নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐক্য এবং সংগ্রাম= মুক্তি

পাঠক লাল গোলদার

শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।

পাঠক লাল গোলদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘স্ত্রী’ থেকে স্বামী

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

আট মাস আগের কথা। বিবাহিত নাজিনা আকরাম ভাবতেও পারেননি, উসমান আকরাম হয়ে তিনি একটি বাসস্ট্যান্ডে টায়ারের দোকান চালাবেন।

উসমান পাকিস্তানের গাজিয়াবাদে বসবাসরত একটি পরিবারে মেয়ে হয়েই জন্মেছিলেন। তার বাবা হাজি আকরাম পেশায় ব্যবসায়ী। নাজিনা ২০১১ সালে স্পেন প্রবাসী খালিদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খালিদ ও নাজিনা সুখি দম্পত্তির মতোই দুই বছর কাটিয়ে দেন। খালিদ প্রতি ছয় মাস অন্তর নাজিনাকে দেখতে পাকিস্তানে আসতেন। কিন্তু বিয়ের দুই বছর পার হওয়ার পরও যখন কোন ‘সুসংবাদ’ এল না তখন খালিদ তার স্ত্রীকে চিকিতসকের পরামর্শ নিতে বলেন।

স্থানীয় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহিরার শরাণাপন্ন হলে তিনি ওই দম্পত্তির দেহে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে থাকেন, বিশেষ করে স্ত্রীর জন্য। ডা. তাহিরা নাজিনার দেহে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করে তাকে করাচির আগাখান হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে পরামর্শ দেন। পরীক্ষায় দেখা যায়, নাজিনার ‘সেক্স’ পরিবর্তন হতে চলেছে। এরপর স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তার সার্জারি করানো হয়। এরপর নাজিনা হয়ে ওঠেন উসমান আকরাম।

আর তখন খালিদ অবস্থান করছিলেন স্পেনে। সেখানে স্ত্রীকে নিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

উসমান বলেন, সেক্স পরিবর্তনের প্রার্থমিক পর্যায়ে তিনি খুবই লজ্জাবোধ করতেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমার মুখে গোঁফ ও দাঁড়ি গজাতে আট মাস ধরে শেভ করেছি যাতে আমাকে একজন পুরুষের মতো দেখায়।’ অবশেষে এতে তিনি সফলও হন বটে।

উসমান বলেন, সেক্স পরিবর্তনের পর পুনরায় মেডিকেল টেস্ট করা হয় এবং নিশ্চয়তা পাওয়ার পর স্বামী খালিদকে টেলিফোনে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে আর কোন যোগাযোগ হয় না। তবে খালিদকে বিয়ের সময় যেসব জিনিসপত্র দেয়া হয়েছিলো তা তার পরিবার নাজিনাকে ফিরিয়ে দেয়।

উসমান বলেন, এরপর একজন পুরুষ হিসাবে বেঁচে থাকতে তিনি আয় উপার্জনের কথা চিন্তা করতে থাকেন। আর সে মোতাবেক একটি বাসস্ট্যান্ডে টায়ারের দোকান দেন তিনি।

আজ জাতীয় পরিচয়পত্রে উসমান একজন পুরুষ হিসেবে বিবেচিত। তিনি এখন পাত্রীর খোঁজ করছেন। যাতে করে স্বামী হিসেবে নতুন জীবন শুরু করতে পারেন

সূত্রঃ ডন অনলাইন

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

মাসরুর প্রধান বলেছেন: :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.