নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐক্য এবং সংগ্রাম= মুক্তি

পাঠক লাল গোলদার

শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।

পাঠক লাল গোলদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশ-র‌্যাবে কি পরিমাণ জামাতের লোক আছে?? পার্সেন্টেজ কত?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

পুলিশ-র‌্যাবে কি পরিমাণ জামাতের লোক আছে?? পার্সেন্টেজ কত? শোনা যায় জামায়াত-শিবির দলীয় তহবিল থেকেই ঘুষ দিয়ে নিজেদের লোক সরকারী চাকরীতে ঢুকায়! আমলীগ-বিএনপি টাকা পাইলেই ঠান্ডা, তাই লীগ-বিম্পির সুপারিশে চাকরী পায় শিবিরের বাহিনী! ইসলামী ব্যাংক নাকি শিবিরের কর্মীদের লোনও দেয় ঘুষ দিয়ে চাকরী পাওয়ার জন্য। পরে বেতন থেকে মাসে মাসে কেটে নেয়!

আজ চট্টগ্রামে পুলিশের বুক দিয়ে গুলি ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেলো!

পুলিশের উপর জামাত-শিবির এ যাবত যে পরিমাণে হামলা করেছে, বাংলাদেশে অন্যকোন দল তা চিন্তাই করতে পারবে না! আমলীগ-বিএনপিও না! কিন্তু তারপরও পুলিশ ঠিকই জামাত-শিবিরকে সব সময়ই খাতির করে, অন্য চোখে দেখে। নিতান্ত ঠেলায় না পড়লে এ্যাকশনে যায় না। গুলি ছোড়ে উপরের দিকে! লাঠির বাড়ি পিঠে না পড়ে রাস্তায় ঠাস করে শব্দ হয়!

এবছরের শুরুর দিকেই্ একদিন হঠাত করে শিবির হামলা করলো মতিঝিলে! অসংখ্য পাকিং করা গাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলো মিনিট দশেকের মধ্যে! মতিঝিলে তখনও পুলিশ ছিলো কিন্তু তারা ঠায় দাঁড়িয়ে দেখলো কিভাবে শিবির গাড়ী ভাঙ্গে! সোনালী ব্যাংকের মধ্যে ঢুকে জান বাঁচাইলাম আমি।

এলার্ম বাজাতে বাজাতে আরো পুলিশ আসলো! শিবির তখন গাড়ি ভাঙায় ক্ষান্ত দিলো। দলবদ্ধভাবেই আস্তে আস্তে হাটা শুরু করলো ইত্তেফাক মোড়ের দিকে। পুলিশ লেফ্ট-রাইট করতে করতে শিবিরের পিছু পিছু হাটতে লাগলো। লাঠি-অস্ত্র-ঢাল সবই আছে, কিন্তু তারা তখন নিধিরাম সর্দার। শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলো পুলিশ-শিবিরের এই মজার খেলা। কিছুদুর গিয়ে পুলিশ হাটার গতি কমিয়ে দিলো! আস্তে আস্তে দুরত্ব বাড়তে লাগলো পুলিশ আর শিবিরের ভাংচুর গ্রুপের মধ্যে। ইতিমধ্যে মধুমিতার সামনে আরো একদল পুলিশ অবস্থান নিয়ে নিলো। অস্ত্র-লাঠিতে তারাও একেবারে সুসজ্জিত! কিন্তু কাঠের পুতুলের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলো তারাও। পাশ দিয়ে খোশগল্প করতে করতে হেঁটে গেলো শ’খানেক চিহ্নিত শিবির বাহিনী। যখন তারা আরকে মিশন রোডে ঢুকে গেলো, এই শুরু হলো পুলিশের এ্যাকশান! সে কি দৌঁড়-ঝাপ! বাঁশি দিতে দিতে আরকে মিশন রোডের মাথায় এসে উপরের দিকে তাঁক করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লো! বেশ কয়েক টা টিয়ার সেল নিক্ষেপ করলো আরকে মিশন রোডের দিকে। সাধারণ মানুষ তখন ভয়ে, আতঙ্কে, টিয়ার সেলের ঝাঁঝে দিশেহারা।

পুলিশ-শিবিরের এই খেলা আমার নিজের চোখে দেখা! কেউ কেউ তখন বললেন, এটা আওয়ামী জামাত নেতাদের নির্দেশ (তাদের বিশ্বাস আওয়ামী লীগেও জামাত নেতাদের অভাব নেই)! কিন্তু আমার কেন জানি মনে হয়, এগুলো জামাতী পুলিশকর্তাদের কাজ।

এর অর্ধেক গাড়িও যদি কোন বামপন্থি দল ভাঙতো, তাহলে পুলিশের সামনে হাটা তো দুরের কথা, লাশ হয়ে যেতো কতো! হাত-পা ভাঙতো, ঠাই হতো জেলে!

যারা পুলিশের সামনে, মিডিয়ার সামনে, এমনকি আদালতের এজলাশে দাঁড়িয়েও জোর গলায় বলেছে, আরো বোমা মারবো, বোমা মেরে সব উড়িয়ে দিয়ে উসলাম কায়েম করবো! সেই সব বাংলা ভাই বা আরো যতো ভাই আছে তাদের কিন্তু ক্রস ফায়ার হয় নি! বরং বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। অথচ প্রতিনিয়তই ক্রসফায়ার নামক হত্যাকান্ড চলেছে তখন, এখনও! কারা মরছে?? কোন জামাত শিবির, কোন রাজাকার, কোন ধর্মসন্ত্রাসীকে কি ভুলেও কখনও ক্রসফায়ার দিয়েছে কোন সরকার বা পুলিশ-র‌্যাব? কখনও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়েছে?? নিশ্চয়ই নয়!

এই অবস্থা খালেদার সময়ও যথা নিয়মে চলেছে, হাসিনার সময়ও চলছে! পুলিশের জামাত-শিবির প্রীতির কোন ব্যতিক্রম হয়নি!

ইটা দিয়ে পুলিশের মাথা থেতলে দিলেও না! বুক দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে গুলি বেরিয়ে গেলেও না!



কারো কি ধারণা আছে উঁচু থেকে নিচু পর্যন্ত পুলিশ-র‌্যাবে জামাত-শিবিরের পার্সেন্টেজ কত?? জোট-মহাজোট আগামীতে যেই ক্ষমতায় আসুক এই সংখ্যা বাড়া ছাড়া কমার কোন রাস্তা দেখি না। এমনকি শীর্ষ রাজাকারদের ঝুলাইয়া দিলেও বা জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও! আমলীগ ক্ষমতায় ফিরে আসলে শুধু ইসলামী ব্যাংকের ঘুষ লোনটা একটু বাড়িয়ে দিতে হবে এই যা! কিন্তু শিবির নিয়োগ বন্ধ হবে না! আর্মড-সিভিল জামাত-শিবির পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঘিরে ফেলেছে! এই নাগপাশ থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে বাংলাদেশ থেকে রাজাকার নির্মূল দিবাস্বপ্নই রয়ে যাবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
আপনার পোষ্ট পুরাটাই গোয়েবলসীয়। আওয়ামীলীগের পক্ষে লিখে নৌকার ফুটো বন্ধ করতে পারবেন না। রাতের অন্ধকার শেষ। ভোরের আলোয় আওয়ামীদের স্বপ্নের ক্ষমতার স্বাদ মিলিয়ে যাবে খুব শীঘ্রই।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

jotil_pola_jamalpur বলেছেন: ++

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

মোহাম্মদ সোহেল হাসান বলেছেন: পুলিশ তার দায়িত্ববোধ থেকে দায়িত্ব পালন করে না । করলে এমন হতো না ।




সরকার বলে : শিবির পেটা । জোরে পেটা । আরো জোরে । পেটাতে থাক ।
পুলিশ বলে : আর কত পিটামু । এখন তো লাঠি ঘুরে যাওয়ার সময় ।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

ছাসা ডোনার বলেছেন: আসলে আমাদের দেশে দেশপ্রেমিক বলতে কেউ নেই, তাই আমরা এখনও বিশ্বের প্রথম দুর্নীতিতে। আর বলবেন আওয়ামিলিগ, বিনপি ? একজনের বাপের দেশ, আরেজনের জামাইর দেশ। আমি আপনি হলাম এদের পালা গোলাম।দুই দলেই আছে রাজাকার তাই যেই ক্ষমতায় যাক কেউ কিছু করে না। জামায়তে ইসলামের সব নেতারাই যুদ্হপরাধী তারপরও এদের রাজনীতি করতে দেয়।হাসিনা, খালেদা ভাষন দেয়ার সময় একজন আরেকজনের শুধু দুর্নাম করে, কিন্তু কিভাবে দেশের দারিদ্রতা কমিয়ে উন্নতি করবে তা কেউ ভূলেও উচ্চারন করে না। কারন সবাই চিন্তা করে কিভাবে পঁাচাটা চেলারা দূর্নীতি করে বড়লোক হবে। তারা মনে করে সব পঁাচাটা চেলারা ধোয়া তুলশী পাতা। যদি কেউ দুর্নীতির দায়ে নিজস্য পার্টির চেলাদের প্রকাশ্যে বিচার করে ফঁাসী দিত তাহলে বুঝতাম দেশপ্রেমীক।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

ল্যাটিচুড বলেছেন: সহজ হিসাব - আওয়ামিলীগ জামাতের কাছে যত পার্সেন্স ঘুস খাইছে তত পারসেন্ট :P :P :P

বিএনপি কথা কয়ে কাম নাই ওরা তো এক জোট।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: দলের লোকের কাছ থেকে তো ঘুষ খাওয়া যাবে না, যে ঘুষ দিবে তারে চাকরী দাও। এই করে করে সব যায়গায় ঢুকে যাচ্ছে শিবিরের লোকজন। আমাদের দেশের নেতারা পতিতার চেয়েও অধম। পতিতার ও একটা নীতি ধর্ম আছে। এই শালারা সব টাকার পিচাশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.