নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুরস্কের সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা শিশুর মরদেহের যে ছবি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে, সে ছবি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে মানব সভ্যতার এই ক্রান্তিকালকে, সে ছবি স্পষ্ট করে দিয়েছে, সৈকতে আছড়ে পড়া বিশ্বমানবতার দুর্দশা। আসলে এই ভয়াবহতা শুরু হয়েছে অনেক আগেই, কিন্তু তিন বছর বয়সী শিশু আয়লানের মরদেহ সৈকতে ভেসে আসার ঘটনাটিই বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে মাত্র।
ইউরোপে তীব্র হয়ে উঠেছে অভিবাসন সংকট। প্রতিদিনই সাগর ও স্থলপথে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের চাপ সামলে নিতে হিমশিম অবস্থা ইউরোপবাসীর। বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক মানবিক সংকট হয়ে এসেছে এই অভিবাসন সমস্যা। প্রতিদিনই ভূমধ্যসাগরে নেমে ‘অজানার উদ্দেশে’ পাড়ি জমাচ্ছেন হাজারো মানুষ।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর মনে করে, চলতি বছরে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানো অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের সবচেয়ে বেশি এসেছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে। এরপরে আছে ইরিত্রিয়া, নাইজেরিয়া আর সোমালিয়ার দরিদ্র জনগণ। এই তালিকায় আছে বাংলাদেশও।
ইউরোপের মত এশিয়া আঞ্চলেও এর ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে মানবপাচার উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ও মায়ানমারের অনেক মানুষ পাচারের শিকার হচ্ছেন। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি এবং ভাগ্যন্বেষণে উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যেতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম মানুষ এ ঝুঁকিপূর্ণ পথ বেঁছে নিচ্ছেন। এই ভয়াবহ অবস্থার পেছনে রয়েছে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, এশিয়া অঞ্চলের বেকারত্ব, আফ্রিকা অঞ্চলের অনিরাপত্তা ও অনিশ্চিত জীবনসহ আরও নানা কারণ।
সময় এসেছে বিশ্বমহলের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার। কারণ, অনেকে এটা আঞ্চলিক সমস্যা মনে করলেও আমি মনে করি, এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। আর যেহেতু, ইউরোপে আপাত দৃষ্টিতে সমস্যাটা প্রকট, তাই এ সমস্যার সমাধানে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতাদের আরও আন্তরিক হওয়া উচিত। জাতিসংঘ, আইওএমের মতো শরণার্থী সংস্থাগুলো তাই বলছে, অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর নয়, বরং আরও আন্তরিক হওয়া উচিৎ। একটি কথা সবারই মনে রাখা উচিৎ, মানবতা বাঁচলে বাঁচবে মানুষ, বাঁচবে সভ্যতা।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেকে এটা আঞ্চলিক সমস্যা মনে করলেও আমি মনে করি, এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। আর যেহেতু, ইউরোপে আপাত দৃষ্টিতে সমস্যাটা প্রকট, তাই এ সমস্যার সমাধানে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতাদের আরও আন্তরিক হওয়া উচিত। জাতিসংঘ, আইওএমের মতো শরণার্থী সংস্থাগুলো তাই বলছে, অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর নয়, বরং আরও আন্তরিক হওয়া উচিৎ। একটি কথা সবারই মনে রাখা উচিৎ, মানবতা বাঁচলে বাঁচবে মানুষ, বাঁচবে সভ্যতা।
আর যুদ্ধবাজ যে লোভী রাষ্ট্ররা যুদ্ধ লাগিয়ে অস্ত্র ব্যবসা করে নিজেদের জিডিপি ঠিক রাখে তাদেরও আন্তর্জাতিক আদালতে দাড় করানো উচিত! এবং ই্ইউ তাদের কাছ থেকে অভিবাসন ভ্যায় বাবদ বিশাল অংক আদায় করে নিতে পারে, নেয়া উচিত।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আইলান- তুমি জীবন দিয়ে অন্তত ৪ হাজার মানুষের জীবনের ব্যবস্থা করে গেলে!!!
জাতিসংঘ রিফিউজি এজেন্সি জানিয়েছে, ইউকে অতিরিক্ত আরও ৪ হাজার সিরিয়ান রিফিউজি নিতে পারে। উল্লেখ্য তুরস্ক সমুদ্রতীরে ৩ বছরের শিশু সিরিয়ান রিফিউজি আইলানের মরদেহের ছবি দেখে রিফিউজি বিষয়ে মন গলে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর। এর আগে ২রা সেপ্টেম্বর রিফিউজি বিষয়ে নেতিবাচক কথা বলেছিলেন তিনি। আর ৩রা সেপ্টেম্বর আইলানের ছবি দেখে তিনি একজন বাবা হিসাবে বলেছিলেন, রিফিউজি বিষয়ে নৈতিকভাবে যতটুকু করার করে যাবেন। ৪ঠা সেপ্টেম্বর নতুন রিফিউজি আনার ঘোষণা দিলেন তিনি। উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধে সর্বস্ব হারিয়ে প্রায় ২ মিলিয়ন সিরিয়ান বর্তমানে তুরস্কে রিফিউজি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র: মানব জমিন
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানব সভ্যতা ভালো আছে, ভালো করছে; আরবেরা ভালো করছে না, পেছনে পড়ে গেছে, তার মুল্য দিচ্ছে আরবেরা।