নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিচিত্র চরিত্রের সন্ধানে…

বিচিত্রতায় উপস্থিত হলেই কেবল বিচিত্র চরিত্রের সন্ধান পাওয়া যায়।

পৃথ্বীর পরিব্রাজক

কিছু প্রস্ফুটিত স্বপ্নের প্রয়াণ, যেখানে স্বাপ্নিক আমি! কারো অযত্নের, অবহেলার ও অনাদরের পাত্র, সেও এই অপরিত্‌যক্ত আমি!!!

পৃথ্বীর পরিব্রাজক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহজালাল (রহ.) এর ৬৯৬তম ওরস মোবারকঃ মাযার পূজা নয় যিয়ারত হয়

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৪

এখানে বামপাশের সুউচ্চ মিনার থেকে পবিত্র আযানের ধ্বনি মুসল্লীদের কানে ভেসে যাওয়ার পর হাজারো মুসল্লীদের আগমনে বামপাশের গুম্বুজবিশিষ্ট বহুতল মসজিদ ভরে উঠে।

এখানে নিয়মিত অর্থাৎ নামাযের জামাত চলাকালীন সময় ছাড়া পবিত্র কুরআনের আওয়াজ জারী থাকে, কেউ কুরআন হাতে নিয়ে কেউবা নিজের মুখস্থ থেকে তিলাওয়াত করে যাচ্ছে- সূরা ফাতিহা, ইয়াসিন, ওয়াক্বিয়াহ, আররাহমান, মুলক, মুযাম্মিল, ইখলাছ, ফালাক্ব, নাছ, কাফিরুন, আয়াতুল কুরসী, অথবা পূর্নাঙ্গ আল কুরআন।

এখানে রাসূল (সাঃ) এর ওপর দরুদ পড়া হয়, মিলাদ-ক্বিয়াম করা হয়। এখানে ইসতিগফার শরীফ পাঠ হয়, খোদার রাহে যিকির-আযকার হয়, ওযীফা পাঠ হয়। উসীলা নিয়ে দোয়া করা হয়।

এখানে ফকীর, ইয়াতিম আর মিসকিনদের সাহায্য করা হয়। ল্যাংড়া-আতুরদের সহায়তা করা হয়, এতিম ছাত্রদের ইসলামি আর সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়। মাহে রমদ্বানে পবিত্র কুরআনের শুদ্ধ তিলাওয়াত শিক্ষা দেওয়া হয়।

উপরোক্ত সবগুলোই ভাল কাজ কিন্তু এর একটিও কেউ গলা উঁচিয়ে বলতে চায় না অথবা বলার সাহস পায় না।
নিন্দুকেরা যা বলে তা হচ্ছে- এখানে যিয়ারতের নামে মাযার পূজা হয়, দরগাহকে বলে দূর্গা, পবিত্র গিলাফকে বলে মশারী (নাউজুবিল্লাহ)।

উপরের সবগুলো ঘটনা দরগাহে শাহজলাল (রহঃ) এর সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। এতসব ভালকাজের ভিড়ে বিচ্ছিন্ন কয়েকটা খারাপ কাজ হয় সেটা আমি মানি। ধানের মাঝে কয়েকটা ছোঁচা থাকবে তার মানে এই নয় যে গোটাধান ফেলে দিতে হবে। পবিত্র ওরসকে কেন্দ্র করে তথাকথিত গান-বাজনা হয়, গাঁজার আসর বসে, জুয়ার আসর বসে, আবাসিক হোটেলগুলোতে পতিতাবৃত্তি হয়। কিন্তু এর একটিও ওরসের অংশ না, এই খারাপ কাজগুলো ওরস বহির্ভুত।

ওরস মানে হচ্ছে কোনো ওলীর মৃত্যু দিবসে তাঁর ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে যে ভাল কাজগুলো করা হয় সেটাই। কিন্তু আমরা ওরস শব্দটা শুনলেই কেন জানি সব ভন্ডামী-ভন্ডামী বলে দূরে সরে যায়।

ওলীকূল শিরোমণি হযরত শাহজালাল (রহ.) এর ৬৯৬তম ওরস মোবারকের শেষদিন আজ। গতকাল শুক্রবারে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এই ওরস আজকে আখেরী মোনাজাতের মাধমে শেষ হবে। মোনাজাতে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করা হবে।

হযরত শাহজালাল রহ. সম্পর্কে আমাদের সবারই কম বেশী জানা আছে, তারপরেও এখানে যদি তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা না বলি নিজেকে বড়ই নিমক হারাম লাগবে...

পাক-ভারত বাংলাদেশ তথা এ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটেছে ওলি, দরবেশ ও ওলামায়ে কেরামের মাধ্যমে। তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে একমাত্র ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এদেশে আগমন করেন। সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি নয় বরং আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমেই এ সকল ওলি-দরবেশগণ এ দেশে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। যার ফলে বাংলাদেশ আজ একটি মুসলিম রাষ্ট্রহিসেবে বিশ্বের দরবারে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে।
ইসলাম প্রচারের এ ধারাহিকতায় বিশেষত সিলেটে ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে যে নামটি সর্বাগ্রে উচ্চরিত হয়, তিনি হলেন হযরত শাহজালাল মুজাররদ ইয়ামনী (রহ.)। তাঁর সাথে তিনশত ষাট জন আউলিয়ায়ে কেরাম ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এদেশে আগমন করেন। প্রধানত তাঁদের তাবলীগে দীন ও সুমহান চরিত্র মাধুর্যে আকৃষ্ট হয়ে বহু লোক ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করে। হযরত শাহজালাল (রহ.) এর আধ্যাত্মিক প্রভাব ক্রমে ক্রমে সিলেট জেলার সমস্ত এলাকা ইসলামের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠে।

পরিশেষে এই মহান ওলির ওফাত দিবসে তাঁর ইসলামের প্রতি, মানুষের প্রতি মহান অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি। বর্তমান সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মানবতা আজ নির্বাক, গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত, চারিদিকে অস্থিরতা লাশ আর বারুদের গন্ধে চরম শূণ্যতায়, হতাশায় আর স্থবিরতার মাঝে আল্লাহর ওলীকে স্বরণ করছি। তার অমর স্মৃতি চির জাগরুক থাকুক সুন্দর এ বসুন্ধরায়।
আমরা যেন তাঁর আদর্শ অনুসরণ করতে পারি। আল্লাহর কাছে এ দোয়া করি।
-(আমিন)

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৭

নতুন বলেছেন: একজন মৃত্য ব্যাক্তির মাজারে গেলে মানুষ ঐখান থেকে কি পাবে?

কি শিক্ষা পাবে ঐখান থেকে? কি উপকার পাবে ঐখান থেকে?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪২

পৃথ্বীর পরিব্রাজক বলেছেন: সাধারণ মানুষের কবর যিয়ারতে গিয়ে সালাম ও দোয়া দরূদ পাঠ করলে মৃত ব্যাক্তির আত্মা শান্তি পায়। আর ওলী-আল্লাহ্‌র মাজার যিয়ারতের মাধ্যমে যিয়ারতকারীর আত্মা শান্তি পায়। এতে যিয়ারতকারীর অন্তরে আল্লাহ্‌ ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর মহব্বত বৃদ্ধি পেয়ে ঈমানের নূর জাগ্রত হয়। সুতরাং আল্লাহ্‌র প্রিয় বন্ধুগণের পবিত্র মাজার যিয়ারত আমাদের জন্য পরম উপকারী ও মঙ্গলজনক।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৮

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: বিদায় হজ্বে নবীজী বলেছেন: তোমাদের দুটি জিনিষ দিয়ে গেলাম, এক কোরান আর দুই হাদিস। এ দুটিকে আকড়ে ধরে রাখতে পারলে জান্নাত অবধারিত। মুসলমানদের জন্য আর কিছু দরকার নাই। অনুসরণ করতে হলে একমাত্র নবীজীর জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। অন্য কারো আদর্শ না।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫

পৃথ্বীর পরিব্রাজক বলেছেন: হ্যাঁ, বিদায় হজ্জ্বে রাসূল (সাঃ) সেটাই বলেছেন কিন্তু এতদুভয় আমাদের কাছে সরাসরি আসে নাই এসেছে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তবে তাবেয়ীন এবং ওলী-আউলিয়াদের মাধ্যমে।
আর ওলী-আউলিয়াদের মনগড়া কোনো আদর্শ ছিল না, ছিল রাসূল (সা:) এর পুর্নাঙ্গ আদর্শের প্রতিফলন। তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করা মানে নবীজীর জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করা।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২২

রাসেল সরকার বলেছেন: মহান আওলিয়াকেরামের অনুসরণই সঠিক পথের দিশা । আওলিয়াকেরামের পথ হতে বিচ্ছিন্ন হওয়া মানে ইসলাম হতে বিচ্ছিন্ন হওয়া ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

পৃথ্বীর পরিব্রাজক বলেছেন: ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদেরকে আউলিয়াদের পথে কবুল করুক...

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সিদ্ধি পুরুষদের কবর জিয়ারত করলে দোষের কিছু দেখিনা । বরং এতে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায় । তাঁদের আদর্শ ভবিষ্যত পথ চলতে অনুপ্রেরণা যোগায় ।
দুঃখজনক হচ্ছে, এই দেশে এখন শাহ জালাল, শাহ পরান কিংবা খান জাহান অালীদের শান্তিপূর্ণ সুফিবাদী অাদর্শ মুছে গিয়ে মৌলবাদী ওয়াহাবী মতবাদ প্রচারিত হচ্ছে । দেশের মানুষ প্রতিনিয়ত চরমপন্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

পৃথ্বীর পরিব্রাজক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ওয়াহাবী মতবাদ রুখতে আমাদেরকেও সুফিবাদের দিকে ধাবিত হতে হবে।

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০

হানিফঢাকা বলেছেন: ১। আপনি বলেছেন "ওরস মানে হচ্ছে কোনো ওলীর মৃত্যু দিবসে তাঁর ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে যে ভাল কাজগুলো করা হয় সেটাই।"- আমার প্রশ্ন এই "ওরস"-এর অর্থ আপনি কি নিজে বানিয়েছেন? ওরস- শব্দের অর্থ হচ্ছে বিবাহ। এই লিঙ্কে দেখতে পারেন। Click This Link
২। ঈসালে সাওয়াব- উহা হচ্ছে ব্যবসার হাতিয়ার। আপনি এর অর্থ জানেন? সমগ্র কোরআন খুজে এই ঈসালে সাওয়াবের কোন কিছু পাওয়া যায় না। বরং কোরআন এর বিপরীত কথা বলে। এইটা একটা ভ্রান্ত ধারনা।আপনি এই ঈসালে সাওয়াবের কোন রেফারেন্স কোরআন থেকে দিতে পারবেন?
৩। আপনি বলেছেন "উসীলা নিয়ে দোয়া করা হয়।"- উহা কি জিনিষ একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?
৪। সূফীরা এই দেশে ইসলাম প্রচার করে নাই, তারা প্রচার করেছে সুফীবাদ। ইসলাম আর সুফীবাদ এক জিনিশ না। যেই জিনিসটা আপনারা ইসলাম বলে করছেন, তার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই, আছে সূফীবাদের সাথে। এর প্রমাণঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30064877
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30065173
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30065519
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30066317
দয়া করে দেখবেন। কোরআন অনুযায়ী এরা সবাই শিরকের দোষে দুষ্ট।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

পৃথ্বীর পরিব্রাজক বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১. না আমি নিজে বানায় নি, তবে বাস্তব অর্থে এটাই বলে। হ্যাঁ, ওরসের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে শাদী বা বিবাহ। এ জন্যই বর-কনেকে আরবী ভাষায় ওরস বলা হয়। বুযুর্গানে দ্বীনের ওফাত দিবসকে এ জন্যই ওরস বলা হয় যে, মিশকাত শরীফে -اثبات عذاب القبر শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যখন মুনকার-নাকির কবরবাসির পরীক্ষা নেয় এবং যখন সে সেই পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়, তখন তাকে বলেন- نَمْ كَنَوْمَةِ الْعُرُوْسِ الَّتِىْ لَا يُوْقِظُهَ اِلَّااَحَبُّ اَهْلِه اِلَيْهِ আপনি সেই কনের মত শুয়ে পড়ুন, যাকে ওর প্রিয়জন ছাড়া আর কেউ উঠাতে পারে না।তাই মুনকার-নকীর ফিরিশতাদ্বয় যেহেতু ওই দিনকে ওরস বলেছেন, সেহেতু ওরস বলা হয়।
২. ঈসালে সাওয়াব অর্থ হচ্ছে সওয়াব পৌছানো, অর্থাৎ এক ব্যক্তির কোন নেক কাজ করে তার সওয়াব ও প্রতিদান অপর কোন ব্যক্তিকে দেয়া হোক বলে আল্লাহর কাছে দোয়া করা৷
মুসলিম, বুখারী, মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, এবং নাসায়ীতে হযরত আয়েশা কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে যে, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললো, আমার মা হঠাৎ মারা গেছেন৷ আমার বিশ্বাস, যদি তিনি কথা বলার সুযোগ পেতেন তাহলে অবশ্যই সাদকা করার জন্য বলতেন৷ এখণ আমি যদি তাঁর পক্ষ থেকে সাদকা করি তাহলে তিনি কি তার প্রতিদান পাবেন? নবী (সা) বললেন, হ্যাঁ৷
কুরআনের রেফারেন্স হিসাবে সূরা আন-নাজমের ৩৮ নম্বর আয়াতের তাফসীর দেখতে পারেন।
৩. উসিলার অর্থ হচ্ছে কোন বস্তুকে মাধ্যম করা যা আগ্রহ ও ইচ্ছার সাথে হয়। উসিলা সম্পর্কে সূরা মায়েদার ৩৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
- يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَ ابْتَغُوا إِلَيْهِ الْوَسِيلَةَ وَ جاهِدُوا فِي سَبِيلِهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে ! তোমরা যারা ঈমান এনেছ (মুমিনগণ) তাকওয়াধারী হও এবং আল্লাহর কাছে নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্যে উসিলা বা মাধ্যম গ্রহণ করো। আর খোদার পথে জিহাদ করো হয়তো তোমরা মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে যেতে পারো।
৪. ইসলাম আর সূফিবাদ এক জিনিস না তবে সূফিবাদ বাদ ইসলাম প্রচার হয় না। আপনি ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে আউলিয়া-দরবেশদের কথা অস্বীকার করতে পারবেন না। ইতিহাস তালাশ করে দেখেন। আপনি ভুলে গেছেন সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ বেরেলভীর কথা? যিনি একদিকে তাসবীহ হাতে জায়নামাজে চোখ ভাসিয়েছেন অপরদিকে তলোয়ার হাতে শিখ-ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে রক্ত ঝরিয়ে শহীদ হয়েছেন।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: সাধারণ মানুষের কবর যিয়ারতে গিয়ে সালাম ও দোয়া দরূদ পাঠ করলে মৃত ব্যাক্তির আত্মা শান্তি পায়। আর ওলী-আল্লাহ্‌র মাজার যিয়ারতের মাধ্যমে যিয়ারতকারীর আত্মা শান্তি পায়। এতে যিয়ারতকারীর অন্তরে আল্লাহ্‌ ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর মহব্বত বৃদ্ধি পেয়ে ঈমানের নূর জাগ্রত হয়। সুতরাং আল্লাহ্‌র প্রিয় বন্ধুগণের পবিত্র মাজার যিয়ারত আমাদের জন্য পরম উপকারী ও মঙ্গলজনক।

কবরের মানুষের আত্না শান্তিপায় সেই জন্য এটা ভাল কাজ .... কোন সমস্যা নাই।

কিন্তু এতে টাকা পয়সা/ মানত/ উছিলা ধরে সাহাজ্য করা এই গুলিই তো আসল উদ্দেশ্য।

আগামী কাল থেকে যদি সব মাজারে শুধুই জিয়ারতের জন্য মানুষ যায় এবং টাকা পয়সা দান করা সরকার থেকে নিষেধ করে দেয়। তবে ঐখানে এতো খাদেম থাকবেনা। এতো যৌলুস থাকবেনা মাজারের।

একটু চিন্তা করে দেখুন... পীর=শিক্ষক ছিলেন এবং তিনি শিক্ষা দিয়েছেন... তাই তার কাছে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন এই সব পীরের দরবারে যারা যা্য় তারা কি শিখে ?
* এরা গরম পীর এদের নামে মানত করে অনেকে অনেক কিছু পেয়েছে।
* এরা গরম পীর এরা এখনো স্বপ্বে মুরিদের সাথে দেখা দেয়...
* এরা গরম পীর এদের সাথে বেয়াদবীর জন্য কত মানুষের ক্ষতি হয়েছে...

এই সব পীর/মাজার সম্পনূই কুসংস্কার... আর উপরের হানিফ ভাইয়ের লেখায় দেখেন যে এই সব পীর/মাজারের বিষয়ে কোরান কি বলে...

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

পৃথ্বীর পরিব্রাজক বলেছেন: মাযারকে কেন্দ্র করে ভণ্ডামীগুলো হয় তার প্রতিবাদ করা উচিত তাই বলে সুন্নত ত্বরীকায় যে যিয়ারত করা হয় তার বিরুদ্ধচারণ করা মোটেও উচিত না।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১৮

বাঘ মামা বলেছেন: ইসলাম খুব সহজ ও সুন্দর একটা ধর্ম ,এটা বোঝা একদমি সহজ, ইসালে সাওয়াব,ওরস অলি আল্লাহ,এত সব বলার কোন দরকার নেই। আসুন সহজ ভাবে দেখি, মাজার বিষয়টা কি কেন এবং চলমান মাজার নিয়ে কর্মকান্ডের কতটা দরকার।

আমরা জানি যে হযরতা আবু বকর রাঃ) এমনি একজন সাহাবি যার নেকি সারা দুনিয়ার সকল মানুষে নেকির চেয়েও বেশি।এরপর আছেন হযরত ওসমান রাঃ) হযরত ওমর রাঃ) হযরত আলি সহ অনেক উচ্চ স্তরের মানুষ ইসলামে ছিলেন,।শুধু মাত্র হযরত আবু বকর রাঃ) নবীজির পাশে শায়ীত আছেন আর সবাই জান্নাতুল বাকিতে শুয়ে আছেন। আমাদের নবীজির রওজা নিরাপত্তা জনিত কারণে শক্ত লৌহ বেষ্টনী দিয়ে রেখেছেন।কারণ নবীজি দেহ মোবারক নিয়ে যাবার জন্য বহুবার দুর থেকে মাটি খুরে রওজাতে প্রবেশ করতে চেয়েছিলো, সেই কারণে শুধু ওনার রওজা কঠিন ভাবে বেষ্টনি করে রেখেছেন।আর যত সাহাবা আছেন তাদেরকে জান্নাতুল বাকিতে রাখা হয়েছে। যাদের কবরের চার কোণায় চারটা পাথর রাখা আছে, আর একটা ছোট বোর্ডে নাম পরিচিতি দেয়া আছে,এখন আমার প্রশ্ন ইসলামে সন্মানের দিক দিয়ে সর্ব উপরের মানুষ গুলোর কবর যদি এমন ভাবে রাখা হয় তাহলে কেন আমাদের দেশে কবরের উপর এত বিশাল ইমারত।? সাউদি সরকারের কি অর্থাভাব আছে? সাউদি সরকার চাইলে সোনা দিয়ে ইমারত বানাতে পারতো, যাকে সৃষ্টি না করলে সারা জাহান সৃষ্টি হতনা,যার সব চেয়ে প্রিয় মানুষ হযরত আবু বকর তার কবর যদি সাধারন বেষ্টনী হতে পারে তাহলে এরা কারা এই দেশে আছে যাদের কবর ঘিরে এমন প্রাসাদ তৈরী করে টাকা পয়শা খাওয়া দাওয়া রমরমা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে, কেন?
আমরা জানি এই দুনিয়াতে দশজন মানুষের বেহেস্তের সনদ এসেছে,এরপর যত মানুষ আসছে গেছে তাদের সবার বেহেস্ত পাওয়া নিয়ে কোন নিশ্চয়তা আল্লাহ দেননি।সবাই আখেরাতে শাস্তি প্রাপ্তি নিয়ে সংকায় জীবনাবশান করেছেন।

পরের কথা হলো ষ্পষ্ট বলা আছে কোন মৃত ব্যক্তি জীবিত ব্যক্তির কল্যাণে আসতে পারবেনা, বরং প্রতিটা মৃত ব্যক্তি জীবিত ব্যক্তির মুখাপেক্ষি হয়ে থাকে কখনো কে একটু দোয়া করবে তার জন্য।

গোলাপশাহ মাজার,গুলিস্তানের মোড়ে, দেখেছেন কত টাকা ভিতরে পড়ে আছে? সেই একটাই ঘর একটাই দেয়াল,কোন উন্নতি নেই, কিন্তু মানুষ টাকা ঢালছে, রাতের আধারে সেই টাকা চলে যাচ্ছে হাত হয়ে নানা হাতে, সারা দিন রাত কিছু মানুষ পাশে বসে আছে যাদের শরীর কাপড় মাথা চুল নোংরা দুর্গন্ধ।এরা পাশে বসে বিড়ি টানছে আর গলায় তাজবিহ।তাজবিহ কেন? আল্লাহকে ডাকবেন তো আবার গুনতে হবে কেন? আল্লাহ কি আপানকে পানি বাতাস গুনে গুনে দিচ্ছে? আপনি কেন আল্লাহকে গুনে গুনে ডাকবেন? মনের মধ্যে সারাদিন আল্লাহ ডাকতে থাকলে সমস্যা কি? মনে মনে আল্লাহ করলে মানুষ দেখবেনা তাই হাতে গলায় তাজবিহ নিয়ে হাটেন যেন মানুষ দেখে আপনি ইমানদার পরেজগার? এসব ভন্ডামি কি আল্লাহ বুঝেনা?

মীরপুর মাজারে কি হচ্ছে দেখেছে গিয়ে? তিন রাত কাটিয়েছি সেখানে,যত নোংরামি সেখানে হয় তা কোন নোংরা যায়গায় হয় কিনা আমার জানা নেই।

হযরত শাহাজালাল মাজারে যেতে যেতে যত গুলো মোমবাতির দোকান আছে আর যত টাকার মোমবাতি পুড়ানো হয় তা দিয়ে এই দেশে অসংখ্য এতিমখানার এতিম ছেলেরা পেট পুরে খেয়ে বাঁচতে পারবে। কেন মোমবাতি জ্বালানো হয় সেখানে? উনি কি কবরে অন্ধকারে আছেন? এত বড় সন্মানি ব্যক্তিকে কি আল্লাহ অন্ধকারে বসিয়ে রেখেছেন?কবরে নেমে দেখুন উনি আপনাদের এমন তামশা দেখে ছটপট করছেন আর কাঁদছেন।

একজন সন্মানি ব্যক্তি ওখানে শুয়ে আছেন তাকে সাধারণ বেষ্টনিতে রাখুন, কবরের পাশে গিয়ে নীরবে দোয়া করে আসুন ওনাকে যেন আল্লাহ বেহেস্ত নসিব করেন, যিনি আপনাদের জন্য ইসলাম নিয়ে এসেছেন।এতটাই কি যুক্তি যুক্ত নয়? একটা মানুষ কবরে শুয়ে আছেন, যান সেখানে নিরবে দেখে আসুন। তাকে সন্মান জানান ,কিছু দোয়া করুন।

আপনি জানেন কোরাণে এতিমের কথা কত শতবার বলা হয়েছে? জীবনে একটা এতিমের মাথায় হাত বুলিয়ে আসুন,একবেলা তাকে পেট পুরে খাইয়ে আসুন। আমার মনে হয় আল্লাহকে খুশি করার এর চেয়ে সহজ ও সুন্দর উপায় দুনিয়াতে আর নেই।

আমি যখন আমার জন্মদিনে কোন এতিম খানায় খাবার নিয়ে যেতাম তখন সেই এতিমদের আনন্দ দেখে চোখে জল এসে যেত। তাদের বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ দেখে সহজেই বোঝা যেত কতদিন তারা ভালো খাবার খায়না, কতদিন তারা ভালো জামা পড়েনা, ওদের মা বাবা নেই। ওদের কেউ নেই যে এই শিশুগুলো কে আদর করে কোলে নিয়ে মুখে কিছু খাবার তুলে দেবে কিংবা গায়ে নতুন জামা। নিজের গোনাহ কিংবা আল্লাহকে পেতে এর চেয়ে সহজ সুন্দর উপায় দুনিয়াতে আছে বলে আমার জানা নেই ভাই।

সব শেষে বলবো যারা মাজার নিয়ে কবর নিয়ে তামশা করছেন ওসব ছাড়েন,ভালো মানুষ যারা চলে গেছে তাদের কবরে একটু শান্তি মত থাকতে দিন, এসব ব্যয় কিংবা ব্যবসা সেখানে না করে ব্যয় টুকু তাদের পিছনে করুন যারা আজকে রাতে না খেয়ে শুধু পানি খেয়ে শুয়ে আছে এখানে সেখানে পথে পান্তরে।

শুভ কামনা সব সময় সবার জন্য

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: মাযারকে কেন্দ্র করে ভণ্ডামীগুলো হয় তার প্রতিবাদ করা উচিত তাই বলে সুন্নত ত্বরীকায় যে যিয়ারত করা হয় তার বিরুদ্ধচারণ করা মোটেও উচিত না।

যদি কাল থেকে ঐখানে টাকা পয়সার সব লেনদেন বন্ধকরে দেন তবে এক সময় ঐ মাজারে কেউই যাবেনা। কারন ধান্দাবাজরা প্রচারনা চালাবেনা।

আর মাজারে গিয়ে ঐ ব্যক্তির জন্য কেন দোয়া করবেন। ঘরে বসে নামাজের পরে যদি দোয়া করেন তবে কি আল্লাহ ঐ মৃত্য ব্যক্তির জন্য শান্তির ব্যবস্হা করবেনা?

আপনার আত্নীয়/পরিজনের কবরে গিয়ে তাদের দোয়া করুন এবং সেখান থেকে আপনার মৃত্যুর প্রতি খেয়াল বাড়বে এবং তাতে মানুষের মন নরম হয়। কিন্তু অতদুরে পীরের ওরশে কেন যেতে হবে?

মাজার নিয়ে যেটা হয় তা পুরোটাই ভন্ডামী....

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য। আমি আপনাকে প্রশ্ন করার আগে একটা মূল প্রশ্ন করতে চাই, তা হল যদি কোন হাদিস কোরআনের সাথে বিপরীত হয়, তবে আপনি কোনটা মানবেন? কোরআন অথবা হাদিস। যদি আপনার প্রশ্নের উত্তর হয় হাদিস, তাহলে আমার আর কোন প্রশ্ন নেই। যদি আপনার উত্তর হয় কোরআন তাহলে আপনার দেওয়া উত্তরের বিপরীতে আমার কিছু প্রশ্ন আছে।

১। আপনি বলেছেন "মিশকাত শরীফে -اثبات عذاب القبر শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যখন মুনকার-নাকির কবরবাসির পরীক্ষা নেয় এবং যখন সে সেই পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়, তখন তাকে বলেন- نَمْ كَنَوْمَةِ الْعُرُوْسِ الَّتِىْ لَا يُوْقِظُهَ اِلَّااَحَبُّ اَهْلِه اِلَيْهِ আপনি সেই কনের মত শুয়ে পড়ুন, যাকে ওর প্রিয়জন ছাড়া আর কেউ উঠাতে পারে না।তাই মুনকার-নকীর ফিরিশতাদ্বয় যেহেতু ওই দিনকে ওরস বলেছেন, সেহেতু ওরস বলা হয়।"- এটা সরাসরি কোরআনের বিপরীত হাদিস। এই সম্পর্কে Click This Link দেখতে পারেন।

২। আপনি বলেছেন " ঈসালে সাওয়াব অর্থ হচ্ছে সওয়াব পৌছানো, অর্থাৎ এক ব্যক্তির কোন নেক কাজ করে তার সওয়াব ও প্রতিদান অপর কোন ব্যক্তিকে দেয়া হোক বলে আল্লাহর কাছে দোয়া করা"৷- এই ধরনের কোন কনসেপ্ট আমি কোরআনে পাইনি (তার মানে এই না যে নাই, থাকতে পারে, আমি জানি না)। কিন্তু আমি জা পেয়েছি তা সম্পূর্ণ আপনার ধারনার বিপরীত। আপনি যে রেফারেন্স দিয়েছেন তার অনুবাদ পেয়েছি "কিতাবে এই আছে যে, কোন ব্যক্তি কারও গোনাহ নিজে বহন করবে না। (৫৩ঃ৩৮)। এই ধরনের কোরআনের আয়াত আরও আছে। হাদিসেও আমি একই ধরনের কথা পেয়েছি। আপনি যে হাদিসের বর্ণনা দিয়েছেন তা ঐ ব্যক্তির মার শপথ করেছিল বিধায় সেটা করা হয়েছে। (এটা আমি কোথাও পড়েছিলাম, কিন্তু মনে করতে পারছিনা)। কোরআনে কোথাও এই জিনিষ নাই। ব্যবসা করার জন্য এই জিনিষ বানানো হয়েছে।

৩। আপনি বলেছেন "উসিলার অর্থ হচ্ছে কোন বস্তুকে মাধ্যম করা যা আগ্রহ ও ইচ্ছার সাথে হয়"। আল্লাহর সাথে যোগাযোগের জন্য কোন মাধ্যম লাগবে কেন? আল্লাহ কোথাও এই মধ্যমের কথা বলেন নি। এর বিপরীত অনেক আয়াত কোরআনে আছে। এই সম্পর্কে অনেকগুলি আয়াতের মাঝে একটা বলিঃ

আর উপাসনা করে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন বস্তুর, যা না তাদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে, না লাভ এবং বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী। তুমি বল, তোমরা কি আল্লাহকে এমন বিষয়ে অবহিত করছ, যে সম্পর্কে তিনি অবহিত নন আসমান ও যমীনের মাঝে ? তিনি পুতঃপবিত্র ও মহান সে সমস্ত থেকে যাকে তোমরা শরীক করছ। (১০ঃ১৮)

৪। আপনি যে সূফীদের কথা বলেছেন তাদের লেখা কিছু বিখ্যাত উক্তি আমি আমার ব্লগে লিখছিলাম। আপনি নিযে পড়ে নিজেই যাচাই করেন উনারা আল্লাহর অলি আউলিয়া হতে পারেন কি না? লেখার লিঙ্কঃ Click This Link

অবশেষে আপনি বলেছেন "তাই বলে সুন্নত ত্বরীকায় যে যিয়ারত করা হয় তার বিরুদ্ধচারণ করা মোটেও উচিত না"। - এই সুন্নতি ত্বরিকা দ্বারা মাজার জিয়ারত বলতে আপনি কি বুজিয়েছেন তা কি একটু বলবেন? এই বাক্যটা আমার কাছে একেবারে নতুন।

আপনাকে আবার ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.