নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলমই হোক দুর্নীতি দূর করার হাতিয়ার

শামচুল হক

আমি একজন সাধারন লোক

শামচুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার জঙ্গলে এক রাত

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৪


(উৎসর্গ ঃ কানাডা প্রবাসী ব্লগার সোহানী এবং সামু পাগলা ০০৭)
শামচুল হক

বিকাল বেলা গুলিস্তান মোরে কানাডা প্রবাসী এক বন্ধুর সাথে দেখা। তার মুখে কানাডার বর্ননা শুনে বড়ই আফসোস করতে লাগলাম। ৯৯ লক্ষ ৮৫ হাজার বর্গ কিলোমিটারের দেশ কানাডা, অথচ জনসংখ্য মাত্র তিন কোটি। প্রতি তিনজনের জন্য প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার জায়গা। খাওয়া, পরা, থাকার কোন অভাব নাই, খালি শান্তি আর শান্তি! আহা! কানাডায় যদি একবার যেতে পারতাম, তাহলে কত শান্তিই না পেতাম।

রাতে শুয়ে শুয়ে কানাডার এসব কথাই ভাবছিলাম। ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়েছি বলতে পারি না। হঠাৎ দেখি ঢাকা এয়ার পোর্টের উত্তর পাশ দিয়ে ঢুকে পড়েছি। উত্তর পাশে কোন দেয়াল দেয়া নাই, সহজেই ঢোকা যায়। জঙ্গল পেরিয়ে কিছুদূর যেতেই রানওয়ে। রানওয়ের একপাশে মাঝারি সাইজের একটি বিমান দাঁড়ানো আছে। বিমানটির দরজা খোলা এবং সিঁড়ি লাগানো আছে। বিমানের ভিতরে কি আছে দেখার জন্য খুব কৌতুহল জাগল। আস্তে আস্তে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম। উপরে উঠতেই দুই তিন জন যাত্রী চিল্লিয়ে উঠল, এই তো প্যাসেঞ্জার এসে পড়েছে, আর চিন্তা নাই, পাইলট সাহেব, এবার বিমান ছাড়েন।

তাদের চিল্লানো দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। এ কেমন বিমানরে বাবা! গুলিস্থান মিরপুরের লোকাল বাসের যাত্রীরাও তো এভাবে চিল্লায় না! বাসের মত বিমানো কি সিটিং সার্ভিস হলো নাকি? পুরো সিট না ভরলে ছাড়া যাবে না, সিট খালি থাকায় পাইলট বিমান আটকিয়ে বসে আছে।

আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই তড়িঘড়ি এসে একজন বিমানবালা আমাকে সাথে নিয়ে মাঝখানের একটি সিটে বসিয়ে দিল। তাড়াহুড়া করে সিটে বসিয়ে দেয়ায় আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। আসে পাশে তাকাতে লাগলাম। আমি যে সিটে বসেছি তার পাশের সিটে আরেকজন ভদ্রলোক বসা। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই, আপনি কোথায় যাবেন?
তিনি সিটে হেলান দিয়ে বসে ছিলেন, আমার কথা শুনে আড়মোড়া দিয়ে সোজা হয়ে বসে বলল, কানাডা। আপনি কোথায় যাবেন?
কানাডার নাম শুনে মনে মনে আনন্দে নেচে উঠলাম, আমিও তো রাতে কানাডা যাওয়ার কথাই ভাবতেছিলাম, সেই সুযোগ যখন পেয়েছি তখন সুযোগ হাত ছাড়া করে লাভ কি? মুখটা উজ্জল করে খুশি হয়ে বললাম, আমিও কানাডা যাবো।
-- কানাডার কোথায় যাবেন?
-- টরেন্টোতে।
-- সেখানে কে থাকে?
-- আমার বন্ধু।
-- তার বাসা চেনেন?
-- না, চিনি না, এই প্রথম যাচ্ছি।
-- ঠিকানা মনে আছে?
-- ঠিকানা জানি না, তবে ওর টেলিফোন নাম্বার আমার মুখস্থ আছে।
-- টেলিফোন নাম্বার মুখস্থ থাকলে কোন সমস্যা হবে না। আর যদি সমস্যা হয় তাহলে আমাকে বলবেন আমি আপনাকে ব্যবস্থা করে দিব।
আমি তাকে ধন্যবাদ দিয়ে বললাম, আপনাকে কিছু করা লাগবে না, ও আমার ছোট কালের বন্ধু, আমার ফোন পেলেই ও তড়িঘড়ি এসে আমাকে নিয়ে যাবে, বলেই সিটে হেলান দিয়ে বসে পড়লাম।

হেলান দিয়ে বসলাম ঠিকই কিন্তু এসির ঠান্ডা বাতাস সরাসরি আমার গায়ে লাগায় খুব ঠান্ডা লাগতেছিল, বিমান বালাকে ডাক দিতেই একটি সুন্দর তুলতুলে কম্বল গায়ে জড়িয়ে দিয়ে গেল। কম্বল গায়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করতেই কখন ঘুমিয়ে পড়েছি আর বলতে পারি না। হঠাৎ কিসের যেন ধাক্কা লেগে ঘুম ভেঙে গেল।

তাকিয়ে দেখি আমাকে প্লেন থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে। ঘন ডালপালাওয়ালা ছোট একটি গাছের উপরে পড়েছি। আর একটু পরেই গাছ থেকে নিচে পড়ে হাত পা ভেঙে গুড়া উঠে যাবো। নিচে পড়ার ভয়ে তাড়াতাড়ি জীবন বাঁচানোর জন্য ডালপালা দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। কিন্তু রক্ষা পেলাম না, জড়িয়ে ধরা অবস্থায় ডালপালা ভেঙে মাটিতে পড়ে গেলাম। তবে সুখের বিষয় হলো মাটিতে পড়লেও ব্যাথা পেলাম না। গাছের ডালপালা জড়িয়ে ধরায় গাছের উপর থেকে নিচে পড়তে পড়তে পড়ার গতি কমে যাওয়ায় চোট পাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছি।

মাটিতে পড়ে আর চোখে দেখি না, একে তো ঘন জঙ্গল তারোপর অন্ধকার রাত। কিছুই চোখে দেখা যায় না। উত্তর-দক্ষিণ পূর্ব-পশ্চিম কোন দিক নিদর্শন করতে পাচ্ছি না। অনুমানের উপর ভিত্তি করে পশ্চিম দিকে হাঁটতে লাগলাম। জঙ্গল ভেঙে ভেঙে কিছুদূর যেতেই উত্তর দক্ষিণ লম্বা একটি রাস্তার মত মনে হলো। রাস্তায় নেমে অন্ধকারে হাত দিয়ে হাতিয়ে দেখি এটা রাস্তা নয়, রেল লাইন। রেল লাইন পেয়ে মনে একটু সাহস হলো। মনে মনে ভাবলাম, রেল লাইন যখন পেয়েছি তাহলে শহর বন্দর পেতে আর অসুবিধা হবে না। রেল লাইন ধরে ধরে হাঁটলে একটা কিছু পাওয়া যাবেই। কিন্তু ঠান্ডা বাতাসে কোঁকড়া লেগে গেলাম। কানাডার ঠান্ডা যে এত কনকনে ঠান্ডা হয় তা আগে জানা ছিল না, জানলে কি আর খালি শার্ট গায়ে কানাডায় আসি? শরীরের মাংস ভেদ করে হাড্ডিতে গিয়ে ঠান্ডা লাগতে ছিল। রক্ত জমে যাওয়ার অবস্থা। চিন্তা করলাম হাত পা ঠান্ডায় অবস হলেও অসুবিধা নাই কিন্তু হৃদপিন্ড চালু রাখা দরকার, হৃদপিন্ড বন্ধ হলে ঠাস করে পড়ে এই জঙ্গলেই মারা যাবো, তখন আর কানাডার সুখ-শান্তি কিছুই চোখে দেখা হবে না। সেই চিন্তা করেই ঠান্ডার ভিতর দুইহাত দিয়ে কান চেপে ধরে কাঁপতে কাঁপতে উত্তর দিকে রওনা হলাম। কিছুদূর যেতেই রেললাইনের পাশে ছোট একটি ঘর চোখে পড়ল। ঘরের সামনে একটি বারান্দাও আছে। মনে হয় কোনও রেলের কর্মচারী এখানে বসে ডিউটি করে। কিন্তু লোকজন কাউকে চোখে পড়ল না। দেয়ালের পাশের টেবিলে দু’টি শীতের জ্যাকেট ভাঁজ করে রাখা। জ্যাকেট দু’টির উপরে একটি কাগজ সাঁটানো আছে, তাতে লেখা, “ফর হেল্পলেস”।

দেয়ালে লেখা কাগজটি পড়ে মনে হলো আমিও তো হেল্পলেস। কাপড়ের অভাবে এই মুহুর্তে আমিও দাঁতে দাঁতে করতাল বাজিয়ে চলেছি। ঠান্ডায় মরে যাওয়ার অবস্থা। কথার সাথে আমার বর্তমান অবস্থার মিল থাকায় দেরি না করে তাড়াতাড়ি একটি জ্যাকেট গায়ে দিয়ে দ্রুত উত্তর দিকে হাঁটতে লাগলাম। ঘুটঘুটে অন্ধকারে রেল লাইন ধরেই হাঁটতেছিলাম। হঠাৎ পিছন থেকে মৃদু আলো জ্বলে উঠল, ভুক করে আলো জ্বলে উঠায় চমকে উঠলাম, কিসের আলো সেটা পরখ করার জন্য পিছনে তাকাতেই দেখি একটি ট্রেন দ্রুত গতিতে এদিকেই আসছে। আর দু’এক মিনিট দেরি করলেই আমাকে পিশে ফেলে আমার উপর দিয়ে চলে যাবে। তাড়াতাড়ি জান বাঁচানোর জন্য রেল লাইন থেকে পশ্চিম দিকে জঙ্গলে লাফিয়ে পড়লাম। লাফিয়ে জঙ্গলে পড়ে ভালোই হলো। মনে হয় একটি রাস্তা পেয়ে গেলাম। দুইপাশে জঙ্গল মাঝখান দিয়ে চিকন রাস্তা। এই রাস্তা ধরেই পশ্চিম দিকে যেই দৌড় দিয়েছি অমনি কিসের সাথে যেন ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে গেলাম। আমি চিৎ হয়ে পড়ে যাওয়ার পরপরই ট্রেন দ্রুত গতিতে চলে গেল। ট্রেন চলে যাওয়ায় এলাকাটি আবার ঘন অন্ধকার হয়ে গেল। অন্ধকারেই খেয়াল করলাম আমার অল্প দূরেই কি যেন নড়ছে আর কিউ কিউ করছে। ভয়ে কেঁপে উঠলাম। জীবন বাঁচানোর জন্য জোরে চিল্লিয়ে উঠলাম, কে-- কে--?
আমার চিল্লানোর পরেই ঐ বস্তু থেকে আওয়াজ এলো, হু আর ইউ?
প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে ‘হু আর ইউ’ শুনে মনে একটু সাহস এলো, যাক বাঁচা গেল বাবা, কোন জন্তু জানোয়ার নয়, ইংরেজি যখন বলেছে তখন মানুষই হবে, কোন জন্তু জানোয়ার তো আর লেখা পড়া জানে না, ওরা ইংরেজি বলবে কি করে?
আমি ভালো ইংরাজী না জানলেও টুকটাক বলতে পারি। এই টুকটাকের জোরেই ডাটে ফাটে বললাম, আই এম এ বাংলাদেশি।
এবার চি চি করে বলল, কাম হেয়ার।
‘কাম হেয়ার’ বুঝতে অসুবিধা হলো না। কাছে গিয়ে দেখি কেউ একজন শীতের কাপড় গায়ে জড়ানো অবস্থায় চিৎ হয়ে পড়ে কোমর ধরে কোকাকোকি করছে।
তাকে ধরে উঠাতেই বলল, তুই আমাকে ধাক্কা দিলি কেন রে?
তার কথা শুনে থতমত খেয়ে গেলাম, ভয়ে ভয়ে বললাম, আমি ধাক্কা দেই নাই দৌড় দিয়েছিলাম।
-- দৌড় দিলি কেন?
-- ট্রেনের তলে পড়া থেকে বাঁচার জন্য।
-- আরে স্টুপিড, আমি তো ঐ ট্রেনের তলে পড়ে মরার জন্যই রেল লাইনের দিকে দৌড় দিয়েছিলাম।
তার কথা শুনে বয়স্ক মহিলার মত মনে হলো। কিন্তু ট্রেনের তলে পড়ে মরতে চাওয়ায় আশ্চার্য হয়ে জিজ্ঞেস বললাম, কেন ট্রেনের তলে পড়ে মরবেন কেন?
মহিলা হতাশ কণ্ঠে বলল, আমার আর বেঁচে থাকার ইচছা নেই।
-- আপনার দুঃখ কিসের?
-- অনেক দুঃখ।
-- আপনার কি ভাত-কাপাড়ের অভাব?
-- না
-- টাকা পয়সার অভাব?
-- না
-- থাকার জায়গার অভাব?
-- না
-- কোন অভাব যদি না থাকে তাহলে ট্রেনের তলে পড়ে মরবেন কেন?
-- আমার মনে কোন সুখ নেই।
-- কেন?
-- আমার সাথে কথা বলার লোক নেই।
-- কেন, আপনার পরিবারে কোন লোক নাই?
-- আছে, তারা কেউ আমার সাথে থাকে না।
-- ছেলে মেয়ে কেউ থাকে না?
-- তারা যার যার মত বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কেটে পড়েছে।
-- ছেলে-মেয়েরা না হয় না থাকলো আপনার স্বামী কোথায় থাকে?
-- আমার স্বামী তো একজন নয় সাত জন ছিল, তারা কেউ আর আমার সাথে থাকে না।
স্বামীর সংখ্যা শুনে আশ্চার্য হয়ে বললাম, সাতজন স্বামী!

সাতজন স্বামীর কথা শুনে আশ্চার্য হওয়ায় বুড়ি রেগে গেল, কিছুটা কর্কশ কণ্ঠেই বলে উঠল, আরে এতে আশ্চার্য হওয়ার কি হলো? আমার তো মাত্র সাতজন স্বামী ছিল, অনেকের তো আরো অনেক বেশি স্বামী আছে।
মনে মনে বললাম, এটা কোন দেশে এলামরে বাবা! সাত জন স্বামী তাও নাকি কম হয়ে গেছে! আরো স্বামী হলে আরো ভালো হতো। কৌতুহল থেকে আবার প্রশ্ন করলাম, আপনার বাচ্চা কাচ্চাগুলো কোন স্বামীর?
আমার প্রশ্ন শুনে ধমক দিয়ে উঠল, তুই একটা আস্ত স্টুপিড, আমি কি শুধু স্বামী নিয়ে বসে ছিলাম নাকি? আমার আরো বন্ধু-বান্ধব ছিল না, তাদের সাথেই তো বেশিরভাগ সময় কাটাতাম। কোন সন্তান কার এটা আমি কি করে বলবো?

বুড়ির কথা শুনে কৌতুহল আরো বেড়ে গেল, জানার জন্য আবার জিজ্ঞেস করলাম, আপনার স্বামী ছাড়া আরও কতজন বন্ধু-বান্ধব ছিল?
বন্ধু বান্ধবের কথা জিজ্ঞেস করতেই বুড়ি খুশি হয়ে বলল, আরে বন্ধু-বান্ধব কতজন ছিল মানে, আমি কি দেখতে কুৎসিত ছিলাম নাকি? আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব ছিল, স্কুল জীবনের বয়োসন্ধি কাল থেকে বুড়ি হওয়ার আগ পর্যন্ত বন্ধু-বান্ধবের অভাব ছিল না, বলেই বুড়ি কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল, কিন্তু দুঃখের বিষয় ওরা কেউ আর আমার খোঁজ খবর নেয় না। সারা দিন বাড়িতে একা থাকতে থাকতে আর ভালো লাগে না, তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি সুইসাইড করবো।

মনে মনে আমার আঞ্চলিক ভাষায় বললাম, হায়রে বুড়িরে-- ভাতের অভাব নাই, কাপড়ের অভাব নাই, ঘরবাড়ির অভাব নাই, স্বামীর অভাব নাই, বন্ধু বান্ধবের অভাব নাই এতসুখে থাকার পরেও আত্মহত্যা করতে রাতের অন্ধকারে রেললাইনে আইছোস। তোর জন্মডা যদি বাংলাদেশের রংপুরের মঙ্গা এলাকায় হইতো তাইলে আর আত্মহত্যা করতিস না। জীবন বাঁচানোর জন্য এক থাল ভাতের ফ্যানের জন্য বাড়ি বাড়ি হততা দিয়া ঘুইরা বেড়াইতিস। এইখানে বেশি সুখে আছোস তো এই জন্য আত্মহত্যা করতে রেল লাইন খুঁইজা বেড়াস।

বুড়ির সাত স্বামী আর অগণিত বন্ধুবান্ধবের কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গেলাম। মনে মনে ভাবলাম, এরা তো জীবনের সব স্বাদ-আল্লাদ আগেই শেষ করেছে। জীবনের কোন আকাঙ্খা অপূর্ণ রাখে নাই। জীবনের সব আশা আকাঙ্খা শেষ করার পর পড়ন্ত জীবনে বেঁচে থাকার ইচ্ছা আর থাকে কি করে? জীবনের সবকিছু অকারণে শেষ করায় মধুহীন দেহে হয়তো আর মৌমাছি ফিরেও তাকায় না। অতীতের হৈ-হুল্লোড় জীবনের কথা মনে হলে বর্তমান একাকীত্ব জীবন অসহায় মনে হয়। কাজেই অসহায়ত্ব থেকেই হয়তো আত্মহত্যার প্রবনতা জেগে উঠেছে।

বুড়ির লাগামহীন জীবনের অফুরান্ত আনন্দের কথা ভেবে ব্যাক্কেলের মত ঝিম ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম। অনেকক্ষণ কোন কথা বললাম না। আমি অনেকক্ষণ কোন কথা বলছি না দেখে বুড়ি বলল, এই-- তুই কোন কথা বলছিস না কেন রে?

আমি বললাম, আপনার অতীত জীবনের সুখের কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।
বুড়ি বলল, আমার অতীত জীবন নিয়ে বাকরুদ্ধ হওয়ার কিছু নাই, এটাই আমাদের পরিবেশ, তুই আমাকে ধরে উঠা, আমি উঠতে পারতেছি না।

বুড়ির কথা শুনে মনে মনে বললাম, বুড়িরে-- আমি যখন তোকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছি তখন তোকে উঠানোর দায়িত্বও আমার। কিন্তু তোর এত এত বন্ধুবান্ধবের কথা শুনে তো ভালো লাগল না। তোর যত বন্ধু বান্ধবের সাথে দৈহিক সম্পর্ক হয়েছে বাংলাদেশের কোন পতিতার ভাগ্যেও মনে হয় এত কাস্টমার জোটে না। তুই কি আসলে ভদ্র ঘরের বউ না গণিকা বাড়ির বউ এটাই তো বুঝতে পারছি না। তোর লাগমহীন যৌন জীবনের কথা শুনে তোর প্রতি ঘৃণা লাগতেছে। বাংলাদেশের হিসাবে তো তোকে ছোঁয়াটাও পাপ। কিন্তু কানাডার পরিবেশ সম্পর্কে যেহেতু আমার কোন ধারনা নাই, তাই হয়তো হতেও পারে অধিক স্বামী আর অধিক বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা মারাও একটা পরিবেশ। কানাডার পরিবেশের কথা ভেবেই বুড়িকে ধরে উঠালাম, বুড়ি দাঁড়ানোর পরে ঠিক মত হাঁটতে পারছে না, কোমরে পচন্ড ব্যথা পেয়েছে। বুড়ির অবস্থা দেখে ঘৃণার মাঝেও মায়া হলো, ধরে ধরে হাঁটাতে লাগলাম। বুড়ি বলল, আমাকে বাড়ি পৌছে দিয়ে আয়, আমি অন্ধকারে একলা একলা যেতে ভয় পাই।
মনে মনে বললাম, হায়রে বুড়িরে, একটু আগেই ট্রেনের তলে পড়ে মরার জন্য এই অন্ধকার দিয়ে দৌড়ে আসলি এখন আর অন্ধকারে হাঁটতে পারোস না, ভয়ে কোঁকড়া লেগে যাস। সুইসাইড করার সময় ভয় লাগে না সুইসাইড না করে ফিরে আসতে ভয় লাগে।

আমি বুড়িকে ধরে ধরে তার বাড়িতে নিয়ে গেলাম। রেল লাইন থেকে বাড়িটি বেশি দূরে নয়, অনেক জায়গা জুড়ে বিশাল বাড়ি। বাড়ির সামনে ফুল বাগান আছে। নিচে গাড়ি রাখার গ্যারেজও আছে। গ্যারেজে একটি চকচকা গাড়িও রাখা আছে। এত কিছু থাকতে বুড়ি কোন আক্কেলে আত্মহত্যা করতে গেছে এটা আমার মাথায় ধরছে না।

(চলবে)

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: প্রথম হইছি, সেহেরি খাওয়ান :D

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪২

শামচুল হক বলেছেন: অসুবিধা নাই চইলা আইসেন গুলিস্থানের তেহারী খাওয়ামু।

২| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কানাডা অ‌নেক ভা‌লো দেশ। থে‌কে গে‌লে পার‌তেন!

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

শামচুল হক বলেছেন: থাকার ইচ্ছা আছে কিন্তু পরে একটা গন্ডগোল হওযায় আর থাকতে পারি নাই। পরের পর্ব পড়লেই বুঝতে পারবেন।

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কানাডা সত্যি এক চমৎকার দেশ,
তবে আমার দেশের চেয়ে ভালো নয়।
কারণ এদেশ আমার আর ও দেশ তাদের।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৮

শামচুল হক বলেছেন: কথা ঠিক বলেছেন নুরু ভাই, বিদেশে আমাদেরকে রিফিউজি মনে করে।

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি এখনো কানাডায়?

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

শামচুল হক বলেছেন: পরের পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি কানাডাতেই আছি। ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভা্ই।

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,



@ চাঁদগাজী : শামচুল হক যদি এখনও কানাডায় না থাকেন তবে গল্প শেষ হবে কি করে ? তিনি তো শেষে ছাপ্পড় মেরে লিখেই দিয়েছেন ...চলবে .... :||
তাকে ওখানে থাকতে দিন যতক্ষন পর্যন্ত না বিছানা থেকে ধপ্পাস করে গুলিস্থানের মোড়ে পড়ে । :P আর গল্পও খতম হয় যেন তখন :#)
"সাদা মনের মানুষ" সেহরী খাওয়াবে এই লোভ দেখিয়ে তাকে ডেকে আনবেন না । বাংলাদেশে আছেটা কী ? :(

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৫

শামচুল হক বলেছেন: আপনাকে কি ওস্তাদ এমনি এমনি কই, কানাডা থেকে ফেরার আগেই আপনি আমার কেসটা প্রায় ধইরা ফালাইছিলেন। ধন্যবাদ না দিয়া আর পারছি না।

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

কানাডা গেলে মানুষ এক প্রকার নিজের শিকড়ই ভুলে যায়; এতো সুন্দর দেশ।
এই যেমন ধরুণ, ব্লগার সোহনী ও সামু পাগলার কাছে ব্লগে কানাডার প্রংশসার গল্প যত পড়েছি
তাদের নিজের দেশের গল্প এতো লিখে নাই ; এমন কী আমার ফেসবুকেও এমন পাবলিক বেশ কয়ডা আছে ...
খালি কানাডার গল্প। ;)
আপনিও কানাডায় থেকে গেলে পারতেন
তখন আপনার কাছেও কানাডার গল্প শুনতাম। ;)

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৪

শামচুল হক বলেছেন: আপনাকে পরের পর্ব পড়ার জন্য অনুরোধ করছি তাহলেই বুঝবেন কানাডা কত সুখের দেশ। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় শামচুল ভাই, কানাডা নিয়ে চমৎকার একটি লেখা। আর গুণী দুজন কানাডা প্রবাসী ব্লগারকে লেখাটি উৎসর্গ করতে দেখে ভাল লাগলো। সোহানী আপা তো আমার মেন্টর, ব্লগে আমার উপদেষ্টা। আপুকে লেখাটি উৎসর্গ করতে দেখে খুব ভাল লাগলো।

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০০

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম। কানাডার ভিতরের পরিবেশ সম্পর্কে খুব একটা জানা ছিল না। সোহানী আর সামুপাগলা০০৭ এই দুইজনের লেখা পড়ে কানাডা সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। এই জন্য দুইজনকেই লেখাটা উৎসর্গ করেছি। শুভ্চেছা রইল।

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: চমৎকার বিনোদন সামচুল ভাই, হাসতে হাসতে সোফা থেকে পড়েই গেছি। আপনি ওই বুড়ির ৮ নম্বর স্বামী হয়ে কানাডাতেই সুখে শান্তিতে বসবাস করেন এই দোয়া রইলো।

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৬

শামচুল হক বলেছেন: দোয়া তো মন্দ করেন নাই, বুড়ির সাত স্বামী থাকতেই কত বন্ধুর সাথে রাত কাটাতো তার হিসাব বলতে পারে না। তার বাচ্চাগুলা স্বামীর না বন্ধুদের এইটাও সে বলতে পারে না, এমন বুড়ির সাথে বিয়ে হলে বুড়ির বদলে আমাকেই রেল লাইনের নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করতে হবে, এই রকম দোয়াও আমার দরকার নাই কানাডায় থাকারও দরকার নাই। রসালো মন্তব্য করার জন্যধন্যবাদ আপনাকে, মন্তব্য পড়ে খুব খুশি হলাম।

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: সামু পাগলা ০০৭কে আপনি জানেন?

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

শামচুল হক বলেছেন: ভাই বিজন রায়, আপনি জেনে শুনেও এরকম প্রশ্ন করলেন? ব্লগে কাউকে জানার জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরতে হয় না, লেখালেখির পাঠক হিসাবেই পরিচয় হয়। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। আপনার সাথে তো আমার চা খাওয়ার কথা।

১০| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ... ধাঁধায় পড়লেন নাকি?

চা খাবেন, তবে ঈদের পর।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৮

শামচুল হক বলেছেন: ঈদের পর হলে ভালই হয় এখন চায়ের দোকান বেশিরভাগ বন্ধ থাকে। ধন্যবাদ পুনরায় মন্তব্য করার জন্য।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ভালোই হচ্ছে! পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায়।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, পড়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লেখা পড়লাম। মন্তব্যগুলোও পড়লাম। দুটো মন্তব্য নিয়ে আমার কিছু বলার আছে। সেটা বলে নেই আগে। অনেককিছু বলতে যাচ্ছি, কিছু মনে করবেন না আশা করি।

ওরা আমাদেরকে রিফিউজি মনে করে।
আপনার দোষ দিচ্ছিনা ভাই, অনেকেরই নানা ভুল ধারণা থাকে। আমি অন্তত দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, ইমিগ্র্যান্টদেরকে ওরা রিফিউজি মনে করেনা। ওরা ছোট থেকেই এত দেশের মানুষের সাথে মেশে যে আমার দেশ আমি রাজা, তোমার দেশ না দূরে থাকো এসব কথা ওদের মাথায় আসেইনা। ওরা ভাবতেও পারে না যে এভাবে ভাবা যায়! ইভেন ওরা এটা বলে যে তোমরা অন্য দেশ থেকে এসে আমাদের দেশকে উন্নত করছ এজন্যে আমরা গ্রেটফুল! আর যারা আসলেই রিফিউজি হিসেবে আসে তাদের দিকেও কানাডিয়ানরা সাহায্যের হাত বাড়িতে দেয়। কানাডিয়ানরা আসলেই বড় মনের!
তবে হ্যাঁ আমি এটা ঠিক, যতোই কানাডিয়ানরা আপন করে নিক না কেন আমাদের প্রবাসীদের মন থেকে এটা যায় না যে এটা আমার নিজের মাটি না। চিনচিনে একটা ব্যাথা, কষ্ট আমাদের দেশের প্রতি আবেগের কারণে তৈরি হয়। সেটার জন্যে কানাডিয়ানরা দায়ী নয়।

কানাডা গেলে মানুষ এক প্রকার নিজের শিকড়ই ভুলে যায়; এতো সুন্দর দেশ। এই যেমন ধরুণ, ব্লগার সোহনী ও সামু পাগলার কাছে ব্লগে কানাডার প্রংশসার গল্প যত পড়েছি, তাদের নিজের দেশের গল্প এতো লিখে নাই
এই কমেন্টটি যদি মজা করেও করা হয়ে থাকে তবুও একজন প্রবাসীর খারাপ লাগার মতো। আমি নিজের কথাই বলি, আমার বেশিরভাগ পর্বে কানাডা নিয়ে যতোটা লেখা থাকে দেশের মফস্বল নিয়েও ততটা লেখা থাকে। কদিন আগে কানাডিয়ান সুপারস্টোর নিয়ে লিখলাম, সেখানে দেশের দোকানপাট, দরদাম সেসবও ছিল। এছাড়াও অন্য সব পর্বেই কানাডায় যা হয় তার বাংলাদেশী ভার্সন নিয়ে আমি বিস্তারে লিখি। তুলনা করি দুটো দেশকে, এবং সেই তুলনায় কখনো দেশের স্মৃতিগুলো ছোট হয়না। বরং আমি বলেছি যে দেশের স্মৃতিগুলোই আমাকে কানাডায় কঠিন সময়ে শক্ত থাকতে সাহায্য করত।
তবে হ্যাঁ এটা বলতে পারেন কানাডা নিয়ে কেন সিরিজ দেশকে নিয়ে নয় কেন? ওয়েল, আপনি প্রবাসী হলে কি স্বাভাবিক ভাবেই নিজের দেশের মানুষকে অন্যরকম এক দেশের গল্প বলতেন না? আমাদের বাংলাদেশের গল্পগুলো তো আমরা জানিই। কানাডায় সবকিছু ভিন্ন বলেই সেগুলোকে মানুষের সামনে তুলে ধরি। যাতে নতুন প্রবাসীদের বা হবু প্রবাসীদের সাহায্য হয়, দেশে থাকার মানুষের জানার পরিধি বাড়ে।
কানাডায় গেলে অনেকে শিকড় ভুলে যায় সেটা যেমন সত্যি এটাও সত্যি যে আমাদের দেশে থাকা অনেক ছেলেমেয়েও নিজের শিকড়কে কখনো স্পর্শ পর্যন্ত করেনি পশ্চিমি কালচারের প্রভাবে, ভোলা তো দূরের ব্যাপার। তেমনি করে প্রবাসী এবং দেশে অনেকেই আছে বাংলাদেশী চিন্তা চেতনা, মূল্যবোধকে আকড়ে রাখে।


বেশ লাগল এ পর্বটি, পরের পর্বের অপেক্ষায়। শেষে কি হয় জানার ইচ্ছে খুব!
ভীষন ভালো থাকবেন।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

শামচুল হক বলেছেন: আসলে এটা একটা রম্য পোষ্ট, পোষ্টে যা কিছু বর্ননা দেয়া আছে তা সামু পাগলা আর সোহানীর লেখা থেকেই মাল মশলা যোগাড় করা। আমার শুধু কল্পনা ছাড়া আর কিছু না। অনেকের বর্ননাতেই পেয়েছি বিদেশে বাঙালিদের হেয় চোখে দেখে, কানাডা যদি সে তুলনায় অনেক ভালো হয় সেটা আমাদের জন্য অনেক ভালো, কারণ বিদেশ গিয়ে কেউ হেয় হোক আমরা এটা চাই না।

আর কেন লেখাটি সোহানী এবং সামু পাগলাকে উৎসর্গ করেছি তা কাওসার চৌধুরীর মন্তব্যে আগেই বর্ননা করা আছে। ধন্যবাদ

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:৩২

কেএসরথি বলেছেন: আহা আমিও যদি এইরকম স্বপ্নে স্বপ্নে দেশ-বিদেশ ঘুরতে পারতাম! তাহলে প্রথমেই ইউরোপ যেতাম!

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৪২

শামচুল হক বলেছেন: হা হা স্বপ্নে স্বপ্নে বিদেশ ঘোরা মন্দ নয়, পয়সা পাতি কিছু লাগে না খালি কল্পনা করা। ধন্যবাদ

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:১২

সোহানী বলেছেন: দুুটি কারনে বিব্রত বোধ করছি। প্রথমত: উৎসর্গ করার মতো যোগ্য আমি নই। খুব সাধারন একজন ব্লগার যার মেধা বা যোগ্যতা খুব সীমিত। আর দ্বিতীয়ত: যে ছবি একেঁছেন একজন কানাডা প্রবাসী হিসেবে এবং একজন কানাডীয় বৃদ্ধের জীবন যাপনের তা নিয়ে অনেক কিছুই বলার আছে, সেটি সত্যিকারের চিত্র নয়।

আপনার লিখার বিষয় বা কিছু ভাবনা নিয়ে সামুপাগলা চমৎকার সন্তব্য করেছে যা আমি পুরোপুরি সমর্থন করি। আমি আরো কিছু যোগ করতে চাই সামুপাগলার সাথে। যেমন আপনি কি জানেন কানাডার অধিবাসীর ৮০% এর উপর অভিবাসী। মূল কানাডিয়ান খুব কমই আছে, যারা এখন কানাডিয়ান হিসেবে বিবেচিত হয় তারা হয়তো ৩ প্রজন্ম বা আরো বেশী প্রজন্ম আগে কানাডায় এসেছে। অামি এ পর্যন্ত মাত্র ৭-৮ জন মূল কানাডিয়ান এর দেখা পেয়েছি বাকি সবাই ই কোন না কোন দেশ থেকে মাইগ্রেট করেছে। এখানে বাংলাদেশ থেকেই বরং অনেক কম মাইগ্রেন্ট, ভারত বিশেষ করে পান্জাব থেকে এবং চায়না বা কোরিয়া থেকে যা এসেছে তা দিয়ে তারা প্রায় নিজস্ব শহর গড়েছে। এবং আমি আমার আরো একটি লিখায় শেয়ার করেছি যে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এনডিপি থেকে নমিনেশান পেয়েছে একজন শিখ। নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে কানাডাই মনে হয় একমাত্র রাস্ট যারা ভিনদেশী একজনকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে নমিনেশান দিচ্ছে যে কিনা শিখ পাগ্রী পড়ে কানাডাকে রিপ্রেজেন্ট করবে। নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন এখানে কখনই রিফিউজি হিসেবে আমাদেরকে ট্রিট করা হয়না কারন আমরাই সংখ্যাগরিষ্ট। অরিজিনাল কানাডিয়ানরাই আসলে সংখ্যালঘু।

আর দেশ নিয়ে লিখা না থাকার যে অভিযোগ করেছেন তা কিন্তু ঠিক নয়। কারন আমার দীর্ঘ ব্লগ জীবনে বেশীরভাগ লিখায়ই দেশ নিয়ে। আপনি আমার আগের লিখাগুলো পড়েননি বিধায় এভাবে বলছেন। আর সামুপাগলার কথা কিন্তু ভিন্ন। ও খুব ছোট, দেশ ছেড়ে যখন কানাডায় এসেছে তখন সে মাত্র স্কুলে পড়ে। দেশের জীবনের কিছুই সে দেখেনি। তারপরও সে সংক্ষিপ্ত জীবনের প্রতি যে মায়া ভালোবাসা মমতা সে দেখাচ্ছে তার প্রতিটি লিখায় তা অবিস্বাশ্য। আমি ও মনে হয় এতোটা আবেগ দেখাতে পারি না দেশ নিয়ে। কারন ও খুব ছোট অবস্থায় দেশ ছেড়েছে বলে দেশের কুটিলতা দেখেনি। কিন্তু অামি প্রতি পদে পদে দেখেছি। তাই তার লিখায় সে শৈশবকে ধরে রেখেছে যা আমি হয়তো বলি না।

সবশেষে গল্পে যে বৃদ্ধার কথা বলেছেন তা আপনি দেশীয় মানসিকতা থেকে বলেছেন। এখানের একটি লিখা বা চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে হলে এখানকার জীবন বা মানসিকতাকে বুঝতে হবে। এ প্রসঙ্গে আমি অন্য সময় ডিটেইলস বলবো তাদের বিয়ে বা সংসার নিয়ে। কিন্তু দেশীয় বা ধর্মীয় ভাবনায় এ বিশ্লেষন মোটেও ঠিক হবে না।

অনেক ভালো থাকেন। অনুসরনে থাকলাম যাতে কবে গুলিস্তানে ফেরত যান তা দেখার জন্য।........... ;)

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

শামচুল হক বলেছেন: এই গল্পে যা কিছু রম্য করে লেখা আছে তার অবদান সোহানী এবং সামু পাগলার। সামু পাগলার বয়স কম এটা আমি জানি, এখনও ইউনিভার্সিটির গন্ডি পার হয়নি। তবে সামু পাগলার আগের লেখা এবং সোহানীর সুইসাইড নিয়ে কানাডার যে বর্ননা পেয়েছি তাই গল্প আকারে রম্য করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। গল্পকে হাস্য রসে পরিণত করতে হলে একটু বাড়তি কথাবার্তা বলতে হয়। এখানে কাউকে হেয় করার জন্য কিছু লেখা হয় নাই। কানাডায় বাঙালিরা সুখে আছে এটা গল্পের শুরুতেই বলা আছে। আবার কানাডা গিয়ে অনেকে কষ্টে আছে এটাও মাঝে মাঝে কানে আসে, তবে কানাডার বাস্তবতা চোখে দেখার সৌভাগ্য হয় নাই। আমার গল্পটার সত্যতা সমগ্র কানাডা বাসির জন্য নয় দু'একজনের জীবন চরিত এরকম হতে পারে সেই কল্পনা থেকেই লেখা। গল্পকাররা বাস্তবতা নিয়ে নয় কল্পনা দিয়েই বেশিরভাগ গল্প লিখে থাকেন। এটাও কল্পনায় লেখা গল্প, উপরে অনেকের মন্তব্যে এটাকে বাস্তব ধরে নিয়েই মন্তব্য করেছে, কল্পনাকে কেউ যদি বাস্তব ধরে নেয় সেটা হয়তো তার বোঝার ভুল অথবা গল্প বর্ননার কারণে এরকম বাস্তব মনে হতে পারে। ধন্যবাদ বোন সোহনী তথ্যমূলক মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

আর কেন লেখাটি সোহানী এবং সামু পাগলাকে উৎসর্গ করেছি তা কাওসার চৌধুরীর মন্তব্যে আগেই বর্ননা করা আছে। ধন্যবাদ

১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার দুই আপুম‌ণির ১০০% বক্তব্য আ‌মি সমর্থন কর‌ছি।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০০

শামচুল হক বলেছেন: তাদের বক্তব্য আমিও সমর্থন করি এতে কোন সন্দেহ নাই। ধন্যবাদ

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই একটা অনুরোধ আপনি কানাডায়'ই থেকে যান।
এই পোড়া দেশে আসার দরকার নাই।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

শামচুল হক বলেছেন: হা হা মন্দ বলেন নাই দেখা যাক থাকতে পারি কিনা। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে হাসতে হাসতে মনটা
ফুরফুরে হয়ে গেল। কয়দিন ভিষন মন
খারাপ ছিল। কারও লেখায় মন্তব্য তেমন
করিনাই।
তবে আপনি বুড়ির দিয়ে শুরু করলেন রম্য
পোষ্ট বুড়া বাদ দিলেন কেন। রম্য করুন
আমাদের দেশের বুড়ো ভামদের নিয়ে।
আমাদের বুড়োভাম গুল যদি পয়সা থাকে
তাহলে কথাই নাই রাঙামাটি কক্সবাজার
গেলেই বুঝবেন শুধু একটু চক্ষু মেলিয়া
দেখে নিবেন বুড়াগুলর গুড়া বান্ধবির ভির।

আজকাল আমাদের দেশের পুরুদের পরোকীয়া
বান্ধবী ছাড়া স্টাইল হয়না। কতজন কত
বান্ধবী যোগার করে তার প্রতিযোগীতা চলে
বন্ধুদের ভিতর তারা এটাকে মহাপুরুষত্ব ভেবে
একই স্টাইলের পুরুষের কাছে জাহেরী করে।

যদিও এর সাথে নারীরাও জড়িত তারাও
একই গোড়ায় মুখ দিয়ে ঘাস খাওয়া নারী।
এসব নারীরা কাজের মেয়ে থেকে শুরু করে
কারো ঘরের অভাবী বউ বা ঘর ভাঙা নারী।
পুরুষের ছলচাতুরীর জালে আটকা পড়ে
নিজেরাও ছলচাতুরী শিখে যায়।

এখন কথা হোল আমাদের মত গরীব দেশেও
একই ভাবে কিছু নারী পুরুষ অনেক বন্ধু
বান্ধবী নিয়ে চলে আবার দুইচারটা বিয়েও
করে। রিক্সা ওয়ালা থেকে উচ্চ স্তর পর্যন্ত।
দেখে থাকবেন হয়তো স্টেশন ফুটপাতে ঘুমানো
শিশু কিশোররা এইসব স্টাইলিস্ট নারী পুরুষের
সন্তান যারা কেউ মাকে চিনলেও বাবাকে
চিনেনা।

আমার ব্লগে নারী পুরুষের ব্যক্তিত্ব নিয়ে
লেখাটা পড়ুন মন্তব্য উত্তর পড়ার অনুরোধ
রইল। আসলে কি জানেন উন্নত দেশ বলুন
আর গরীব দেশ বলুন দৈহিক স্বাধীনতায়
সব দেশেই লাগাম ছারা অবস্থা এর সঠিক
কোনও আইন নীতিমালা নাই। ধন্যবাদ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কানিজ রিনা, আপনি মন্তব্যে দেশের বাস্তবতার অনেক কথাই তুলে ধরেছেন। আমি চেষ্টা করি গল্পের মাধ্যমে সমাজের ত্রুটিগুলি তুলে ধরার জন্য। আপনার মন্তব্য পেয়ে আরো উৎসাহিত হলাম। ব্লগে কয়েকটি গল্প দেয়া আছে আপনি ইচ্ছা করলে পড়ে দেখতে পারেন, গল্পগুলি হলো-- দিপালী, মুচির মেয়ে ছান্ধিয়া, সোহাগী। গল্পগুলি যদিও অসমাপ্ত তারপরেও এদের জীবনের করুণ দুর্দশা কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনার ব্লগের ঠিকানা দিলে মাঝে মাঝে আপনার ব্লগ পড়ে দেখতাম। আপনার মূল্যবান মন্তব্য পেয়ে খুব খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: =p~ =p~ মজা পাইলাম!
আর ঠান্ডায় হৃদপিন্ড চালু রাখতে কান চেপে ধরে রাখতে হয় - এটা জানলাম। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
এই জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

শামচুল হক বলেছেন: মফিজ ভাই, উত্তর বঙ্গে যখন ছিলাম তখন শীতে কুলোতে না পারলে কান চেপে ধরে দৌড়াতাম তাতে কিছুটা আরাম পাওয়া যেত। সেই অভিজ্ঞতাই এখানে তুলে ধরেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

বিজন রয় বলেছেন: পরের পর্ব কি ঈদের পরে দিবেন??

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

শামচুল হক বলেছেন: দাদা বিজন রয়, আপনি আজকেই রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে পরের পর্ব পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ

২০| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

এই কমেন্টটি যদি মজা করেও করা হয়ে থাকে তবুও একজন প্রবাসীর খারাপ লাগার মতো।

রোজা-রমযানের দিন কাউকে কষ্ট দেওয়া ঠিক না। বেশি কষ্ট পেলে মন্তব্য প্রত্যহার করছি সামু পাগলা..০০০৭। :( আমি আপনাদের দুজনকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বলিনি, বরং আমার এক প্রকার কৌতুহল থেকে বলা। অনুভবে দেখাটা এক কথা আর বাস্তবে দেখাটা আরেক কথা। কানাডায় কি এমন আছে? যে সে দেশে এতো প্রসংশা করতে হয়। যেহুতু আমি কোন দিন কানাডায় যাইনি। তাই কৌতুহল থাকাটা স্বভাবিক। আর আমার ফেসবুকে ফেন্ডলিষ্টের অনেক প্রবাসীর পোষ্টে কানাডার প্রংশসা শুনতে শুনতে মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে যাই। আর ব্লগে এসে আপনাদের দুজনের পোষ্ট পড়ে। তবে এখানে আমার বিরক্ত হওয়াতে কিছু আসে যায় না। আপনি লিখবেন। ওখানকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। কেউ কানাডায় গিয়ে যদি হারিয়ে যায়, তাই বাঙ্গালীদের কানাডার অলিগলি চেনার দরকার আছে।যেমনটা আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন। :P

খুব ছোট অবস্থায় দেশ ছেড়েছে বলে দেশের কুটিলতা দেখেনি। কিন্তু অামি প্রতি পদে পদে দেখেছি।

দেশের কুটিলতা কী কী ? যা কিনা আমরা দেশে থেকে দেখতে পাচ্ছিনা। আপনারা প্রবাসীরা দেশের কুটিলতা দেখতে পান আর আমরা
দেখতে পাইনা,কিংবা আপনার কী কী কুটিলতা দেখেছেন সেগুলোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করুণ। :P

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০২

শামচুল হক বলেছেন: ভাই শাহরিয়ার কবীর, কানাডা একটি বিরাট দেশ, ৯৯ লক্ষ ৮৫ হাজার বর্গ মাইল যার আয়তন, অথচ লোকসংখ্যা মাত্র তিন কোটি। সেই দিক দিয়ে এই দেশকে সুখী দেশই বলা চলে, যা আমি গল্পের শুরুতেই বলেছি। বাংলাদেশ থেকে যারা কানাডায় গিয়েছে তারা বাংলাদেশের ঘিঞ্জি পরিবেশ থেকে লোকজন কম খোলামেলা পরিবেশে গিয়ে নিজেকে ধন্যই মনে করছে, শুধু তারা নয় আমি কানাডাতে থাকলেও হয়তো তাই করতাম। এই কারণে মন্তব্যর কিছু কথা হয়তো তারা মেনে নিতে পারছে না। এতে তাদের দোষ দেয়া যাবে না।

কিন্তু অন্যান্য দেশে যারা গেছে তারা যে পদে পদে কত নিগৃহীত হচ্ছে সেটা হয়তো তারা বাস্তবে দেখে নাই বলে বুঝতে পারছে না। অনেকের বর্ননাতে পেয়েছি আমারিকাতেও বাঙালিদের হেয় চোখে দেখা হয়। শুধু তাই নয় পাশের দেশ শ্রী লঙ্কা সেখানেও বাংলাদেশ ও ভারতের লোকদের তারা সুনজরে দেখে না অন্যান্য দেশের কথা না হয় বাদই দিলাম। মালয়শিয়াসহ অনেক দেশেই অনেকে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পেয়েছেন কিন্তু তারপরেও তারা মানসিক দিক দিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ঠ নয়। যে কারণে বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশকেই নিজের দেশ মনে হয় না।

২১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রম্য ভাল লেগেছে ভাইয়া।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মোস্তফা সোহেল, পড়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০১

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: জঙ্গলের রাতকাহিনি ঠিক রম্য বলে মনে হয়নি, র‍াদার গল্পই মনে হয়েছে.......কল্পিত ঘটনাগুলো আর একটু ডিটেইলড হওয়া উচিত ছিল- তাহলে বেশ রিলায়েবল লাগত :-B

বাংলাদেশের হিসাবে তো তোকে ছোঁয়াটাও পাপ
ব্লগার 'সোহানী'র কথাতেই সহমত হয়ে বলতে চাই- দেশীয় মানসিকতা নিয়ে বিদেশীদের বিচার করলে হবে না......কানাডিয়ানরা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আমাদের বিচার করলে কোন প্রবাসীই ওখানে ঠাঁই পেত না- হিজাবী মেয়েদের হিঁচড়াত রাস্তায়, শিখের পাগড়ী দিয়ে ফুটবল খেলত আর চাইনিজদের চ্যাংদোলা দিত!!.......সো আমাদের কনজারভেটিভ মেন্টালিটি দিয়ে ওদের বিচার করাটা একধরনের ধৃষ্টতা........ব্যক্তিগত মতামতে ভিন্নতা থাকবেই কিন্তু মানুষকে ছুঁলেই পাপ হবে- এটা সম্পূর্ণ ন্যারো বা গোঁড়া মেন্টালিটি........শ'খানেক সঙ্গী থাকলে পুরুষ/নারী যদি বহুগামী হয় তবে ৪-৫টা বিয়ে করা পুরুষও বহুগামী- বিবাহিত আরকি /:)

যাই হোক প্রবাসী কাহিনি ভেবে পড়তে এসেছিলাম- ভবিষ্যতে সত্যিকার রাতযাপনের কাহিনিই লিখবেন আশাকরি.......সেটা হয়তো আরো রোমাঞ্চকর হবে........শুভেচ্ছা পোষ্টে :-B

*********************************
তারোপর ‍‍~ তার উপর; আশ্চার্য ~ আশ্চর্য.........আরো ছোটখাট কিছূ ভুল আছে- শুধরে নেবেন.......বানান ভুল চোখে কাঁটার মত বিঁধে আসলে ;)

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

শামচুল হক বলেছেন: বাংলাদেশের হিসাবে তো তোকে ছোঁয়াটাও পাপ। কিন্তু কানাডার পরিবেশ সম্পর্কে যখন আমার ধারনা নাই তখন হয়তো হতেও পারে অধিক স্বামী আর অধিক বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা মারাও একটা পরিবেশ। কানাডার পরিবেশের কথা ভেবেই বুড়িকে ধরে উঠালাম,
আপনার মন্তব্যর বিরোধীতা করবো না, তবে আমার গল্পের পুরো বক্তব্য না দিয়ে শুধু একটি বাক্য তুলে ধরে মন্তব্য করলে তো হবে না, তাতে ভুল বোঝাবুঝি হবে। আমি যেমন বুড়িকে বাংলাদেশের পরিবেশ হিসাবে ছোঁয়াছুয়ির উল্লেখ করেছি পরের লাইনে কানাডার পরিবেশ চিন্তা করে বুড়িকে ধরে টেনে উঠিয়েছি এবং বাড়িও পৌঁছে দিয়েছি। কাজেই আপনার মন্তব্য পুরোপুরি গল্পের সাথে মিল হলো বলে মনে হলো না। তারপরেও আপনাকে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

আপনার ব্লগে গিয়ে কিছুটা হতাশ হয়ে ফিরলাম কারণ আপনি ১বছর ১১মাসে একটি লেখাও পোষ্ট করেন নাই।

২৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শামচুল ভাই, পোষ্টটি পড়ে মজা পেয়েছি। বিশেষ করে বয়ষ্কা মহিলার সঙ্গে আপনার সম্পর্কটি বেশ আনন্দ দিল। তবে সোহানী আপু ও সামু পাগলা ভায়ের আবেগজনিত মন্তব্য দুটি একটি অন্য একটা মত্রা পেয়েছে। যাইহোক সকলের কল্যাণ হোক। আর আপনি দ্যাশ ছেড়ে বিদ্যাশে কীজে খাওয়া দাওয়া করছেন, বড্ড চিন্তা হচ্ছে।

অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় ভাইকে।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

শামচুল হক বলেছেন: পদাতিক দা, পরের পর্বে খাওয়া দাওয়া আছে, রাত ৮টা ৯টার দিকে পরের পর্ব পাবেন। ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য।

২৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: পরের পর্ব কবে? এ পর্বটা ভালোই লাগল, চালিয়ে যান

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০১

শামচুল হক বলেছেন: পরের পর্বটিও আশা করি ভালো লাগবে, পড়ার অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ

২৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

লোনার বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্! সুন্দর হয়েছে লেখাটা - তবে মুসলিম হিসেবে যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা সবচেয়ে আগে উঠে আসার কথা ছিল, স্বাভাবিকভাবেই সেটার উল্লেখ নেই। স্বাভাবিকভাবে এজন্য বললাম যে, সে সম্বন্ধে আমরা সচেতন হলে, আজ হয়তো এই লেখাটা লেখারই কোন প্রয়োজন হতো না! সেটা হচ্ছে মুসলিমদের বিধর্মীদের দেশে settle করাটা হারাম! আমি জানি অনেকেই "রে রে" করে উঠবেন - তবু এটাই সত্য। অনেক দলিল দিতে পারতাম কথাটার, কিন্তু এই ব্লগের অনেকেই হয়তো বলবেন: who cares? তাই শুধু একটা দলিল দিলাম:
view this link

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০২

শামচুল হক বলেছেন: মূল্যবান মন্তব্যর সাথে দলিল দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্প চমৎকার হইছে।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০২

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, শুভেচ্ছা রইল।

২৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: গল্প পড়তে ভাল লেগেছে! বর্ননা সুন্দর হয়েছে।

আপনি আরো কিছুদিন কানাডায় থাকুন, আমাদের দেশটা সম্পর্কে আরো জানান!

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, থাকার ইচ্ছা থাকলেও থাকা যাবে না।

২৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কানাডা না গিয়েও কানাডার গল্প লিখছেন! আপনি নিশ্চয় সাহসীকতা দেখিয়েছেন।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেয়ে মজা!! এত্ত সুন্দর বাড়ি আবার গাড়ি ও !!!
ভাই ও ভাই কয়ডা দিন বেড়াইয়াই আসেন।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

শামচুল হক বলেছেন: বোন রে-- আপনি দোয়া কইরেন শেষে বিপদে না পরি।

৩০| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: এক রাতেই বুড়ি পেলেন।
পরের রাত্রে কী পাবেন তা জানার অপেক্ষায় অাছি।

শিরোনাম কী একই থাকবে দাদা?

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

শামচুল হক বলেছেন: জী ভাই, শিরোনাম প্রায় একই থাকবে শুধু জঙ্গলের জায়গায় রেল স্টেশন হবে। ধন্যবাদ

৩১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৮

জুন বলেছেন: আহারে আপনার মত এমন রেডিমেইড মানে টিকিট পাসপোর্ট ছাড়া দরজা খোলা প্লেনে করে কানাডা যেতে পারলে কি ভালোই না হতো শামচুল হক #:-S
যাক পরের পর্বের অপেক্ষায় দেখি কি হয় আপনার অবস্থা :)
+

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

শামচুল হক বলেছেন: জুন আপা আপনি আর জী এস আহমেদ ভাই, এই দুইজনেই মনে হয় কাহিনী পড়ে সঠিক মন্তব্য করতে পেরেছেন, অন্যরা তো আমাকে কানাডায় থেকে যাওয়ার জন্য খুব রিকোয়েষ্ট করতেছে।

৩২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

সোহানী বলেছেন: শুধু এ পোস্টে মন্তব্য করবো বলে শত ঝামেলার মাঝে ও লগ ইন করলাম।

আমার লিখায় অনুপ্রানিত হয়ে গল্পটি লিখেছেন বলে অশেষ কৃতজ্ঞতা। প্রথমেই আসি আত্মহত্যা নিয়ে। এখানের পরিসংখ্যান বলে টিনএজ বা তরুন এজরাই বেশী আত্মহত্যা করে, বয়স্করা তেমন নয়।

@ শাহরিয়ার কবীর, দুটি বিষয় তুলে এনেছেন.. ১) সবার কানাডার প্রশংসা ২) দেশের কুটিলতা

উত্তর ১: যেহেতু আপনি বা শামচুল হক কানাডায় আসেননি তাই এ বিষয়ে আপনারা আমাদের দৃষ্টিতেই দেখতে হবে। তাই তর্কে গেলাম না। অন্যের চোখে দেখে কোন কিছুর বিচার করা যায় না।

উত্তর ২ : দেশের কুটিলতা বিষয়ে কি কি জানতে চান? আমি আপনার বয়স বা পেশা জানি না তাহলে হয়তো উদাহরন সহ বলতে পারতাম। কারন দেশের এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে আমি কাজ করিনি। তারপরও আমার আগের লিখাগুলো পড়লে কিছুটা অনুমান করতে পারবেন।

এবার আসি শামচুল হক এর উত্তরে: আপনি বলেছেন, "বাংলাদেশ থেকে যারা কানাডায় গিয়েছে তারা বাংলাদেশের ঘিঞ্জি পরিবেশ থেকে লোকজন কম খোলামেলা পরিবেশে গিয়ে নিজেকে ধন্যই মনে করছে, শুধু তারা নয় আমি কানাডাতে থাকলেও হয়তো তাই করতাম।"

আপনাকে সবিনয়ে জানাতে চাই, আপনার এ ধারনা সম্পূর্ন ভুল। কারন কানাডা আমেরিকার মতো ডিবি দেয় না যে রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে পান দোকানওয়ালা এপ্লাই করবে। কানাডায় যারাই এসেছে বাংলাদেশ থেকে তারা অত্যন্ত হাইলি কোয়ালিফাইড। কারন পোস্ট গ্রাজুয়েশান ও আইএলটিএস এ ভালো স্কোর ছাড়া এখানে এপ্লাই করা যায় না। আর আমার মতো যারা পড়তে গেছে তাদের কতটা কোমড় এবং মাথার জোর লাগে তা নিশ্চয় জানা আছে। তবে নিজের কথা না বললেই নয় এ মূহুর্তে, আমি ইউরোপের মোটামুটি সব দেশই ঘুরেছি। আর দেশের ঘিঞ্জি পরিবেশ থেকে কানাডায় যাইনি। আমি দেশের যে স্থানে থাকতাম সেটাকে এ ক্লাসই বলা হয়।

যাহোক, আপনার লিখা থেকে মন্তব্যগুলোই বেশী আহত করেছে। এর চেয়ে বেশী মন্তব্য করতে চাই না।

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

শামচুল হক বলেছেন: পরের পর্ব দেয়ার পরে আপনার মন্তব্যের জবাব দিব।

৩৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: অসাধধারণ হয়েছে। কল্পনার বিস্তার যদি এমনই না হবে, তাহলে আর গল্প লেখা কিসের! তবে শেষে এসে বুড়িকে নিয়ে যে মেসেজটা দিতে চেয়েছেন, সেটার পরিধি বেশি হওয়ায় একটু আরোপিত মনে হলো আমার কাছে।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পদ্মপুকুর, আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে ভালো লাগল, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৩৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

কাইকর বলেছেন: ভাল লাগলো

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ কাইকর, শুভেচ্ছা রইল।

৩৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৭

নিশি মানব বলেছেন: পরের পর্বে আমাকে সাথে রাইখেন।
বেশী কিছুনা একটা সুন্দরী ললনা হলেই খুশী।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

শামচুল হক বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে, আপনে ঘুমের মাঝেই জেগে থাইকেন ডাক দিলেই চলে আসাবেন।

৩৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দারুণ অবিজ্ঞতা, ভালো লাগলো

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

৩৭| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

হাঙ্গামা বলেছেন: বুড়ির সাথে খাতির করেন। সব আপনার ;)

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

শামচুল হক বলেছেন: হে হে হে কথা মন্দ বলেন নাই। কিন্তু বুড়ির সমস্যা আছে, যেখানে তার বিয়ে করা সাত স্বামী থাকতে পারে নাই সেখানে আমি তো কিছু না।

৩৮| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৮

নায়না নাসরিন বলেছেন: হা হা হা ভাইয়া অনেক মজার গল্প :)
হাংগামা ভাইয়ার কথা শুনলে আখেরে ভালো হবে, আট নম্বর :P
ভালোলাগা থাকলো ++++++++
পরের কিস্তি কখন দিবেন ভাইয়া ?

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

শামচুল হক বলেছেন: পরের কিস্তি আজকেই অর্থাৎ ১০-০৬-২০১৮ সন্ধ্যায় দিব যদি বিদ্যুৎ আর নেটওয়ার্ক থাকে।

৩৯| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা পড়ে আপনার কল্পনাশক্তির প্রশংসা করতেই হয়!
১২ ও ১৪ নং মন্তব্যদুটো ভাল লেগেছে।

১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১০

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই, আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব খুশি হলাম। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৪০| ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৫০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


লেখা, মন্তব্য, জবাব সব কিছু পড়েই ভাল লাগল।

বিদেশ এবং প্রবাসীদের সম্পর্কে অনেকেরই ভুল ধারণা আছে।

১. দেশে যেমন অনেকেই ভাল আছে আবার অনেকেই ভাল নেই, কষ্টে আছে। তেমনই বিদেশেও। কেউ ভাল আছে কেউ নেই।

২. যারা ভাল অবস্থানে আছে তারা নিজেদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করে না। যারা একটু খারাপ অবস্থানে আছে তারা মানুষিক কারণে নিজেদেরকে নিজেরাই দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করে।

৩. অনেকেই ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক অবস্থানের কারণে নিজেদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করে। এটা তাদের মানসিক ব্যাপার। এটা দেশের ভিতরেও আছে। একবার আমার এক হিন্দু বন্ধু দুঃখ করে বলেছিল, তারা বাংলাদেশ দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক।

৪. ১২ এবং ১৪ নং মন্তব্য অনেক বিস্তারিত ভাবে এসেছে। আমি পুনরাবৃত্তি করছি না।

৫. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা অভিবাসীদের দেশ। অর্থনৈতিক অবস্থা শক্ত হলে, এবং জ্ঞান বুদ্ধি থাকলেই নেতৃত্ব দিতে পারবেন।

২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

শামচুল হক বলেছেন: আপনার বক্তব্য যথাযথ সত্য। আপনি ঠিক কথাই বলেছেন। দুঃখ কষ্ট সব জায়গাতেই আছে। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.