নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলমই হোক দুর্নীতি দূর করার হাতিয়ার

শামচুল হক

আমি একজন সাধারন লোক

শামচুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ না বলা প্রেম এবং

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:০৩


বকুলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভদ্রমহিলা কিছুটা অনুযোগ করেই বলল, বকুল-- রুগীর সেবা করতে এসে নাক চিপে ধরে থাকলে চলবে? যেভাবেই হোক নোংরা পরিষ্কার করতে হবে।
ভদ্রমহিলা বললে কি হবে, বকুলের অভ্যাস না থাকায় যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেই নাক চিপে ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল।

ভদ্রমহিলা আবার বলল, কি হলো বকুল, নোংরা পরিষ্কার না করলে দুর্গন্ধে কেউ টিকতে পারবে? দুর্গন্ধে রুগীও কষ্ট পাবে রুগীর সেবাকারীরাও কষ্ট পাবে।
এর পরেও বকুল নাক চিপে ধরেই দাঁড়িয়ে রইল।
তার নাক চিপে ধরার ভাব দেখে ভদ্রমহিলা কিছুটা বিরুক্ত হয়েই বলল, ঠিক আছে, তুমি না পারলে আমাকে একটা ন্যাকড়া এনে দাও, আমিই পরিস্কার করে দিচ্ছি।

এগুলো তার পরিস্কার করার কথা নয়। রহমত তার কেউ নয়, কিন্তু বিলু সর্দারের বউ গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সময় হাত ধরে অনুরোধ করে গেছে, তিনি যেন বাসার উপর একটু নজর রাখেন। আরো বলে গেছে, রহমতকে একা রেখে গেলাম, ওকে একটু খেয়াল রাখবেন। এই কয়দিন রহমতের কোন খোঁজখবরই নেয়নি। ছেলেটা জ্বরে পড়েছে তাও বলেনি। আজকে কুলোতে না পেরে তাকে ডেকে এনেছে। আত্মীয়-স্বজন না হলেও পড়শি হিসেবে অবজ্ঞা করতে পারছে না। এই মুহুর্তে ছেলেটির বাবা-মা, ভাই-বোন কেউ নেই। তাই অবহেলা না করে ছেলের মত মনে করেই সেবা করছে।

ফ্লোরে ছড়িয়ে থাকা রহমতের বমি মহিলাকে পরিষ্কার করতে দেখে বকুল কিছুটা অনুশোচনায় পড়ে গেল। রুগীর সেবা করার জন্য রানুরা তাকে রেখে গেছে অথচ সে রুগীর সেবা না করে নাক চিপে ধরে বসে আছে, আর ভদ্রমহিলা রহমতের আত্মীয়-স্বজন কেউ না হয়েও সব নোংরা পরিস্কার করছে।
ন্যাকড়া দিয়ে ঘর মুছতে মুছতে মহিলা বকুলের নাক সিটকানো দেখে বলল, বকুল, মেয়ে মানুষ হয়ে এত নাক সিটকালে চলবে?
বকুল নাক চিপে ধরেই বলল-- খালা আম্মা, আমি তো কখনও এসব কাজ করি নাই, আমার পক্ষে সম্ভব না।
-- আরে পাগলি যা করো নাই তাই করতে হবে। স্বামীর ঘরে যেতে হবে না, তখন এর চেয়েও নোংরা জিনিষ নাড়তে হবে। ঠিক আছে, তোমাকে নোংরা পরিস্কার করতে হবে না, আমাকে আরেক বালতি পানি এনে দাও।

বকুল কল থেকে বালতি ভরে পানি এনে দিল। মহিলা ফ্লোরে আরো পানি ঢেলে ভালোভাবে পরিস্কার করে চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে রহমত কাতর কণ্ঠে বলল, একটু পানি খাব।

রহমত পানি খেতে চাওয়ায় বকুল গ্লাস ভরে পানি নিয়ে এলো। রহমতের হাতে পানির গ্লাস দিলেও রহমত শোয়া থেকে উঠতে পারল না। উঠতে গিয়ে মাথা টলকে পড়ে গেল। রহমতের অবস্থা দেখে বকুলের পক্ষে সংকোচ করা সম্ভব হলো না। লজ্জা সংকোচ ত্যাগ করে রহমতের মাথা উঁচু করে ধরল। রহমত কাঁপা কাঁপা হাতে অল্প একটু পানি খেল।

পানি খাওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পরেই রহমত টয়লেটে যেতে চাইলে বকুল কি করবে ভেবে পায় না। দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে গেল। জীবনে ছোট ভাই বোনকেও কখনও ধরে টয়লেটে নিয়ে যায়নি সেখানে অনাত্মীয় সমবয়সি রহমতকে কিভাবে ধরে টয়লেটে নিয়ে যাবে ভেবে পাচ্ছে না। বকুল বড় বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেল। একবার ভাবলো খালাম্মাকে ডেকে আনা দরকার কিন্তু পরক্ষণেই ভাবলো সামান্য টয়লেটে নেয়ার জন্য তাকে ডাকা উচিৎ হবে না। বার বার ডাকাডাকি করলে তিনি হয়তো রেগে যেতে পারেন। এই অবস্থায় রানুর উপরে খুব রাগ হলো, মনে মনে রানুর চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে গালি দিতে লাগল। রানু এখানে নিয়ে না এলে আজ তাকে এই বিপদে পড়তে হতো না। কিন্তু রানুর উপরে যত রাগই করুক না কেন দায় এড়াতে পারল না। রহমতের দিকে চোখ পড়তেই তার মনটা নরম হয়ে গেল। রহমত অসহায়ের মত তাকিয়ে আছে। তার মায়াময় তাকানো দেখে মনে হলো-- এই মুহুর্তে তাকে টয়লেটে না নিয়ে গেলে অমানুষের কাজ হবে।

সেবা করার অনভিজ্ঞতা অপরিপক্কতা সত্বেও বকুল রহমতকে ধরে টয়লেটে নিয়ে গেল। টয়লেট সেরে রহমত বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে আবার ধরে এনে তাকে বিছানায় শুইয়ে দিল। অল্প কিছুক্ষণ পরেই ভদ্রমহিলা এসে রহমতের মাথায় হাত দিয়ে বলল, ও বকুল-- জ্বর তো আরো বেড়ে গেছে।
বকুল খালাম্মার কথার কোন জবাব না দিয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল। খালাম্মা বকুলের নিরুত্তর দেখে আবার বলল, ও বকুল-- ওর মাথায় পানি না দিলে জ্বর তো আরো বেড়ে যাবে। তুমি এক কাজ করো মা, ওকে ধরে বেসিনে নিয়ে আসো, আমি ওর মাথায় পানি ঢেলে দিচ্ছি।

মহিলার আদর মাখা মাতৃসুলভ আচরণে বকুল আর না করতে পারল না। একটু আগে টয়লেটে আনা নেয়া করে কিছুটা ইতস্ততভাব কেটেছে। তাই এক্ষণে বেসিনে নিয়ে যেতে আর ইতস্তত করল না। রহমতকে একাই ধরে বেসিনের কাছে নিয়ে গেল। মহিলা রহমতের মাথায় অনেকক্ষণ পানি ঢালল, গামছা ভিজিয়ে পুরো শরীর মুছিয়ে দিল, এতে রহমতের শরীরের তাপ কিছুটা কমল, রহমত অনেকটা আরামবোধ করতে লাগল।

অনাকাঙ্খিতভাবে রহমতের দায়দায়িত্ব যেমন মহিলার ঘাড়ে চেপেছে তেমনি বান্ধবীর সাথে বেড়াতে এসে বকুলও ফেঁসে গেছে। এখন না পারছে সইতে না পারছে সরতে। তবে খালাম্মার সহযোগীতা দেখে বকুল কিছুটা বিস্মৃত। রুগীর নোংরা ঘাটতে তিনি এতটুকুও দ্বিধা করেন না। তার এই মানসিকতা দেখে কয়েক ঘন্টায় তারও নাক সিটকানো ভাবটা চলে গেল।

বিকালে রানু, মাহিয়া নিজের কাপড়-চোপড়সহ বকুলের কাপড় নিয়ে এলো। ওরা তিনজন এক রুমেই থাকে। রুমে তালা দিয়ে আসার সময় প্রক্টরকে বলেছে তারা তিনজন খালার বাসায় বেড়াতে যাবে, রাতে ফিরবে না। প্রক্টর তিনজন একসাথে যাবে শুনে আর কিছু বলে নাই, রাতে বাইরে থাকার অনুমতি দিয়েছে।

রাতের খাবারের জন্য হোটেলে না গিয়ে নিজেরাই রান্না করল। রুগি টানতে এলেও নিজেদের পছন্দমত রান্নাবাড়ায় ওরাও খুশি। ইউনিভার্সিটির হোষ্টেলের গদবাধা খাবার খেতে খেতে মুখে অরুচিভাব এসেছিল। নিজেদের মত করে রান্না করতে বেশ মজাই লাগছে। বাসা বাড়ির খোলামেলা পরিবেশে তিনজন একত্রিত হয়ে খাওয়া-দাওয়া, হাসি-ঠাট্টা, গল্প-গুজবে সময় ভালই কাটছে। এ যেন কিছুটা পিকনিকের আমেজ। রাতে খাওয়া-দাওয়া করে তিনজন একত্রেই পাশের ঘরে শুয়ে পড়ল।

রহমত রানুর বন্ধু হলেও রানু তেমন একটা কাছে যায় না। বকুলই এখন রুগীর সব দেখাশোনা করে। পরদিনও রানুরা বকুলকে একা রেখে পরীক্ষা দিতে চলে গেল। এখন আর বকুল ভদ্রমহিলার সহযোগীতা নেয় না। রুগীর সব কাজ সে নিজেই করে। এই দুই দিনেই যেন পাকা নার্স হয়েছে। এখন নাক সিটকানো তো দূরের কথা মলমুত্র পরিস্কার করতেও দ্বিধাবোধ করে না। অল্প সময়ে তার এই পরিবর্তন দেখে ভদ্র মহিলাও খুব খুশি। মাঝে মাঝে এসে তার কাজ দেখে প্রশংসার পাশাপাশি উৎসাহ দিয়ে থাকেন। ভদ্র মহিলার সহযোগীতার পাশাপাশি কাজের উৎসাহদানের কারণে বকুল দ্রুত নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলল। তাকে দেখে এখন আর কেউ বুঝতেই পারবে না সে জীবনে কখনও রুগীর সেবা করে নাই বা এইখানে এই প্রথম রুগীর সেবা করছে। ভদ্র ব্যবহারের পাশাপাশি প্রশংসা ও উৎসাহদান করে যেকোন মানুষকে কাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা যায়, ভদ্র মহিলা দুই দিনেই বকুলকে তাই করেছে।

তিনদিন পরে রহমতের গায়ে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে গেল। মহিলা রহমতের গায়ে হাত দিয়ে বলল, বকুল-- শরীর ঘেমে কেমন আঠা আঠা হয়েছে, পারলে বাথরুমে নিয়ে মাথায় পানি ঢেলে শরীর ধুয়ে দাও।

এই তিনদিনেই রুগীর সেবা করতে গিয়ে বকুলের যেমন ঘৃণা নেই তেমনি লজ্জাও নেই। রহমতকে বাথরুমে নিয়ে বসিয়ে পুরো শরীর ধুয়ে দিয়ে নিজেই কাপড় পাল্টিয়ে দিল। রহমত দাঁড়াতে পারে না। রহমতকে দেয়াল ধরে দাঁড়াতে দিয়ে নিজেই লুঙ্গি খুলে শুকনা লুঙ্গি পরিয়ে দিল। তার এই কাজটি এখন আর শুধু বান্ধবীর পর্যায়ে রইল না, সে যেন হঠাৎ মাতৃসম বড় নারীর ভুমিকায় পা রাখল। অনেক সময় অসুস্থ্য স্বামীর সেবায় স্ত্রীরাও এমন কাজ করতে চায় না। বকুল নির্দ্বিধায় সেই কাজ করে দিল। রুগীর সেবা যত্ন করার কৌশল দেখে যে কেউ ভাববে বকুল হয়তো কোন নার্সিং স্কুল থেকে ট্রেনিং নিয়ে এসেছে। দুই দিনেই বকুলের পরিবর্তন দেখে মহিলা বকুলকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল, এই তো মা, তুমি এখন পাকা গৃহিনী হয়েছো। আমি দোয়া করি, তুমি সংসার জীবনে সুখী হবে।

মহিলার আশীর্বাদমূলক গৃহিনী বলে উৎসাহ দেয়ায় বকুল লজ্জাবোধ করতে লাগল। তবে গৃহিনী না বলে সেবিকা বলে উৎসাহ দিলে হয়তো এত লজ্জাবোধ করতো না। লজ্জায় মাথা নিচু করে বলল, কি যে বলেন খালা!

মহিলা বকুলের মাথায় হাত বুলিয়ে আদরের সুরে বলল, লজ্জা করে লাভ নাই মা, মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছো যেখানেই বিয়ে হোক না কেন তোমার ঘর-সংসার তোমাকেই সামলাতে হবে। সংসারের কাজের মধ্যেই মেয়েদের সুখ।

মহিলার উৎসাহ আর উদ্দীপনায় বকুল যেন আরো উৎসাহবোধ করতে লাগল। রহমতের গোসল কারানো, চামুচ দিয়ে খাবার তুলে খাওয়ানো, মাথায় তেল দেওয়া, হাত পা টিপে দেওয়া ইত্যাদি সকল কাজ নির্দ্বিধায় করতে লাগল। বকুলের সেবায় রহমত অনেকটা সুস্থ্য হয়ে উঠল। বকুলের এহেন কাজ দেখে রানু রহমতের কাছ থেকে একটু একটু করে দূরে সরে যেতে লাগল। মনে মনে ভাবল, বকুল যখন রহমতকে মৃত্যুর হাত থেকে সেবা দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে এলো, তখন সেবার পুরস্কার স্বরুপ রহমত বকুলেরই হয়ে যাক। রহমত সুস্থ্য হলে রানুকে যদি কাছে টানতে চায় রানু রাজী হবে না। দরকার হলে বকুলকে নিজ হাতে রহমতের হাতে হাত মিলিয়ে দিবে। রানু নিজের চোখে বকুলের সেবা দেখে থ হয়ে গেছে। এরকম সেবা রানুর পক্ষে কখনই সম্ভব নয়। পরনের ভিজা লুঙ্গি খুলে উলঙ্গ অবস্থায় শুকনা লুঙ্গি পরিয়ে দেয়া, পায়খানা পেসাব করানো, নোংরা জামা কাপড় নিজ হাতে সাবান দিয়ে ধুয়ে দেয়া এ যেন কোনভাবেই রানুর পক্ষে সম্ভব হবে না।

সেবা দেখে রানু একদিন বকুলকে পাশের রুমে ডেকে নিয়ে বলেই ফেলল, বকুলরে-- তুই যা করলি সেটা আমার পক্ষে কখনই করা সম্ভব হতো না। তোর সেবায় যখন ও সুস্থ্য জীবন ফিরে পেল তখন রহমতকে তোকেই দিয়ে দিলাম। বকুল লাজ্জায় মাথা নত করে রানুর গায়ে ধাক্কা দিয়ে বলল, যাহ হারামজাদী, তোর জিনিষ আমি নিতে যাবো কেন? তোরটা তোরই থাকবে।

প্রথম তিনদিন রানু, মাহিয়া বকুলের সাথে থাকলেও পরের কয়দিন আর এলো না। দুই তিন দিন পর পর একবার এসে শুধু দেখে যায় রহমত কতটুকু সুস্থ্য হয়েছে আর বকুল কিভাবে তার সেবা করছে।

প্রায় এগারো দিন বকুল রহমতের কাছেই থেকে গেল। এর মধ্যে একদিনও ক্যাম্পাসে যায়নি। রহমত অনেকটা সুস্থ্য। এখন হাঁটতে চলতে পারে। তবে সিঁড়ির নিচে নামে না। ঘরের ভিতরেই হাঁটা চলা করে। বকুলের কাছাকাছি সব সময় থাকে। বকুলকে না দেখলে অস্বস্থিবোধ করে। বকুল ক্যাম্পাসে যেতে চাইলেই রহমত অসহায়ের মত বকুলের দিকে কান্না কান্না ভাবে চেয়ে থাকে। দুই চোখ জলে ভরে যায়। রহমতের কান্না ভেজা চোখের জল দেখে বকুল আর যেতে পারে না। বকুলকে না দেখলেই রহমত যেন পাগল হয়ে যায়।

অসুস্থ্য যে কোন লোক ঘনিষ্ঠ লোকজনের সান্নিধ্য আশা করে। রহমতও যেন তাই পেয়েছে। বকুল যেভাবে তার সেবা করেছে এরকম সেবা অনেক স্বামীও তার স্ত্রী থেকে পায় না।

বকুলের এই পরিবর্তনের জন্য পাশের বাসার খালাম্মাই প্রশাংসার দাবীদার। খালাম্মা নিজেও সেবার দিক দিয়ে অদ্বিতীয়াই বলা চলে। আত্মীয় নয় শুধু পড়শি হওয়ার কারণেই তাকে যেভাবে সেবা করেছে, রহমতের মা নিজে থাকলেও এরকম সেবা করতে পারতো কিনা সন্দেহ!

বকুল মনে মনে চিন্তা করে আর এক দিনও এখানে থাকা ঠিক হবে না। রহমতের মায়াভরা মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলে তার লেখা পড়া সিঁকেয় উঠবে। সে এখন সুস্থ্য হয়েছে, এখন দেরি না করে ক্যাম্পাসে চলে যাওয়া দরকার। একজন সমবয়সি অবিবাহিত পুরুষের সাথে থাকা মোটেই উচিৎ হচ্ছে না। হোক না অসুস্থ্য, নিজের তো কেউ নয়। যদি একবার কলঙ্ক রটে যায় তাহলে আর রক্ষা থাকবে না। সতী হয়েও অসতীর খাতায় নাম পড়ে যাবে। বাবা মায়ের মুখে চুনকালি পড়বে।
(চলবে--)
আগের পর্ব পড়ার জন্য নিচে ক্লিক করুন
না বলা প্রেম
ছবিঃ গোগুল

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:০৯

আবু আফিয়া বলেছেন: যতটুকু পড়েছি ভাল লেগেছে, শিক্ষনীয় গল্প, ধন্যবাদ

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৩০

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


গল্প, নাকি উপন্যাস?

কিছু কিছু জায়গায় বাক্য গঠনে সমস্যা আছে; "রহমতের বমি করা নোংরা মহিলাকে ... ।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৩১

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, দুর্বল বাক্যগুলো একসময় ঠিক হয়ে যাবে, এখনও ফাইনাল কারেকশন করা হয় নাই।

৩| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: বকুল কি আয়া না নাস ?
বড্ড অগোছালো লাগলো। বুঝতে বেশ বেগ পেতে হলো।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

শামচুল হক বলেছেন: বকুল নার্স নয় ইউনিভার্সিটির বান্ধবী, আপনি হয়তো আগের পর্ব পড়েন নাই পড়লে বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ

৪| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ২ পর্বে শেষ করার কথা ছিল। যাই হোক এই পর্বে কিছুটা এলোমেলো লাগল।
রহমতের কোন ছেলে বন্ধু নেই কেন?
কোন ডাক্তার আসলো না কেন?
এতটা সিরিয়াস যে নিজের লুঙ্গি বদলাতে পারে না - এটা গল্পে না থাকলেও চলত
বান্ধবী লুঙ্গি পরিয়ে দেয় - এটা অতি নাটকীয়তা
১১ দিন ঢাকার একটা বাসায় ৩ টা মেয়ের আসা যাওয়া ও ১ জনের রাত্রিযাপন বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে
ধন্যবাদ...

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

শামচুল হক বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, গল্পে বাস্তবতার ছোঁয়া থাকে একেবারে বাস্তবতা থাকে না। তাছাড়া বকুলের সেবা করা অবস্থায় যদি ছেলে বন্ধু এখানে আসে তাহলে গল্পের মোড় অন্যদিকে নিবে। যেকারণে ছেলে বন্ধুদের এখানে আনা হয় নাই। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: গল্পের বর্ণনা এতটুকুও বিরক্তি ধরাতে পারেনি ।
দারুন লাগলো । পরের পর্বের অপেক্ষায়

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, মন্তব্য করায় খুশি হলাম। পরের পর্ব তাড়াতাড়িই দিব।

৬| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:০৫

নোয়াখাইল্ল্যা বলেছেন: আমি প্রথম থেকেই আছি...।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

শামচুল হক বলেছেন: আপনি প্রথম থেকেই আছেন জেনে খুব খুশি হলাম, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪০

জগতারন বলেছেন:
ন্যাকড়া দিয়ে ঘর মুছতে মুছতে মহিলা বকুলের নাক সিটকানো দেখে বলল, বকুল, মেয়ে মানুষ হয়ে এত নাক সিটকালে চলবে?
বকুল নাক চিপে ধরেই বলল-- খালা আম্মা, আমি তো কখনও এসব কাজ করি নাই, আমার পক্ষে সম্ভব না।
-- আরে পাগলি যা করো নাই তাই করতে হবে।
স্বামীর ঘরে যেতে হবে না, তখন এর চেয়েও নোংরা জিনিষ নাড়তে হবে।
ঠিক আছে, তোমাকে নোংরা পরিস্কার করতে হবে না, আমাকে আরেক বালতি পানি এনে দাও।


মহিলা বকুলের মাথায় হাত বুলিয়ে আদরের সুরে বলল,
লজ্জা করে লাভ নাই মা, মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছো যেখানেই বিয়ে হোক তোমার ঘর-সংসার তোমাকেই সামলাতে হবে।
সংসারের কাজের মধ্যেই মেয়েদের সুখ।



সাহিত্য উপাদানে ভরপুর!

পড়ছি আর ভালো লাগছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় র'লাম।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:২২

শামচুল হক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনি সব পর্ব পড়ে মন্তব্য করছেন এতে আমি বেশ উৎসাহিত হচ্ছি। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।

৮| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার গল্প। ভাল লেগেছে। শুভ কামনা আপনার জন্য।

০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:২৩

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার ভাই, আপনি গল্প পড়ছেন জেনে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বকুল নার্স নয় ইউনিভার্সিটির বান্ধবী, আপনি হয়তো আগের পর্ব পড়েন নাই পড়লে বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ


আগের পর্ব এখনই পড়ছি।

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর, আপনি আমার লেখা পড়ছেন জেনে খুশি হলাম।

১০| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। তারপর!

০৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

শামচুল হক বলেছেন: পরের পর্ব দেয়া আছে, ধন্যবাদ

১১| ০৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর দেখি সামনে কি হয়।

০৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

শামচুল হক বলেছেন: পরের পর্ব দেয়া আছে, ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.