নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল যেকোন বিষয় পড়তে ভাল লাগে, লেখার চেয়ে।

সাইফুর রহমান পায়েল

খুবই শান্ত মনের ও ঠান্ডা মেজাজের একটা চমৎকার মানুষ।

সাইফুর রহমান পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় কোম্পানী এনটিপিসি যে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্য কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিজের দেশের ছত্তিশগড়ে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইআইএ প্রতিবেদনে পরিবেশগত ছাড়পত্র পেলো না, সেটি কী ভাবে বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তরের ইআইএ ছাড়পত্র পেলো? (!)

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯



ভারতীয় কোম্পানী এনটিপিসি যে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্য কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিজের দেশের ছত্তিশগড়ে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইআইএ প্রতিবেদনে পরিবেশগত ছাড়পত্র পেলো না, সেটি কী ভাবে বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তরের ইআইএ ছাড়পত্র পেলো?

এখানে (A) চিত্রে ছত্তিশগড়ের জন্য ভারতীয় ইআইএ প্রতিবেদনের অবস্থানিক মানচিত্র, (B) চিত্রে বাংলাদেশে রামপাল প্রকল্পের জন্য CEGIS কর্তৃক করা বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য ইআইএ প্রতিবেদনের অবস্থানিক মানচিত্র এবং (C) চিত্রে আমার করা রামপাল প্রকল্পের জন্য অবস্থানিক মানচিত্র। সকল চিত্রে গোল দাগ দেয়া অংশটি ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের ঝুঁকিপূর্ন এলাকা।



লক্ষ করুন ভারতীয় মানচিত্রে ভূমির প্রকৃত অবস্থা বোঝানোর জন্য বিস্তারিত টপোমানচিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে কোথায় বনভূমি, কোথায় বসতি, কোথায় এক ফসলী ও বহুফসলী জমি তা বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু রামপাল প্রকল্পের জন্য তৈরী মানচিত্রে কোন টপোশিট বা উপগ্রহচিত্র ব্যবহার করা হয় নাই। যে কারণে কোথায় বনভূমি, কোথায় বসতি, কোথায় এক ফসলী ও বহুফসলী জমি তা বোঝা যাচ্ছে না। আমি আমার তৈরী করা অবস্থানিক মানচিত্রে উপগ্রহচিত্র ব্যবহার করেছি। ফলে ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ন এলাকার কোথায় কী ধরনের প্রাকৃতিক অবস্থা আছে তা বোঝা যাচ্ছে।



রামপালে প্রতিষ্ঠিতব্য এই ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ভারতে প্রতিষ্ঠার জন্য ৭৯২ একর এক ফসলি কিংবা অনুর্বর পতিত জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো অথচ বাংলাদেশে সেই একই প্রকল্পের জন্য ১৮৩৪ একর কৃষি, মৎস চাষ ও আবাসিক এলাকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে যার ৯৫% ই তিন ফসলী কৃষি জমি যেখানে বছরে ১,২৮৫ টন ধান ও ৫৬৯.৪১ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। এই ধান-মাছ উৎপাদন বন্ধের সাথে সাথে এখন প্রায় ৮ হাজার পরিবার উচ্ছেদ হবে যার মধ্যে উদ্বাস্তু এবং কর্মহীন হয়ে যাবে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ পরিবার।



বাংলাদেশের ইআইএ প্রতিবেদন অনুসারেই প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার ১০ কিমি ব্যাসার্ধের ঝুঁকিপূর্ন এলাকায় রয়েছে ৭৫% কৃষি জমি; যেখানে বছরে ৬২,৩৫৩ টন ধান এবং ১,৪০,৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়। গড়ান (ম্যানগ্রোভ) বনের সাথে এই এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এখানে বছরে ৫,২১৮.৬৬ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করতে গেলে প্রকল্প এলাকার ফসল ও মৎস সম্পদ উৎপাদন বন্ধ হবার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ন এলাকায় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

--------------

বিস্তারিত ১

বিস্তারিত ২

বিস্তারিত ৩





মানচিত্রগুলো আলাদাভাবে বড় আকারে পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

(A) এখানে গুতান

(B) গুতা মারেন

(C) খোঁচা দিন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

এরিস আফ্রোদিতি বলেছেন: তথ্যসুত্রগুলো দিলে ভাল হত।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: লিংক গুলো দিয়েছি।
আপনি চাইলে গুগলে খুজে অনেক তথ্য পেতে পারেন।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

গেস্টাপো বলেছেন: জয় বাংলা =p~

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: :| :| :| :|

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: জয় বাংলা =p~

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.