নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভণিতাহীন নিঃশব্দ কথা

আমি কেবল তোমার কষ্টপক্ষ ছুঁয়ে থাকতে চাই

সোহেল আহমেদ পরান

একজন সাধারণ মানুষ। ভালোবাসি সত্য ও সাধারণকে। ভালোবাসি ভালোবাসতে। মনেপ্রাণে পজিটিভ।

সোহেল আহমেদ পরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্পঃ দেয়াল

০৩ রা মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

হাসপাতালের এই ছোট্ট ক্যাবিনে অনেকদিন হয়ে গেলো অদৃজার। সাদা চাদরে ঢাকা বিছানা। পাশে ছোট একটা টেবিল। তিনটি চেয়ার। দেয়াল ও ছাদের রঙটাও সাদা। একটা সিলিং ফ্যান ঝুলছে। খুব একটা চালানো হয় না তা। একটা পুরনো এসি লাগানো উত্তর দেয়ালে। কিছুক্ষণ পরপর গড়গড় করে চালু হয়ে যায় । প্রথম প্রথম শব্দটা খারাপ লাগলেও এখন তা পরিচিত ও আপন বলে মনে হয় অদৃজার। এটা কি মায়া? পাশাপাশি থাকতে থাকতে জড়িয়ে ধরা মায়া।

কাল এ ঘরের বাইরে যাবে অদৃজা। আহা মুক্তি! পায়ের কাছে চেয়ারটায় মা এখনো বসা। চোখে চোখ পড়লেই মা হাসেন। মায়ের হাসিটা যেনো কেমন। ঠিক আগের মতো না। এগিয়ে এসে মা অদৃজার মাথায় হাত রাখে। কী যে মধুর লাগে মায়ের হাতের স্পর্শ । একসময় ঘুমিয়ে পড়ে অদৃজা।

ভোরে ঘুম ভেঙ্গে যায় অদৃজার। মাকে সে পায়ের কাছের চেয়ারটাতেই বসে থাকতে দেখে। চোখে চোখ পড়তেই হাসার চেষ্টা করে দু’জনই। মায়ের জন্য জন্য খুব কষ্ট বোধ করে অদৃজা। অদৃজা জানে মরণব্যাধি লিম্ফোমা যে পর্যায়ে বাসা গেড়েছে তাতে বাঁচার সম্ভাবনা তার একহাজার ভাগের এক ভাগ।

অপারেশন থিয়েটার রেডি। একজন নার্স এসে সযতনে ট্রলিতে শুইয়ে দেয় অদৃজাকে। মা এসে সর্বাঙ্গে জড়িয়ে ধরে তাকে। কপালে চুমু খায়। ঠোঁটের হাসি তার ভিজে যায় ক’ফোটা চোখের পানিতে। দরোজায় মাকে আটকে দেয় নার্স।

অপারশন থিয়েটার রুমটাকে খুব ঠাণ্ডা ঠেকে অদৃজার কাছে। এপ্রন-গ্লাভস পরা ডাক্তার এগিয়ে আসে অদৃজার কাছে। রুমের ছাদটা মনে হয় অনেকটা নিচে নেমে এসেছে। পাশে দেখার চেষ্টা করে অদৃজা। সাদা দেয়াল ছাড়া সে কিছুই দেখতে পায় না।
*********************

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৮:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অণুগল্পে অনেক অনুভূতির প্রকাশ।

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৯:১৪

সোহেল আহমেদ পরান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রেরণা যোগালো।
আন্তরিক ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.