নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল যেকোন বিষয় পড়তে ভাল লাগে, লেখার চেয়ে।

সাইফুর রহমান পায়েল

খুবই শান্ত মনের ও ঠান্ডা মেজাজের একটা চমৎকার মানুষ।

সাইফুর রহমান পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুমেরাং

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

দৃশ্য-১

-হরতালের মাঝে বাইরে না গেলে হয় না?
-না মা, কাজ আছে, কি করব বল?
-ভার্সিটি তো বন্ধ, তবুও কেন যাস, বাইরের অবস্থা ভাল না। তুই তো প্রতিদিনই হরতালের মাঝে বাইরে যাস। এমনিতে তো ১২ তা পর্যন্ত ঘুমাস। এখন কি এমন কাজ যে এত সকালে উঠে বের হতে হবে? বন্যার আজ কলেজে ভর্তি করার লাস্ট ডেট, সেখানে গেলেই তো পারতি।
-আমার কাজ আছে, আমি যেতে পারবনা আজ। ওকে বল গিয়ে ফাইল আর টাকা জমা দিয়ে আসতে, আমি সব রেডী করে দিয়েছি। আর সকালে বের হই কারন বেলা বেরে গেলে আন্দোলন আরও বাড়তে পারে। তার চেয়ে হরতালের মাঝে আগে বের হয়ে কাজ শেষ করে বাসায় আসাই ভাল।
-কি জানি বাবা, তোদের কাজ কর্ম বুঝিনা। তোর বাবার অফিস, আমার বাসার কাজ। মেয়েটাকে একা ছাড়তেও ভয় লাগে। তার উপর তুই থাকিস বাইরে। আমি যে কত চিন্তায় থাকি।

নাস্তা কোন রকমে করে বের হয় আবির। মা তাকে প্রতিদিন এই কথা গুলো বলে। আবিরও প্রায় প্রতিদিন একি কথা বলে মাকে। হরতালের দিন আবির একটু তারাতারি বের হয়ে যায়।
মধ্য বিত্ত পরিবারের ছেলে আবির, বাবা সরকারি চাকরি করে, মা গৃহিণী, ছোট বোনটা এবার এসএসসি দিয়ে কলেজে ভর্তি হবে। আবির ভার্সিটি তে পরে। ভাল ভাবেই তাদের দিন কেটে যাচ্ছে।
আবির তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে আগায়।

দৃশ্য- ২

বন্যা তুই তো আমার সাথে যেতে পারিস, আমি নেমে যাব, তুই গিয়ে সোজা কলেজে নামবি, কাজ শেষ করে একা আসতে পারবি না মা?
আবিরের বাবার অফিস ধানমন্ডিতে।
বন্যা যাবে আজিমপুর, ভিকারুন্নেসাতে চান্স পেয়েছে।
পারব আব্বু- বলল বন্যা।
আব্বু তাকে নিয়ে বের হয়ে গেল, মা তার হাতের কাজ গুলো শেষ করতে বসলেন। কাপড় গুলো ধুয়ে দিতে হবে। তাছাড়া, বন্যাকে একটা সারপ্রাইজ দেয়ার প্লান করেছে আবির, একটা পরীর মত সাদা ড্রেস কিনে আনবে আজ আবির। বিকেলে বাবা ফিরলে সবাই মিলে তাকে সেটা দিবে এই জন্য যে সে এবারের ভিকারুন্নেসার পরীক্ষায় শুধু চান্সই পায়নি, সবার সেরা হয়েছে।
আবিরের মা ভাবল একটু বিরিয়ানি করতে হবে। বন্যা খুব পছন্দ করে।
আবিরকে ফোন করল
-হ্যালো মা,
-বাবা তুই কি টাকা নিয়ে গিয়েছিলি আমি আর তোর বাবা যে টাকা বন্যার ড্রেস কিনতে দিয়েছিলাম?
-হ্যা মা, তুমি চিন্তা করোনা, আমি ফেরার সময় কিনে ফিরব।
-সাবধানে থাকিস বাবা।
-আচ্ছা মা। রাখছি।
মা এবার আবিরের বাবাকে ফোন করল,
-হ্যালো মায়া বল,
-আজ কি একটু তারাতারি ফিরতে পারবে?
-কেন?
-ভুলে গেলে, আজ বন্যাকে সারপ্রাইজ দিব না আমরা। তুমি দুপুরে চলে এসো। ২ টার আগে। পারলে চিকেন ফ্রাই নিয়ে এসো, আবির আর বন্যা দুজনেই পছন্দ করে খুব।
-আসতে পারব, চিকেন ফ্রাই নিয়েও আসতে পারব। কিন্তু ওকে সারপ্রাইজ দিয়ে আমাকে আবার অফিসে ফিরতে হবে।
-আচ্ছা, তুমি আসলে তোমার মেয়ের কাছ থেকে তুমি কিভাবে যাও দেখব।
-কাজ আছে ফিরতে হবে আজ।
-মেয়ে আর ছেলেকে সাথে পেলে তোমার হুস থাকে। তুমি আসো, আমি জানি তুমি যেতে পারবে না।
একথা শুনে হাসতে থাকেন আজমল সাহেব। আসলেই তার মেয়ে আর ছেলে সামনে থাকলে তার আর কিছু লাগেনা।

দৃশ্য- ৩

বন্যা এসে কলেজে পৌঁছেছে, অনেক বড় লাইন। সে লাইনের পেছনে। ইসস আব্বুর জন্য অপেক্ষা না করে ভাইয়ার সাথে সকালে বের হলে বুঝি এই ঝামেলা পোহাতে হত না।
এখন আর চিন্তা করে লাভ নেই।
তার পেছনে আরেকটা মেয়ে এসে দাঁড়িয়েছে। পেছন ফিরে তাকাল বন্যা।
-আরে সাদিয়া!!!
-বন্যা! কি খবর তোর?
-তুই চান্স পেয়েছিস জানি, কিন্তু শেষ দিনে আসবি ভাবিনি। আগে জানলে তোকে ফোন দিয়ে আসতাম।
-আর বলিস না, হরতাল অবরোধের মাঝে বের হতে ইচ্ছে করে না, ভয় লাগে, আজ শেষ দিন না হলে আজ ও আসতাম না।
-আমিও এজন্যই শেষ দিনে এসেছি।
-ভর্তি হতে কি কি লাগবে রে? আমি তো মোটামুটি সবই এনেছি, গুছাতে পারিনি।
দুজনে বসে একটা সেট বানায়।
সাদিয়া আর বন্যার পেছনে আরও কিছু মেয়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
লাইনটা কচ্ছপের গতিতে আগাচ্ছে।
বন্যার মোবাইলে রিং বেজে ওঠে। বন্যা ফোন বের করে দেখে আবির ফোন করেছে।
রিসিভ করে।
-হ্যালো ভাইয়া।

দৃশ্য- ৪

আবির বের হয়েই ফোন করে তার ভার্সিটির বড় ভাই ইমরানকে। ইমরান তাকে ঝিগাতলা আসতে বলে।
আবির লালমাটিয়া থেকে জিগাতলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ফার্মগেট থেকে যে টেম্পো যায় তাতে উঠে পরল। হরতালের মাঝে রাস্তা খালি। খুব তারাতারি সে জিগাতলা পৌঁছে যায়। ইম্রানের সাথে কথা হচ্ছে কিভাবে কি আজ তারা করবে।
তখনি তার মায়ের ফোন এল। সে বন্যার জন্য জামা কিনবে বলে রেখে দেয়।
ভাবল বোনটা তার একা একা আছে, একটু খোজ নিই।
ফোন করল, ওপাশে থেকে বন্যার কণ্ঠ ভেসে এল।
-হ্যালো ভাইয়া,
-কি রে কি করিস?
-আর বলিস না, বিশাল লাইন। বোর হচ্ছিলাম, হটাত সাদিয়ার সাথে দেখা, কথা বলার মানুষ পেয়েছি। অতটা বোর হচ্ছি না।
-যাক, আমার তো খারাপ লাগছিল, তোকে নিয়ে যেতে পারলাম না, একা একা কি করিস, না করিস।
-না ভাইয়া প্রবলেম নাই। কাজ না থাকলে তো ঠিকি আসতি। আমি চলে আসতে পারব।
-আচ্ছে আপুটা, ভর্তি হয়ে আমাকে জানাইস।
ফোন রেখে দেয় আবির। ইমরান প্লানটা আবার বলে যেহেতু আবির ছিল না।
ইমরানঃ আমরা রাপা প্লাজার দিকে থাকব। সায়েন্স ল্যাবের ওখানে আরেকটা টিম আছে। আমি গিয়ে আগে রাস্তা ঘাট দেখে আসব, সব ঠিক থাকলে তোরা সবাই এক সাথে হামলা করবি। বিষয়টা যেন ৩০ সেকেন্ডের মাঝে হয়। দামটা মনে আছে তো? বাস-৫০০, পুলিশ ভ্যান-১০০০ আমরা লোভ করব না। শুধু ৪ টা বাস হলে ২০০০ পাব। সারাদিনে ৪ বার করতে পারলে ৮০০০ হবে, সবাই মিলে ভালই ধান্দা হবে।
আলোচনা চলছে। আবির একটু অন্য মনস্ক হয়ে যায়। ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরে কি সাধারন একটা ছেলে ছিল। হাতে ক্ষমতা আর টাকার জন্য হটাত কিভাবে যেন রাজনীতি তে জড়াল। ভালই তো কেউ কিছু বললে তার খবর আছে, প্রায় সবাই ভয় পায় ওকে। হাতে টাকা ও থাকে সব সময়। শুধু তাদের মিছিলে, সমাবেশে আর তাদের দলের দরকারে সাথে থাকতে হবে। না থাকলে তার উপর শোধ নেয়া হবে।
কতক্ষন হয়েছে সে ভাবছে বলতে পারবে না। হটাত ইমরানের ডাকে চিন্তার জগত থেকে বাস্তবে ফিরে আসে। ইমরান বলল,
কোন রিস্ক নেই। ছুড়ে মেরেই পালাবি। বুঝেছিস? এখন বাজে ১২ টা ৩০। যেতে ৩০ মিনিট, পরিস্থিতি বুঝে আরও ১০ মিনিতের মাঝে আমি জানাব।
সবাই মাথা নারে। এবার সবাই রাপা প্লাজার দিকে রওয়ানা হয়।

দৃশ্য- ৫
আজমল সাহেব একটু আগেই বের হয়েছেন, বাসার জন্য চিকেন ফ্রাই কিনতে হবে।
১ বাজেনি এখনও। চিকেন ফ্রাই কিনে বন্যাকে ফোন করলেন। বন্যা আজিমপুরে, বাসে উঠেছে। বলল আব্বু তুমি চলে যাও, আমি আসতে পারব।
আজমল সাহেব বললেন আমি আসাদ্গেট থাকবো। তুই এলে এক সাথে যাব।
আজমল সাহেব বাসে উঠলেন, হরতালের প্রভাব কিছুটা কমেছে। রাস্তা যেন একটু জ্যামও আছে।
বাসে ভারা বের করলেন। ১০০ টাকার একটা নোট। তার কাছে ভাংতি চাইলেন, কিন্তু আজমল সাহেব নিরুপায়, তার কাছে ভাংতি নেই। পরে নিতে বলে হেল্পার পেছনে গেলেন।
বাসের সিট খালি আছে। মানুষ ভয়ে আছে, কেউ কাজ ছাড়া বের হতে চায়না।
রাপা প্লাজার সামনে বাস। আজমল সাহেব হেল্পারকে ডাকলেন, আসাদ গেট নেমে যাব টাকা দাও। সিগনাল ছেড়ে দিয়েছে, বাস আগাচ্ছে, হেল্পার সব হাতিয়ে ২ টাকা কম দিল। কি আর করা আজমল সাহেব ২ টাকা কম নিয়েই নেমে গেলেন।

দৃশ্য- ৬

বন্যা বাসে উঠে বসেছে। খালি, বাস দাড়িয়ে আছে। যাত্রী নেই। কিছুক্ষন পরে বাস ছাড়ল। মাত্র কয়েকজন যাত্রী। বন্যা বাম পাসের সিটে বসেছে। জানালার পাশের সিট তার খুব ভাল লাগে। বাইরেটা দেখা যায়।
যতবার সে দেশের বাড়ি গিয়েছে, ততবারই আম্মুকে পাশে বসিয়ে সে জানালার পাশে বসেছে।
দূর পাল্লার ভ্রমনে জানালার পাসের সিট ভাল।
ভারা চাইতে এলেন হেল্পার। ভাবনা থেকে বেরিয়ে তাকে ভারা দিয়ে দিল। সাদিয়া পৌঁছেছে কিনা জানা দরকার। ফোন দিল সাদিয়াকে, সাদিয়া ধরল না।
বাস রাপা প্লাজার সামনে।
সিগনাল ছেড়েছে, এমন সময় ফোন বেজে উঠল, সাদিয়া ফোন করেছে, ধরে কথা বলে রেখে দিল বন্যা।
আড়ং এর সিগন্যালে, বন্যা নামতে যাবে। ভাবল এটুকু হেটেই যাবে।
কিন্তু হটাত একটা শোরগোলের শব্দ শুনে জানালা দিয়ে তাকাল বাইরে। যা দেখল তা সে জীবনেও ভুলতে পারবেনা।
খিপ্র একটা মুখ, হাতে পেট্রোল বোমা, মুখটা বন্যার চেনা, খুব চেনা।
বন্যা কিছু বলতে যাচ্ছিল...... আর কিছু তার মনে নেই।

দৃশ্য- ৭

ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট এর সামনে হাতে চিকেন ফ্রাই হাতে আজমল সাহেব দাঁড়ানো। পাশেই মায়া, কাপড়টা একটু ভেজা, সব কাপড় ধোয়া শেষ করতে পারেননি।
আবিরকে দেখা যাচ্ছে না। আজমল সাহেব কয়েকবার ফোন দিয়েছেন। ধরেনি, এখনও ব্যাকও করেনি।
মায়া ও আজমল সাহেবের চোখের কোনে অশ্রু। বন্যা বার্ন ইউনিটে ভর্তি।
ওদিকে আবির আড়ং এ তার বোনের জন্য সাদা ড্রেস দেখছে। ধান্দার সময় মোবাইল সাইলেন্ট রাখা নিয়ম। তারা কোন রকম বিপদ ছারাই ৪টা বাসে আগুন দিতে পেরেছে। আবিরও একটা তে পেট্রোল বোমা মেরেছে। তাতেই থামেনি। গান পাউডার দিয়ে আরও ভাল করে আগুন দিয়েছে। তারপর দৌরে সরে পরেছে। আগেই ইমরান কে বলেছিল, আজ আর সময় দিতে পারবে না। বন্যা কে সারপ্রাইজ দেয়ার কথা বলে চলে যায়।
সুন্দর দেখে একটা ড্রেস কিনল আবির। তার বোনটাকে পরীর মত লাগবে।
হটাত ফোনের কথা মনে পরতেই দেখে আজমল সাহেবের ৫ টা ফোন।
ব্যাক করে।

দৃশ্য- ৮

আবির ঘটনা শুনে বুঝে যায় তাদের গ্রুপের ছোড়া বোমার আঘাতেই এই ঘটনা ঘটেছে। কাঁদছে।
কিছু বলতে পারছে না। মেনেও নিতে পারছেনা। অসহ্য রকমের একটা যন্ত্রনা তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে।
বোনকে দেখার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। ডাক্তার এসে বললেন মেয়েটার এক সাইড পুরে গেছে, এখন সে অজ্ঞান নয়। জ্ঞান ফিরেছে।
আবির দৌড়ে যায় বন্যার কাছে। দু চোখে বৃষ্টির ধারা অব্যাহত। বন্যাকে কান্না জড়ানো কণ্ঠে ডাক দেয় আবির। বন্যা যেন চোখ মেলে তাকায়।
তার পরে তার চোখেও শুরু হয় বৃষ্টি। বন্যা মুখটা ঘুরিয়ে নেয়। ভাইয়ার দিকে তাকাতে ইচ্ছে করছে না তার।
সন্ত্রাসীরা কার ভাই না। আজমল সাহেব আর মায়া এসে পাশে দাড়ায়। বন্যা ঘোরে না।
বাবা মায়ের ডাক শুনে সে মুখ না ঘুরিয়েই বলে ভাইয়াকে চলে যেত বল।
শুনে আবিরের হাতের পেশী গুলো কেমন ঢিল হয়ে যায়। হাত থেকে পরে যায় ব্যাগটা।
আবিরের বাবা মা হতবাগ। কি হয়েছে জানতে চায়।
বন্যা বলে আম্মু ভাইয়াই আমাকে বোমা মেরেছে,
হতবাগ হয়ে যায় মায়া। কি বলছিস!!
আবির এবার উচ্চ শব্দে কাদে। বলে আপুরে আমি যদি জানতাম তুই আছিস, তাহলে কি আমি করতাম?
বন্যা বলে তুমি যাদের মেরেছ তারা কার না কার ভাই বা বোন।
ডাক্তার এসে তাদের সবাইকে বের করে দেয়। বলে কথা বলা যাবে না এত। তার ৭৫ ভাগ পুরে গেছে। এখন এত কথা বললে সমস্যা।

দৃশ্য- ৯

সন্ধ্যার পরে বন্যা মারা যায়। আবিরের জামাটা পরলে হয়তো বন্যাকে আসলেই পরীর মত লাগত।
সাদা ড্রেসে খুব মানাত তাকে।
গোসল ও জানাজা পড়ানোর পরে আবির পুলিশে ফোন করে। নিজেকে নিজেই ধরিয়ে দেয়।
কিছুক্ষনের মাঝেই পুলিশ এসে যাবে। আবিরের বাবা মা, আবিরকে বন্যার লাশ দেখতে দিবে না।
আবির কাদে এবার, বলে আম্মু পুলিশের সাইরেন শুনতে পাচ্ছ? আমি ফোন করে এনেছি, এবার যদি একটু দেখতে না দাও, তাহলে যে আমার বোনটা কে আর জিবনেও দেখতে পারব না।
মায়া বলে এ তুই কি বলছিস।
হ্যা মা। অন্যায়ের শাস্তি পেতে হবে আমাকে।
এবার মায়া নরম হয়, বন্যার কাফনের কাপড় খুলে মুখটা বের করে।
আবির ফুপিয়ে কেদে ওঠে। কাফনের সাদা কাপরের মাঝেও বন্যাকে পরীর মত লাগছে।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.