নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐক্য এবং সংগ্রাম= মুক্তি

পাঠক লাল গোলদার

শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।

পাঠক লাল গোলদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুটবল গ্রান্ড ফাইনাল! অঘোষিত জাতীয় উতসব!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

আমরা যেটাকে ফুটবল বলি! অষ্ট্রেলিয়া আর আমেরিকায় সেটাকে বলে সকার (Soccer)। আর অষ্ট্রেলিয়া-আমেরিকায় যেটাকে ফুটবল বলে আমাদের দেশে সে খেলাটার প্রচলন নেই। তবে অষ্ট্রেলিয়ান ও আমেরিকান ফুটবলের মধ্যেও রয়েছে বিরাট পার্থক্য। আজ ছিলো অষ্ট্রেলিয়ান ফুটবলের গ্রান্ড ফাইনাল।



অষ্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা এই অজি রুলস ফুটবল। লম্বাকৃতির বল দিয়ে খেলা হয় এটি। রাঘবি খেলাটাও লম্বাকৃতির বল দিয়েই খেলা হয় যেটা আমরা মাঝে মধ্যে টেলিভিশনে দেখে থাকি। রাঘবি আন্তর্জাতিক খেলা বিধায় সেখানে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আছে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্পোর্টস চ্যানেল সেটা সম্প্রচার করে। কিন্তু অজি রুলস ফুটবল শুধু অষ্ট্রেলিয়াতেই হয় এবং অষ্ট্রেলিয়ান মিডিয়াই শুধু এর প্রচার করে। তবে রাঘবি বলটা অনেকটা আমাদের ফুটবলের মতো শক্ত আর অজি রুলস ফুটবল বেশ নরম। ভিতরে ফোম থাকে।

এক এক দলে ১৮ জন করে মোট ৩৬ জন প্লেয়ারে ফুটবল খেলে। এই ফুটবল খেলায় কোন গোলকিপার নেই। সবাই হাত দিয়ে বল ধরতে পারে! হাত এবং পা দিয়ে মারতেও পারে। রেফারী থাকলেও নেই কোন লাল-হলুদ কার্ডের ব্যবহার। বল মাঠের বাইরে গেলে সহকারী রেফারী বল থ্রো করে। নিয়মটাও বেশ অদ্ভুত! রেফারী গ্যালারির দিকে ফিরে মাঠের দিকে বল ছুড়ে মারে দুই হাত উচু করে। অর্থাত বল থ্রো করে পিছন দিকে। এই ফুটবল খেলায় পেশি শক্তির ব্যবহার অনেক বেশি। তবে দক্ষতা এবং প্রতিভাও খুবই জরুরী।

ফুটবলের মাঠ ক্রিকেট মাঠের মতো ডিম্বাকৃতির। আর গোলপোষ্ট থাকে প্রতি পাশে চারটি করে। মাঝখানের গোলপোষ্ট দুটি খুবই উঁচু। একেবারে কারেন্টের খাম্বার মতো। দুইপাশের দুইটা একটু নিচু। বল যদি মাঝখানের দুইটা গোলপোষ্টের মধ্য দিয়ে যায় তবে ৬ পয়েন্ট আর পাশের ছোট গোলপোষ্টের মধ্য দিয়ে গেলে ১ পয়েন্ট।

মোট খেলা হয় ৮০ মিনিট। তবে যেহেতু ফুটবল খেলা খুবই পরিশ্রমের এমনকি সকারের চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রমের তাই খেলার সময়টাকে চারভাগে ভাগ করা হয়। খেলার মধ্যে প্রতি ২০ মিনিট অন্তর তিনবার বিরতি দেয়া হয়। কোয়ার্টার টাইম, হাফটাইম এবং থ্রিকোয়ার্টার টাইম বিরতি।

প্রতিবারই মেলবোর্নের এমসিজি স্টেডিয়ামে অষ্ট্রেলিয়ান ফুটবল লীগের গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। গ্রান্ড ফাইনাল দিনটা অনেকটা অঘোষিত জাতীয় উতসবের মতো। এমসিজি বিশ্বের অন্যতম বড় স্টেডিয়াম হলেও গ্রান্ড ফাইনালের টিকিট পাওয়া খুবই দুষ্কর। তাই বেশিরভাগ মানুষ ঘরে বসে টিভিতেই গ্রান্ড ফাইনাল দেখে। খেলা চলাকালীন সময় রাস্তা অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। যেহেতু সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই গ্রান্ডফাইনাল খেলা হয় তাই অনেকে বাসায় পার্টির আয়োজন করে। কেউ বা আয়োজন করে বার্বিকিউ।

আজকের গ্রান্ড ফাইনালে ওয়েষ্টার্ণ অষ্ট্রেলিয়ার ফ্রেম্যান্টেল টীমকে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে মেলবোর্নের অথর্ণ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.