নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রাকৃত জন

একজন সাধারণ মানুষ

প্রাকৃত জন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা ব্যাবস্থায় ঘুণ ও একজন লতিফ সিদ্দিকীর হজ্ব দর্শন

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৩

“গেল, গ্রামটা এবার রসাতলে গেল! নালতের মিত্তির বলিয়া সমাজে আর তাঁর মুখ বাহির করিবার জো রহিল না—অকালকুষ্মাণ্ডটা একটা সাপুড়ের মেয়ে নিকা করিয়া ঘরে আনিয়াছে। আর শুধু নিকা নয়, তাও না হয় চুলায় যাক, তাহার হাতে ভাত পর্যন্ত খাইতেছে! গ্রামে যদি ইহার শাসন না থাকে তো বনে গিয়া বাস করিলেই তো হয়!”
আজ দুইদিন ধরে শুধু ‘বিলাসী’র এই বাক্যটা মনে পড়ছে। আমরা অনেক কিছুই মেনে নিই। বিয়ে করা, একসাথে থাকা কিন্তু বিয়ে করা বৌয়ের হাতে ভাত খাওয়া মেনে নেয়া যায়না। সে যে ভাত না খেয়েও থাকতে পারত না তা আমরা বিলকুল ভুলে যায়। আমাদের অবস্থাও আজকাল ওই খুড়ার মত হয়েছে। আমরা বসে বসে শুধু তামাশা দেখি। এ প্রসঙ্গে এক গল্প মনে হয়ে গেল।
একজনের বাসায় চুরি হয়ে গেছে। সে যখন চীৎকার চ্যাঁচামেচি শুরু করে তখন পাড়ার লোকে এসে জিজ্ঞেস করে তার এই কান্নার কারণ কী। কিন্তু সে কিছুই বলেনা। তার বৌ কাঁদতে কাঁদতে বলে “আমাদের সব চুরি হয়ে গেছে গো। ঐ মিনশের জন্য সব চুরি হয়ে গেছে।” সবাই মুখ চাওয়াচায়ি শুরু করে স্ত্রীলোকটির এই কথা শুনে। চুরি হয়েছে ভালো কথা কিন্তু এতে মিনশের দোষ কোথায় তারা বুঝতে পারেনা। তারা একধরনের ধাঁধার মাঝে পড়ে যায়। যদিও স্ত্রী লোকটা তাদের বেশিক্ষণ ধাঁধার মাঝে রাখেনা। স্ত্রী লোকটা সবাইকে যেন সাগর থেকে টেনে তোলে। “ঘরে চোর ঢুকল। আমি মিনশে কে বললাম ঘরে চোর এসেছে। ধর। কিন্তু সে আমাকে বলে ‘থাম মাগী, দেখি চোর কী করে।’ চোর আমাদের সবকিছু নিয়ে যখন ব্যাগে ভরে ফেলল তখনও আমি উনাকে বললাম এবার তো ধর। নাহলে তো চলে যাবে। তখনও সে আমাকে চোখ রাঙিয়ে থামিয়ে দেয়। যখন ঘর থেকে বের হয়ে গেল তখনও সে বলে ‘দেখি কী হয়’। কিন্তু চোর যখন আর ফিরে না আসে তখন তার হুঁশ হয় যে তার সর্বনাশ হয়ে গেছে।”
আমাদের অবস্থাও ঠিক তেমন। আমরা শুধু দেখি কী হয় দেখি কী হয় করে যায়। অবশ্য মাঝে মাঝে ওই খুড়ার মত বলে উঠি। আর মেনে নেয়া যায়না। এত অন্নপাপ।
আমাদের দেশের হাজারো সমস্যা আছে। যেকোন একটা বিষয় নিয়ে চীৎকার চ্যাঁচামেচি করলেই হয়। তারপরও সব কিছুর পরে একটা বিষয় থাকে যা মোটামুটি সবার স্বার্থে ঘা লাগার মত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার পর মনে হয় আমরা ঠিক বুঝতে পেরেছি এই মুহুর্তে আমাদের দেশের সবচেয়ে গুরতর সমস্যা কোথায়। একটা সরকার তিলে তিলে একটা জাতিকে মেধাহীন করে তুলছে; সবার সামনে এপ্লাসের এক ধরণের স্ক্রিন সেভার সেট করে দিয়ে। পাশের হার আর এপ্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর রাজনীতিতে একটা প্রজন্ম ধ্বংস হতে চলেছে। শিক্ষা ব্যাবস্থায় একটা ঘুণ পোকা বেশ আগেই লেগেছে; এতদিন ছিল শুধু ঠাট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নামক ঝড়ে যেন তা একেবারে ধ্বসে পড়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি এত এত পাশের ভিতরে, এত এত এপ্লাসের ভিতরে শুধু ঘুণ পোকার বসবাস।
যদিও আমাদের শিক্ষামন্ত্রী তা দেখতে পাচ্ছেন না। পাবেনও না কোন দিন। তার চশমায় আছে স্বার্থ নামক স্ক্রিন সেভার। যে সেভারে সে শুধু তার স্বার্থই দেখতে পায়। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নিতি, এমপিও করণে দুর্নিতি, গাইড বইয়ের চরম ব্যাবসা, কোচিং সেন্টার তার স্ক্রিন সেভারের তলায় লুকানো। সারা দেশ যখন প্রশ্ন পত্র আউট হয়েছে বলে জানে, তিনি তা স্বীকার করেননা, ভর্তি পরীক্ষার এই ফল বিপর্যয় শুধু প্রশ্ন পত্র আউটের ফল নয়; এই দেশের পুরো স্কুল কলেজ শিক্ষা ব্যাবস্থার চরম বিপর্যয়ের ফল, তা যখন সবাই স্বীকার করছে তখন তিনি সেই একি বুলি আওড়ে যাচ্ছেন যে দেশের শিক্ষার তাথৈ তাথৈ উন্নতি হচ্ছে।
তিনি দেখতে পাচ্ছেন না কিন্তু আমরা পাচ্ছি এবং এটাকে তামাশা মনে করছি। কিংবা মনে করছি দেখি কী হয়। এটা বড় জোর ওই নিকা করার মত জিনিস। দেখতে মজাই লাগছে কিন্তু গা করছিনে। কিন্তু আমরা তো ঐ খুড়ার সমগোত্রীয় লোক তাই সবকিছুতে তামাশা দেখিনা। যেমন তামাশা দেখিনা লতিফ সিদ্দিকীর হজ্ব নিয়ে চিন্তা ধারায়। সারা পৃথিবীর মানুষ জানে যে যেখানে হাজার হাজার বিদেশী জড়ো হয় সেখানে অর্থনীতি থাকবেই। সেটা হজ্ব হলেও থাকবে, অলিম্পিক হলেও থাকবে। কিন্তু আমরা সবকিছুর ক্ষেত্রে স্বীকার করলেও হজ্বের ক্ষেত্রে করিনা। হতে পারে সৌদি সরকার প্রতি বছর হজ্ব থেকে সাড়ে ষোল বিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করছে, হতে পারে তা তাদের জিডিপির শতকরা তিনভাগ। কিন্তু তা বলা যাবে না।
এদেশের গার্মেন্টস কর্মীরা যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিদেশী মুদ্রা আনছে কিংবা প্রবাসীরা যে আত্মীয় স্বজন ফেলে বিদেশী টাকা পাঠাচ্ছে তার একটা অংশ সত্যিই যে হজ্বের কারণে চলে যাচ্ছে আমরা ভাবতে চাইনা। যেমন আমরা ভাবতে চাইনা শিক্ষা ব্যাবস্থার চরম অবনতি। একটা মেধাহীন জাতির দিকে ঠেলে দেয়াতে আমাদের দেশানুভুতি কিংবা ধর্মানুভূতি কোন কিছুতেই আঘাত লাগেনা। আঘাত লাগে হজ্বের কথা বললেই। আমরা আমাদের শিক্ষা মন্ত্রীর নির্লোজ্জ মিথ্যাচার নির্দ্বিধায় দেখে যায় কিন্তু হজ্ব নিয়ে করা এক জনের ব্যাক্তিগত মতামত এর জন্য শুধু তার পদত্যাগ নয় গ্রেপ্তারের দাবী করতে ছাড়িনা।
ধর্ম কি দেশ ব্যতিরেখে? যদি তাই হয় তাহলে কেন ধর্ম নিয়ে করা একটা মতামতের জন্য তার মন্ত্রিত্ব যাবে? সে যদি ধর্মের বিরুদ্ধে বলে তার শাস্তি তো মৃত্যুর পর স্বয়ং আল্লাহ দেবেনই। আমরা কেন উতলা হচ্ছি তার শাস্তি প্রদানের । তার মন্ত্রালয়ে চলা দুর্নিতি অনিয়মের জন্য তার মন্ত্রিত্ব যেতে পারে। আর যদি ধর্ম দেশের অংশ হয়, তাহলে দেশের যেকোন অন্যায়, অনাচারেই ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগার কথা। শিক্ষা ব্যাবস্থার এই করুণ অধপতনের জন্য আমাদের ধর্মানুভূতি ক্ষতবিক্ষত হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের অনুভূতিতে তখন লাগছেনা। আমরা দেখি কী হয় বলে তামাশা দেখছি। আর হজ্বের মাঝে বাণিজ্য দেখলেই আমরা এ যে অন্নপাপ বলে ঝাপিয়ে পড়ছি। কবে যে দেশীয় স্বার্থের ব্যাপারে আমরা অন্নপাপ বলে ঝাপিয়ে পড়ব !!

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি ভূল বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা করলেন।

ব্যক্তিমতেরও একটা সীমা আছে নিশ্চয়ই মানেন!

আপনাকে আমি যা খুশী তাই বলতে পারি না। তাই না।

তবে, আপনি একটা ধর্মের মূল কাঠামোকে নিয়ে হাস্যকর কথা বলবেন আর তা হয়ে যাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা!!!!!

তবেতো আপনাকে যা খুশি বলাও আমার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।

তবে আর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করলে জেল জরিমানা করেন কেন?

ধর্মের প্রায়োগিক বিষয়ে ভুল শুদ্ধ নিয়ে আপনি মত প্রকাশ করেন..হাজার সমালোচনা করেন কোন সমস্যা নাই।
কিন্তু তার মৌলিক অবকাঠামোকে- অর্থহীন! বলা ধৃষ্টতা বৈকি!

মোহাম্মদ সা: কে শুধু মোহাম্মদ বলার মধ্যে যে অসভ্যতা.. তা নিশ্চয়ই আপনাকে চোখে আঙুল দিয়ে বোঝাতে হবে না।

একজন রাষ্ট্রদূত বা মান্যবরকে আপনি হিজ/হার এক্সেলন্সি বলে সৌজন্যতার বাহার দেখান..
আর সারা পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের নাম অবলীলায় অভদ্রের মতো উচ্চারন করেন!
আরেবর ইতিহাসের বিন্দু বিসর্গ থাকলে যা বলছেন তা বলতেন না।

আর আপনিও বোধকরি তারই (ইচ্ছাকৃত অবমাননার্থে-তার কর্মফল) মতোই। নইলে এতবড় অর্বাচন এবং অর্বাচীনতার পক্ষে মেধাকে অপব্যায় করতেন না।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪২

প্রাকৃত জন বলেছেন: আমি কিন্তু অস্বীকার করিনি যে হজ্ব ইসলামের অন্যতম প্রধান বিষয়। কিন্তু এর সাথে যে ব্যাবসা জড়িত তা অস্বীকার করা যায়না। আর আপনার কাছে বা আরও হাজার হাজার মানুষের কাছে যা সঠিক বলে মনে হয় তা তো আর সবার কাছে সঠিক মনে নাও হতে পারে। আপনি একজনকে সম্মান করে কি নামে ডাকবেন একান্তই আপনার ব্যাপার। আরেকজন তাঁকেই যদি তেমন গুরুত্বপুর্ণ মনে না করে তো কী করার আছে। আমি বলতে চেয়েছি আমাদের দেশের স্বার্থ যদি দেখি তাহলে নাহিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা উচিৎ, ধর্মীয় ব্যাপারের পাপ পুণ্যের বিচার আল্লাহর উপর ছেড়ে দেয়ায় যুক্তিসঙ্গত।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২০

রহস্যময় ফয়সাল বলেছেন: পোস্টের সাথে একমত

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

প্রাকৃত জন বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৯

পল লিয়ান বলেছেন: সহমত।
ধর্মীয় অনুভূতি, বিশ্বাস এদের এতোই উঁচু যে একজন মানুষ কি একটা বলল সাথে সাথে সে অনুভূতির স্তম্ভ ঝরঝর করে ভেঙ্গে পড়লও।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

প্রাকৃত জন বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৭

আলাপচারী বলেছেন: good written

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৪

স্পর্শের মধ্যে বলেছেন: কোন ভাবেই একমত হতে পারলাম না.।
কিছু বলতে চাই না, শুধু একটাই কামনা, আল্লাহ আপনাকে পরিপূর্ণ জ্ঞান দান করুক.।।

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫১

শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: লতিফ যদি শুধুমাত্র হজ্বের ব্যবসায়ীক দিক নিয়ে কথা বলতো তাহলে কোন সমস্যা ছিলোনা| কিন্তু সে বলেছে সে হজ্বের বিরোধী,আর হজ্ব যেহেতু আল্লাহর বিধান| সেহেতু হজ্বের বিরোধী হওয়া মানে আল্লাহর বিরোধী হওয়া| আর আল্লাহর বিরোধী হওয়া মানে কাফের হওয়া তাই সে কাফের হয়ে গেছে| নবী(সঃ) সম্পর্কেও সে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে| ধর্ম মানা বা নামানা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার| তাই বলে অন্য কারো বিশ্বাসে আঘাত করে কথা বলাটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না|

০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৫

প্রাকৃত জন বলেছেন: ধরে নিচ্ছি সে কাফের। একজনের কাফের হওয়া পাপ। আপনি তাঁকে ঘৃণা করতে পারেন। তার দৃষ্টি ভঙ্গির সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু আপনি কাফের হওয়ার দরুণ তাকে গ্রেফতার করার দাবী করতে পারেননা। যেমন একটা কাফের সংখ্যা গরিষ্ঠ রাষ্ট্র পারেনা একজন মুসলমানকে গ্রেফতার করতে।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৩

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: ১। তাহলে তো হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গলেও আমাদের চুপ করে থাকা উচিত, ভগবান ই যথাযথ ব্যবস্থা করবেন?
২। আপনাকে বাপ মা তুলে গালি দিলো আর আপনাকে অশিক্ষিত বলে গালি দিল কোনটাতে আপনার কলিজায় টান পরবে? নাকি দুটোই একই রকম মনে হবে?
৩। পুজোয় মুর্তি বিসর্জনে কি কোন টাকা পয়সা বিসর্জন হয়না? পুজোয় যে বানিজ্য হয় সেটা ও তো দেখা উচিত। প্রাইভেট টিউটরদের মত পয়সা দিয়ে কেনই বা ঠাকুর ডাকা প্রয়োজন?
৪। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু তাই বলে লতিফ সিদ্দিককে এতো চুসে দিচ্ছেন কেন?

০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৫০

প্রাকৃত জন বলেছেন: অপরাধ আর পাপের মাঝে বিস্তর ফারাক আছে। পাপ ধর্মীয় ব্যাপার। আল্লাহকে বিশ্বাস করা না করা, নামাজ পড়া না পড়া এসব পাপ। কিন্তু বাড়িঘর ভাঙা কিংবা মসজিদ ভাঙা অপরাধ। রাষ্ট্র অপরাধের শাস্তি দেয় পাপের নয়। পাপের শাস্তি আল্লাহ দেবেন। আর বিদেশে টাকা যাওয়া আর দেশের মধ্যেই টাকার হাত বদল হওয়া জিনিসটা এক না। আমার মনে হয়েছে শিক্ষা ব্যাবস্থার এই করুণ পরিণতি নিয়ে আন্দোলন করা আমাদের দেশের স্বার্থের জন্য জরুরি। একটা প্রজন্মকে মেধাহীন করা শুধু পাপ নই অপরাধও। আর আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি।

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৫৮

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: ২ এর উত্তর নাই? ২ এর মধ্যে কোনটা পাপ আর কোনটা অপরাধ?

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

ইমরান আশফাক বলেছেন: লতিফ সাহেব যে মন্তব্য করেছেন সেটা যদি কোন যদু, মধু, রহিম বা করিম করতো তাহলে এটা তাদের বাকস্বাধিনতা বলে মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু ওনার মতো দায়িত্বপুর্ণ জায়গায় থেকে এই ধরনের মন্তব্য আশা করা যায় না। উনি ওনার দায়িত্ব ছেড়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে এই ধরনের মন্তব্য করে বেড়াক তাতে কার কি। কোন সংসদ সদস্য যদি অন্য কোন ধর্ম সম্মন্ধে এই ধরনের আঘাত দিয়ে বক্তব্য রাখতো তাহলে তার প্রতি কি ধরনের আচারন প্রত্যাশা করতেন?

আসল ব্যাপার হলো উনি তার মন্ত্রালয়ে বেশ কিছু অনিয়ম করেছেন যেটা উচ্চপর্যায়ের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, সুতরং এ থেকে বাচতে উনি ইসলাম ধর্মের প্রতি আঘাত দিয়ে বক্তব্য রাখছেন যাতে পশ্চিমাদের বলতে পারেন যে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যই উনার বিরুদ্ধে ব্যবস্হ্যা নেওয়া হচ্ছে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

প্রাকৃত জন বলেছেন: আমি ঠিক জানিনা আমাদের দেশের আইন কী বলে। তবে একজন সাধারণ মানুষের যদি অধিকার থাকে সমালোচনা করার তাহলে মন্ত্রী এমপিরও থাকা প্রয়োজন।যদিও তারা তা করবে না কারণ ভোট একটা ফ্যাক্টর। আর যাই হোক মুসলিম প্রধান দেশে ইসলামের বিরুদ্ধে বলে ভোট পাওয়া সম্ভব না। এই লোকের যেকোন দুর্নীতির জন্য তাকে অপসারণ করলে আমি খুশি হতাম। আর আমি এই মন্ত্রীকে ধোঁয়া তুলসী পাতা মনে করিনা। এর কার্যক্রম সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। হয়তো আপনার কথা ঠিক যে নিজের কুকীর্তি ঢাকতে ইচ্ছে করেই এই মন্তব্য করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.