নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐক্য এবং সংগ্রাম= মুক্তি

পাঠক লাল গোলদার

শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।

পাঠক লাল গোলদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঋণ খেলাপির সংখ্যা দেড় লাখ! আর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫২ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

গতকাল (৬ অক্টোবর ২০১৩) অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতে মোট এক লাখ ৫২ হাজার ৭২৩ জন ঋণখেলাপি আছে! কিন্তু যেটা তিনি জানান নি সেটা হলো এই দেড়লক্ষাধীক ঋণ খেলাপির মোটামুটি সবাই জোট বা মহাজোটের সাথে সম্পৃক্ত। ঋণ খেলাপী হওয়া তো পরে, আগে তো আপনাকে ঋণ পেতে হবে! বাংলাদেশে শতকোটি এমনকি কোটি টাকাও ঋণ পেতে গেলে জোট বা মহাজোটের প্রভাব আপনাকে খাটাতেই হবে! আর তারপরেও আছে ঘুষ বাণিজ্য! কমিশন বাণিজ্য! ব্যবসায়িক পার্টনার বাণিজ্য ইত্যাদি! সবকিছু ঠিকঠাকমতো চালাতে পারলে তার পর তো ঋণ!

বাংলাদেশ এখনও একটি কৃষি নির্ভর দেশ। কৃষি এবং কৃষকই জাতির প্রাণ। সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষকদের কেউ কি এই দেড় লক্ষ ঋণ খেলাপির মধ্যে আছে?? নিশ্চয়ই না! কৃষকদেরকে তিন বা পাঁচ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হয় তাও জমির দলিল বন্ধক রেখে! সময়মতো ফেরত দিতে না পারলে তিন হাজার টাকার দায়ে মাজায় দড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় জেলখানায়। পরে জমি বা বাস্ত ভিটা বিক্রি করে কৃষক সুদে আসেলে পরিশোধ করে ঋণ!

কিন্তু শিল্পপতি-ব্যবসায়ী-বড়লোক নামক লুটেরা-সন্ত্রাসী-দখলবাজদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আচরণ সম্পূর্ণ উল্টো। রাষ্ট্র এই শিল্পপতি-ব্যবসায়ীদেরকেই শত শত কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দেয় অবৈধ পথে! অনেক ক্ষেত্রেই মোটা অংকের অবৈধ লেনদেনও হয় এই সকল ঋণ পাইয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে। ঋণ পাওয়ার মূল শর্তই সেখানে থাকে ঋণ পরিশোধ না করার। ঋণ রি-সিডিউলের নামে বাড়তে থাকে ঋণের বোঝা আর সাথে সাথে বাড়তে থাকে পরিশোধ না করার সম্ভাবনাও। কিন্তু তারপরও জোট-মহাজোট সরকার এই ঋণখেলাপিদেরই পক্ষে কথা কয়! এমপি ভোটের টিকিট দেয়, মন্ত্রী বানায়! একদল ঋণ খেলাপি দেশ চালাচ্ছে! আর একদল ঋণখেলাপি দেশ চালানোর জন্য হাঁ করে বসে আছে! ভোট সমাগত! তাই শিগ্গিরই শুরু হবে খেলাপি ঋণের রিসিডিউলের জন্য দৌড়-ঝাপ! নির্বাচন কমিশনে এবং জাতির কাছে প্রমাণিত হবে তাদের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র!

বাংলাদেশের কতজন মন্ত্রী, কতজন এমপি, আর কতজন রাজনীতিক ঋণ খেলাপী? তার একটা তালিকা প্রকাশ করলে আমপবলিকের বুঝতে সুবিধা হতো! রাজনৈতিক সাইনবোর্ডের আড়ালে ব্যবসায়ী-শিল্পপতি-আমলা-সন্ত্রাসী-কালোবাজারী এই সব ঋণখেলাপিদের লুটপাটতন্ত্র আর কতদিন চলবে??



পদ্মা সেতুর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা! শুধুমাত্র খেলাপি ঋণ উদ্ধার করেই দুইটা পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যায়! কিন্তু সরকার সে দিকে না তাকাইয়া হাঁ করে চেয়ে থাকে বিদেশী সাহায্যের দিকে। সরকার জানে শিল্পপতি-ব্যবসায়িদের ওই খেলাপি ঋণ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। আর যারা উদ্ধার করার কথা বলবে বা চেষ্টা করবে তাদেরও অনেকেই নামকরা ঋণখেলাপি।

রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় তের হাজার কোটি টাকা! শুধু মাত্র খেলাপি ঋণ উদ্ধার করলেই সরকার রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের মতো চারটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করতে পারে নিজস্ব অর্থায়নে! কিন্তু সরকার সেটা করবে না! তারচেয়ে ভারতকে ৫০% লাভের অংশ দিয়ে নিজেদের পক্ষে রাখাটা জরুরী। দলের লোকজন অন্তত কয়লার ব্যবসা করে তো খেতে পারবে??



ক্ষমতায় কে আসলো সেটা বিষয় না! জোট বা মহাজোট! সবই ঋণখেলাপিতে সয়লাব! ঋণের নামে দেশের কৃষক-শ্রমিকের টাকা হরিলুট করে এরাই নেতামি করে! জনদরদী রং লাগায়! গণতন্ত্রের ফুটানী মারায়!

সেদিন নিশ্চয়ই আসবে, যেদিন এই লুটেরাদের কাছ থেকে খেলাপি ঋণ সুদে আসলে আদায় করা হবে!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.