নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলমই হোক দুর্নীতি দূর করার হাতিয়ার

শামচুল হক

আমি একজন সাধারন লোক

শামচুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যঃ রসগোল্লা ভক্ষণ

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৬

ছবিঃ গোগুল
শামচুল হক

হুকুম আলীর ছোট থেকেই রসগোল্লা খুব পছন্দ। বড় হওয়ার পরও রসগোল্লা দেখলেই তার জিহ্বাটা লক লক করে। স্ত্রীর দেয়া বাজারের পয়সা বাঁচিয়ে হলেও রসগোল্লা খাবে।

একাত্তর সালে যুদ্ধের সময় হঠাৎ জ্বর হলো। জ্বর তাও এই সেই জ্বর নয়, টাইফয়েড জ্বর। যুদ্ধের কারণে ডাক্তার, কবিরাজ বিহীন ঔষধ পথ্য ছাড়াই জ্বর ভালো হলো। বিনে চিকিৎসায় জ্বর ভালো হলো বটে তবে পেট ব্যথায় বড় যন্ত্রনা ভোগ করতে লাগল। দেশ স্বাধীনের পরে অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখালো কিন্তু পেট ব্যথা ভাল হলো না। এমন পেটের ব্যথা, না খেতে পারে না ঘুমাতে পারে। শরীর শুকিয়ে কাঠ, পিঠের হাড্ডিগুলোও গোনা যায়। দুর্বল শরীরে ঠিকমত হাঁটতেও পারে না, মাথা ঘুরে পড়ে যায়।

শারীরিক এই অবস্থায় তার মনে হলো সে আর বাঁচবে না। মরার আগে ভাল-মন্দ কিছু খেয়ে মরা দরকার। মরে গেলে তো আর ঘুরে এসে খাওয়া যাবে না, যা খাওয়া দরকার তা বেঁচে থাকতেই খেতে হবে। তার নেশা অনুযায়ী রসগোল্লা খাওয়ার খুব শখ হলো। বাড়ির লোকজন তার ইচ্ছা অনুযায়ী রসগোল্লা এনে দিল কিন্তু খেয়ে তৃপ্তি মিটল না। আরো রসগোল্লা দরকার, পেট ভরে খাওয়া দরকার। পেট ভরে না খেলে যেন তার রসগোল্লাই খাওয়া হয় না।

সারা দিন গোল্লা গোল্লা করায় হুকুম আলীর বউ কিছুটা বিরক্ত হয়েই বলল, তোমার যদি এতো গোল্লা খাইবার মন চায় তাইলে ঘরে বইসা রইছ ক্যান, ময়রার দোকানে যাইবার পারো না? ময়রার হাঁড়ির উপর বইসা আত্মা ঠান্ডা কইরা খায়া আইসো।

বউয়ের খোঁচা মারা কথা হুকুম আলীর আঁতে লাগল বটে কিন্তু রাগ হলো না। মনে মনে ভাবল বউয়ের কথায় রাগ না করে বরঞ্চ উল্টো কৌশল অবলম্বন করা দরকার। রাগলে রসগোল্লা নাও খাওয়া হতে পারে। বুঝেও না বোঝার ভান করে তার খোঁচা মারা কথাটাকেই সম্মতি স্বরুপ ধরে নিয়ে আনন্দে বিগলিত হয়ে বলল, বউরে, এতদিনে তুই আমার মনের কথাডাই কইছোস। এই কথাডাই কেউ কয় না।

হুকুম আলীর বউ স্বামীর চালাকি বুঝতে না পেরে কিছুটা অবাকই হলো। তার খোটা দিয়ে বলা কথাটাও সে সত্যি হিসেবে ধরে নিল! যে লোক কথায় কথায় খ্যাক খ্যাক করে উঠে, সেই লোক খুশিতে বিগলিত হয়ে স্ত্রীর কথাকে তার মনের কথা হিসাবে ধরে নিল। এহেন পরিবর্তন দেখে স্বামীর প্রতি তার মায়া হলো। কথার খোটা না মেরে সহজভাবে বলল, তোমার ভাব দেইখাই তো কইলাম, হাজার হইলেও তুমি আমার স্বামী না, তোমার মনের কথা কেউ না বুঝলেও আমি তো বুঝি।

এতক্ষণ সে বউয়ের কাছে এমন কথাই আশা করেছিল। রসগোল্লা খাওয়ার অনুমতি পেয়ে মুখটা খুশিতে উজ্বল হয়ে উঠল। যে মানুষ নড়তে চড়তে পারে না সেই মানুষ নিজেই দশ কেজি পাট ঘাড়ে নিয়ে হাটের দিকে দৌড়াতে লাগল।

খুশিতে দৌড়ালে কি হবে সরাসরি হাটে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই, মাঝখানে নদী পার হতে হয়। নদীর পাড়ে গিয়ে তার দৌড়ানো থেমে গেল। হাটবারে খেয়া ঘাটে প্রচন্ড ভির। নৌকা এপারে আসার সাথে সাথেই কার আগে কে নৌকায় উঠবে হুড়াহুড়ি লেগে গেল। হুকুম আলীরও তর সইছে না, অসুস্থ্য শরীর নিয়েই ঠেলে ঠুলে নৌকায় উঠল।

হুড়মুড় করে অতিরিক্ত লোক উঠায় নৌকা তলতল হওয়ার অবস্থা। অন্যান্যদের মত হুকুম আলীও পাট মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ভরা নৌকা একটু কাত হলেই উপচে পানি উঠছে। অতি সাবধানে মাঝি নৌকার লগি ঠেলছে। মাঝি সাবধান হলে কি হবে? লোকজন তো সাবধান হয় না। শত লোকের নড়াচড়ার ঠেলায় মাঝ নদীতেই নৌকা তলিয়ে গেল। সবার সাথে হুকুম আলীও মাথার পাটসহ ডুবে গেল। নৌকা ডুবে যাওয়ায় জান বাঁচানোর জন্য সবাই জিনিষপত্র ফেলে সাঁতরাতে লাগল, কিন্তু হুকুম আলী পানির নিচেও পাটের বোঝা জড়িয়ে ধরে রাখল।

তার চিন্তা হলো পাট ছাড়া তো রসগোল্লা খাওয়া যাবে না-- কাজেই পাট নিয়েই তাকে ভেসে উঠতে হবে। কিন্তু যতই পাট নিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করে ততই পাট পানিতে ভিজে ভারি হয়ে নদীর তলার দিকে যায়। দুর্বল শরীরে পানির নিচে আর কতক্ষণ থাকতে পারে? দম বন্ধ হয়ে মরার অবস্থা। কুলাতে না পেরে ইতোমধ্যে কিছু পানিও খেয়ে ফেলেছে। পাটসহ উপরে উঠতে না পেরে মনে মনে ভাবল, রসগোল্লা খেতে এসে বুঝি জানটাই যায়। জান যায় যায় অবস্থায় পাটে লাথি মেরে উপরে ভেসে উঠে।

হুকুম আলী পানির উপরে ভেসে উঠতেই অন্যান্য নৌকাওয়ালারা টেনে হিঁচড়ে নৌকায় তোলে। হুকুম আলী নৌকায় উঠেই অজ্ঞান। অনেক পরে হুশ হলে হাটের লোকজন ধরাধরি করে বাড়ি পৌছে দিয়ে যায়। নদীর তল থেকে মরতে মরতে বেঁচে আসলেও বাড়ি এসে জান নিয়ে টানাটানি। ব্যাঙের মত ফুলে ফেঁপে ঢোল হওয়া পেট নিয়ে নড়তে চড়তে পারে না। কারণ ভগ্যে রসগোল্লা না জুটলেও নদীর তলায় ঘোলা পানির অভাব হয় নাই। রসগোল্লার সাধ সে নদীর ঘোলা পানিতেই মিটিয়েছে।

তবে নদীর ঘোলা পানি খেয়ে তার ক্ষতি হয় নাই বরঞ্চ লাভই হয়েছে। অতিরিক্ত পানি খাওয়ায় ঐযে পেট ব্যাথা সেরেছে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর ঐ ব্যাথা কখনই ভাসে নাই।
০০০ সমাপ্ত ০০০

(রম্যটি যুদ্ধ পরবর্তী বাস্তব ঘটনা থেকে নেয়া। ঘটনার নায়ক আমার পাশের গ্রামের এক চাচার। চাচা এখনো বেঁচে আছেন। নৌকা ডুবে মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া চাচার আসলেই পেটের ব্যথা ভালো হয়েছিল। কাহিনীকে রসালো করার জন্য আমি শুধু চাচার নাম পরিবর্তন করে রংচং লাগিয়েছি।)

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৪

হাঙ্গামা বলেছেন: :D
নদীর ঘোলা পানিতে ও পেট ব্যথা সারে !! মজা পেলাম।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৭

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, প্রথম মন্তব্য করায় শুভেচ্ছা রইল।

২| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


খুশী হলাম যে, গল্পের নায়ক হুকুম আলী সুস্হ হয়ে গেছে; বাকীটুকুর খবর নেই

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

শামচুল হক বলেছেন: এই তো চাঁদগাজী ভাই বুঝতে পারছেন। ধন্যবাদ

৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

আহারে রসগোল্লা!

যাক! নেশায় বেশ উপকারই হল তবে। পেট ব্যাথা চিরতরে সের গেল :-B
হা হা হা

++++

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০২

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্য করায় খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

আবু আফিয়া বলেছেন: এক কথায় মজা পাইলাম ভাই

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০২

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৫| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৫

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৫

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৬| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমারই এখন রস গোল্লা খেতে ইচ্ছে করছে---

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৬

শামচুল হক বলেছেন: চলে আসেন লিটন ভাই আপনার জন্য গোল্লা রেডি -- -

৭| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার একটা রম্য, শামচুল ভাই। আপনার লেখা পড়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর 'রসগোল্লা' গল্পের কথা মনে পড়ে গেল।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৬

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ চৌধুরী ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

মোছাব্বিরুল হক বলেছেন:
ছবির সাথে কোন মিল নাই। ছবিতে দেখি কোরমা পোলাও আর মাছ। রসগুল্লা গেল কোথায়?

ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৮

শামচুল হক বলেছেন: এখানেই কবি নিরব, টুকটাক লিখতে পারলেও ছবি আঁকতে পারি না। গোগুল মামুর উপর নির্ভর, মামু যা দেয় তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৯| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: মজার গল্প।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০২

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

১০| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৫

সুমন কর বলেছেন: মজার ছিল, ভালো লাগল।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর, মন্তব্য কারায় খুব খুশি হলাম।

১১| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: হাতুড়েরা পেটব্যথায় এই তরীকা প্রয়োগ করলে বহুত ফায়দা হবে। পড়ে মজা পেলাম।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার রাসালো মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাকিমের হুকুম বলে কথা, যেকারনে হুকুম আলি সিদ্ধান্তে অবিচল। আর রসগোল্লার জন্য বেচারা না হয় একটু স্বার্থত্যাগ করলো।

গল্প বেশ উপভোগ করেছি শামচুল ভাই।

অনেক অনেক শুভ কামনা।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ চৌধুরী দা, আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়েও ভালো লেগেছে। আপনার প্রতি শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫০

শহীদ আম্মার বলেছেন: ভাই ভাল করেন নাই। সব রসগোল্লা ঐ হুকুম আলীরে খাওয়াইলেন।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:২৭

শামচুল হক বলেছেন: না ভাই হুকুম আলী রসগোল্লা একটাও খায় নাই, রসগোল্লাহ খাইতে গিয়া রসগোল্লা চুয়ানো নদীর ঘোলা পানি খাইছে। ধন্যবাদ রসালো মন্তব্য করার জন্য।

১৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

এখওয়ানআখী বলেছেন: আরে ভাই, আপনেতো সুন্দর লেখেন। চালিয়ে যান।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৩৫

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম।

১৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১২

মাআইপা বলেছেন: গল্পটা ভাল লেগেছে।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৩৬

শামচুল হক বলেছেন: গল্প ভালো লাগায় অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: রসগোল্লা আমার মোটেও পছন্দ না। এত রস। রসে মাখামাখি।

ভালো লিখেছেন।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

শামচুল হক বলেছেন: রসগোল্লা মানেই রসে চুবানো ছানা যার সাথে অন্য মিষ্টির তুলনাই হয় না। আগে খুব খেতাম এখন খেতে মানা। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

মোছাব্বিরুল হক বলেছেন: এখন বুঝা যায় রসগুল্লা। সত্যি বলছি ভাই খেতে মন চাচ্ছে।
ধন্যবাদ ছবি পরিবর্তনের জন্য।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার কথামতই ছবি পরিবর্তন করেছি। শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লাগছে লেখা ভাইয়া !!!
নেশার অপর নাম জীবন অবস্থা এখানে ।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, কারো মাদকের নেশা, কারো সংসারের নেশা, সবাই নেশার উপরে পৃথিবীতে বেচে আছি।

১৯| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

জাতির বোঝা বলেছেন: ভালো তো।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

২০| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শামচুল হক ভাইয়ের রসগোল্লা,
খাইতে আছে কতো ওল্লা !
টের পাইয়া হক ভাইয়ে
ছিড়ে দিলো তাদের কল্লা ।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

শামচুল হক বলেছেন: হে হে হে আপনিও ছন্দের যাদুকর কম না। ভালো লাগল আপনার ছন্দ মন্তব্য।

২১| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে ভাইয়া।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহে, মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২২| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কাউসার ভাইয়ের মত আমারো সৈয়দ মুজতবা আলীর রসগোল্লা গল্পের কথা মনে পড়ছিল। সুন্দর হয়েছে রম্য সামচুল ভাই।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শামচুল হক বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলীর রসগোল্লার কাহিনী অনেক আগে পড়েছিলাম। সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রত্যেকটা লেখাই মজাদার। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

তারেক ফাহিম বলেছেন: রসগোল্লা নামকরণতো আর এমনি এমনি হয় না।

চমৎকার রম্য, ভালোলাগা।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শামচুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, রসে টসটসা না হলে রসগোল্লা হয় না। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

কলাবাগান১ বলেছেন: আজকাল অনেক বিজ্ঞানীর মতে যত রোগ-শোক তার মূলেই হল আপনার পাকস্হলীর মাঝে থাকা জীবানু (ব্যাক্টেরিয়া) সকল...তাই এখন সুস্হ লোকের 'মল' অসুস্হ লোকের মাঝে প্রতিস্হাপন (ট্রান্সপ্ল্যান্ট) করা হচ্ছে এবং এতে কাজ ও হচ্ছে...
এখানে দেখুন
Fecal Transplant

নদীর পানির ব্যাক্টেরিয়া উনার মাঝে থাকা 'নস্ট' ব্যাক্টেরিয়াকে প্রতিস্হাপন করাতে ই হয়ত উনার ব্যাথা কমে গিয়েছিল..।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

শামচুল হক বলেছেন: আপনি সুন্দর তথ্যমূলক মন্তব্য উপস্থাপন করেছেন। খুবই ভালো লাগল। এই চাচার সাথে গত বছর দেখা হয়েছিল, উনাকে যখন জিজ্ঞেস করলাম আপনার পেটের ব্যথা কি আরো হয়েছিল বলল, ঐ দিনের পর থেকে এই ৪৬ বছরে আর কোন ঐ ব্যথা হয় নাই। আপনার মন্তব্য পড়ে বোঝা গেল নদীর ঘোলা পানি খাওয়ার কারণে তার পেটের ব্যাক্টেরিয়া মারা গেছে, যে কারণে তিনি সুস্থ্য হয়েছেন। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,




ওয়াও.... গাংঙের ঘোলা পানিতে ডাক্তার - বৈদ্য সব ফেল ? :||
এখন পেট ব্যথার রোগীকে কি গাংঙে চুবাইতে হপে ? :P

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

শামচুল হক বলেছেন: আমার ওই চাচাতো গাংঙের জলে চুবান খাইয়াই ভালো হইল, আপনিও দুই চার জনরে চুবায়া দেহেন কি হয়। ধন্যবাদ মুরুব্বী। মন্তব্য করায় খুশি হলাম।

২৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

কলাবাগান১ বলেছেন: @আহমেদ জী এস
সব পেট ব্যাথাতে ই ঘোলা পানি খেলে সেরে যাবে তা নয়....

এটা আমার অনুমান মাত্র...হয়ত বিশেষ কোন ব্যাক্টেরিয়া মুলূত Clostridium difficile দ্বারা পেটের যে প্রদাহ, সেটা কে ভাল করতেই ফিকাল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন খুবই কার্যকরী...এই চাচার Clostridium difficile দ্বারাই ব্যাথা হত তা তো আর জানা নাই....

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

শামচুল হক বলেছেন: যে কোন কারণেই হোক তার পেটের ব্যথা ঐ ঘটনার পর থেকেই ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ পুনরায় মন্তব্য করার জন্য।

২৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মজার গল্প। আমার কিন্তু রসগোল্লা খেতে ইচ্ছা করছে। হাঃ হাঃ হাঃ।


ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৬

শামচুল হক বলেছেন: যে লাউ সেই কদু আপনার লেখায় আছে মধু, আমি শামচুল হক বলে যাই আপনার মন্তবব্যের তুলনা নাই। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

২৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: নদীর পানি খেয়ে পেটের ব‍্যথা ভালো হয়ে যাওয়ার সাধারন এক গল্পকে রসগোল্লার রসে চুবিয়ে অসাধারণ করে তুলেছেন- আপনার লেখায় মুন্সিয়ানা আছে!!

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৮

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

২৯| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪১

জুন বলেছেন: হুকুম আলীর মত আমার একজন পরিচিত আছে যে কিনা রসগোল্লা খেতে আরেক রাজ্যে চলে যেতে পারে শামচুল হক ভাই । গল্পে অনেক ভালোলাগা
+

আপনার পরামর্শ মত নতুন পোস্ট দিয়েছি দেখবেন কিন্ত :)

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:২৪

শামচুল হক বলেছেন: জুন আপা আপনি আমার ব্লগে এসে গল্প পড়েছেন এতে আমি খুব উৎসাহবোধ করছি। আপনার পোষ্টে আমিই প্রথম মন্তব্য করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.