নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফারজানুল নাইম

পিকলুচ

পিকলুচ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুগলের রাজকন্যা

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

সিকিউরিটি প্রিন্সেস’

একটা ভিজিটিং কার্ডে এমনই লেখা আছে। কারও কাজের পদিবতে ‘প্রিন্সেস’ শব্দটা নতুনই ঠেকে। এ কার্ডে আবার আছে গুগলের লোগো। খোলাসা করে বলি, ওয়েবসাইট দেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার (ব্রাউজার) গুগল ক্রোমের নিরাপত্তার বিষয় দেখভাল করার জন্য যে দলটা আছে, সেটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন পারিসা তাবরিজ। তাঁর এই দলে আছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তুখোড় ৩০ জন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।



প্রাতিষ্ঠানিক পদবি তথ্য নিরাপত্তা প্রকৌশলী (ইনফরমেশন সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার) হলেও গুগল পরিবার থেকেই তাকে ভালোবেসে বলা হয় সিকিউরিটি প্রিন্সেস। ভিজিটিং কার্ডেও তাই এই পদবী।

সিকিউরিটি প্রিন্সেস৩১ বছর বয়সী পারিসার দলের সবাই সাদা টুপি হ্যাকার (হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার)। মানে হচ্ছে এই হ্যাকাররা কোনো অবৈধ বা অনৈতিক কোনো হ্যাকিংয়ে যুক্ত নন। আর এই দলের কাজই হচ্ছে গুগল ক্রোমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রতিদিন যে ব্রাউজার ব্যবহার করে কোটি কোটি মানুষ, সে ব্রাউজারে অনৈতিক কাজে যুক্ত হ্যাকারদের আক্রমণ প্রতিহত থেকে বাঁচাতে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করেন পারিসা ও তার দল। এ ছাড়াও ব্রাউজারে নিরাপত্তাজনিত কোনো ত্রুটি সৃষ্টি হচ্ছে কি না, সেটির কারণ এবং সমাধান এ বিষয়গুলোর দিকেও নজরে রাখতে হয় তাঁর।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্ম নেওয়া তাবরিজের বাবা একজন চিকিৎসক এবং মা পেশায় সেবিকা। বাবা, মা আর দুই ভাই অন্যান্য নানা বিষয়ে দক্ষ হলেও কম্পিউটার বিষয়ে ছিলেন পুরোই অজ্ঞ। এমন পরিবারেই বেড়ে ওঠা পারিসা গুগলে যোগ দেন ২০০৭ সালে। একজন নারী হিসেবে সে সময়ে গুগলে কাজ করা কিংবা শীর্ষ পদে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি সহজ ছিল না। এ বিষয়ে পারিসা বলেন, ‘গুগলে যোগ দেওয়ার সময় আমার এক পুরুষ সহকর্মী বলেছিল, আমি নাকি নারী বলেই চাকরিটা পেয়েছি!’ সে সময়ে কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলেও তবে বর্তমানে নিজের এ অবস্থানে এসে পারিসার অভিমত, নারীদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে, যাতে করে এমন করে পুরুষ কিংবা অন্য কেউ ভাববে না।

শৈশবে ছোট ভাইদের নানা ধরনের উপদেশ দিয়ে যেমন ব্যতিব্যস্ত রাখতেন তেমনি তাদের সারাক্ষণ পেটাতেন। ভাইয়েরাও নানা কৌশলে লুকিয়ে প্রতিহত কিংবা আক্রমণের চেষ্টা করলেও সেটি সহজেই ধরে ফেলতে পারতেন পারিসা। আর এ কৌশল-বিষয়টি পরবর্তী সময়ে দারুণ কাজে লেগেছে তাঁর। বিশেষ করে হ্যাকারদের আক্রমণের বহুমুখী প্রচেষ্টা আগাম ভাবতে পারার সক্ষমতা যেমন তৈরি হয়ে যায়, তেমনি গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বিভাগের এত বড় দায়িত্বও পেয়ে যান তিনি। কাজের স্বীকৃতিও পেয়েছেন পারিসা। ২০১২ সালে বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোবর্স-এর ৩০ বছরের নিচে প্রভাবশালী শীর্ষ ৩০ ব্যক্তির তালিকায় তাঁর নামটিও ছিল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৩

পিকলুচ বলেছেন: tnx

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.