নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল যেকোন বিষয় পড়তে ভাল লাগে, লেখার চেয়ে।

সাইফুর রহমান পায়েল

খুবই শান্ত মনের ও ঠান্ডা মেজাজের একটা চমৎকার মানুষ।

সাইফুর রহমান পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সজিবের মটরচালিত দিচক্রযান"

১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮


সাজেদুল করিম বা সজিব নামে পরিচিত ছেলেটা আর কেউ নয়, আমার আপন মামাত ভাই। আমাদের মাঝে যদিও আরও বিভিন্ন নামে পরিচিত, সেটা না হয় নাই বললাম।
সজিবের খুব ভাল দিক হচ্ছে সে বিশ্বাসী। সকলের সাথে ভাল সম্পর্ক। ভাই ব্রাদারদের সব বিষয়ই তার জানা। হেল্পফুল অনেক।
আরেকটা জিনিস হল সে খুব ভাল মেয়ে পটাতে পারে। মেয়ে পটানো একটা আর্ট এটা সবার মাঝে থাকেনা। ওর মাঝে আছে সেটা।
সে যাক। এবার আসি আসল পয়েন্টে।
অতি সম্প্রতি সজিব একটা বাইক কিনেছে। এটা কেনার জন্য তাকে অনেক কিছুই করতে হয়েছে। এখন সে কর্মরত।
তার দুলাভাইয়ের ব্যবসা সে সামলাচ্ছে। তখন থেকেই এই বাইকের গুঞ্জন শুনছিলাম। তাদের বাসা থেকে দোকানের দূরত্ব বেশ কয়েক কিলোমিটার।
যেতে আসতে ঝামেলা। ব্যবসা তো আর যেনতেন ভাবে দেখা যায়না।
সজিবের যে একটা বাইক লাগে সেটা খুব স্পষ্ট ছিল।
ব্যস, তার ভাইয়াদের কানে দিতেই তারা এগিয়ে আসলো। দুলাভাই এর ব্যবসা দেখবে, তারও সাপোর্ট আছে।
যদিও নিন্দুকেরা বলেছিল ব্যবসা দেখা একটা বাহানা। বাইক কেনার। কেনা হলেই আর খোঁজ থাকবেনা।
নিন্দুকদের মুখে এক বোঝা ছাই দিয়ে বাইক কেনার পরেও সে ব্যবসা দেখে যাচ্ছে।
বাইক কেনার পরে সজিবের মাঝে ব্যাপক বদল দেখা যাচ্ছে।
অগোছালো সজিব যেন একটু গোছালো হল।
গরু বা মুরগীর দিকে অত খেয়াল না রাখলেও রাতের বেলা ঠিক তার মায়ের শাড়ীটা খুজে বের করবে।
বাইকটা ঢেকে রাখতে হবে যে।
অন্য কোন কিছু কেন নয় আল্লাহ্‌ই জানে।
মামির ধোয়া শাড়ী টাই যেন সজিবের লাগে।
মামির সাথে এটা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে মাঝে মাঝেই।
অনেকটা যত্নবান হয়েছে। ১০ কিমি রাস্তা যাওয়ার মাঝে ৫ মিনিটের ব্রেক নেয়, ইঞ্জিনের জিনিস বিশ্রাম দরকার। ওটারও একটা জীবন নাকি?
এজন্য সজিব তার বাইকে ২ জনের বেশি তুলেনা হয়ত।
আমার ছোট বোনটা একটু ভোজন রশিক। তাই ওজন বেশি। ওকে কেউ মোটা বলবেন না যেন, ওর স্বাস্থ্যটা ভাল আরকি।
এজন্য হয়ত সজিবের ওকে পেছনে বসাতে অনীহা দেখায়।
তেল পানি দিয়ে এই শীতে বাইকে গোসল করানো কঠিন হলেও সজিব সেটা করে , নিজে গোসল না করলেও।
এত কিছুর মাঝেও সজিব কিন্তু তার দিচক্রযানটা নিয়ে ভাল আছে। ব্যবসা দেখছে। পাশাপাশি পড়াশুনাও করছে।
তারও পাশাপাশি সরকারী চাকুরী তে আবেদন করছে।
হোক না হোক তার চেষ্টাই বলে একদিন সে সফল হবে।
ভাই তুমি কারও কথায় থেমে যেওনা। পড়াশুনা কর, ব্যবসা দেখ এবং চাকরীর চেষ্টা কর।
নিন্দুকেরা হয়ত বলবে অনেক চেষ্টা করলি, হল তো না, হবে না তোকে দিয়ে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু তুমি থেমে যেওনা। কারন চেষ্টার অসাধ্য কিছু নেই।
আমরা মনে প্রানে বিশ্বাস করি তুমি সেটা পারবে। সফল তুমি হবেই।
কখনও হেরে যেও না,
হয় জিতবে, না হয় শিখবে।
সফলতা আসবেই।

বিঃ দ্রঃ সজিবের অনুমতি সাপেক্ষে লেখাটি দেয়া হল।

লেখা: ২৩ নভেম্বর ২০১৬

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.