নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলমই হোক দুর্নীতি দূর করার হাতিয়ার

শামচুল হক

আমি একজন সাধারন লোক

শামচুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

না বলা প্রেম

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৯:১৭



রহমত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। হোস্টেলে সিট না পেয়ে পেয়িং গেস্ট হিসাবে ইউনিভার্সিটির কাছেই বাসা নিয়েছে। তিন তলায় তিন রুমের বাসা। ভিতরের দু’রুমে বাড়িওয়ালা থাকে। গেষ্ট রুমের মত ছোট একটি রুমে রহমত থাকে। বাড়িওয়ালা ভদ্রলোকের নাম বিরু ভুইয়া। বিরু ভুঁইয়া আসলে বাড়িওয়ালা নন তিনিও ভাড়াটিয়া। সরকারী অফিসে এলডিএর চাকরী করেন। যা বেতন পান তা দিয়ে পুরো বাসার ভাড়া দিলে সংসার চালাতে কষ্ট হয়, তাই কিছুটা আর্থিক সচ্ছলতার জন্যই পেয়িং গেষ্টে লোক নেওয়া। মাসে থাকা খাওয়াসহ তিন হাজার টাকা, সস্তাই বটে। শুধু তিনবেলা ভাত খেতেই তো মাসে আড়াই তিনহাজার টাকা লাগে, সেখানে পুরো একটি রুমসহ থাকা খাওয়া তিনহাজার টাকা হওয়ায় আর্থিক সাশ্রয়ের দিক দিয়ে রহমতের জন্য খুব সুবিধাই হয়েছে।

রুম কিছুটা ছোট হলেও একজনের জন্যে যথেষ্ট। নিরিবিলি রুম হওয়ায় ইচ্ছা মত পড়তে পারে। শরীর ভাল থাকলে পড়ে, না থাকলে শুয়ে থাকে, কেউ ডিস্টার্ব করে না। লোকগুলোও ভাল। অমায়িক ব্যবহার। দু’টি বাচ্চা আছে, একটি ক্লাস সিক্সে আরেকটি ক্লাস ফোরে পড়ে। খাবার খারাপ নয়, তিন বেলাই মান সম্মত খাবার খায়। রহমত প্রায় একবছর হলো এদের সাথে আছে। উভয় পক্ষ থেকেই কারো কোন অভিযোগ নেই। এক বছরে রহমত তাদের অনেকটা আপনজনের মতই হয়েছে। ভদ্রলোক ভদ্রমহিলা দুইজনই রহমতকে ছোট ভাইয়ের মতই মনে করে। ভদ্রলোক না থাকলে মাঝে মাঝে বাজারও করে। বাজার করতে তার আপত্তি নেই, কারণ এই বাজার তো সে নিজেও খায়।

সেদিন হঠাৎ বাড়ি থেকে ফোন এসেছে, বিরু ভুঁইয়ার মা অসুস্থ্য। মরাণাপন্ন অবস্থা। তড়িঘড়ি ছুটি নিয়ে বউ বাচ্চাসহ বাড়ি চলে গেছে। যাওয়ার সময় বিরু ভুঁইয়ার স্ত্রী রহমতকে সব ঘরের চাবি দিয়ে গেছে। অনেক দিন হলো একই বাসায় থাকার কারণে রহমতের উপর তাদের অগাধ বিশ্বাস জন্ম নিয়েছে। আর এই বিশ্বাসের উপর ভর করেই রহমতকে সব ঘরের চাবি দিয়ে গেছে।

রহমত বাসায় একদম একা। একা একা বাসায় পড়াশুনার পাশাপাশি নিজেই রান্না করে খায়। শুয়ে বসে থাকে, ভাল না লাগলে বাইরে ঘুরে বেড়ায় অথবা ক্যাম্পাসে গিয়ে বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দেয়।

এভাবে তিন চার দিন যেতে না যেতেই হঠাৎ রহমতের গায়ে জ্বর আসে। এরকম জ্বর এর আগেও অনেক হয়েছে। দুই একটা নাপা খেলেই সেরে যায়। সেই ভাবনা থেকে নিজে নিজেই নাপা কিনে খেয়েছে। কিন্তু জ্বর সারে না। আস্তে আস্তে জ্বর বাড়তেই থাকে। তিনদিনের জ্বরেই কাহিল। সকালে বমি করে আরো দুর্বল হয়েছে। উঠে দাঁড়াতে গেলে মাথা ঘোরে। সোজা হয়ে হাঁটতে কষ্ট হয়। রহমতের ভয় হলো এ অবস্থায় একা একা মরে পড়ে থাকলেও কেউ দেখার নেই। আশে পাশে কোন আত্মীয় স্বজনও নেই যে তাকে খবর দিয়ে আনবে। মরার আগে অন্তত বেঁচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা দরকার। দেয়াল ধরে হেঁটে হেঁটে পাসের ফ্লাটে গিয়ে কড়া নাড়ল। কড়া নাড়তেই ভিতর থেকে মহিলা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল, কে?
-- খালা আমি।
-- আমি কে?
-- রহমত।
দরজা খুলে গেল। দরজার ভিতরে মধ্য বয়স্ক মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। রহমত কোন কথা না বলে মহিলার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। তার তাকানো দেখে মহিলা জিজ্ঞেস করল, কিছু বলবে রহমত?
অসুস্থ্য রহমত অসহায়ের মত কাতরাতে কাতরাতে মিন মিন করে বলল, খালা আমার খুব জ্বর। আমি দরজা খুলে রেখেছি। আপনি মাঝে মাঝে আমায় একটু খেয়াল রাখবেন।
-- কেন, বাসায় কেউ নেই?
-- না খালা, আমি একা।
-- গায়ে কি খুব জ্বর, বলেই মহিলা এগিয়ে এসে রহমতের কপালে হাত দিল। হাত দিয়েই চমকে উঠল। গা জ্বরে পুরে যাচ্ছে। আতংকিত হয়েই জিজ্ঞেস করল, মাথায় পানি ঢেলেছো?
রহমত কোকাতে কোকাতে বলল, না।
রহমাতের অসহায় অবস্থা দেখে মহিলার খুব মায়া লাগল। রহমতকে ধরে বাসায় নিয়ে বেসিনে অনেকক্ষণ মাথায় পানি ঢেলে দিল। গামছা দিয়ে মাথা মুছিয়ে দিতে দিতে বলল, তোমার আপনজন কাউকে ডেকে আন, এভাবে একলা একলা জ্বর নিয়ে থাকা উচিৎ নয়। আমার পক্ষে তো সবসময় তোমার রুমে আসা সম্ভব হবে না।
মহিলার কথা শুনে রহমত দুর্বল কণ্ঠে আস্তে আস্তে বলল, আমার ক্লাসের বন্ধুবান্ধবদের আসতে বলেছি। ওরা আসতে চেয়েছে, কিন্তু এখনও এলো না।
-- বন্ধু বান্ধব কেন, তোমার নিজের কেউ নেই?
-- না খালা, ঢাকায় আমার নিজের কেউ নেই।
-- তোমার বাড়ি কোথায়?
-- কুড়িগ্রাম।
-- তাহলে তোমার বন্ধুদের আসতে বল, তোমাকে তো এভাবে একা থাকা যাবে না। মহিলা তার কথা শেষ করতে না করতেই তিনটি মেয়ে খোলা দরজা দিয়ে রুমে চলে এলো। হাতে আঙুর, আপেল, পাউরুটি নিয়ে এসেছে।
মহিলা জিজ্ঞেস করল, এরা কারা?
-- আমার ক্লাসমেট। কাউকে খুঁজে না পেয়ে টেলিফোনে ওদেরকেই আসতে বলেছি।
-- তা ভালই করেছো, বলেই মহিলা মেয়েদের উদ্দেশ্য করে বলল, তোমরা থাক-- আমি একটু বাসায় যাই। আমার বাসায় অনেক কাজ।
রানু বলল, খালা যাবেন কেন? আমরা তো থাকবো না, এখনই চলে যাবো।
-- কেন, কোথায় যাবে?
-- আমাদের ক্লাস পরীক্ষা আছে, আমরা থাকতে পারবো না। টেলিফোনে ওর কাকুতি মিনতি শুনে ওকে দেখতে এসেছি।
রানুর কথা শুনে মহিলা বলল, ঠিক আছে, তোমরা ওর কাছে কিছুক্ষণ বস, আমি বাসার কাজগুলো গুছিয়েই আসতেছি। বলেই ভদ্র মহিলা চলে গেলেন।

রানু, মাহিয়া, বকুল। এদের তিনজনের মধ্যে রানুর সাথেই রহমতের সম্পর্ক ভাল। দুইজনের ঘনিষ্ঠতাও বেশি। বকুল ওদের বান্ধবী বটে তবে অন্য সাবজেক্টে পড়ে। রানু, মাহিয়া চলে যাওয়ার জন্য ব্যাস্ত। রহমতের গায়ে প্রচন্ড জ্বর থাকায় যেতে চেয়েও যেতে পারছে না। ভদ্র মহিলাও আসছে না। রানু রহমতকে জিজ্ঞেস করল, মহিলার বাসা কোথায় রে?
-- পাসের ফ্লাটে, কেন?
-- মহিলা এলেই চলে যাবো রে।
-- চলে যাবি, আমার কাছে থাকবে কে রে?
-- ওই মহিলা তো আছে?
-- মহিলা তো আমার ঘনিষ্ঠ কেউ নয়। তাছাড়া তার সাথে কোনদিন কথাও বলিনি। জ্বরের তাপ সহ্য করতে না পেরে কিছুক্ষণ আগে ডেকে এনেছি।
-- তোর বাসায় কেউ নেই?
-- না।
-- বাসার সবাই গেছে কোথায়?
-- বাসাওয়ালা ভদ্রলোকের মা অসুস্থ্য, তাই আমাকে বাসায় রেখে সবাই গ্রামের বাড়ি চলে গেছে।
-- আমাদের ক্লাস পরীক্ষা আছে, আমরা তো থাকতে পারবো না রে।
-- তাহলে পাসের ফ্লাটে গিয়ে কড়া নাড়লেই খালা চলে আসবে।
-- খালার বাসায় আর কে কে আছে?
-- এখন কেউ নেই, খালা একা।
-- কেন, ছেলে মেয়ে নেই?
-- যতটুকু জানি দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। একটি ছেলে আছে ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ে।
-- খালার স্বামী কি করে?
-- সরকারী চাকুরী করে।
রানু রহমতকে আর কিছু জিজ্ঞাসা না করে দরজা খুলে পাসের ফ্লাটে গিয়ে কড়া নাড়ল। ভিতর থেকে জবাব এলো, কে?
রানু জবাব দিল, খালা আমি।
মহিলা দরজা খুলে দিল, রানুকে দেখে জিজ্ঞেস করল, ওর জ্বর কি আরো বেশি হয়েছে?
রানু বলল, না খালা। আপনি এলেই আমরা চলে যাবো, আমাদের দুইটা থেকে পরীক্ষা আছে, আমরা থাকতে পারবো না।
-- তোমরা চলে গেলে ওকে দেখবে কে? আমি তো সব সময় ওর কাছে থাকতে পারবো না। আমার সংসার আছে না? আমি একা মানুষ, আমার অনেক কাজ। তোমরা কেউ থাক।
-- কে থাকবে খালা? তাছাড়া এরকম খালি বাসায় আমাদের মতো মেয়েদের থাকা কি সম্ভব?
ভদ্র মহিলা চিন্তা করলেন, ছেলেটাকে এই অবস্থায় কোনভাবেই একা রাখা ঠিক হবে না, আবার নিজের থেকে কাউকে খবর দিয়ে আনবে এধরনের কেউ এই মুহুর্তে তার হাতের কাছে নেই, কাজেই এই মেয়েদেরকেই রাখা দরকার, তবে ভার্সিটি পড়ুয়া এসব অবিবাহিতা মেয়েদের উৎসাহ না দিলে রাখা যাবে না। ওরা থাকলে তিনিও সবসময় তাদের সাথে থাকবে এমন উৎসাহমূলক আশ্বাস দিয়েই বলল, আরে মেয়ে তোমরা ভয় পাচ্ছ কেন? তোমাদের পাশে আমি তো আছি। তোমরা থাকলে আমিও কাজের ফাঁকে ফাঁকে এসে দেখে যাবো।

রানুর সাথে কথা বলতে বলতে মহিলা রহমতের বিছানার কাছে চলে এলো। রহমত তখনও জ্বরে লেপসহ কাঁপছে। তার এ অবস্থা দেখে মহিলা বলল, তোমাদের মধ্যে পরীক্ষা নেই কার, সে আপাতত থাক। ছেলেটার গায়ে যেভাবে জ্বর এসেছে ওকে একা রাখা ঠিক হবে না।
রানু মাথাটা কাত করে ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে প্রশ্নসূচক ভঙ্গিতে বলল, খালা-- তাহলে এক কাজ করলে হয় না?
-- কি কাজ?
-- ওকে হাসপাতালে পাঠালে হয় না।
মহিলা একটু চিন্তা করে বলল, কথা মন্দ বলো নাই, ছেলেটার গায়ে যেভাবে জ্বর এসেছে তাতে হাসপাতালেই পাঠানো দরকার, কিন্তু হাসপাতালে পাঠালেও তো সাথে একজন থাকতে হবে, কে থাকবে?
-- আমরা তো কেউ থাকতে পারবো না।
-- তোমরা কেউ থাকতে না পারলেও ওকে অন্তত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে হলেও তো সাথে কাউকে না কাউকে যেতে হবে?
-- খালা এই মুহুর্তে আমরা যেতে পরবো না, আমাদের হাতে সময় নেই।
-- তোমাদের মধ্যে যার পরীক্ষা নেই সে আপাতত থাকো, তোমরা পরীক্ষা দিয়ে ফিরে এলে না হয় হাসপাতালে পাঠানোর চিন্তা করা যাবে।
রানু বকুলের দিকে তাকিয়ে বলল, বকুল তুই থাক, তোর তো পরীক্ষা নাই।
বকুল বলল, ধ্যেৎ-- তোরা পাগোল হয়েছিস নাকি, আমার পক্ষে থাকা সম্ভব?
-- তুই আপাতত থাক, আমরা দুইজন পরীক্ষা দিয়েই বিকালে চলে আসবো।
মহিলা বকুলকে উদ্দেশ্য করে কিছুটা আদর মাখা ভঙ্গিতে বলল, মা বকুল, তুমি থাক, ছেলেটা এই মুহুর্তে অসহায়। ওর কাছে না থাকলে যে কোন অঘটন ঘটার সম্ভাবনা আছে, তাছাড়া আমি তো তোমার সাথেই আছি।
রানু বকুলের একটি হাত তার দুই হাতের মুঠির মধ্যে নিয়ে চেপে ধরে বলল, বকুল, আমি তোকে জোর হাত করে অনুরোধ করছি রে, তুই থাক।
বকুল রানুর কাথায় না থাকার অজুহাত তুলে বলল, আরে আমি থাকবো কিভাবে? আমি তো কোন প্রস্তুতি নিয়ে আসি নি, এক কাপড় পড়ে থাকা যায়?
রানু বকুলের হাত ধরে অনুরোধের সুরে বলল, বকুল-- আমি তোর দুই হাত ধরে রিকোয়েস্ট করছি রে, তুই আর না করিস না, দয়া করে এই তিন চার ঘন্টা কষ্ট করে থাক, আমরা দুইজন পরীক্ষা দিয়েই তোর কাপড়-চোপড় নিয়ে চলে আসব।

তাদের চাপাচাপিতে বকুল আর না করতে পারল না। বকুলকে রেখে রানু আর মাহিয়া চলে গেল। দুপুরে বকুলের খাবার মহিলা নিজেই বাসা থেকে এনে দিল। বকুল রান্না করতে চেয়েছিল কিন্তু মহিলা রান্না করতে দিল না।

বকুল মফস্বলের মেয়ে। অনেকটা শান্তশিষ্ট ধৈর্যশীলা। কিন্তু ধৈর্যশীলা হলে কি হবে-- বাবা মায়ের আদরের দুলালী হওয়ায় জীবনে কোন দিন রুগীর সেবা করা তো দূরের কথা কখনও রান্না পর্যন্ত করেনি।

রানুরা চলে যাওয়ার ঘন্টাখানেক পরেই রহমত ফ্লোর ভরে বমি করে দিল। রহমতের বমি দেখে বকুল দৌড়ে মহিলাকে ডেকে আনল। মহিলা বমি দেখে বলল, এক কাজ কর বকুল, একটা ন্যাকড়া নিয়ে এসো-- এগুলো পরিস্কার করতে হবে। নোংরা নিয়ে বসে থাকা যাবে না।
ভদ্রমহিলা ভেবেছিল বকুল নোংরা পরিস্কার করার কাজে সহযোগীতা করবে। কিন্তু বমি পরিস্কার করা তো দূরের কথা, ঘরের কোনায় গিয়ে নাক চিপে ধরে দাঁড়িয়ে রইল।
(চলবে- --)

(বিঃদ্রঃ গল্পটি আগে একবার পোষ্ট করার পর কিছু সংযোজন সংশোধের নিমিত্তে ড্রাফটে নেয়া হয়েছিল, এখন আবার পোষ্ট করা হলো। পোষ্টে যারা মন্তব্য করেছিলেন তারা হলেনঃ ব্লগার সালাউদ্দীন খালেদ, জাহিদ অনিক, আটলান্টিক, রাজীব নুর, চাঁদগাজী এবং নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই। অফটপিকে নুরু ভাই একটি প্রশ্ন করেছিলেন টেলিফোনে এব্যাপারে আপনার সাথে কথা হবে।)
(ছবি গোগুল)

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৯:২৯

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: হুম। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এমন কিছু উপকার করে যা পরিশোধ করার সাধ্য কারোই থাকে না। এদেরকে কোনদিন ভুলতে নেই। তবুও , কিছু কিছু মানুষ তার অসময়ের বন্ধুকে স্বরণ রাখতে না। কারণ, মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ প্রাণী। তবে এই খালার মতো যারা নিঃস্বার্থে মানুষের উপকার করে, তারাও প্রতিদান চায় না। পড়ে ভালো লাগলো।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কবি হাফেজ আহমেদ, আপনি সঠিক কথাই বলেছেন আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগল। গল্প পড়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

২| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আবারো পড়লাম

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, আপনি আবার পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।

৩| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Very simple

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বেলছেন, ধন্যবাদ

৪| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শামচুল ভাই, গল্প বেশ ভালো হয়েছে। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, মফস্বলের মেয়েদের চেয়ে শহরের মেয়েদের কোনোকিছু খাপ খাওয়ানোর প্রবনতাটা বোশি,বা বেশি মানবিক । মফস্বলের মেয়েরা হঠাৎ করে শহরে এসে তুলনায় বেশি উৎশৃঙ্খল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। অবশ্য আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা থেকে বললাম।মত পার্থক্য থাকতেই পারে।

শুভ কামনা রইল।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:২২

শামচুল হক বলেছেন: কথা মন্দ বলেন নাই, মফস্বলের মেয়েরা গ্রামে কিছুটা বদ্ধ অবস্থায় থাকে, তারা গ্রামে খোলামেলা চলাফেরা করতে পারে না, কাজেই তারা যখন হঠাৎ করে শহরের ইউনিভার্সিটিতে এসে গার্জিয়ানবিহীন মুক্ত বিহঙ্গের মত হয়, তখন তারা কিছুটা স্বাধীনচেতা হয়ে যায়। আপনার কথার যতার্থতা আছে। ধন্যবাদ চৌধুরি দা। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:১৭

মুচি বলেছেন: গল্পের প্রেম কোথায়? ঠিক বুঝতে পারলাম না। শুরুটা চমৎকার ছিল। শেষটি ঠিক মনে ধরলো না। শেষ করলে ভালো লাগবে।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৫

শামচুল হক বলেছেন: মুচি ভাই, আমারই ভুল হয়েছে, গল্পের পরে আরেক পর্ব আছে সেই কথাটি লেখা হয় নাই, গল্পটি বড় হওয়ায় দুই পর্ব করেছি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৬| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,




দেখি , বমির গন্ধ কতোদূর ছড়ায় ......................

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১১:০৫

শামচুল হক বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, আপনি হলেন মুরুব্বী মানুষ, আপনি উৎসাহ দিলে বমির গন্ধটা টেনে হিঁচড়ে একটা জায়গায় নিয়ে অবশ্যই পৌঁছাবো।

৭| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১১:০৮

শামচুল হক বলেছেন: গল্প পড়তে অনেক সময় বাস্তবতার কিছুটা ছোঁয়া পাওয়া যায় বটে তবে পুরোপুরি বাস্তব নয়। ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর মন্তব্য করায় খুশি হলাম।

৮| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১১:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পরের পর্ব যদি নজরে না পড়ে? এক সাথে দিলেই ভালো হত...

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১১:১৬

শামচুল হক বলেছেন: একসাথেই দিতে চেয়েছিলাম, বড় পোষ্ট পড়তে অনেক সময় লাগে দেখে অনেকে আপত্তি করে এই কারণে দেয়া হয় নাই। ধন্যবাদ আপনাকে, পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

৯| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার লেখাগুলো মনযোগ দিয়ে পড়ি। এ গল্পটিও পড়েছি। আপনার গল্পের বর্ণনার চমৎকারিত্ব আমাকে মুগ্ধ করে। আপনার কাহিনীর ধারাবাহিকতাও বেশ গোছানো।

মে দিবসের শুভেচ্ছা। শুভ কামনা রইল, শামচুল হক ভাই।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১২:২৭

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ চৌধুরী ভাই, আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম। মে দিবসের শুভেচ্ছা রইল।

১০| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

জগতারন বলেছেন:
আপনি গল্প লিখেছেন দেখে পড়লাম ও লগইন করলাম।
এখন শুধু হাজিরা দিয়ে গেলাম।
শেষাংস পড়ে মন্তব্য করবো।

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই উৎসাহিত হলাম।

১১| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:০২

জগতারন বলেছেন:
আরেকটি কথাঃ
লেখক (বা কবি)-এর মন থেকে যে কথা, শব্দ, ছন্দ, অনুভূতি বা ছবি আসে তাতেই সই (যথাযত)।
পাঠক-পাঠীকদের অনুরোধে ছবি বা শন্দ পরিবর্তন করা ঠিক নয়। এ তে লেখকের মৌলিকতা ক্ষুন্ন হয়।

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

শামচুল হক বলেছেন: আপনি সঠিক কথাই বলেছেন, আসলেই বিভিন্ন পাঠকের বিভিন্ন রকম মতামতের ভিত্তিতে গল্প লিখতে গেলে গল্পই হবে না। আপনি সুন্দর একটি উপদেশমূলক মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১২| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এরকম একাকী অবস্থায় জ্বরে পড়ার অভিজ্ঞতা আমারও আছে। সেটা অবশ্য বিয়ের আগে ছাত্র জীবনে। কারো সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে ওষুধ খেয়ে সাত দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম।


গল্প ভালো হয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

শামচুল হক বলেছেন: আপনার এই জ্বর কি পলাতক থাকা অবস্থায় হয়েছিল?

১৩| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

নীলপরি বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন নীলপরি, মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: জীবনঘনিষ্ট লেখা লিখেছেন। এভাবে অনেকেই ঢাকা শহরে অসহায় অবস্থায় পড়ে।

আর দেখি আদরের দুলালী বকুল কখনও বমির উপর পিছলা খায়...। :P

০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:২১

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আখেনটেন, অনেক সময় অনেকেই এরকম বিপদে পড়ে, সামনের পর্ব পড়লে বুঝতে পারবেন বকুলের অবস্থা। মন্তব্য করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ০২ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্প ভালো লিখেছেন।।।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্য করায় খুব খুশি হলাম।

১৬| ০২ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: প্রবাসী কামলা দের নিয়ে লিখুন।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার আবেদন আমি অবশ্যই পুরণ করবো এবং আমি এই ধরনের একটি গল্প প্রায় শেষের দিকে এনেছি। ধন্যবাদ

১৭| ০২ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

নোয়াখাইল্ল্যা বলেছেন: ভাল হচ্ছে...।বাকি পর্ব পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ০২ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শিরোনাম দেখে ভাব্লাম কবিতা।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

শামচুল হক বলেছেন: না ভাই কবিতা লিখতে পারি না, টুকটাক গল্পই লেখার চেষ্টা করি তারপরেও মনমতো লেখা হয় না।

১৯| ০২ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২০| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার এই জ্বর কি পলাতক থাকা অবস্থায় হয়েছিল?


একদম সঠিক অনুমান করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ শামচুল হক ভাই।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ হেনা ভাই।

২১| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩০

সনেট কবি বলেছেন: গল্প বেশ ভালো হয়েছে।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, শুভেচ্ছা রইল।

২২| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: এই পর্ব তো আমি পড়েছি।

আসলে মনে থাকে না।
দুঃখিত ভাই। কিছু মনে করবেন না।

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

শামচুল হক বলেছেন: আমিও তো সেইটাই চিন্তা করতেছি আপনি এর আগে পড়েছেন এবং মন্তব্যও করেছেন, আপনার নাম উপরে দেয়া আছে। ধন্যবাদ রি মন্তব্য করার জন্য।

২৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

শায়মা বলেছেন: পেয়িং গেস্ট এর এ দেখি করুন হাল!

০৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

শামচুল হক বলেছেন: অনেক সময় বাস্তব জীবনেও এমন হয়। ধন্যবাদ বোন শায়মা।

২৪| ০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পড়লাম, আমিও রাবিতে পড়ার সময় একবার আমার পায়ের গিট খুবই ফুলে,নিজের চলার হাটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। আমার রূমমেটটা আমাকে এম্বুলেন্সে করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। এবং সেবা করে সুস্থ করেছিল আপনার গল্পের রহমতের সাথে নিজেকে মেলাতে পারলাম।

০৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, বাস্তব জীবনেও এরকমই হয়, কেউ যখন থাকে না তখন বন্ধু বান্ধবরাই সহযোগীতায় এগিয়ে আসে। গল্পের খাতিরে এখানে বান্ধবীর কাহিনী করতে হয়েছে।

২৫| ২৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

নুরউদ্দিন আহমেদ শ্যামল বলেছেন: শুরুটা ভাল লেগেছে কিন্তু শেষের দিকে ফিলিং কেমন জানি??!!

২৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক সময় বাস্তব জীবনেও এমনই হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.