নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল যেকোন বিষয় পড়তে ভাল লাগে, লেখার চেয়ে।

সাইফুর রহমান পায়েল

খুবই শান্ত মনের ও ঠান্ডা মেজাজের একটা চমৎকার মানুষ।

সাইফুর রহমান পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আজব মেশিন"

১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

সেটা বছর ৭এর আগের কথা। রুবিনা নামে একটা মেয়ে আমাদের বাসায় কাজ করত।
পরে হটাৎ করেই চলে যায়। তার আর খোজ ছিলনা।
কিছু দিন আগে হটাৎ করেই তার সাথে দেখা।
ড্রেস আপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে তার এখন আর আগের অবস্থা নাই।
আমি দেখে চিনলাম, কিন্তু ডাক দিলাম না। যদি বলে আপনি কে?
বিব্রতকর পরিস্থিতি হয়ে যাবে।
কিন্তু সে আমাকে দেখে চিনতে পারল।
ডাক দিল ভাইয়া বলে (আগেও এটাই ডাকত তবে ছোট ভাইয়া বলত)।
আমি বললাম
--রুবিনা না? অনেক বড় হয়ে গেছিস। কি করিস, বিয়ে থা করেছিস নাকি?
--না ভাইয়া বিয়ে করিনি, আমি বিদেশে থাকি। আগামি মাসে চলে যাব।
--ভাল তো, বাসায় আসিস। আব্বু আম্মু তোকে দেখলে খুশি হবে।
--আসব ভাইয়া।
আমি চলে আসি।
ওই দিন সন্ধ্যায় আসলেই রুবিনা আমাদের বাসায় আসে।
সবার সাথে কথা বলে, আড্ডা দেয়। কথায় কথায় কি করে বিদেশে এই প্রসঙ্গ আসে।
সে যা বলে তার মুল ভাব হল, সে ওই দেশে গিয়ে একটা শর্ট ট্রেনিং করে একটা মেশিনের উপর, সে বাসায় বাসায় গিয়ে মেশিনের সার্ভিসিং করে।
ভালই তো।
কিন্তু কি মেশিন।
আবল তাবোল ভাবে যা বুঝাল তাতে বোঝা যায় ওই দেশের মোটামুটি সবার বাসায় মেশিনটা আছে।
অনেকে নিজেরাই করে অনেকে তাকে দিয়ে করায়।
কিন্তু প্রশ্ন হল মেশিনটা কি?
অনেকক্ষণ ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে সে বলল, আসলে সে মেশিনটা পরিষ্কার করে। সার্ভিসিং না।
খুব ভাল কথা, কিন্তু মেশিনটা কি কাজে লাগে?
এবার ম্রিদু হেসে সে বলে ভাইয়া আমি টয়লেট পরিষ্কার করি।
প্রতি দিন ৫-৭ টা বা তারও বেশি বাসায় কাজ করি। রবিবার আর শুক্রবারে কাজ বন্ধ রাখি। ছুটি কাটাই।
বাকি দিনগুলো কাজ করেই কাটাই।
ইনকাম ভালই হয়। ভালই সারা পাচ্ছে সে। এবার গিয়ে আরও কয়েকজন কে তার সাথে নিবে। একা আর পেরে উঠছে না।
নতুন ব্রাঞ্চ খুলবে মনে হয়।
দোয়া প্রার্থী।
----------------------------------------
বিঃ দ্রঃ কাহিনী সম্পূর্ণ কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত, অবাস্তব বা বাস্তবের সাথে মিল কাকতাল মাত্র।

লেখাঃ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.