিশ অবশ্য তাদের সর্বাত্বক চেষ্টা করেছিল ছত্রভঙ্গ করার কিন্তু তাও ধোপে টেকেনি । ইন্টারেন্টে কানেকশান কেটে দেয়া হয়েছিল, শহরজুড়ে চলছিল কারফিউ, পুলিশের অত্যাচার... তারপরও বিপ্লবীদের আন্দোলনটা অহিংসই ছিল ।



“All Egyptians, not only the protestors, have broken through the fear barrier, therefore I expect only one outcome – protests will continue until Mubarak steps down from power.” – Asmaa Mahfouz



১১ ই ফ্রেব্রুয়ারী ২০১১ অবশেষে প্রেসিডেন্ট হোসনী মোবারক ইস্তফা দেন এবং নতুন নির্বাচনের অঙ্গীকার করেন ।

মিশরের মানুষেরা সেদিন তাদের ক্ষমতা টের পেয়েছিল । এর ফলে দীর্ঘদিন একটি ধারা মেনে চলা মধ্যপ্রাচ্যের বাকী দেশগুলোতে শুরু হতে থাকে পরিবর্তন ।



টুইটার লিংক

ফেসবুক পেইজ লিংক



৩. Blanca Canales



১৯০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত দ্বীপরাষ্ট্র পুয়ের্তোরিকার Jayuya তে জন্ম নেন Blanca Canales । তিনি ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ এবং ১৯৩১ সালে পুয়ের্তোরিকান ন্যাশনালিস্ট পার্টিতে যোগ দেন । তিনি নারীদের সংগঠিত করে Daughters of Freedom নামে পার্টির আলাদা একটি শাখা পরিচালনা করতেন ।



১৯৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পুয়ের্তোরিকান সিনেটে একটি বিল পাশ হয় যা ছিল ন্যাশনালিস্টদের ( মূলতঃ অধিবাসীদের ) স্বাধীনতার অধিকার এবং সবধরণের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বিরোধী আইন । এই আইন অনুযায়ী সরকার বিরোধী কোন বক্তব্য প্রকাশ, জনসমাগম, মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয় এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা/১০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান প্রণীত হয় ।



এই আইনের বিরুদ্ধে ন্যাশনালিস্ট নেতা Albizu Campos ১৯৪৮ সালের ২১শে জুন মানাতি শহরে একটি ভাষণ দেন যাতে গোটা দ্বীপরাষ্ট্র থেকে স্বাধীনতাকামীরা দলে দলে দেন । পরবর্তীতে ১৯৫০ সালের ২৬শে অক্টোবর Albizu Campos একটি মিটিং এর আয়োজন করেন । মিটিং শেষে পুলিশ তাদের ধরতে তার বাড়িতে অভিযান শুরু করে, তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন । সেদিনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ।



২৯শে অক্টোবর শুরু হয় প্রথম যুদ্ধ । পুয়ের্তোরিকার ইতিহাসে যা Jayuya Uprising নামে পরিচিত । এদিন Canales সহ অন্যান্য কয়েকজন নেতা Jayuya তে Canales এর বাড়ীতে পৌঁছান যেখানে গোলাবারুদ মজুদ করা ছিল । Canales এর নেতৃত্বে প্রথম আক্রমনটি হয় স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে । তারপর একে একে পোস্ট অফিস, টেলিফোন স্টেশন, শহরের সরকারী স্থাপনাগুলো দখল করে তারা স্বাধীন পুয়ের্তোরিকান ফ্লাগ ঝুলিয়ে দেন ।



তিনদিন ধরে তারা শহরের দখল নিয়ে রাখেন । ইউএস মিলিটারি, আর্টিলারি, এয়ার ফোর্স একযোগে হামলা শুরু করলে নভেম্বরের ১ তারিখে তারা স্যারেন্ডার করতে বাধ্য হন ।



Canales কে পুলিশ হত্যা, শহরে আগুন দেয়াসহ নানা অভিযোগে গ্রেফতার করে জেলে নেয়া হয় । প্রায় ১৭ বছর জেল খাটার পর ১৯৬৭ সালে তাকে মুক্তি দেয়া হয় । Canales ১৯৯৬ সালে তার নিজ শহরে মারা যান ।



প্রয়োজনীয় আরেকটি লিংক





পাদটীকা : সিরিজের শুরু থেকে যেসব সুহৃদ পাশে থেকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন তাদের কাছে ঐকান্তিক কৃতজ্ঞতা । আশা করি যে ইচ্ছে নিয়ে সিরিজটি শুরু করেছিলাম তা পূরণ হয়েছে । সবার জন্য একরাশ ভালোলাগা ।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৭

টু-ইমদাদ বলেছেন: বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: সহমত রইলো । সেইসাথে প্রথম কমেন্টের জন্য ভালোলাগা ও কৃতজ্ঞতা । :)

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: লক্ষী সায়গল, আসমা মাহফুজ আর ব্লান্কা ক্যানেলস- তিন সংগ্রামী নারীর কথা জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো । স্যালুট এই সংগ্রামী নারীদের ।


বড় ভালো সিরিজ ছিল হে!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই । আমি বেশ এনজয় করেছি এই সিরিজটা ।

ভালো থাকবেন ।

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার একটি সিরিজ শেষ হল। অনেক অজানা কিছু জানতে পারলাম আপনার সিরিজটির জন্য।

ধন্যবাদ পার্সিয়াস রিবর্ণ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০০

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: শুরু থেকে সাথে থাকার জন্য আপনাকেও অজস্র ধন্যবাদ ভ্রাতা । :-B :-B

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

ডি মুন বলেছেন: প্রথম প্লাসসহ শোকেসবন্দী করলাম।

সিরিজটা সফলভাবে শেষ করতে পারায় অভিনন্দন।

++++

এবং কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকা হোক।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনাকেও মুন ভাই । শুরু থেকেই পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য আন্তরিক ভালোলাগা । :)

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ একটি সিরিজ ছিলো। অভিবাদন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই । :)

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

তুষার কাব্য বলেছেন: স্যালুট এই সংগ্রামী নারীদের । সেই সাথে চমত্কার একটা সিরিজ আমাদের দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে...

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: এমন একটা সিরিজের পাঠক হবার জন্যে আপনাকে অভিবাদন । :)

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

সুমন কর বলেছেন: অনেক চমৎকার এবং ভিন্ন রকম একটি সিরিজ ছিল। অনেকের কাছে যা অজানাই থাকত- যদি আপনি সামনে না নিয়ে অাসতেন।

৪+ প্লাস সহ প্রিয়তে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: আন্তরিক ভালোলাগা ও কৃতজ্ঞতা নেবেন । সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ । :)

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট+++++++++

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: ধন্যবাদ রইলো ভ্রাতা । :)

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৫ম ভালোলাগা +

চমৎকার একটি সিরিজের চমৎকার একটি পর্ব। কিন্তু শেষ হয় গেলো!

ভালো থাকবেন ভ্রাতা :)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০২

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য অপূর্ণ ভাই ।
ভালোলাগা । :)

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট, আলোচিত নয় এমন ক'জন মহিয়সী নারীর কথা পড়ে খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনার প্রাপ‌্য।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৩

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা ভাইজান । :)

১১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা সিরিজ শেষ হলো। চমৎকার কাজ হয়েছে পার্সিয়ান!! সামনে এমন দারুন কোন বিষয়ে আপনার কাছ থেকে আরো পোষ্ট চাই!! :)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৪

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: আপনাকেও বিশেষ ধন্যবাদ কাভা ভাই । :)

ইনশাল্লাহ সেরাটাই দেবার চেষ্টা করবো । B-) :P B-)

১২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারনভাবে সিরিজটি শেষ করেছেন । বেশ লাগলো । ভাল থাকুন ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: মন্তেব্যর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

১৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১২

জুন বলেছেন: শৈলেশ দে র আমি সুভাষ বলছি বইটি পড়ে ক্যাপ্টেন লক্ষীর অপরিসীম ত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারি কিন্ত বাকি দুজন বিপ্লবের ঝান্ডা তুলে ধরা নারী সম্পর্কে বিশদ কিছু জানা ছিল না । সেই অভাবটা দারুন নৈপুন্যের সাথে পুরণ করলেন পার্সিয়াস রিবর্ন।
অভিনন্দন আপনাকে চমৎকার সিরিজটি লেখার জন্য ।
সকালের শুভেচ্ছা ।
+

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ঐকান্তিক ভালোলাগা রইলো ।

"....কিন্ত বাকি দুজন বিপ্লবের ঝান্ডা তুলে ধরা নারী সম্পর্কে বিশদ কিছু জানা ছিল না । সেই অভাবটা দারুন নৈপুন্যের সাথে পুরণ করলেন পার্সিয়াস রিবর্ন।"

... মূলত এটাই উদ্দেশ্য ছিল । ভালো লাগছে সেটা কিছুটা পূরণ হয়েছে দেখে ।

ভালোলাগা জানবেন । :)

১৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৮

আলম দীপ্র বলেছেন: এই সিরিজটির সাথে ছিলাম না । পরবর্তীতে আরও ভালো সিরিজ চাই । তখন বলব পচা :P :P সিরিজের সাথে আমি নাই ! হাহাহ ! B-)) B-))
ধন্যবাদ ভাই ! চমৎকার কাজের জন্যে !

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৯

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: অাপনার মজার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দীপ্র ভাই । :)

ইনশাল্লাহ অাবার লিখবো । :)

১৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৪৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো একটি উদ্যোগ আপনার এই সিরিজটা। পুরুষের শৌর্য বীর্যের কাহিনীর পাশে নারীর অবদান স্বভাবত চাপা পড়ে থাকে। এই কারণেই এই লেখাগুলো আরও বেশী গুরুত্বপূর্ণ।

শুভেচ্ছা :)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৯

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভালোলাগা রইলো ........ :)

১৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৪২

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ভাল লাগল শেষ সিরিজের বিপ্লবীদের কথা জেনে।অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটির জন্য।শুভেচ্ছা নুতুন বছরের।

১৭| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৪

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট ছিল। বন্ধ করলেন কেন?

নতুন পোস্ট দিন।

১৮| ১৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.