নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐক্য এবং সংগ্রাম= মুক্তি

পাঠক লাল গোলদার

শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।

পাঠক লাল গোলদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুগলও শেষ পর্যন্ত ছাগুর খপ্পরে??

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

দৃশ্যপট-১

ছবিটা তুলেছিলো এএফপি! ২০১০ সালের ১৬ জুন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শালবনীতে ইন্ডিয়ান প্যারামিলিটারীর সাথে এক ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়। যার মধ্যে ৩ জন নারীও ছিলো। প্যারামিলিটারীর জওয়ানেরা একজন মাওবাদী নারীর লাশ মৃত জন্তুর মতো বাঁশে ঝুলিয়ে বহন করার সময় ছবিটা ধারণ করে এএফপি। পরের দিন ১৭ জুন ২০১০ এএফপি তাদের ওয়েবসাইটে নিউজসহ ছাড়ে ছবিটি। তখন মানুষের লাশ বাঁশে ঝুলিয়ে বহনের এই অমানবিক দৃশ্যের ব্যাপক সমালোচনা হয় ভারতজুড়ে।নিচেয় দেয়া এএফপির লিংকে নিউজসহ ছবিটা দেখুনঃ

Click This Link



দৃশ্যপট-২

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি।ফেলানী তখন কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশে আসছিল।কাঁটাতারের বেড়ার উপরেই কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে পঞ্চদশী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক জওয়ান। পাঁচ ঘন্টা কাঁটাতারেই ঝুলে ছিলো ফেলানীর দেহ। ফেলানীর এই কাঁটাতারে ঝোলানো ছবি চলে আসে মিডিয়ায়। এবং সাথে সাথে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে।



ছাগুকার্যঃ

ফেলানী হত্যার পরেই বাঁশেরকেল্লাসহ নানান কিছিমের ছাগুগ্রুপ ২০১০ সালের মাওবাদী মহিলার বাঁশে ঝুলিয়ে বহনকারী লাশকে ফেলানীর লাশ হিসাবে প্রচারে নিয়ে আসে।

মিথ্যা প্রচারে ছাগুদের জুড়ি নেই। কার ছবি যে ওরা কখন কার সাথে জুড়ে দেয় তার কোন ইয়ত্তা নেই। তারপরও তারাই কথায় কথায় ‘আমিন’ ঝাড়ে।

ফেলানী হত্যা একটি বর্বরোচিত হত্যাকান্ড তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটার প্রচারেও কেন মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে? অনেক ছাগুপেইজ ফেলানীর লাশ এবং মাওবাদী মহিলার লাশ একত্রে জুড়ে দিয়ে ফেসবুক, ব্লগে ছড়িয়ে দেয়। মমিনরা ছাগুদের মিথ্যাকে ‘আমিন-আমিন’ বলে লুফে নেয়।

দুইটা ছবি সম্পূর্ণ দুই রকম। কিন্তু তারপরও মুমিনদের মাথায় খ্যালে না। ফেলানীর পরনে ছিল নীল স্যালোয়ার এবং লাল-সাদা কামিজ। আর মাওবাদী মহিলার পরণে ছিল লালচে ছোট ছাপার স্যালোয়ার কামিজ। মাওবাদী মহিলার চুল খাটো আর ফেলানীর চুল লম্বা! পার্থক্য স্পষ্ট! একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়!



ফেলানী হত্যার প্রহসনের বিচারের পরও আবার ওই একই মিথ্যা ছবির ছড়াছড়ি ফেসবুক ব্লগে। আজ আবার দেখলাম গুগল ইমেজেও ফেলানীর কাঁটাতারে ঝোলা ছবির সাথে বাঁশে ঝোলা মাওবাদী মহিলার ছবি। ব্যাপার কি? গুগলও শেষ পর্যন্ত ছাগুর খপ্পরে???

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

নিম গাছ বলেছেন: তুমি হইলা ছুপা ছাগু। ভারত মাওবাদীদের ঝুলাবে বাংলাদেশীদের ঝুলাবে তাতে তোমার কোন কষ্ট থাকবে না। এই কারণেই তুমি ছুপা

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০

কালাভীমরুল বলেছেন: বিশ্বের মোট বালিকাবধূর ৪০ শতাংশই ভারতে। দেশটিতে এখন বালিকাবধূর সংখ্যা দুই কোটি ৩০ লাখ।সম্প্রতি এক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। খবর টিএনএনের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.