নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলমই হোক দুর্নীতি দূর করার হাতিয়ার

শামচুল হক

আমি একজন সাধারন লোক

শামচুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্যারালাইসিসের চিকিৎসায় বেহুলার গান

২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪


শামচুল হক

আষাঢ় মাসের শেষে ঢাকা থেকে বাড়ি গিয়েছি। চারিদিকে বন্যার পানি। বাড়ির উঠান আর রাস্তাগুলো শুধু জেগে আছে। সারা দিনের ট্রেন জার্নি এবং গ্রামের এ্যাবড়ো থ্যাবড়ো কাঁচা রাস্তায় রিক্সার ঝাকুনি শেষে সন্ধ্যায় যখন বাড়ি পৌঁছিলাম তখন শরীরটা খুবই ক্লান্ত। তারপরেও বাবা-মা ছোট ভাই-বোনকে অবজ্ঞা করতে পারলাম না। তাদের সাথে সঙ্গ দিতে গিয়ে রাত নয়টা বাজল। মায়ের হাতের রান্না করা ভাত খেয়ে কেবল শুয়েছি। ঘুমে চোখ বুঁজে আসতে না আসতেই কানে ঢোলের শব্দ আসল। ঘুমানোর চেষ্টা করেও ঘুম হলো না। ঢোলের মাতাল করা শব্দে শোয়া থেকে উঠতে বাধ্য হলাম। শব্দ খুব কাছেই মনে হলো। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে বাড়ির সামনের রাস্তায় গেলাম। ঢোলের শব্দ উত্তর দিক থেকে আসছে।

উত্তর পাশের বাড়িটি আমার জ্যাঠার বাড়ি। আমার জ্যাঠা নামাজি মানুষ, তার বাড়িতে ঢোল বাজানোর প্রশ্নই আসে না। ঢোল বাজাতে গেলে ঢুলির বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। জ্যাঠার বাড়িতে ঢোল বাজানো সম্ভব না জেনেও জ্যাঠার বাড়ির সামনের উঠানে গিয়ে দাঁড়ালাম। এবার বুঝতে পারলাম ঢোলের শব্দ জ্যাঠার বাড়িতে নয় জ্যাঠার বাড়ির উত্তর পাশের বাড়িতে। বড়িটি আমারই দূর সম্পর্কের মামার বাড়ি। মামার বাড়িতে কেন ঢোল বাজছে বুঝতে পারলাম না। আমার বুদ্ধি হওয়া পর্যন্ত মামার বাড়িতে কখনই কোন ঢোল বাজতে দেখি নাই। সেই বাড়িতে কেন ঢোল বাজছে বিষয়টি দেখার জন্য পা বাড়ালাম কিন্তু যাওয়া সম্ভব হলো না। দুই বাড়ির মাঝখানের রাস্তা পানিতে তলানো। পানিও কম নয়। এক বুক এক গলা পরিমাণ পানি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ছোট একটা কলাগাছের ভেলা পেলাম। ভেলায় চড়ে পার হয়ে যখন বাড়ির সামনে গেলাম তখন ঢোল করতালের সাথে গানও শুরু হয়েছে।

ভেলা বাড়ির সামনে একটি জিগা গাছের সাথে বেঁধে বাড়ির উঠানে গিয়ে দাঁড়ালাম। উঠানের চারদিকে অনেক লোক গোল হয়ে বসে আছে। মাঝখানে একজনকে চাটাই পেতে দক্ষিণ সিথান করে শুইয়ে রেখেছে। একজন কবিরাজ তাকে ঝাড় ফুঁক করছে। আর একজন মুখে রংচং মেখে জরির জামা পরে, হাতে নতুন একটি গামছা উপর নিচে নাড়িয়ে নড়িয়ে রুগীর চারদিকে নেচে নেচে বেহুলা লক্ষিণদারের বিষহরি পালা গান গাচ্ছে, বাকি তিনজন ঢোল করতাল বাজিয়ে গানের সাথে তাল মিলিয়ে দোহারি করছে।


এসো এসো মাতা বিষহরি গো
আমরা তোমার অসহায় ছেলে গো
এসো এসো জয়ো মাতা বিষহরি গো
এসো এসো এই আসরে গো
জয়ো জয়ো জয়ো মাতা বিষহরি গো

(বহুলা লক্ষিণদারের বিষহরি পালার প্রথমেই যে বন্দনা তারা গেয়েছিল তার দুই একটি লাইন এখনও মনে আছে। উপরের লাইন কয়টি সেই আসরের বিষহরি পালার বন্দনার অংশ।)

ঢাকায় থাকার কারণে অনেক দিন হলো গ্রামের এরকম অনুষ্ঠান দেখা হয় না। উঠানের এক কোনে বসে গান শুনতে ছিলাম। নিরব নিস্তব্ধ রাতের গ্রাম্য পরিবেশে ঢোল করতালের সাথে নেচে নেচে গাওয়া গান শুনতে ভালই লাগছিল। গায়কের কণ্ঠও ভালো। তন্ময় হয়ে শুনছি। প্রায় তিন ঘন্টা গান গাওয়ার পর বিষহরি পালা শেষ পর্যায়ে আসলো। পালা শেষ হতে না হতেই কবিরাজও তার ঝাড় ফুঁক বন্ধ করে হাত গুটিয়ে নিল, সাথে সাথে গান বাজনাও বন্ধ হয়ে গেল।

গান শেষে বাড়ি আসতে চাইলেও আসতে দিল না। গান উপলক্ষে খিচুড়ি রান্না হয়েছে। উঠানে বিছানো খড়ের উপর বসে কলার পাতায় দেয়া খিচুড়ি খেয়ে আসতে হলো।

যে কারণে গানের আসর দেয়া হয়েছে তা শুনে আশ্চার্য হয়ে গেলাম। প্যারালাইসিসের রুগীর সুচিকিৎসার জন্য এই আয়োজন। রুগী আর কেউ নয় আমারই দূর সম্পর্কের মামা। প্রায় ছয়মাস হলো প্যারালাইসিস হয়েছে। উঠতে বসতে পারে না। ডাক্তার কবিরাজ অনেক দেখিয়েছে কিন্তু রোগ ভালো হয় না। সদর হাসপাতালেও কয়েকবার নিয়েছিল, হাসপাতালের ওষুধ পথ্য খাওয়ানোর পরও কোন কাজ হয় নাই। কোন চিকিৎসায় যখন কাজ হচ্ছে না তখন লেখাপড়া না জানা আমার মামাতো ভাইদের কে যে বুদ্ধি দিয়েছে বেহুলার গানের মাধ্যমে এই রোগ ভালো হয়। তাই বেহুলার গানের আয়োজন। সাতদিন বেহুলার গানে গানে ঝাড়তে হবে। এই সাতদিনে কবিরাজকে সাতশ’ টাকা দিতে হবে আর এর সাথে প্রত্যেক দিনই খিচুড়ি রান্না করে উপস্থিত লোকজনকে সিন্নি দিতে হবে।

ঘটনাটি ১৯৯৫ সালের। তখন সাতশ টাকা কম নয়। সেই সময় চালের কেজি ১০/১২টাকা। ডাক্তারের কাছে না নিয়ে এত টাকা খরচ করার জন্য এই বুদ্ধি যে দিয়েছে তার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে বকতে লাগলাম। মামতো ভাইদের বললাম, বেহুলার গান গাইলেই যদি রোগ ভালো হয়, তাহলে সরকারের এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতাল দেয়ার কি দরকার, প্রত্যেক জেলায় জেলায় একটি করে বেহুলা গানের দল তৈরী করলেই তো হয়, তাতে সারা রাত গানও শোনা হলো রুগীর অসুখও ভালো হলো। গান শুনে মানুষও খুশি হলো রুগিও সুস্থ্য হলো। আমার কথা শুনে মামাতো ভাইয়েরা খুশি না হয়ে উল্টো বিরুক্তই হলো। তবে আমি যত বকাবকিই করি না কেন তাদেরকে বেহুলার গানের বিশ্বাস থেকে এক পা নড়াতে পারলাম না। গান পুরো সাতদিনই হলো।

এক নাগারে পুরো সাতদিন গান হলেও মামার কোন উন্নতি হলো না। বেহুলা গানের আগে যেমন ছিল গানের পরেও তেমন অসাড় হয়ে বিছানায় পরে রইল। এর দেড় মাস পরেই মামা মারা গেল।

উন্নত চিকিৎসা না করে বেহুলা গানের মাধ্যমে চিকিৎসার পর মামা মারা গেলেও আমার মামাতো ভাইদের আত্মতৃপ্তি দেখে অবাকই হলাম। তাদের ভাষ্য মতে, সব ধরনের চিকিৎসাই করিয়েছি, আমাদের পক্ষ থেকে চিকিৎসার কোন ত্রুটি করি নাই, বেহুলার গানটাই বাকি ছিল, সেটাও করিয়ে দিয়েছি, বাবা মারা গেলেও এখন আর আমাদের চিকিৎসা নিয়ে কোন আফসোস নাই।

তাদের সান্তনা দেখে আমিও সন্তুষ্ট হতে বাধ্য হলাম। কারণ যারা বেহুলা গানের উপদেশ দিয়েছে তারা মামা মারা যাওয়ার পরে উল্টো দোষারোপ করতো যে বেহুলার গান না দেয়ার জন্য রুগী তাড়াতাড়ি মারা গেছে, গান দিলে অবশ্যই সুস্থ্য হতো এবং এত তাড়াতাড়ি মরতো না। আমার কথা মত যদি সত্যি সত্যি বেহুলার গান বন্ধ হতো তাহলে মামা মারা যাওয়ার পরে সেই দোষের তলে আমিই পড়তাম, এখন মামা মারা গেলেও অন্তত সেই দোষারোপ থেকে রেহাই পেয়েছি। মুর্খ মামাতো ভাইদের কাছে এখানেই অনেকটা শান্তি অনুভব করছি।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
এখনও অনেক জায়গায় চলে কবিরাজী চিকিৎসার নামে এসব নতুন নতুন পানি বাবা,তেল বাবার ভন্ডামী।
বেহুলারর গান গিয়ে প্যারালিসেসের রুগী ভালো হবে এটা বড়ই হাস্যকর বিষয় ছাড়া আর কিছু না।

২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

শামচুল হক বলেছেন: কিন্তু গ্রামের মানুষদের সেটা বুঝাতে পারি নাই। তাদের ধারণা বেহুলার গানের মাধ্যমে প্যারালিসেসের রুগী ভালো হয়। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: গান গেয়ে চিকিৎসা???B:-)


বেহুলার গান-৯,
বিদায়ের কালে রেখে যাই স্বামী ,
আমার ই গাঁথা মালা...

২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

শামচুল হক বলেছেন: বেহুলার অনেক পালা আছে। শুনতে ভালই লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: এখন ও গ্রাম গঞ্জে এমন অনেক কুসংস্কার চালু আছে। এমন ঘটনা চোখে দেখার সৌভাগ্য হয়নি যদিও :P

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৩

শামচুল হক বলেছেন: এরকম ঘটনা অনেক চোখে দেখেছি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

জুন বলেছেন: শামচুল হক এসব কুসংস্কার পৃথিবীর অনেক দরিদ্র দেশেই চালু আছে ।
আপনার মনে আছে কি না জানিনা, হোয়াইট হাউসের শিক্ষানবীশ মনিকা লিউনিস্কি কেলেংকারীতে যখন বিল ক্লিনটনের ইম্পীচমেন্ট হচ্ছিল, তখন দক্ষিন আমেরিকার কোন একটি দেশের আদিবাসীরা এই ভয়ংকর বিপদ থেকে ক্লিন্টনকে উদ্ধার করার জন্য তাঁর ছবিতে জড়িবুটি পেচিয়ে মন্ত্র পড়ে পড়ে পাহাড়ী নদীতে চুবাচ্ছিল :P
বিশ্বাস করবেন তার ফলে ক্লিনটন সেই কেলেংকারী থেকে সরকারী ভাবে মুক্তি পেয়েছিল B-)
সুতরাং যাই বলেন এসবেও কাজ হয় মনে হয় =p~

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৪

শামচুল হক বলেছেন: জী আপা, আপনি ঠিকই বলেছেন, আমি ছোটকাল থেকেই অনেক দেখেছি এবং কিছু কিছু ঘটনা এখনও দাগ কেটে আছে। ক্লিনটনের কাহিনীও পত্রিকায় পড়েছিলাম। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এদেশের অধিকাংশ মানুষ প্রাগৈতিহাসিক যুগে পড়ে আছে। দুঃখজনক।

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৫

শামচুল হক বলেছেন: এখনও অনেকেই এসব বিশ্বাস করে। গ্রামে গেলে এর নজির পাওয়া যায়। ধন্যবাদ কাওসার ভাই।

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

সিগন্যাস বলেছেন: আহা এটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল শামচুল ভাই।আপনি তো দারুণ ভাগ্যবান

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৭

শামচুল হক বলেছেন: ভাগ্যবানই বলতে পারেন, ছোটকালে অনেক ঘটনাই দেখেছি যা সেই সময়ে বিশ্বাস করতাম, এখন সেসব পুরাই কুসংস্কার। ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট টি স্টিকি করা হোক।

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২২

শামচুল হক বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,




যাক বাবা ..... বড় বাঁচা বেঁচেছেন । B:-/

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২১

শামচুল হক বলেছেন: হ ওস্তাদ দোষের তলে থেকে বেঁচেছি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৯| ২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:০৭

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: এ কুসংস্কার আদিতে ছিলো, এখনো বন্ধ হয়নি। মেসির তাবিজ এবং গোল- আধুনিক কালের কুসংস্কারের জলন্ত প্রমান!


https://www.jugantor.com/sports/64329/মেসি-তাবিজ-পরে-খেলার-কারণে-জিতেছে-আর্জেন্টিনা

২৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

শামচুল হক বলেছেন: তাবিজের কারবার শুধু বাংলাদেশ ভারত নয় সারা বিশ্বেই চলে। অথচ এটা কুসংস্কার। ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।

১০| ২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:১১

সিগন্যাস বলেছেন: শুভ সকাল শামচুল ভাই

২৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১১| ২৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই অনন্য অভিজ্ঞতাটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, শামচুল হক
৪ নং মন্তব্যে দেয়া জুন এর চমকপ্রদ তথ্যটা আগে জানা ছিলনা। এ তথ্যের জন্য তাকেও ধন্যবাদ।

২৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই, আপনি মন্তব্য করায় খুব খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ২৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এগুলারে বাইন্ধা পিটানো দরকার!

দৈনিক ইয়ের আলুতে সাইমন জাকারিয়া ইহাদের লইয়া লিখিতেন ! ইহারা যে চিকিচ্ছে করে তাহা জানা ছিল না ! ভাবতাম গানই করে বুঝি !

২৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

শামচুল হক বলেছেন: আমিও তাই জানতাম, সেদিন গানের মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতি দেখে আমিও আশ্চার্য হয়েছি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১৩| ২৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

করুণাধারা বলেছেন: পুরো কাহিনী 4 দুবার পড়লাম। এই আশ্চর্য অভিজ্ঞতা ব্লগে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। এমন কিছু যে হতে পারে, মানুষের অজ্ঞতার কে পুঁজি করে কিভাবে কুসংস্কার বিস্তৃত হয়, তা চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন। খুবই ভালো লাগলো। এমন সত্যিকারের গল্প আরো লিখতে থাকুন।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫০

শামচুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, বেহুলার বিষহরী পালা গান গেয়ে যে প্যারালাইসিসের রুগীর চিকিৎসা করা হয় এটাই আমি জানতাম না, সেই দিনই প্রথম জেনেছি। তবে চিকিৎসা যেমন তেমন গানের আয়োজন মন্দ ছিল না। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ২৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

করুণাধারা বলেছেন: ছবিটা কোথায় পেলেন? এটা কি সেই ঘটনার সময় তোলা?

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫১

শামচুল হক বলেছেন: তখন আমার ক্যামেরা ছিল না যে কারণে ছবি তুলতে পারি নাই। এ ছবিগুলো ইউটিউব থেকে নেয়া। ধন্যবাদ

১৫| ২৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

লিট্রিমিসটিক বলেছেন: শিক্ষা যেখানে অনুপস্থিত; কুসংস্কার সেখানে বিরাজমান। কিন্তু ১৯৯৫ সালের স্মৃতি যে আপনি এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন, লিখায় উল্লেখ না করলে বুঝতেই পারতাম না। শুভ কামনা।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

শামচুল হক বলেছেন: শিক্ষার অভাব থাকার জন্যই তাদেরকে আমি বেহুলার গান থেকে বিরত করতে পারি নাই। আমি যতই বুঝানোর চেষ্টা করেছি ততই তারা আমাকে ভুল বুঝেছে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১৬| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৪৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমি স্কুলে পড়াকালীন এমন কিছু ঘটনা শুনেছি তবে দেখিনি। তবে নিজ চোখে নব্য হুজুরের ঝাড় ফুঁক দেখেছি, ভিডিও করেছি। ঘটনাটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ক্লিনটনের বিষয়টা জানতাম না। বেহুলা লক্ষ্মীন্দর এর পালা গান করা সবাই চিকিৎসা করে না। একদল কবিরাজ আছে যারা গানের সাথে এসব করে। আর শুধুই পালা গান করে এমন গানের দলও আছে। সাইমন জাকারিয়া মূলত এদেশের ঐতিহ্যবাহী এবং বিলুপ্তপ্রায় বিচিত্র লোক সংস্কৃতি নিয়েই কাজ করছেন। কোন অপচিকিৎসা প্রমোট করছেন না।
ধন্যবাদ ।

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

শামচুল হক বলেছেন: আমার বেহুলার পালাকে বিনোদন পালা হিসাবেই জানতাম, সেই দিনই প্রথম দেখতে পেলাম বেহুলার পালা গেয়ে চিকিৎসা করে। ঝাড়-ফুঁক তাবিজ-কবচ সাড়া পৃথিবীতেই আছে। আমেরিকাও এ থেকে বাদ নেই। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এসবই কুসংস্কার। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৭| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের অনেক গ্রামেই এমন সব প্রথা চলে আসছে অযৌক্তিক।
শিক্ষিত হবার পর ও অনেক সময় মনের সান্ত্বনা খোঁজেন এসবে।

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

শামচুল হক বলেছেন: এই সব কুসংস্কার এখনও সমাজ থেকে দূর হয় নাই। তবে অনেক কমেছে। ধন্যবাদ বোন মনিরা সুলতানা। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫১

রাকু হাসান বলেছেন: অদ্ভূত তো !! এখন এইসব চলছে ,ভাবতেই পারছি না । আমি ভেবে নিয়েছিলাম, এত ভয়ংকর কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আসছি কিন্ত না ,আমার ধারণা ভুল । জানানোর জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৩১

শামচুল হক বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.