নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল যেকোন বিষয় পড়তে ভাল লাগে, লেখার চেয়ে।

সাইফুর রহমান পায়েল

খুবই শান্ত মনের ও ঠান্ডা মেজাজের একটা চমৎকার মানুষ।

সাইফুর রহমান পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ফুলশয্যা"

১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

বিয়েতে অনিকের মত ছিল না। কিন্তু অনুর কোন আপত্তিও ছিল না।
পারিবারিকভাবেই বিয়ের আয়োজন হয়।
অনিক অনুকে এখনও দেখেনি।

চার বছরের রিলেশন ছিল অনিকের। মেয়েটা ডাম্প করে।
হতাশ অনিক হুট করেই বাসায় বিয়ে করবে বলে। আসলে সে চেয়েছিল ওই মেয়েটাকে ভুলতে। এত তারাতারি সব হয়ে যাবে অনিক ভাবেনি।
বারবার তার মনে হচ্ছে মেয়েটাকে অনিক ব্যবহার করছে।
বর্ষার দেয়া কস্টকে কাটানোর জন্য অনুকে ব্যবহার করতে অনিকের মন সায় দিচ্ছে না।
কিন্তু সে বাসায় বিয়ে করবে বলার সাথে সাথে যেন মেয়ে দেখা নিয়ে উঠে পরে লাগলো। যেই ছেলেকে বিয়েতে রাজি করানো কঠিন, সে কিনা নিজে বিয়ের কথা বলছে।
দেরি করলে যদি মত বদলায়। হুট করে বিয়ের ডেট পাকা।
অনিক মাস্টার্স শেষ করে একটা বেসরকারি ফার্মে কর্মরত।
অনু অনার্সের ২য় বর্ষের ছাত্রী।

অনিকের আজ বিয়ে। হলুদের দিন থেকে সে যন্ত্রনাতে আছে। বিবেক বাধা দিচ্ছে।
কিন্তু এই পর্যায়ে এসে কিভাবে থামাবে? দাওয়াত দেয়া হয়ে গেছে।
খুব সকালে নামায পরে বাইরে আসে। হাটাহাটি করে। কিন্তু বুঝতে পারছে না।
অনুর একটা বায়োডাটা ওকে দেয়া হয়েছিল। খুলেও দেখেনি। আজ দেখল।
ছবি আছে সাথে একটা। মেয়েটা দেখতে ভালই।
কিন্তু এভাবে তাকে ব্যবহার করতে মন সায় দিচ্ছে না।
বিয়েটা ভেঙ্গে দিলেও সমস্যা। অনুর বাসায়ও সব নিশ্চয়ই করে ফেলেছে যা আয়োজন করার।

ফুলশয্যার রাতে নাকি বউকে কিছু দিতে হয়। তার বন্ধুরা আর সে মিলে একটা ডায়মন্ডের রিং কিনেছে। অনিকের কাছেই আছে।
বাসায় ফিরে দেখে সবাই খুব ব্যাস্ত।

নিজের রুমে আসে অনিক। ভুল হচ্ছে না তো??
বেলা গড়াচ্ছে। একসময় বরের ড্রেস পরে বের হতে হয়েছে অনিককে।
বিয়েটা হয়েই গেল।

ফুলশয্যার রুমে অনুকে ঘিরে অনেক মানুষ। অনিক বাইরে।
রাত একটার কিছু পরে সে রুমে যেতে পারল।
ভেতরে প্রবেশ করল। দরজাটা আটকাবে কিনা বুঝতে পারছেনা।

অনু বড় করে ঘুমটা টানা। খাটের মাঝে বসে আছে।
অনিক খাটের কাছে এসে দাড়াতেই অনু নড়ল।
অনিক থেমে আছে। অনু নেমে অনিক কে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করল।
অনিক এটার জন্য প্রস্তুত ছিলনা।
অনুকে ধরে দার করাল।
নাহ মেয়েটা সুন্দরী।

অনিক প্রথমবারের মত অনুর নাম ধরে ডাকল।
--অনু।
--হু।
-- তোমাকে কিছু বলার ছিল।
-- বলুন।
--আমার আগে একটা সম্পর্ক ছিল।
--জানি। খোঁজ নিয়েছিলাম।
-- কি কি জান।
-- যতটুকু জানা দরকার ততটুকু।
অনিক কিছু বলেনা।
অনু বলে
---আমারও কিছু বলার ছিল।
একটা শংকা মনে আসে তাহলে কি অনুও----
---বল।
--আমি যদি আপনাকে বর্ষার চেয়ে বেশি ভালোবাসি। সারা জীবন আপনার সাথে থাকার ওয়াদা করি, তাহলে কি আপনি বর্ষার চেয়ে বেশি ভালবাসবেন আমাকে প্লীজ?
--অনিক কেদে ফেলে।
--আমাকে একটু আপনার বুকে জায়গা দিবেন?
অনিক জড়িয়ে ধরে।
আমি একটা কেক এনেছি। অনু তুমি কি কাটবে একটু?
-কেক কেন?
--আজ না তোমার জন্ম দিন।
--আপনি কিভাবে জানেন।
--তোমার একটা বায়োডাটা ছিল। জানিনা ডেটটা সঠিক কিনা।
--অনু হেসে ফেলে।
--আমার বন্ধুরা বাইরে অপেক্ষা করছে। তোমার জন্ম দিন পালন করবে বলে। ডাকি ওদের?
--ডাকুন।
--আরেকটা অনুরোধ ছিল।
--বলুন।
--আমাকে তুমি করে বলবে।
মাথা নারায় অনু।
অনিক তার বন্ধু দের ডেকে আনে। পরিবারের সবাইসহ।

অনু কেক কাটে সবাইকে নিয়ে। অনিক আংটিটা পরিয়ে দেয়।

রাত ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে।
অনু অনিকের বুকে মাথা রেখে বলে
"তোমাকে ধন্যবাদ, জীবনের সেরা কিছু সুখময় মুহূর্ত দেয়ার জন্য"
সারাটা জীবন তোমার হয়ে থাকব। তুমি শুধু আমার পাশে ছায়া হয়ে থেকো।
অনিক হ্যা সুচক মাথা নারে।
অনিক ও অনুর দুজনের চোখেই বৃষ্টি। সুখের বৃষ্টি।

লেখাঃ ২৫ নভেম্বর ২০১৬

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২২

মন থেকে বলি বলেছেন: Keep writing. Like your story.

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২২

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: এটা কি?? গল্প? কবিতা?? নাকি অন্যকিছু?

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২২

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: গল্পই লিখেছিলাম। :(

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন:
ধুর ! ফুলশয্যার আসল অংশটুকুই তো লিখলেন না। কি বিজ্ঞাপন দিলেন আর কি বেচলেন ! :P :D =p~

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৪

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: ওই অংশটুকু সেন্সর বোর্ড কাইটা দিছে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.