নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌজন্যতাবোধ এবং ভদ্রতা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬



নিজের একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়েই শুরু করি। মাত্র ব্যাংকে জয়েন করেছি। সে সময়ে ব্যাংকগুলোর যৌথ আয়োজনে একটা আন্তর্জাতিক সেমিনার হচ্ছিল। একদম নতুন এবং জুনিয়র হয়েও কিভাবে কিভাবে ওই আয়োজনের প্রকাশনা বিভাগে কাজ করার সুযোগ হয়ে গেলো। তারই অংশ হিসেবে একদিন একজন প্রাক্তন উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে গেলাম। ওই ভদ্রলোকের কক্ষে ঢোকার পর উনি আমাকে বসতেই বললেন না। পাশে ফাঁকা চেয়ার রেখে আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলে কাজ সেরে চলে আসলাম।

বেশ অবাক লাগলো। একজন আগন্তুক, সে বয়সে বা পদে যত ছোটই হোক না কেন, তাকে বসতে বলার মত সৌজন্যতাটুকু মানুষ কেন দেখাবে না?

আমি জানি এই ঘটনা দিয়ে পুরো সমাজকে বিচার করাটা অর্থহীন। কিন্তু দিনে দিনে আমাদের সৌজন্যতাবোধ কমে যাওয়ার একটা দৃষ্টান্ততো এটা বটেই। আগে পরিচিত-অপরিচিত কারো সাথে দেখা হলে মানুষ সালাম দিতো। এখন ওসবের কোনো বালাই নেই। তার উপর প্রথম দৃষ্টিতেই আমরা এখন মানুষের সামাজিক অবস্থান বিচার করি, তারপর কথা শুরু করি। নিজের থেকে নিচের অবস্থানে হলেই সম্বোধন হয়ে যায় ‘তুমি’, ক্ষেত্রবিশেষে ‘তুই’। সে অপরপক্ষ বয়সে বড় বা ছোট যাই হোক না কেন!

রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী একটা সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছিলেন “অপরিচিতজনকে আপনি বলুন”। বলাবাহুল্য, সেই আন্দোলন হালে পানি পায়নি! সম্বোধন যদি একই হবে, তাহলে আর আমাদের ভাষায় আপনি-তুমি-তুই এর এত স্তর কেন?!! বোধকরি, পৃথিবীর আর কোনো ভাষায় সম্বোধনের এত স্তরভেদ নেই।

এক সন্ধ্যায় বাসার সামনের রাস্তায় দাড়িয়ে আছি, পাশে এক রিকশাচালকের সাথে পথচলতি এক যুবকের তর্কাতর্কি শুরু হয়ে গেল কিছু একটা নিয়ে। যুবক বললো- ওই মিয়া, তুমি দেইখ্যা চালাইতে পারো না? রিকশাওয়ালা বললো- তুমি হুট কইরা রাস্তার মাঝখানে আইসা পড়লা ক্যানে? এই কথা বলার সাথে সাথে যুবক রিকশাচালকের মুখে এক চড় বসিয়ে দিয়ে বললো- তোর কত্তবড় সাহস! তুই আমারে ‘তুমি’ বলিস....

তার মানে বিষয়টা দাঁড়ালো যে, যেহেতু রিকশাচালক সমাজের নিম্নস্তরের মানুষ, তাঁকে যেকোনো পরিস্থিতিতে ‘তুমি’ বলা যাবে, ‘তুই’ বলা যাবে, কিন্তু প্রতিবাদে সে কাউকে ‘তুমি’ বলতে পারবে না।

হযরত আলী রা. বলেছেন Courtesy costs nothing, but buys everything. কিন্তু বিনা খরচের কাজটা করতে আমরা দিনকে দিন কৃপণ হয়ে যাচ্ছি। এই কিছুদিন আগেও বাসে মানুষজন বয়ষ্ক মানুষ দেখলে সিট ছেড়ে দিতো, এখন সেই ভদ্রতাটুকুও কেউ দেখাচ্ছে না। আমাদের জন্য এখনকার সময়ে সবচে কষ্টকর আর কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভদ্রতা ও সৌজন্যতা দেখানো।

এই সৌজন্যতা এবং ভদ্রতাবোধ কমে যাওয়ার সাথে সাথে সামানুপাতিক হারে আমাদের মধ্যে অশিষ্ট আচরণ করার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। ঘরে বাইরে সবখানেই। বাইরের দেশে গেলে বাংলাদেশীদের আচরণ দেখলে অনেক সময় খুব লজ্জায় পড়তে হয়। আমাদের প্রতিবেশি ভারতীয়রা মোটামুটিভাবে বিশ্বে স্বার্থপর হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছে। কদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে বলেছিলেন। কিন্তু আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে করে খুব শীঘ্রই আমরা বিশ্বে অভদ্র জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবো।

আমার মনে হয়, এই যে ক্রমেই আমরা স্বার্থপর, সৌজন্যতাবোধহীন হয়ে যাচ্ছি, এর একটা বড় কারণ হলো, আমরা নিজেরা নিজেদেরকে সম্মান করি না, করতে শিখি না। যেহেতু নিজেকে সম্মান করতে শিখি না, তাই অন্য কাউকেও সম্মান করতে পারি না। আমাদের সব কিছুতেই বিতর্ক। আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক হয়, আমাদের নেতা নেত্রীরা অসম্মানিত হন, গুরুজন-শিক্ষকেরা হন অপদস্ত। আর এ কারণে অন্যরাও আমাদেরকে একই দৃষ্টিতে দেখে। বিভিন্ন দেশের ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশি সবুজ পাসপোর্টকে এখন এলিমিনেট করে আলাদা লাইনে পাঠানো হয়।

মহান দার্শনিক কনফুসিয়াস বলেছেন- Respect yourself and Others will respect you. কিন্তু শিশুদের যৌনশিক্ষায় শিক্ষিত করা নিয়ে আমাদের যত মাতামাতি, যত আগ্রহ, তার কিঞ্চিত পরিমাণ কি আমরা ওদেরকে ভদ্রতা, সৌজন্যতা বা আত্মসম্মানবোধ শেখাতে দেখাচ্ছি? দিনের পর দিন এ প্লাস পাওয়ার দৌঁড়ে কখন যে সে নরম কাদামাটি থেকে বদলে রূঢ় শক্ত পাথর হয়ে যাচ্ছে আমরা বুঝতেই পারছি না অথবা বুঝতেই চাচ্ছি না? আমাদের এই না বুঝতে পারা বা না বুঝতে চাওয়ার দোলাচলে পড়ে কেবলি এ প্লাসের পেছনে ছুটতে ছুটতে ছেলেমেয়েরা জানছেই না যে নিজেকে সম্মান করতে শেখা কতটা জরুরী।

আমরা নিজেরা কি বুঝছি তা? মনে তো হয় না। আর এ কারণে এমন এক প্রজন্ম আমরা গড়ে তুলছি, যারা ভদ্রতার বদলে স্বার্থপরতা, সৌজন্যতার বদলে অভব্যতা নিয়ে চরম অস্থিরভাবে বড় হচ্ছে এবং এর প্রভাব পড়ছে সমাজের বাকিদের উপরেও। রাস্তায় বের হলেই তার প্রমাণ দেখতে পাবেন। সবাই অস্থির, চরম ব্যস্ত। গাড়ি এক সেকেন্ড বেশি দাড়ালো তো পেছন থেকে অনবরত হর্নের আওয়াজ, লাইনে একটু বেশি সময় লাগলো তো শুরু হয়ে গেলো হট্টগোল, চলতি পথে কারো সাথে একটু ধাক্কা লাগলো তো নির্ঘাৎ তর্কাতর্কি শুরু। হাতাহাতি হয়ে খুনোখুনিও হয়ে যেতে পারে। আমরা এখ আর কেউ হারতে রাজি নই।

আমি আমার আগের পোস্টে লিখেছিলাম যে এ মাসের শুরুর দিকে ভারতের বিভিন্ন যায়গায় যেতে হয়েছিলো। তারই অংশ হিসেবে বেশ ক’দিন তামিলনাড়–তে ছিলাম। ওখানকার লোকজনের আকৃতি বেশ বড়সড়, হৃদয়ও একইরকম বড়। আমি যে কদিন ওখানে ছিলাম, একদিনও রাস্তাঘাটে বা দোকানে-বাজারে কাউকেই জোরে কথা বলতে শুনিনি। কোনো হট্টগোল বা তর্কাতর্কি শুনিনি।

শুনেছি জাপানে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার প্রথম পর্যায়ে শুধুমাত্র ভদ্রতা এবং সৌজন্যতাবোধই শেখানো হয়। যার রেশ থাকে জীবনের শেষ পর্যন্ত। জাপানিজদের ভদ্রতা এবং সৌজন্যতাবোধ প্রবাদতূল্য। ব্লগের প্রথম দিকে ‘রুখসানা তাজীন’ নামে জাপানপ্রবাসী একজন ব্লগার জাপানিজদের সততা, সৌজন্যতা, জীবনাচারণ নিয়ে প্রচুর লিখতেন।

আবার শুরুতে ফিরে আসি। নিত্যদিনের চলাফেরায় অসৌজন্যতার এমন অনেক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় যে মাঝে মধ্যে নিজেকে খুবই অসহায় মনে হয়। শুধু আমি নই, আমরা যারা ব্লগে আছি বা নেই, অনেকেরই একইরকম অভিজ্ঞতা হয় নিশ্চয়। কিন্তু এই অতি সাধারণ সৌজন্যতাবোধ কেনো আমাদের ভেতর থেকে দুরীভূত হয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় এখন যেমন অনেক দেশেই আমরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছি, ভবিষ্যতে এর পরিধি আরো বেড়ে যাবে। দেখার কথা, এ বিষয়ে আমরা সঠিকভাবে কিছু ভাবছি কি?

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার বিষয়ের উপস্থাপনা।
ভাল লাগল, ধন্যবাদ।।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

হাফ হাতা শার্ট বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে লিখেছেন।ভাল লেগেছে লেখাটা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, যখনই কোনো ব্লগার কোনো পোস্ট দেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেই পোস্ট করেন।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

রাকু হাসান বলেছেন:

খুব ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন । দুঃখজনক হলেও এগুলো খারাপ লাগা দেয় । সৌজন্যবোধ তো অবশ্যই কমে গেছে,যাচ্ছে । জুনিয়র হিসাবেও বসতে বলাটা সমীচীন ছিল বলে মনে হয় । হয়ত উনার মাথায় বিষয়টা ছিল না ।
অপরিচিত জনদের আপনি বলাটা উত্তম মনে হয় । রিক্সসা ওয়ালার ব্যাপারটা খারাপ লাগা দিল । আমরা নৈতিক দিক দিয়ে আরও নিচে যাচ্ছি । এই টপিকটা নিয়ে অনেক কথা । এসবের কাজটা পরিবারে ঠিক ভাবে হচ্ছে না । হুমকি স্বরুপ ...।
অনেক দিনপর আপনার পোস্ট পেয়ে ভালো লাগছে ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বিস্তৃত মন্তব্যর জন্য। এখানে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাটা চলে এসেছে প্রসঙ্গক্রমে। ওইটা মেজর না। মূল কথা হলো, আমাদের মধ্যকার সৌজন্যতাবোধ, ভদ্রতাবোধ ক্রমেই লোপ পাচ্ছে। তা শহর-গ্রাম-মফস্বল-রাজধানী, সবখানে। এটা খুবই আশংকাজনক।

মানুষের সাথে সুন্দর করে কথা বলা, সুন্দর আচরণ করা, এগুলোতে কোনো খরচ নেই, কিন্তু আমরা সেটাই এড়িয়ে যাচ্ছি । এমন না যে আমি নিজে এ রকম করি না, হয়তো ক্ষেত্রবিশেষে আমার মধ্যেও এই চরিত্রের সংক্রমণ হয়, তবুও আমি নিজে এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করি। খারাপ লাগে।

আর আমার একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে ব্যক্তিগত ও অফিসকেন্দ্রিক। ১১ তারিখে আবার দেশের বাইরে যেতে হবে ১০ দিনের জন্য। তাই সবকিছু গুছিয়ে যেতে হচ্ছে। এ কারণে ব্লগের লেখায় মন দিতে পারছি কম। তবে আমার পোস্ট আসছে না, এই বিষয়টা কেউ নোটিশ করেছে জেনে বেশ গর্ব গর্ব লাগছে। :-B

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১১

শেখ মফিজ বলেছেন: একজন নামী লোকের সুপারিশ নিয়ে
এক কোম্পানীর এম ডি(মালিক নন) সাহেবের সাথে
দেখা করতে গেলাম । দারোয়ান কক্ষ দেখিয়ে দিলো ।
দেখলাম কক্ষের ভিতর অনেক মানুষ টেবিল ঘিরে উচ্চস্বরে
কথাবার্তা বলছে । আমি ঢ়ুকলাম, খালি একটা চেয়ারে বসলাম ।
দীর্ঘক্ষন পর যখন তিনি ফ্রি হলেন , আমি আমার উদ্দেশ্য
বললাম । হঠাৎ তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন । কে তোকে
ঢ়ুকতে দিয়েছে ।
আমি বিনয়ের সাথে বললাম ভূল হয়েছে । চলে যাচ্ছি ।
অপমানিত বোধ নিয়ে চলে আসলাম । তা আজ থেকে
প্রায় ৩০ বছর আগের কথা । প্রতিষ্ঠানটি ছিল একটি
বহুজাতিক কোম্পানীর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান । পরবর্তী কযেক বছর পরে
তা বিক্রি হয়ে যায় ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: ৩০ বছর আগেকার সেই চরিত্র এখন ডালপালা মেলে পদস্থ লোকেদের পর্যায় থেকে বের হয়ে সাধারণ মানুষে ছড়িয়ে পড়েছে। ডেঙ্গি থেকেও কঠিন ভাইরাস এ্টা।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

ওমেরা বলেছেন: খুব ভাল বিষয়ে নিয়ে লিখা খুব ভাল লাগল। সৌজন্যবোধ ও ভদ্রতা এটা প্রথমত এটা পরিবার থেকেই পায় এর পর শিক্ষ্যাপ্রতিষ্টানের অবদানও কম নয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দু যায়গাতেই আমরা ব্যর্থ হচ্ছি এই শিক্ষা দিতে। বিপরীতে দেখবেন- অনেক গার্জিয়ান এখন ছেলে মেয়েদের বলেন তোরে গালি দিলো আর তুই কি করলি? দুইটা ঘূষি দিতে পারলি না?

আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লাগলো।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সৌজন্যতা শিশুরা শেখে বড়দের কাছে থেকে।কিন্তু আমাদের সমাজে বড়রা কি ছোটদের সৌজন্যতার শিক্ষা আলাদা করে কখনও দেন?
আমাদের স্কুল গুলোতেও তো মনে হয় না কোন শিক্ষক আজকাল সৌজন্যতার শিক্ষা দেন।
সামনে হয়তো আরও ভয়াভয়ো দিন আসছে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আমাদের পরিবার এবং শিক্ষকরা আজকাল আর সৌজন্যতা শিক্ষা দিতে সময় পাচ্ছেন না। অবশ্য সমাজের সবদিকে যেমন ক্ষয়িঞ্চু নৈতিকতার জোয়ার, শিক্ষকদের কি ঠ্যাকা পড়েছে ছেলেমেয়েদের এ সব শেখানোর!

ধন্যবাদ স্যার, সুন্দর মন্তব্যর জন্য।

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আরো কঠিন সময় সামনে আসছে। আল্ট্রা ধনী এক জমিদার গ্রুপ তৈরী হয়েছে এই দেশে। শুধু খারাপ ব্যবহার নয়, তাদের নির্যাতনের জন্য তৈরী করুন নিজেকে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: এটা ঠিক, সামনে আরো কঠিন সময় আসছে। সামাজিক প্রেক্ষাপটে মানুষের মধ্যে এক ধরণের অসম প্রতিযোগিতা তৈরী হয়েছে। সবাই সর্বোচ্চ ধনী হতে চায়। আর আমি কেনো অন্যের মত ধনী হতে পারলাম না, সেই হিংসে কাজ করে সবার মনে। এই প্রপঞ্চ কোথায় নিয়ে আমাদের ঠেকাবে কে জানে।

৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

সাাজ্জাাদ বলেছেন: আমার ছেলে গ্রেড-২ তে পড়ে। দুবাই এর একটা স্কুলে।
গতকাল পড়াতে গিয়ে দেখেছি ওদের ম্যানারস নিয়ে একটা সাবজেক্ট আছে
আর এই রিলেটেড একটা প্রজেক্টও দিয়েছে করার জন্য।
মানে শুধু পড়লেই হবে না, রীতিমত মাথার ভিতর ডুকিয়ে দেয়া হচ্ছে ম্যানারস।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: এটাই তো বলতে চাচ্ছি সাজ্জাদ ভাই। আমাদের ও রকম কোনো শিক্ষা এখন আর নেই। আমরা ছোটবেলায় পড়েছি- সন্ধ্যা হলো, হাতমুখ ধোও, পড়তে বসো, দাদিকে ওষধ দাও... এই যে সন্ধ্যা হলে পড়তে বসতে হবে'র মত শিক্ষা কিন্তু সারাজীবনের জন্য মনে গেঁথে যায়, এখন কি পড়ায় জানি না।

১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
শিক্ষিতজনরা যখন এগুলোর বাস্তবায়নে মূর্খদের ছেড়ে যায়! তখন পাব্লিকের অবস্থা কেমন হতে পারে!

ভাল লাগলো! উপকারী পোস্ট।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। আমরা পাব্লিকরা সর্বংসহা। সব মেনে নিই।

১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। সহমত।

আজকাল বাসে পা'য়ে পা দিয়ে কিংবা জোড়ে ধাক্কা দিয়ে সরি বলে না !! আর গুরুজনের প্রতি সম্মান, সেটা কবে বিলিন হয়ে গেছে........

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: অথচ মুখে একটু স্যরি বললে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম মনে হয়। ব্যস্ততা যাচ্ছে কিছু নিয়ে?

১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ গুলো দিনদিন অমানবিক হয়ে পড়ছে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষগুলোও কেমন যেন রুক্ষ্ম হয়ে পড়ছে।

১৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দারুন সময়োপযোগী একটি পোস্ট। জাতি হিসেবে সৌজন্যতাবোধে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি। আমরা মানুষকে সম্মান করি তার অর্থ বিত্ত, পেশি শক্তি আর জাত পাত দিয়ে। ছোট চাকরী, বড় চাকরি দিয়েও বিচার করি। আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করি না। জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে আমাদের পিছিয়ে পড়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে 'ব্যবহার' অন্যতম একটা কারণ।

অথচ, 'ধন্যবাদ', 'আপনি', 'স্যরি' শব্দগুলো আমরা সবার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে শিখলে মানুষ হিসেবে বিশ্ব দরবারে আরো সম্মান পেতাম। আমি চেষ্টা করি এসব কার্টেসি ফলো করতে। মানুষকে তার গুণ দিয়ে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত। রিক্সার ড্রাইভারদের পারতপক্ষে 'তুমি' বলি না। এমনকি আমার গাড়ির ড্রাইভার বয়সে আমার চেয়ে ছোট হওয়ার পরও তাঁকে 'আপনি' বলে সম্বোধন করি।

শুভ রাত্রি, প্রিয় ভাই।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার, আপনি সবসময়ে পুরো পোস্ট পড়ে বড়সড় মন্তব্য করেন। আপনার মত আরো কয়েকজন আছেন, ধন্যবাদ আপনাদের প্রাপ্য। এই যে আপনি, খাইরুল আহসান, মলাসইলমুইনা (বাপ্রে, নামটা মনে করে লিখতে গিয়ে মাথা এবং হাত দুটোই ব্যথা হয়ে গেছে!!), পদাতিক চৌধুরী বা আরো অনেকে সবার পোস্টে সুন্দর এবং রিলেভেন্ট মন্তব্য করেন, এটাও সৌজন্যতারই অংশ। এতে করে আপনাদের কোনো ক্ষতি হয়না, বরঞ্চ ব্লগের সবাই আপনাদের পছন্দ করে, মনে রাখে।

এই যে প্রাপ্তি, হযরত আলী এটাই বলেছেন- কার্টেসি কস্টস নাথিং বাট বায়িজ এভরিথিং। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হলো এই যে আমরা জাতী হিসেবেই এই শিক্ষাটা ভুলে যাচ্ছি। যেমনটা আপনি বলেছেন, এখন সৌজন্যতা-ভদ্রতাও ক্লাসিফেকেশনের ফ্যাকড়ায় পড়ে গেছে।

শুনে ভালো লাগলো যে আপনি রিকশাচাকলকেও আপনি বলতে চেষ্টা করেন। আমি নিজেও বলি। ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: পারিবারিক শিক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গাণিতিক হারে কমে যাচ্ছে । সবার আগে পরিবার । কিন্তুু পরিবারে সবাই মিলে যখন ডিলবার ডিলবার গানটা শুনছি বা দেখছি তখন খিয়ালিই থাকে না পাশে বসা খোকা বা খোকিমণির মানসিক চিন্তা কেমন বাড়ছে । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বেহাল দশা তো এখন সবার জানা , ইংলিশ শিক্ষক যখন ক্লাসে হাতে গোলাপ নিয়ে হাটু গেরে বসে ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় তখন বুঝায় যায় ছাত্রীর কপালে সামনে এ+ আছে । সৌজন্যবোধ ও ভদ্রতা এখন নেই বললেই চলে । বাস্তব প্রামন্য কথা তুলে ধরেছেন । ভালো লাগলো ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এই মহামারী থেকে বের হতে হলে ইন্ডিভিজুয়ালী প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই যে আমি, এখানে একটা পোস্ট দিয়েই দায়িত্ব শেষ মনে করছি। সবাই কেবলি কথাই বলছি। দায়িত্বটা পালন করছি না।
কিভাবে পরিবারের সবাই মিলে আপনার উল্লিখিত গানটি দর্শন করে বলেন? শুধু ওটা কেনো, এখন বাংলাদেশের গানও কি ওই পর্যায়েই চলে যায়নি? সেটাওতো একসঙ্গে দেখতে আমাদের বোধ-এ বাধছে না।

১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দিন দিন আমরা সবাই কেমন অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছি , সোসাল মিডিয়ায় নিরাপদ দূরত্বে বসে যা ইচ্ছা তাই বলতে পারার সুবিধা বাস্তবে ও প্রতিফলিত হচ্ছে। আর প্রাপ্য সম্মান দিতে না শেখার তো আমাদের ঐতিহ্য ই আছে :(

সাধারণ দুঃখিত , ধন্যবাদ এ শব্দগুলো সাধারণ হলে ও ওজনে অনেক বেশি।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ইচ্ছে তাই বলতে পারার সুবিধা বাস্তবেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এই তো গত মাসেই এক পাবিলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলে বসলেন- তিনি সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহাকে জীবনে একবার হলেও পেটাতে চান!!!!

কি সাংঘাতিক কথা, একজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর একজন হলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। অথচ অবলীলায় জনসমক্ষে এ রকম কথা বলে ফেললেন!

১৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: এই জিনিসগুলো পারিবারিক মূল্যবোধের কোর বিষয়। যে পরিবারে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে, সে পরিবারের লোকজনের মাঝে এইগুলো অাশা করা বৃথা। তবে সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশের বেশির ভাগ পরিবারেই এই মূল্যবোধের চর্চা এখন নিম্নগামী হয়ে পড়েছে নানা কারণে। ফলেই বাড়ছে এগুলোর নেতিবাচক প্রকোপ নানা অাঙ্গিকে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: তবে সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশের বেশির ভাগ পরিবারেই এই মূল্যবোধের চর্চা এখন নিম্নগামী হয়ে পড়েছে নানা কারণে। ফলেই বাড়ছে এগুলোর নেতিবাচক প্রকোপ নানা অাঙ্গিকে।

এটাই আসলে লেখার মুলকথা। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: বাস্তব ঘটনার উপস্থাপনা করেছেন।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, ধন্যবাদ।
পড়ে গেলাম, পরে আসবো।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার।

১৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জাপানী ভাষায় নাকি আপনি, তুমির নানান রকম ফের আছে প্রায় ১২ টির মতো।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি জানি না। তবে যদি হয়েও থাকে তবে সেখানে নিশ্চয় সৌজন্যতার পারদ আরো বেশি চড়ানোর জন্যই করা হয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস। আমাদের মত শুধু শ্রেণীকরণের জন্য নয়।

ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন্য। আপনি তো বোধহয় মালয়েশিয়ায় থাকেন, ওখানের কি অবস্থা!

২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

পুলক ঢালী বলেছেন: আত্নবিশ্লেষন ও আত্ন সমালোচনামূলক পোস্ট। আমাদের মাথায় পচন ধরে আছে । জেনেটিক ট্রিটমেন্ট ছাড়া ঠিক হবে কিনা জানিনা। সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাল থাকুন।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

এখন জেনেটিক ট্রিটমেন্ট করার জন্য কে এগিয়ে আসবে সেটাই দেখার বিষয়।

২১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

শুপ্ত বলেছেন: অসধারন লেখনী।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকেও অসাধারণ ধন্যবাদ।

২২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

বাংলার এয়ানা বলেছেন: অসাধারন খুব ভাল লাগল। আমরা সবাই এখন অন্যায় নীতি বর্হিভূত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। দীর্ঘদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।

২৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অকারণে জোরে কথা বলা বা না বলার অভ্যেসটা আমরা রপ্ত করি পরিবার থেকেই। সুতরাং, পরিবারেই আমাদেরকে আস্তে আস্তে কথা বলার শিক্ষাটা শুরু করতে হবে।
আপনার এ লেখায় দুটো মূল্যবান পর্যবেক্ষণ পেলামঃ
* শিশুদেরকে যৌনশিক্ষায় শিক্ষিত করতে আমাদের যত মাতামাতি, তার তুলনায় কিঞ্চিত পরিমাণ মনযোগও আমরা দেই না শিশুদের সৌজন্যবোধ ও ভব্যতা শেখাতে।
* দিনের পর দিন এ প্লাস পাওয়ার দৌড়াদৌড়িতে কখন যে আমাদের শিশুরা নরম কাদামাটি থেকে কঠিন পাথরে পরিণত হয়ে যাচ্ছে, তা আমরা বুঝতেই পারছি না।

একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গের অবতারণা করে পাঠকের দৃষ্টি আকরষণ করেছেন, এজন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি।
পরিবারই হয়ে উঠুক সকল সুশিক্ষা এবং সুশীল আচরণ শিক্ষার প্রাথমিক পাঠশালা!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: এই জোরে কথা বলাটাও এক মহামারী হয়ে দাড়িয়েছে। কর্মক্ষেত্রে, বাসে, রাস্তায়, সভায়.... এক যন্ত্রণা!
আমারও মনে হয়, ভালো মানুষ হওয়ার পেছনে পরিবারের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। এজন্যই নেপোলিয়ন বলেছিলেন- তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি উপহার দেবো... আমিও তাই আপনার কথায় সুর মিলাচ্ছি পরিবারই হয়ে উঠুক সুশিক্ষা এবং সুশীল আচরণ শিক্ষার প্রাথমিক পাঠশালা!

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

২৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

আরজু পনি বলেছেন: অন্যকে সম্মান করা এবং ভদ্রতাবোধ...খুবই জরুরি।
ভালো লাগলো লেখাটা।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২০

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। আপনার মতো ব্লগাররা যখন বলেন যে 'ভালো লাগলো', তখন আমারও ভালো লাগে।

২৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:২৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় পদ্মপুকুর,

জাতির হাটে এমন করে হাড়ি ভাঙলেন ! এতো কঠিন করে ?

আমাদের ধর্মে, সংস্কৃতিতে এই ভদ্রতা সৌজন্যের ব্যাপারগুলো খুবই আছে I আমরা সেই ভালোগুলোকে নিতে চাই না কখনো I এই সৌজন্যের ব্যাপারগুলো শুরু হবে ফ্যামিলির থেকে I এখন আমাদের অবস্থা এমন যে ফ্যামিলির ভেতরে এই সৌজন্যগুলো শেখানোই অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে I

খায়রুল ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে একমত I

লেখাটা খুবই ভালো হয়েছে অনেক ধন্যবাদ নেবেন সুন্দর এই লেখার জন্য I

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভুলে গেলেন নাকি আমাদের?

২৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

বাংলার এয়ানা বলেছেন: অসাধারন,

২৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

মেহবুবা বলেছেন: পরিবারের শিক্ষা বড় বিষয় । এখন পরিবার আর কি শেখায়?
পয়সা কর আর সবার উপরে ওঠ ক্ষমতায় ।আর কিছু লাগবে না ।
তারপরেও আশা রাখছি অনেক কিছু ভাল হবে ভালর মত ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: সময়ের হাওয়ায় এখন হয়তো 'পয়সা কর আর সবার উপরে ওঠ'ই সই, কিন্তু সময় যে বদলাবে না, কে বলতে পারে! কিছু সু-চিন্তা করার জন্য সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের মত প্রতিষ্ঠানতো আছেই... :)

২৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: লিংক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় পদ্মপুকুর ভাই। খুব ভালো একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা। সত্যিই তো আমরা অবসর সময় একটু ব্লগিং করে আনন্দ পাই। সেখানে একে অপরকে সম্মান জানিয়ে গড়ে তুলি যথার্থ সৌহার্দের সম্পর্ক। ব্লগীয় মিথস্ক্রিয়ায় আমরা একেঅপরের হয়ে উঠি আত্মার আত্মীয়। চমৎকার পোষ্ট ভালোলাগা।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ স্যার লিংক ধরে এসে পড়া ও মন্তব্যর জন্য। পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ায় একে অপরের সম্মান জানানোর প্রক্রিয়া জারি থাকলেই সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব বলেই আমি মনে করি।

২৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




অতি সভ্য দেশ জাপানে আপনি তুমি তুই ব্যতীত

১। অতি সম্মানিত আপনি
২। সম্মানিত আপনি
৩। অতি নিকৃষ্ট তুই
৪। নিকৃষ্ট তুই

এই চারটি সম্বোধন সূচক শব্দ প্রচলিত আছে। দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলার জনগণ এখনও নিজেদের ইংরেজ ভাবেন! বাংলাদেশে একটি বেশ বড় সংখ্যার মানুষ এখনও টিটকারী টিপ্পনী ছাড়া কথা বলতে পারেন না। তারা নিজেদের সভ্য বলেও দাবী করেন!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫২

পদ্মপুকুর বলেছেন: মজার কথা শোনালেন, উপরে অবশ্য সাজ্জাদ হোসাইন এ বিষয়ে ধারণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই সেন্স ডিফরেন্সিয়েট করাটা কঠিন হয়ে যায় না?

৩০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: গঠনমূলক লেখা খুব সুন্দর হয়েছে।
প্রাইমারী স্কুল জীবনে দেখেছি, সপ্তাহে আমাদের ২টা ক্লাস থাকতো শুধু গল্প বলা এবং খেলাধুলা করার জন্য। খেলার জন্য মাঠে ছেড়ে দেয়া হতো এবং ঘন্টা পড়লে আবার ফিরে এসে ক্লাস।
সৌজন্যতাবোধ এবং ভদ্রতা এটা শেখার/শেখানোর বিষয় যা পরিবার থেকেই শুরু হওয়া উচিৎ। যেহেতু বেশিরভাগ পরিবার এ ব্যাপারে উদাসীন তাই এটার চর্চা স্কুলেই করা দরকার।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ পুরোনো লেখায় আসার জন্য। আমার মনে হয়, আমরা আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণের যায়গাটাতে ফোকাসহীন হয়ে যাচ্ছি, স্বল্পমেয়াদে রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড হয়ে যাচ্ছি। বাচ্চাদের সুকুমারবৃত্তি নির্মাণ তার ভবিষ্যৎ যাপনে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তা ভুলে যাচ্ছি..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.