নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐক্য এবং সংগ্রাম= মুক্তি

পাঠক লাল গোলদার

শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।

পাঠক লাল গোলদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল স্বৈরতন্ত্র?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

ইনকিলাবের ছাপাখানা ছিলগালা করা হয়েছে! তাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ! তারা বাশেরকেল্লার সহযোগী হিসাবে কাজ করছে, ভুয়া নিউজ দিয়ে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ দিয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায় ইত্যাদি, ইত্যাদি!

বিশিষ্ট রাজাকার মাওলানা মান্নানের পত্রিকা ইনকিলাব। অসংখ্য বুদ্ধিজীবী হত্যার হোতা এই মাওলানা মান্নান আবার বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির শাসনামলে মন্ত্রীও ছিলেন।

২০০১ সালের কথা! বিএনপি-জামাত তখন ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। মাওলানা মান্নানের সাথে কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতির প্রশ্নে চাঁদ সাঈদীর গেঞ্জাম শুরু লেগে যায়। এই গেঞ্জামের ফল হয় অনেক সুদুরপ্রসারী। মাওলানা মান্নান এবং তার ছেলে মাওলানা বাহাউদ্দিন সঙ্গ ত্যাগ করেন জামাত-বিএনপির। দুজনেই উঠে পড়েন আওয়ামী লীগের কোলে। আওয়ামী লীগ আদর-যত্ন করেই তাদের কোলে তুলে নেন। আর তখন থেকেই জামাতের ইনকিলাব হয়ে যায় আওয়ামী লীগের ইনকিলাব। শেখ হাসিনার গুণকীর্তন আর জামাত-বিম্পির শ্রাদ্ধ চলতে থাকে ইনকিলাবের পাতা জুড়ে!

মাওলানা মান্নানের গায়ে রাজাকারের ছিল থাকলেও মাওলানা বাহাউদ্দিনের গায়ে তো সেই ছিল নেই। তাই পিতা মান্নানের মৃত্যুর পর বাহাউদ্দিনের কদর বাড়ে আওয়ামী লীগে। শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হয়ে বিদেশেও গিয়েছেন এই বাহাউদ্দিন। এই তো এবারের নির্বাচনেও নাকি বাহাউদ্দিন চাঁদপুরের একটা আসন থেকে নৌকার নমিনেশন নেয়ার বেশ চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু দীপু মনির হস্তক্ষেপে সেটা আর হয়ে ওঠেনি।

কিন্তু কথা হলো এই আমলীগার বাহাউদ্দিনই তো ইনকিলাবের মালিক! সেই আওয়ামী ইনকিলাবই কেন এখন সিলগালার শিকার?? তাইলে কি রাজাকার পুত্র আবার নিজের ঘরেই ফেরত গেলেন? না কি আওয়ামী লীগ যে সুবিধা বাগাতে রাজাকার বাপ-ব্যাটাকে দলে টেনেছিলেন, সেই সুবিধায় এখন বাঁধা পড়েছে?? না কি বাহাউদ্দিনকেও জামাত ত্যাগের হুমকি হিসাবে এই ব্যবস্থা?

জামাত-বিএনপির পক্ষে মিথ্যা সংবাদ ছাপালে সেটা তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অপরাধ, বেশ ভাল কথা! কিন্তু ২০০১ সাল থেকে যে বছরের পর বছর জামাত-বিএনপির বিপক্ষে আর শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষে অসংখ্য মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ ছাপালো ওই একই ইনকিলাব- তখন কোন তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অপরাধ হয়নি?? মহাজোট সরকারের নেকনজরে গত পাঁচবছর তো বহাল তবিয়তেই ছিলো ইনকিলাব!

নৌকায় উঠলে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী সব ধোয়া তুলসি পাতা, আর নৌকার বাইরে আসলেই সিলগালা? এ কোন ডিজিটাল স্বৈরতন্ত্র??

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

শামীম মুসতফা বলেছেন: রাজাকার মান্নানের ছেলে ইনকিলাবের মাধ্যমে চরম রাষ্ট্রদ্রোহিতা মূলক সংবাদ প্রচার করেও বার বার ফাঁক গলে বেরিয়ে যায় । আশা করি এবার ঠিক মত ধরা খাবে । ১৯৯৬ - ২০০১ এ আওয়ামি লীগ যখন ক্ষমতায় , শেষ দুই বছর ইনকিলাবি অপপ্রচার লজ্জার মাথা খেয়ে ধৃষ্টতার সীমা অতিক্রম করেছিলো । ""উত্তর পাড়ার সূর্য সন্তান রা ঘুমিয়ে পড়েছে ? এই সরকারকে উৎখাত করার মত নওজোয়ান কি অবশিষ্ট নেই ?""----- এরকম রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানি দেওয়ার সাহস ইনকিলাব পেয়েছিল শুধুমাত্র শেখ হাসিনার নম্রতার কারনে । ইনকিলাবি খাটাশ সাংবাদিকতা প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের জন্য সেনাবাহিনিকে উস্কানি দিয়েছে ১৯৯৬-২০০১ টার্মে । আর্কাইভ খুঁজে দেখুন ।
রাষ্ট্র দ্রোহিতা , রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি দেওয়ার অপরাধে চরম শাস্তি দেওয়া হোক ইঙ্কিলাবি খবিশদের । ..............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.