নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চমচম খেতে পোড়াবাড়ির হাটে (ছবি ব্লগ)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২


পোড়াবাড়ির চমচম

পোড়াবাড়ি হাটে একটি মিষ্টির দোকান।
পোড়াবাড়ির চমচম খেতে পছন্দ করে না এমন লোক বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া ভার। তবে মজা করে পোড়াবাড়ির চমচম সবাই খেলেও পোড়াবাড়ির হাট টাঙ্গাইলের কোথায় এটা অনেকেই জানেন না। আমি সেই পোড়াবাড়ির হাটেই গিয়েছিলাম। টাঙ্গাইল থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে এই হাট। অজপাড়া গাঁয়ের ভিতর গ্রাম্য হাট। মিষ্টির জন্য যেই সুনাম এই হাটের সেই তুলনায় মিষ্টির দোকান চোখে পড়ল না। পুরো হাট জুড়ে মোটে ছোট ছোট চার পাঁচটি মিষ্টির দোকান। তার দু'একটিতে সাইনবোর্ড চোখে পড়লেও বাকিগুলোতে কোন সাইন বোর্ড নেই এমন কি পর্যাপ্ত পরিমাণ মিষ্টিও নেই। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ মিষ্টি না থাকলে কি হবে টাঙ্গাইলের মিষ্টির জন্য এই হাট থেকেই দু'একশ' মণ দুধ সরবারাহ হয়ে থাকে, তার বাস্তব চিত্র চোখে দেখেছি।


পোড়া বাড়ি হাটের মিষ্টির দোকানে বসে ছিলেন পুজা মিষ্টান্ন ভান্ডারের প্রতিষ্ঠাতা। নাম লক্ষণ গৌড়, বয়স ৯০ বছর। বাপ-দাদারাও মিষ্টির ব্যবসা করতেন। বর্তমানেও তিনি এই ব্যবসা ধরে রেখেছেন।


পোড়া বাড়ি হাটের উত্তর পাশের বট গাছ।


পোড়া বাড়ি হাটের বট গাছের তলায় দুপুর ১২টায় বসেছে সবজির হাট। ক্ষেত থেকে তুলে আনা গেরস্থদের টাটকা সবজি বিক্রি হচ্ছে।


পোড়া বাড়ি হাটে দুপুর ১২টার সময় কলসী বোঝাই দুধের হাট।


পোড়া বাড়ি হাটে গৃহস্থ বাড়ির গরুর দুধের বাজার।


দুধের কলসী মাথায় নিয়ে গেরস্থরা ধলেশ্বরী নদী পার হয়ে পোড়াবাড়ি হাটে আসছে।


পোড়া বাড়ি মাছের বাজার।


২৫ বছর আগে যখন পোড়া বাড়ি হাটে বেড়াতে এসেছিলাম তখন এটি ধুধু বালু চর ছিল। এখন দেখে চেনাই যায় না। সেই ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম পাড়ের ধুধু বালু চর এখন কত সুন্দর সবুজ গ্রাম।


টাঙ্গাইল থেকে পোড়া বাড়ি যাওয়ার পথে ব্রিজ ভেঙে মেরামত করা হচ্ছে, তাই ব্রিজের নিচ দিয়ে ধুলা বালির রাস্তায় যেতে হয়।


পোড়া বাড়ি ধলেশ্বরী পাড়ে গাছের ছায়ায় ঘোড়াটি দাঁড়ানো।


পোড়াবাড়ি হাটের দোকানের একটি সাইনবোর্ড।


পোড়া বাড়ি হাটের ভিতরে ঘোরাঘুরি করতেই কানে এলো বাঁশির সুর। এগিয়ে গিয়ে দেখি হাটের দোকানে বসে বাঁশি বাজাচ্ছে। নাম শফি মিয়া।
সুমধুর সুরের বাঁশি শুনে মুগ্ধ হয়ে ভিডিও করলাম। আপনাদের জন্য ভিডিও লিঙ্ক দেয়া হলো।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

অন্তু নীল বলেছেন:
পোড়াবাড়ির চমচম এখনও খাওয়া হয়ে উঠেনি।
ইচ্ছা রইল।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কিছু চমৎকার ছবি দেখা হলো। পোড়াবাড়ির চমচম সত্যিই অসাধারণ। আমি অনেকবার খেয়েছি।


ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রামানিক বলেছেন: টাঙ্গাইল শহরে দু'টি দোকানে এখনও ভালো চমচম পাওয়া যায়। ধন্যবাদ হেনা ভাই শুভেচ্ছা রইল।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি শেষ!!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

প্রামানিক বলেছেন: আগেই শেষ হন কেমনে? বনে বাদারের ছবি দেন।

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এত কথা বুঝি না, এখন চমচম খাইতে চাই। :((

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

প্রামানিক বলেছেন: কবে যাইবেন চলেন, সাথে যামু আমিও চমচম খামু।

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বাড়িটা পুড়ছিল কিভাবে জানতে পারছেন কি?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

প্রামানিক বলেছেন: অনেক আগে পুড়ছিল তো এখনকার বুড়ারা কইতে পারে না।

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: চমচম খাইতে মঞ্চায়...

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১১

প্রামানিক বলেছেন: চলেন আবার পোড়াবাড়ি যাই।

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বুড়ার বাবারা নিশ্চয়ই জানে ?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১২

প্রামানিক বলেছেন: বুড়ার বাবাদের খুঁজে পেলাম না। মনে হয় সব গত হয়েছে।

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমচমের কথা শুইনা ঢু মারতে আইসা বলা চলে একপ্রকার ধরাই খাইলাম! প্রথম ছবিটা ছাড়া তো কোন চমচমেরই হদিশই পাইলাম না, ক্যামনে কি হইল ব্রাদার! পাঠকরে ঠকানোর জন্য পোস্টে মাইনাচ (পিলাচ কিন্তু হাচাই দিছি)! ;)

তবে বাদবাকি ছবি গুলা ভাল হইছে! শেষের শফি মিয়ার বাঁশির সুরে তো পোস্টটা অনবদ্য হয়ে উঠলো!

শুভ কামনা প্রামানিক ভাই!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২০

প্রামানিক বলেছেন: পোড়াবাড়ি হাটে প্রদর্শন করার মত মিষ্টি ডেকোরেশন করা ছিল না। যে কারণে মিষ্টির ছবিগুলো তেমন সুন্দর না। আপনার জন্য লক্ষণ গৌড়ের মিষ্টির দোকানের মিষ্টির ছবি দিলাম।
আপনার মত অনেকেই বাঁশি শুনতে ভালো বাসে। তাই গ্রামের এই ছেলেটির ভিডিও ধারণ করে ইউটিউবে দিয়েছি।

এটা পোড়াবাড়ি হাটের অরিজিনাল মিষ্টি।

৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫০

সুমন কর বলেছেন: ঘুরে এলাম...........শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শুভেচ্ছা রইল

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ভাল লাগল!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,



শিরোনাম আর ঐ শিরোনামের বস্তুর এউক্কা মাত্তর ফটুক দেখে যা বলতে চেয়েছিলুম , মন্তব্যের ঘরে এসে দেখি "সাহসী সন্তান" তা আমার আগেই বলে ফেলেছেন । "সাহসী সন্তান" এর কাছে আমিই ধরা খেলুম মনে হয়। আপনি যেমন পাঠককে ঠকিয়েছেন তেমনি "সাহসী সন্তান" ঠকিয়েছেন আমাকে । :(
পোড়াবাড়ির চমচম খেতে পারি বা না-ই পারি , আপনাদের দু'জনার কাছেই পোড়া খেয়েছি ............... :-< 8-| :-P

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: পোড়া বাড়ির হাটে গিয়ে খুব একটা মিষ্টি পাই নাই, পোড়া বাড়ির মিষ্টি টাঙ্গাইল শহরে এসে বড় বড় মিষ্টির দোকানের শোকেসে উঠে চড়া দামে বিক্রি হয়। যে কারণে পোড়া বাড়ি হাটের ছবি দিলেও মিষ্টির ছবি কম।

১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২১

মার্কো পোলো বলেছেন:
প্রামানিক ভাই, চমচম পাঠিয়ে দ্যান, ব্লগার ভাইয়েরা শেয়ার করি। :P

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০০

প্রামানিক বলেছেন: ঠিক আছে ভাই আমি রেডি আছি।

১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোড়াবাড়ি ঢাকা থেকে কতদুরে?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: খুব বেশি নয় ৬৫ কিলোমিটার।

১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

বিজন রয় বলেছেন: ১৪ হইসি। চমচম দেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: সময় করে চলেন পোড়াবাড়ির চমচম খাওয়াবো।

১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রামানিক ভাই চমচম একাই খাইলেন

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: আমি বেশি খাই নাই মাত্র দু'টা খেয়েছি।

১৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি খেয়েছিলাম অনেক আগে। ভীষন টেস্টি।
আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

শুভকামনা।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সামু পাগলা। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন সব ছবি ভাই !

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ সব ছবি আর সুন্দর বর্ণনা। পাকিস্তান আমলে গেছিলুম আর খেয়েছিলুম এখন আর খাওয়া হয়না।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: এখন আর আগের মত কোয়ালিটি নেই। তারপরেও অনেক মিষ্টির চেয়ে মজাদার।

১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

নীলপরি বলেছেন: পোষ্ট ভালো লাগলো ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন নীলপরি। শুভেচ্ছা রইল।

২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

ক্লে ডল বলেছেন: অসাধারণ শফি মিয়ার বাঁশির সুর!! বিমোহিত হলাম!!

আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

প্রামানিক বলেছেন: গ্রামে বসে এরকম বাঁশির সুর এর আগে কখনও শুনি নাই।

২১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা বলেছেন: ভালো লাগা B-) B-)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এই পোস্টে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম দেখে জীবে জল চলে আসল । মিষ্টির রাজা বলে খ্যাত পোড়াবাড়ির চমচমের স্বাদ আর স্বাতন্ত্রের জুড়ি মেলা ভার। এই সুস্বাদু ও লোভনীয় চমচম মিষ্টি টাঙ্গাইলের অন্যতম একটি ঐতিহ্য তাতে কোন সন্দেহ নেই জানা যায় এই ঐতিহ্য প্রায় ২শ' বছরের প্রাচীন। অবিভক্ত ভারতবর্ষসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোড়াবাড়ির চমচম টাঙ্গাইলকে দিয়েছে ব্যাপক পরিচিতি । এই ঐতিহাসিক চমচমের গুণেই মূলত টাঙ্গাইল জেলা বিশ্ববাজারে পরিচিতি লাভ করে। প্রামানিক ভাই ঠিকই বলেছেন টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম বলতে এখন যা খাই তা মুলত টাঙ্গাইল শহরের, বলতে গেলে পাঁচআনী বাজারের। এ লিখায় জানা গেল পোড়াবাড়িতে এখন আর চমচমের সেই জৌলুস নেই। পোড়াবাড়ি এখন ছোট বাজার ২-১টি চমচমের দোকান থাকলেও সেগুলোর জীর্ণদশা এই পোস্টের ছবিতে দারুন ভাবে উঠে এসেছে ।

আজ থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে দেখা পোড়াবাড়ি বাজার থেকে একটু পশ্চিমে ধলেশ্বরী নদীর বর্তমান অবস্থা দেখে বেশ কস্ট লাগল । যমুনার একটি শাখা নদী হিসাবে সে সময় এটা কিছুটা নাব্য ছিল । জানা যায় এক সময় এই নদীর ধারে পোড়াবাড়ির বাজারে স্টিমারঘাট ছিল। যমুনা থেকে আসা বড় বড় স্টিমার, লঞ্চ, কার্গো পোড়াবাড়িতে নোঙ্গর ফেলত। সমাজের নানা ধরনের লোকজনের আনাগোনা ছিল এই ঘাটে। বড় বড় , জমিদার, পাইকপেয়াদা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবার একটি অন্যতম লক্ষ ছিল পোড়াবাড়ির চমচমের আকর্ষণ। সেই আমলে এই পোড়াবাড়ি নাকি ছিল রমরমা অবস্থা। ৫০-৬০টি দোকানে নাকি রাতদিন চলত চমচমের বেচাকেনা। চমচমের আকারও যে অনেক বড় ছিল সেতো নীজের চোখেই দেখেছি, দুটোর বেশী চম চম একসাথে খাওয়া ছিল কস্টকর । আস্তে আস্তে কালের বিবর্তনে ধলেশ্বরী নদী জৌলুস হারাতে থাকে। ছোট হয়ে আসে নদীর আকার। বড় বড় লঞ্চ, ভীড়তে না পারায় ব্যবসায়ীদের আনাগোনা কমতে থাকে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে চমচমের প্রসার। বন্ধ হতে বসে পোড়াবাড়ির বাজারের সেই চমচম। চমচম তৈরীর কারিগররা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া ধলেশ্বরীর তীর পোড়াবাড়ি ছেড়ে শহরের দিকে ব্যবসা গুটাতে শুরু করে। এ কারণেই পোড়াবাড়িতে আজ চমচমের দোকান নেই বললেই চলে। ২-১টা দোকান যাও আছে সেগুলির জীর্ণদশা এ পোস্টের ছবিতেই চলে এসেছে । বর্তমান পুরাবাড়ীর বাজারে ছোট ছোট কলসিতে করে দুধের কেনা বেচা সহ ধলেষ্বরী নদীর ধুধু বালুচরে গড়ে উঠা সবুজের সমারোহ দেখে সত্যিই চোখ জুরিয়ে যায় , পুরাবাড়ীর প্রানবন্ত ছবি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে প্রামানিক ভাই এর কেমেরায় ।
অনেক ধন্যবাদ রইল এতিহ্যবাহী পুরাবাড়ী ও তার বিখ্যাত চমচমকে আমাদের সামনে নব আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ আলী ভাই। পোড়াবাড়িতে প্রায় ৩০ বছর আগে প্রথম যখন গিয়েছিলাম সেই সময়ের কিছু কাহিনী অনেক আগে পোষ্ট করা আছে। তখন আমার সাথে ছবি তোলার ক্যামেরা ছিল না, বর্ণনায় সেটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলাম, এইবার সাথে ক্যামেরা থাকায় ছবিতেই কিছুটা পোড়াবাড়ির অবস্থা তুলে ধরেছি। যে কারণে এই পোষ্টে তেমন কোন বর্ণনা দেই নাই। আপনি বিষয়টি সুন্দর ভাবে মন্তব্যের মাধ্যমে বর্ণনা করায় খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ষোলো সতেরো বছর আগে খেয়েছি একবার

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে। :(

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১২

প্রামানিক বলেছেন: চলে আসেন

২৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

জাহিদ হাসান বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো। সবাইকে চমচম খাওয়ান।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১২

প্রামানিক বলেছেন: চলে আসেন দলেবলে হাটে গিয়ে চমচম খাবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.