নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলমই হোক দুর্নীতি দূর করার হাতিয়ার

শামচুল হক

আমি একজন সাধারন লোক

শামচুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বটতলার ভর্তা ভাত মূল্য মাত্র পাঁচ টাকা

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭


শামচুল হক

সেদিন গিয়েছিলাম সাভারের বিশ মাইল এলাকায় একটি কাজে। সাভারে আমার এক ছোট ভাই মৎস গবেষণা কেন্দ্রের সাইন্টিফিক অফিসার। তাকে টেলিফোন দিতেই বলল, আপনি এখন কোথায়?
প্রথম রিংগেই ফোন রিসিভ করায় খুশি হয়ে বললাম, বিশ মাইল।
বিশ মাইলের কথা শুনে কথার ঘোর প্যাচ না করে সোজাসুজি বলল, তাহলে এখন পৌনে দুইটা বাজে, আপনি তাড়াতাড়ি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় চলে যান।
আমি মনে মনে কিছুটা রেগে গিয়েই বললাম, বটতলায় কেন?
আমার রাগত কন্ঠ বুঝতে পেরে বলল, ভাই মনে কিছু করবেন না, আমার বাসায় কেউ নাই, রান্নাও নাই, সেই জন্য আপনাকে বটতলা যেতে বললাম।
আমি আরো রেগে গিয়ে বললাম, বাসায় রান্না নাই দেখে কি আমাকে বটতলায় পাঠিয়ে দিয়ে মাঘ মাসের উত্তরা বাতাস খাওয়াবে নাকি?

আমার ছোট ভাইটি বয়সে আমার চেয়ে ছোট হলেও তার সাথে সম্মান বজায় রেখে অনেক সময় হাসি ঠাট্টা রসিকতাও করে থাকি। আমার রেগে যাওয়া দেখে সে হাসতে হাসতে রসিকতা করে বলল, আরে ভাই রাগ করেন কেন? আমি জানি আপনি একজন খাদোক মানুষ। সাভারের হোটেলে খেয়ে আপনার তৃপ্তি হবে না, সেই জন্য বটতলায় যেতে বললাম।
তার কথা শুনে কেন যেন মনে হলো নিশ্চয়ই বটতলায় কিছু একটা আছে, তা না হলে ও আমাকে বটতলায় পাঠানোর কথা নয়। আমি রাগটা একটু কমিয়ে স্বাভাবিক কন্ঠে বললাম, বটতলায় খাওয়ার মত কিছু আছে নাকি?
আমার ছোট ভাইটি হাসতে হাসতে বলল, এই তো লাইনে আইছেন। ওখানে বাইশ প্রকারের ভর্তা আছে। আপনি বড় হোটেলে দেড় হাজার টাকার খাবার খেয়ে যে তৃপ্তি পাবেন না বটতলার হোটেলে মাত্র দেড়শ' টাকা খরচ করে তার চেয়ে বেশি তৃপ্তিসহকারে খেতে পারবেন।

বাইশ প্রকারের ভর্তার কথা শুনে জিহ্বা লক লক করতে লাগল। দৌড়ালাম জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায়। গিয়ে দেখি আমার ছোট ভাইটি সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। অর্থাৎ আমাকে আসতে বলে সেও এখানে খেতে এসেছে। টেলিফোনে আমাকে বটতলায় আসতে বলায় কিছু না বুঝেই ওর উপরে রেগে গিয়েছিলাম, এখন বুঝতে পেরে মেজাজ পানির মত ঠান্ডা হয়ে গেল।
আমাকে সাথে করে টিনের ছাপড়াওয়ালা একটি হোটেলে গিয়ে ঢুকল। হোটেলের সামনে প্রচুর শাক-সব্জি, মাছ-মাংসের তরকারীসহ অনেক পদের ভর্তা থরে থরে সাজানো আছে। খিদেও লেগেছিল, কোন কথা না বলে হাতমুখ ধুয়েই দশ প্রকারের ভর্তা আর হাঁসের মাংস অর্ডার দিয়ে ছোট ভাইটিকে সাথে নিয়ে খেতে বসলাম।
খেতে মন্দ নয়, অনেক বাড়ির বউঝির হাতের রান্নার চেয়েও অনেক মজাদার রান্না।

ভাত খেতে খেতে মনে পড়ে গেল আমার এক বন্ধুর বউয়ের কথা। বন্ধুটির সাথে ঢাকার রাস্তায় অনেক দিন পরে দেখা। রাস্তা থেকে অনেকটা জোর করেই টেনে নিয়ে গেল তার বাসায় দুপুরে ভাত খাওয়াবে বলে। বাসা বেশি দূরে নয়, মতিঝিলের কাছেই ফ্লাট বাড়ির তিন তলায় বাসা। বন্ধুর বউকে এর আগে কখনও দেখিনি। প্রথম দেখাতেই ধান্দা লেগে গেলাম। দেখতে পরীর মত সুন্দরী। ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে পাজি ছিল আমার এই বন্ধু, আর এই পাজিদের কপালেই নাকি ভালো ভালো বউ জোটে, এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মনে মনে ওর কপালের খুব তারিফ করলাম। এরকম সুন্দরী বউ সাধনা করেও হাজারে একটা মেলে না সেখানে ওর কপালে জুটেছে, এটা ওর সৌভাগ্যই বলা চলে।

ভাত তরকারী রান্না করাই ছিল। বন্ধুর বউয়ের সাথে পরিচয় পর্ব শেষ করে হালকা পাতলা একটু কথা বলেই খাওয়ার টেবিলে গিয়ে বসলাম। ডাল, ভর্তাসহ চার পাঁচ প্রকারের আইটেম বাহারী ডিজাইনের সিরামিকের গামলায় সুন্দর করে সাজানো। মনে মনে খুব খুশিই হলাম। দুপুরের খাওয়াটা খুব ভালই হবে।
কিন্তু যখন খাওয়া শুরু করলাম তখন খুশি ভাবটা আর থাকল না। মনে হলো হলুদ, মরিচ, লবন আর পানি দিয়ে শুধু সেদ্ধ করে এনেছে। মনে মনে ভেবেছিলাম বউটি দেখতে যেরকম সুন্দরী তার রান্না করা খাবারও হয়তো তেমনই মজাদার হবে, কিন্তু বিষয়টি তার উল্টো হলো। বিস্বাদের চোটে মুখ উল্টে আসার অবস্থা। অনেক কষ্টে আধা প্লেট খাবার খেয়ে বেসিনে হাত ধুতে গেলে বন্ধুটি কিছুটা আশ্চার্য হয়েই বলল, কিরে-- তুই তো এক গামলা করে ভাত খাস, সেখানে মাত্র আধা প্লেট খেয়েই হাত ধুলি কেন?
মনে মনে গাল দিয়ে বললাম, হারাম জাদা, তোর বউটা সুন্দরী হলে কি হবে, রান্না তো সুন্দর নয়, খাই কি করে? যা খেয়েছি তাও তো পেটের ভিতর থেকে উল্টে আসার অবস্থা।

কিন্তু যত খারপ রান্নাই হোক না কেন? এত আদর করে আমাকে খেতে দিয়েছে সেই জায়গায় সামনি সামনি তো আর বদনাম করা যায় না। তাই হাসি হাসি মুখ করে বললাম, আরে তোকে তো আগেই বললাম এখন আমি খাবো না, তারপরেও তুই জোর করে খেতে নিয়ে আসলি। আমি একটু আগেই মনার হোটেল থেকে দেড় প্লেট বিরানী খেয়েছি। আসলে তখনও আমি কিছুই খাইনি, তারপরেও বন্ধুকে এবং বন্ধুর সুন্দরী বউকে উপস্থিত ক্ষেত্রে খুশি করার জন্য মিথ্যা বলতে হলো।

তবে যাই হোক, বটতলার কথা শুনে অনেকেই হয়তো মনে করবেন ফুটপাতের খোলামেলা মাছি ভিনভিন করা হোটেল হবে হয়তো। না ভাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে হওয়ায় খোলামেলা নিরিবিলী পরিবেশে টিনের চালের নিচে চমতকার পরিবেশ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ রান্না মন্দ নয়। খেতে খুব মজাই লেগেছিল। খেয়েছিও অনেক। ঢাকার এত কাছে এত ভালো খাবার হোটেল আছে এত দিনেও জানা ছিল না। মনে মনে আমার ছোট ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিলাম। আপনারা যারা ভর্তা ভাত খাওয়ার জন্য কাপাসিয়ার টোকে যান অথবা কাপাসিয়ার টোকে যাওয়ার ইচ্ছা থাকা সত্বেও যাওয়ার সময় পান না তারা আপাতত জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটির বটতলায় গিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। আপনাদের জ্ঞাতার্তে কিছু ভর্তার ছবি শেয়ার করলাম- - --
ছবি-০১

চ্যাপা ভর্তা। এই চ্যাপা ভর্তার অনেক নাম ডাক আছে, অনেক লোক এখনও এক চিমটি চ্যাপা ভর্তা দিয়ে তিন থাল ভাত খেয়ে ফেলেন। তাদের কাছে এটি খুবই মজাদার ভর্তা। আমিও কয়েক বছর আগে সাভারের এক গেরস্থবাড়ি খেয়েছিলাম। লাল টকটকা মরিচের ঝালে চ্যাপা ভর্তা খেতে খুব মজাই লেগেছিল। তিন থাল না খেলেও আড়াই প্লেটের মত ভাত খেয়েছিলাম। লাল টকটকা মরিচের ঝাল খাওয়ার মজাটা পেয়েছিলাম বাসায় গিয়ে, যখন ঘনঘন টয়লেটে যাতায়াত করতে লাগলাম। তবে বটতলার চ্যাপা ভর্তায় আপনাদের অসুবিধা হবে না, কারণ এখানে এত ঝাল দেয়া হয় না।
ছবি-০২

রুই মাছের ভর্তা।
ছবি-০৩

কালিজিরা ভর্তা বাসায় যারা তৈরী করতে পারেন না তারা নিঃসন্দেহে এখানে গিয়ে খেতে পারেন।
ছবি-০৪

শুধু ইলিশ মাছ আর মুরগী ভর্তা ১০ টাকা বাকী সব ভর্তাই দাম মাত্র ৫ টাকা।
ছবি-০৫

ছবি-০৬

ছবি-০৭

ছবি-০৮

ছবি-০৯

ইলিশ মাছের ভর্তা। এক কথায় চমৎকার খেতে। দাম দশ টাকা।
ছবি-১০

দেশী মুরগীর ভর্তা। দেশী মুরগীর ভর্তা আগে কখনও খাইনি। মুরগীর মাংসের ঝুরি ভাজা অনেক খেয়েছি কিন্তু মুরগীর মাংসেরও যে ভর্তা হয় সেটা এই প্রথম দেখলাম এবং খেলাম। চমৎকার খেতে। দাম দশ টাকা।
ছবি-১১

গরম গরম বেগুন ভাজা। দাম ৭ টাকা । মুরগী চপ এটার দামও নাগালের মধ্যে। দাম ১০ টাকা।
ছবি-১২

ছবি-১৩

এটা যদিও আস্ত ডিমের সাথে মরিচ পিয়াজ ভর্তা দেয়া আছে মূলত এটা ডিম ভর্তা। আপনি নিজহাতে ডিম পেয়াজ ভর্তার সাথে মেখে ভর্তা বানিয়ে খাবেন।
ছবি-১৪

মুরগীর ঝাল ফ্রাই। দাম ৮০ টাকা।
ছবি-১৫

হাঁসের মাংস। হাঁসের মাংসও দাম নাগালের মধ্যে। মাত্র ৮০ টাকা।
ছবি-১৬

চিংড়ি ভুনা।
ছবি-১৭

ডালের ভুনা। দাম ১০টাকা।
ছবি-১৮

দেশী মুরগীর কোরমা। আহা! অনেক দিন হলো কোরমা খাওয়া হয় না, কোরমার চেহারা দেখে লোভ লেগেছিল কিন্তু পেটে জায়গা না থাকায় আফসোস থাকা সত্বেও খাওয়া সম্ভব হলো না। আরেক দিন কোরমা এবং বিভিন্ন ধরনের তরকারী খেতেই আবার এখানে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
ছবি-১৯

মুগ ডাইল দিয়ে মুরগীর মাংস রান্না। দাম ৮০ টাকা।
ছবি-২০

ডিম ভুনা। দাম বেশি নয় মাত্র ১৫ টাকা।
ছবি-২১

লাউ শাকের সাথে চিংড়ি দিয়ে রান্না। ভর্তা দিয়ে খেয়েই পেট ভরে গিয়েছিল দেখে খেতে পারিনি, দেখেই মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হবে।
ছবি-২২

ডাটা দিয়ে চিংড়ি রান্না। আহা! আগে এরকম রান্না মায়ের হাতে কত খেয়েছি। এখন ডাটা পেলে চিংড়ি পাই না, চিংড়ি পেলে ডাটা পাই না, আবার চিংড়ি ডাটা পেলেও পেটের ধান্ধায় কামলা বিক্রি করতে গিয়ে সময় পাই না, যেকারণে এসব এখন মুখে কমই পড়ে।

হোটেলের ভিতরের পরিবেশ

হোটেলের বাহিরে কাস্টমারের ভির।

এই সেই বটতলা পাশের দোকানগুলো হোটেল এবং রাস্তা থেকে অনেকটা দূরে।
আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন ভর্তার উপরে আবার সাইবোর্ড কেন, এত এত ভর্তার ভিতর কিছু ভর্তার নাম হোটেলওয়ালারও মনে থাকে না সেই কারণে কাস্টমার এবং দোকানদারের সুবিধার জন্য এই সাইনবোর্ড।

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


খেলেন ভর্তা, তা নিয়ে এত কথা?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৪

শামচুল হক বলেছেন: আপনি কত বছর আগে দেশ ছেড়েছেন জানিনা৤ বাংলাদেশে এখন ভর্তা ভাতের চাহিদা বেশি৤ মাছ মংসের স্বাদ নাই৤ বিশ্বাস না হয় বাংলাদেশে এসে খেয়ে যান৤

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বাইশ প্রকারের ভর্তার কথা শুনে তো ভাই জিভে জল এসে গেল।
তবে আর দু চারটি ছবি দিলে পোস্ট এত বড় হত না।
যাক আপাতত একটা ছবি দেখেই বাইশ প্রকার ভর্তা খাওয়ার আশা মিটিল।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৫

শামচুল হক বলেছেন: আপনার কথায় আরো ছবি পোষ্ট করে দিলাম৤ ধন্যবাদ ভাই গিয়ে খেয়ে আসাতে পারেন৤

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: এগুলো খোলামেলা নাকি?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১১

শামচুল হক বলেছেন: না ভাই খোলামেলা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের হোটেল৤ ওগুলো ছাত্রদের জন্য মূলত রান্না করা হয়৤ বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় ব্যবসা করার কারণে সাময়িক পারমিশন পেলেও হলের ক্যান্টিনওয়ালাদের অবজেকশনের কারণে স্থায়ী পাকা ঘর নির্মাণ করতে পারে না৤ যে কারণে টিনের ছাপড়া ঘর তুলে মোটামুটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবেই খাবার পরিবেশন করে থাকে৤

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম। আমি অবশ্য ভুনাখিচুড়ি খেয়েছিলাম, ভর্তাটর্তা খাই নি।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৩

শামচুল হক বলেছেন: ওদের ভর্তা ভাত বেশির ভাগ ছাত্রই খায়৤ মন্দ নয় ভালই লাগে৤ ধন্যবাদ আপনাকে৤

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ও খুব ভালো।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২১

শামচুল হক বলেছেন: গিয়ে একবার খেয়ে আসতে পারেন৤ ধন্যবাদ

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

শাহ আজিজ বলেছেন: ঢাকার আশপাশ দিয়ে গ্রামের মধ্যে এরকম অনেক সাজসজ্জাবিহীন রেস্টুরেন্ট আছে। আমরা এরকম অনেক জায়গায় খেয়েছি । এদের রান্না অপূর্ব । এসব জায়গায় খেতে গিয়ে একটাই কথা মনে হয়েছে বাংলার সাধারন মানের মেন্যু অনেক প্রকার ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৩

শামচুল হক বলেছেন: আপনি চমৎকার কথা বলেছেন, গ্রামে সাধারণভাবে অনেক ধরনের রান্না হয় যা অনেক রীচ ফুডের চেয়েও মুখোরোচক৤ ধন্যবাদ আপনাকে৤

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:

কতদিন ভর্তা ভাত খাই না.....

এখন মনে হচ্ছে,
একদিন বাঙ্গালী ছিলাম। :)


পোষ্টে লাইক প্রদান করা হইল। :)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২২

শামচুল হক বলেছেন: হে হে হে কুঁইড়া ভাই দারুণ কইছেন, বাঙালিদের এত এত খাবার থাকতে আমরা বিদেশি খাবার নিয়া হুদাই টানাটানি করি। ধন্যবাদ

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: রসনা উদ্রেককারী পোস্ট। একদিন যেতে হবে, শুধু ভর্তা খাওয়ার জন্য। + +

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৬

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে হওয়ায় পরিবেশ খারাপ নয়, ইচ্ছে করলে একদিন গিয়ে খেয়ে আসাতে পারেন।

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার পোস্টের ছবিগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। সময় সুযোগ হলে যাবো একদিন।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৭

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ হেনা ভাই, খাবারগুলো দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও মজাদার, রান্না খারাপ নয়।

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছবি থেকে মনে হচ্ছে, সবগুলো খাবারই মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২০

শামচুল হক বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, আপনি আমেরিকায় থাকেন তো, ফুটপাতের নাম শুনলেই নাক সিটকানো শুরু করেন৤ এগুলো ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের জন্য তৈরী খাবার৤ আপনাদের মত নাক সিটকানো বিদেশ বাসীর জন্য নয়৤

১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৫

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এই বটতলার খাবারের অনেক রিভিউ দেখেছিলাম ।
দূরত্ব বেশি বলে যাওয়া হয়নি ।
ইনশাল্লাহ কোন একদিন যাবো ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩১

শামচুল হক বলেছেন: কাপাসিয়ার চেয়ে কাছে আছে, তবে ঢাকা থেকে দূরে থাকলে তার জন্য অনেক দূর। ধন্যবাদ

১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: ভেরি ইন্টারেস্টিং পোষ্ট।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩২

শামচুল হক বলেছেন: জী ভাই, এখানে এতো সস্তায় এত খাবার আইটেম পাওয়া যায় এটা আমিও জানতাম না।

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: জানতাম না। সাভারে ভাইয়ার বাসায় এতবার যাওয়ার পরও এমন রেস্টুরেন্টের নাম শুনিনি দেখে খুবই আফসোস লাগল। আগামীতে অবশ্যই যাব ইনশাআল্লাহ। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

শামচুল হক বলেছেন: আপনার মত আমিও জানতাম না ভাই, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরও গিয়েছিলাম কিন্তু এই হোটেলের খবর জানতাম না। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩০

কাতিআশা বলেছেন: এর পরে দেশে গেলে এই রেস্টুরেন্টে খেতে যাব ইনশাললাহ!...খুব মজার রসনা উদ্রেককারী পোস্ট! (আমি কিন্তু ভাই আমেরিকা আছি গত ২২ বছর ধরে..কিন্তু এ ধরনের খাবার দেখলে জিভে জল চলে আসে.. মনে প্রানে এখনো গ্রমের মেয়েটিই রয়ে গেলাম!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

শামচুল হক বলেছেন: বাঙালি খাবার দেখলে মুখে জল আসাটা অসম্ভব কিছু নয়। সময় পেলে অবশ্যই এসে খেয়ে যাবেন। বন্ধুবান্ধব নিয়ে আবারও যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০২

সুমন কর বলেছেন: যেতে হবে একদিন.....পোস্ট ভালো লেগেছে। +।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৪

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, সময় করে যেয়ে দেখে আসতে পারেন।

১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



খাওয়া তৈরির সঠিক নিয়ম নিশ্চয় আছে; এই রকম খাদ্য আমাদেরকে দুর্বল করে দিচ্ছে

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪১

শামচুল হক বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, যে দেশের মানুষ টাকার অভাবে ঠিক মত ছেলে মেয়েদের পড়াতে পারে না সে দেশে আপনি খাবার তৈরীর সঠিক নিয়ম খোঁজেন কি করে? আপনি কি জানেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ে তাদের অধিকাংশ ছেলে মেয়ে গ্রাম থেকে আসা। এদের মাসিক খরচ দুই হাজার টাকা দিতে একেকটা গৃহস্থের তলা শুকিয়ে যায়। সেই ছেলে মেয়েগুলো মাত্র ১৬ থেকে ২০টাকা খরচ করে এই হোটেলগুলোতে দুপুরে পেটপুরে ভাত খায়। আপনি হয়তো মনে করেছেন দামে সস্তা হওয়ায় মানও বোধ হয় খারাপ। না ভাই খাবারের মান খারাপ নয়, ঢাকার অনেক নামী দামী হোটেলের চেয়েও এদের খাবার অনেক ভালো এবং মান সম্মত। সস্তা এবং মানসম্মত হওয়ার কারণে এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী খেয়ে থাকে। আরও জেনে রাখেন এখানে হোটেল কিন্তু একটা নয় কয়েকটি হোটেল আছে। এরা প্রতিযোগীতার মাধ্যমে ভালো পরিবেশে ভালো খাবার খাওয়ায়।

ঢাকার অনেক নামী দামী হোটেলের রান্নাঘর, টয়লেট সব একখানে। নোংড়া পরিবেশে রান্নাবান্না করে থাকে। শুধু সামনের অংশটুকু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখে, সে তুলনায় এখানকার পরিবেশ অনেক ভালো।

আপনি জানেন কি না জানিনা, নামকরা বিরানী ঘর ফকরুদ্দিন বিরানীওয়ালাকেও কয়েকবার নোংরা পরিবেশের কারণে জরিমানা গুনতে হয়েছে। কারণ; তারা পঁচা নর্দমার উপরে রান্নাবান্না করে নামীদামী মানুষকে খাওয়াতো। অন্তত বটতলার হোটেলে পঁচা নর্দমার বালাই নাই। চারদিকে খোলামেলা অনেক জায়গা থাকায় রান্না ঘরের সাথে কোন টয়লেটও নাই।

১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এতো ভর্তা এক সাথে খাওয়া যায়?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

শামচুল হক বলেছেন: চার পাঁচজন হলে ভালো হয়, আমরা দুইজনে দশ প্রকারের ভর্তা খেতেই জুলুম হয়েছিল, তারোপর ছিল হাঁসের মাংস। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। তবে ইউনিভার্সিটির ছেলে মেয়েরা মুখের রুচি অনুযায়ী একেক দিন একেক পদের ভর্তা খেয়ে থাকে। তাদের জন্য সুবিধা হলো তারা যেহেতু ওখানকার হলগুলোতে থাকে অথবা বাইরে থাকলেও রেগুলার যেতে হয়।

১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫০

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভাই এভাবে লালজ দেখাবেন না প্লিজ।
আপনার দীর্ঘ লেখায় যা দিলেন তাতে মুখে পানি মনে লোভ জেগে রইল। পারলে দাওয়াত ;দিন নইলে ...

চমতকৃত হলাম।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

শামচুল হক বলেছেন: বড় ভাই আপনাদের জন্য আমার দিল সব সময় খোলা, আপনি সময় করে আসেন, আপনাকে নিয়ে আমি অবশ্যই জাবির বট তলায় যাবো।

১৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২০

ফাহমিদা বারী বলেছেন: ইস! দেখেই তো ক্ষুধা লেগে গেল!
প্রবাসে বসে এমনিতেই দেশের এসব মজার খাবারের জন্য মন পোড়ায়। তার মধ্যে এত পদের ভর্তা!
আপনার লেখাটিও বেশ ভালো লেগেছে। সাবলীল সুন্দর ভাষায় লেখা। :)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৪৪

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, আপনি প্রবাসে থেকে আফসোস করতেছেন আর আমি দেশে থেকেই আফসোসে মরতেছি। ওখানে কত যাতায়াত করেছি অথচ এই হোটেলগুলোর খবর জানতাম না।

২০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চাদগাজীর কথায় কান দেয়ার দরকার নেই।
ভর্তা ভাত আমার কাছে আমেরিকান ফাস্টফুডের চেয়ে অনেকগুন বেশী মজাদার।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৪৭

শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, আমেরিকার মত তো আমাদের দেশ নয় কাজেই ভর্তা ভাতই আমাদের কাছে অনেক কিছূ। ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৩৩

কালীদাস বলেছেন: জাহাঙ্গীরনগরে লাস্ট গেছি ২০১১ এর ডিসেম্বরে, এর অনেক বছর আগে স্টুডেন্ট থাকা অবস্হায় টাংকি মারতে গিয়েছিলাম কয়েকবার ;) বটতলায় গিয়েছিলাম, তবে এই দোকান তখন ছিল কিনা এখন মনে করতে পারছি না আর এত বছর পরে!!

হতে পারে খাবারগুলো খুব হাইজেনিক না, তবে স্টুডেন্টদের জন্য এগুলো কোন আহামরি কিছু না। ভেজালের দেশে এটা সামান্যই। ইনফ্যাক্ট মজাই হওয়ার কথা দল বেঁধে খেতে গেলে। সবচেয়ে বড় কথা, এইসব জায়গায় খাওয়ার সময়ও একটা ভিন্নরকম সামাজিকতা গড়ে উঠে স্টুডেন্টদের মধ্যে, মন্দ কি? টিএসসির খাবার খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যেত, স্টুডেন্ট থাকতে তাই আমি নিজেও ফুটপাথে বসে কত দিন খেয়েছি কোন হিসাব নেই। আমার বাসার লোকজন খাবারের চেহারা দেখলে হয়ত চিল্লাচিল্লি শুরু করত; নিজেরাও যে এককালে সেইম ক্যাম্পাসে সেইম খাবার খেয়ে গেছে সেটা আর তখন হয়ত মনে থাকত না আমার মাবাপেরও :D

পোস্টটা ভাল লেগেছে আমার :)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৫১

শামচুল হক বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে, আমি যে হোটেলের ভর্তার ছবি পোষ্ট করেছি এই হোটেলটি ছয় বছর হলো দিয়েছে, এরা ছাত্রদের চাহিদা অনুযায়ী রিসেন্টলি হয়তো খাবারের আইটেম বাড়িয়েছে, ২০১১ সালে বট তলায় এত হোটেল ছিল না এবং এত আইটেমের খাবারও তৈরী করতো না। ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৩৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ধুলোবালির বিষয়টা?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

শামচুল হক বলেছেন: ক্যাম্পাসের ভিতরে হওয়ায় ধূলাবালি কম তার কারণ এখানে গাড়ি ঘোড়ার বাহুল্য নাই, রিক্সাও খুব কম। গাছ গাছালিতে ভরা নিরিবিলি পরিবেশ। আপনার জ্ঞাতার্থে উপরে আরো কয়েকটি ছবি দিলাম।

২৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমি ভাবলাম ভর্তা ভাতের এক প্লেটের দাম বুঝি পাচ টাকা।

দাম তো কেবল কম নয়।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

শামচুল হক বলেছেন: আপনি ভুল বুঝছেন ভাই, প্রত্যেকটা ভর্তা পাঁচ টাকা আর ভাতের প্লেট ছয় টাকা। আপনি ইচ্ছা করলে ১১টাকায় খাওয়া সমাপ্ত করতে পারেন।

২৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০০

নীলপরি বলেছেন: বাহ , রসনায় সিক্ত পোষ্ট । দারুন ।++++

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

শামচুল হক বলেছেন: জী বোন, মাঝে মাঝে এরকম ভিন্ন স্বাদের খাবার খাওয়া দরকার।

২৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বিভিন্ন প্রকার ভর্তা আমারও ভাল লাগে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

শামচুল হক বলেছেন: বর্তমানে খাবারের স্বাদ মনে হয় ভর্তার ভিতরেই ঢুকেছে, বাস্তবেও দেখেছি ভর্তা দিয়ে যত ভাত খাওয়া যায় তরকারী দিয়ে তত খাওয়া যায় না।

২৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কানে কানে বলি, শোনেনঃ সুন্দরী বউ থেকে দূরে রাখার জন্য ইচ্ছে করেই আপনার পাজি বন্ধু এমন খাবার পরিবেশন করেছিল।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

শামচুল হক বলেছেন: আপনার কথা সত্য হইতেও পারে, আপনি গিয়ানী মানুষ, আপনার কথা বিফলে যাওয়ার কথা না।

২৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ব্লগে প্রচার করে আপনি যা করলেন তাতে আমি নিশ্চিৎ ভবিষ্যতে দোকানী আপনার কাছ থেকে আর খাবারের দাম নেবে না =p~

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

শামচুল হক বলেছেন: ভাই কি আর কমু, মুশকিল হইছে দোকানী আমারে দেখলেও চিনবো না, কারণ ভর্তার ছবি তুলছি দোকানীরে কিছু কই নাই।

২৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ঢাকাতে ভর্তাভাতের কদর বেশী।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

শামচুল হক বলেছেন: এখন মাছ মাংস তেমন মজা লাগে না, যে কারণে মানুষ রুচি বদলানোর জন্য এখন ভর্তা ভাত খোঁজে।

২৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: লাউশাক চিংড়ি না খেয়ে মিস করেছেন নি:সন্দেহে , ভর্তাগুলো জাষ্ট অসাধারন ..

ছবি এবং পোষ্টে ভালোলাগা


০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

শামচুল হক বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, ভর্তা ভাত খেয়েই পেট ভরে যাওয়ায় অনেক কিছুই খেতে পারি নাই, ঐসব খাওয়ার জন্য আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। ধন্যবাদ বোন

৩০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

আটলান্টিক বলেছেন: আহাহা আফসোস :( :( :(

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

শামচুল হক বলেছেন: হা ভাই না খেলে আফসোসই বটে।

৩১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

আখেনাটেন বলেছেন: গতবছর দলবেধে স্মৃতিসৌধ দেখতে গিয়ে এক ছোটভাইয়ের মুখে এই ভর্তার প্রশংসা শুনে দুপুরের খাবার ওখানেই খেয়েছিলাম।
শুক্রবার হওয়াতে সেখানে ঢাকা থেকে অাগত মানুষজনের অানাগোনা বেশ ছিল।

খাবার হিসেবে মন্দ না। তবে অার একটু হাইজেনিক হলে অনেকেই খেতে ইচ্ছুক হত। যদিও আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা এরকম পরিবেশে খেয়েই অভ্যস্ত , তাদের জন্য এই পরিবেশই সোনায় মোড়ানো।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, ছাত্ররা যেহেতু বাবা মায়ের দেয়া সীমাবদ্ধ পয়সার উপর নির্ভর করে খায়, কারো হাতেই হিসাবের বাইরে অতিরিক্ত টাকা থাকে না সেই দিক দিয়ে তাদের জন্য এটাই বেটার। তবে টিনের ছাপড়ার পরিবর্তে দেয়াল ঘেরা বিল্ডিং এবং হোটেলের পরিবেশ আরো একটু উন্নত হওয়া দরকার।

৩২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বাহ ! দারুণ তো!
একদিন যেতে হবে, খেতে হবে। :-*

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪০

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, গিয়ে খেয়ে আসতে পারেন, খারাপ নয়।

৩৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

অয়ি বলেছেন: স্বাস্থসম্মত ভর্তা হলে শরীর ভাল থাকে খাওয়ায়ও তৃপ্তি আসে

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

শামচুল হক বলেছেন: সাভারের আশে পাশে প্রচুর শাক সবজি হয়, শাক সবজিগুলো মনে হলো টাটকাই হবে বাসি পঁচা নয়। হাইজানিক না হলেও ঢাকার হোটেলের মত নোংড়া নয়।

৩৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,




ওয়াও ... শুধু খাওয়া আর খাওয়া । ক্ষিধেটাকে হরেক পদে মেখে একেবারে ভর্তা বানিয়ে দিলেন ! :P
তবে যে লালমরিচের চ্যাপা ভর্তা খাননি তার জীবন বারো আনা বৃথা .................. :)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

শামচুল হক বলেছেন: আপনার কথা শুনে চ্যাপা ভর্তা খাওয়ার জন্য আবার জিহ্বায় জল চলে এলো। যারা জীবনে চ্যাপা ভর্তা খায় নাই তারা আমার কথা বিশ্বাসই করতে চায় না। ধন্যবাদ জী এস ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম।

৩৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,




ওহোহো.. আসল কথাটিই বলা হয়নি । সাদা মনের মানুষের মনটা যে আসলেই কালা তা তার করা মন্তব্য দু'টিতে প্রমানিত .. :-P :|

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

শামচুল হক বলেছেন: হা হা হা কি আর করা, সাদা মনের মানুষ আমার অনেক দিনের বন্ধু তো তাই কিছু বলার নাই।

৩৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৩

সোহানী বলেছেন: ঢিইউতে পড়ার অনেকবার আড্ডা দিতে গেছিলাম কিন্তু সবসময়ই খেতাম সেখানকার কেন্টিনে গরুর মাংস, অসাধারন। একবার শুধু বাইরের এ হোটেলে খেয়েছিলাম তবে বিরিয়ানি জাতীয় খাবার। এরপর অনেক বছর পর একবার রংপুরে ট্যুরে যাওয়ার পথে আমার ড্রাইভার সেখানে গাড়ি থামিয়ে বলেছিল দারুন খাবার। তখন এতো প্রকার ছিল না, কয়েক প্রকার খেয়ে ছিলাম। সত্যিই ভালেঅ লেগেছিল।

তবে গাজি ভাই অনেক বছর আমেরিকা থাকলে ও সেখানকার জেকসেন হাইটসের খাবার খাননি বা বাঙ্গালী ভর্তার আয়োজনে যাননি সে মানতে হলে বলতে হয় উনি বাঙ্গালীদের সাথে মিশেন না। কারন আমাদের এখানে বাঙ্গালীদের সাথে আড্ডা বা খাবারের আয়োজন বলতে ভর্তাই প্রধান থাকে।

অনেক ভালো লাগলো লোভনীয় আয়োজনে ......। শেষে আপনার বন্ধুর বউ এর সমর্থনে বলি, আমি নিজে ও কিছু রান্না জানি না তারপরও মানুষজনকে দাওয়াত দেই। আমি জানি আমার রান্না ভয়াবহ তারপর ও সবাইকে বাসায় এনে আড্ডা দিতে, হৈচৈ করতে ভালো লাগে। একটু না হয় খারাপই খেল কিন্তু আনন্দতো হলো...........

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী, আপনার কথা ঠিক আছে, আগে এত পদের আইটেম ছিল না, কাস্টমারের চাহিদা পেয়ে অল্প কিছুদিন হলো এত আইটেম তৈরী করা শুরু করেছে। এখন অনেকেই পুরো পরিবার নিয়ে যাওয়া শুরু করেছে আগে বাহিরের লোকজন খুব একটা যেত না।

গাজি ভাইয়ের কাজই হলো খোঁচা দিয়ে মন্তব্য করা, ঘরে তার কিভাবে সময় কাটে আল্লায়ই জানে।

রান্নাটা একটা শিল্প, সবার হাতে রান্না ভালো হয় না, আবার অনেকের রান্না খেয়ে প্রশংসা না করে পারা যায় না। আমার বড় মামী ছিল পাকা রাধুনি, তেল ছাড়া রান্না করে দিলে তাও মজা লাগত। উনি কয়েক বছর আগে মারা গেছেন, আল্লাহ উনাকে বেহস্ত নসীব করুন।

৩৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:০৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় ব্লগার শামচুল হক : শতপদী বাহারি খাবার দাবারের সচিত্র বর্ণনা দিয়ে দিলেনতো লোভ লাগিয়ে | এই বিদেশের শীতে পাঁচ ইঞ্চি স্নোতে ডোবা পথ ঘাট পেরিয়ে এগুলো জোগাড় যন্ত্র করে রসনা তৃপ্ত করা যে কি পরিমান ঝামেলা সে সম্পর্কে আপনার কোনো ধারণা আছে ভাই | ব্লগীয় এডমিন কাল্পনিক_ভালোবাসার কাছে এই পোস্ট নিয়ে রিপোর্ট করবো কি না ভাবছি !! যাহোক এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবেনাকো তুমির দেশে মজার খাবার দাবার খেয়ে অনেক ভালো থাকুন |

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

শামচুল হক বলেছেন: কি আর করা যাবে ভাই, আপনি বিদেশ থেকে দেশী খাবার খুঁজে পান না আর আমরা দেশে থেকে চলার মত টাকা রোজগার করতে পারি না, কাজেই আমাদেরকে ভর্তা ভাত খেয়েও মজাদার খাবারের রসনা মিটাতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে রসালো মন্তব্য করার জন্য।

৩৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই পোস্ট যে কোনো ভোজন রসিকের মনে বাসনা জাগাবে। ভাই এই পোস্ট ঐ দোকানদারকে এক কপি প্রিন্ট করে দিয়ে আসলে মনে হয় তার সাধনা সার্থক হবে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

শামচুল হক বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন বোন, দোকানওয়ালা জানেও না আমি তার হোটেলের এত এত খাবারের পোষ্ট দিয়েছি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

৩৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

ন্যায়দন্ড বলেছেন: এত বেশি খাওয়া ভাল না।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

শামচুল হক বলেছেন: বেশি খাওয়ার দরকার নাই আপনার পেটে যা কুলায় তাই খান। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৪০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

করুণাধারা বলেছেন: সুস্বাদু পোস্ট। ভাল লাগল।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৪১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

৪২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩০

ওমেরা বলেছেন: উহ্ এত খাবার !! আমার তো দেখেই কেমন যেন লাগছে !!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

শামচুল হক বলেছেন: এখানে সব ছবি তো দেই নাই, আরো অনেক খাবার আছে। ধন্যবাদ বোন ওমেরা।

৪৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন: looks soooooo yummy :-)
I've been there in 2016 but not for lunch though
just for a drive and tea

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ

৪৪| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন: চ্যাপার ভর্তা!! আমার বউয়ের কাছে খাসির মাংসের চেয়েও দামি। আমি প্রথম দিকে এগুলো খেতে পারতাম না। এখন বেশ ভাল লাগে তবে আমার পেটের অবস্থার কারণে মন চাইলেও কম খাই।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:০৪

শামচুল হক বলেছেন: ভাই চ্যাপা ভর্তা বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষ বেশি খায়, আপনার স্ত্রীর বাড়ি কোথায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.