নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী দিবসে নারী গৃহকর্মীর মূল্যায়ন চাই

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৯


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

নারী দিবসে আজ যতগুলো নারী নিয়ে লেখা পড়লাম সবগুলোতেই নারীদেরকে মর্যাদার আসনে বসিয়ে মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে। নারীদের এই মূল্যায়ন কারা করবে? এই প্রশ্নের উত্তরে যা বোঝা গেল পুরুষ দ্বারাই নারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুরুষকেই বেশিরভাগ ইঙ্গিতে বোঝানো হচ্ছে। কিন্তু নারীর দ্বারা যে নারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এ বিষয়ে কোথাও উল্যেখ নেই বললেই চলে।

নারীরা নারীদের উপর কি পরিমাণ অত্যাচার করে তার কিছু উদাহারণ তুলে ধরা হলো - --

গৃহকর্মীদের উপর অত্যাচার ঃ অনেক বাড়িতেই পরিচারিকা আছে। গৃহকর্মীহিসাবে কোন বাড়িতে বয়স্কা মহিলা আবার কোন বাড়িতে ছোট ছোট শিশু বাচ্চা বা অল্প বয়সী তরুণীদের রাখা হয়। যে বয়সে পুতুল খেলার কথা, বই নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সে এরা অভাবে পড়ে পেটে ভাতে কাজ করতে আসে। অথচ এইসব গৃহকর্মীদের সাথে ভালো ব্যবহার করা তো দূরের কথা বাড়ির গিন্নিরা সামান্য ত্রুটি পেলেই অকথ্য অত্যাচার করে থাকে। কথায় কথায় চামুচ দিয়ে বাড়ি মারে, চুলায় খুন্তি গরম করে গায়ে ছ্যাকা দেয়, গরম পানি গায়ে ঢেলে দেয়, চুল ধরে দেয়ালে ধাক্কা দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়, গালে চিমটি দিয়ে গালের মাংস তুলে নেয়, লাঠি দিয়ে গরুর মত পিটায়, লাথি মেরে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে পা দিয়ে পাড়ায় ইত্যাদি নানা প্রকার অত্যাচার করে থাকে। মহিলা পরিচারিকাদের এই অত্যাচার কিন্তু পুরুষরা করে না বাড়ির গিন্নিরাই করে থাকে। শুধু অত্যাচারই করে না অনেক সময় অত্যাচার করতে করতে মেরেই ফেলে। অনেক সময় বাড়ির গিন্নিদের অত্যাচার কুলোতে না পেরে গৃহকর্মীরা ছাদ থেকে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকে। এমনও দেখা যায় অনেক গৃহকর্মীকে গভীর রাতে বাড়ির গেটের বাইরে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়। গভীর রাতে এইসব তরুনী বা মহিলারা কোথায় যাবে, কি করবে, কার হাতে পরবে, কি ধরনের বিপদে পড়বে সেসব কথা এতটুকুও চিন্তা করে না। এই অত্যাচারী মহিলারাই আবার সভা সমিতিতে গিয়ে মহিলাদের অধিকার নিয়ে কথা বলে থাকে। ধিক এইসব নারী নির্যাতনকারী মহিলাদেরকে।

পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় গৃহকর্মী নির্যাতনের খবর, গৃহকর্মী মেরে ফেলার খবর। এইসব গৃহকর্মী নির্যাতন ও মেরে ফেলার খবরের নেপথ্যে বাড়ির গিন্নিদের অত্যাচারের কাহিনীই বেশির ভাগ থাকে।

আজ নারী দিবসে নারীদের কাছে অনুরোধ। কাজের মেয়ের কাজ যদি ভাল না লাগে বা তার স্বভাব চরিত্র খারাপ দেখেন, দয়া করে তাকে তার বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন কিন্তু অত্যাচার করে মেরে ফেলবেন না। সে আপনার কাজের মেয়ে হলেও মেরে ফেলার অধিকার আপনার নাই। আপনিও মহিলা সেও মহিলা। আপনার নারীর অধিকার আদায়ের অধিকার থাকলে তারও ভালভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।

বউ শ্বাশুরীর অত্যাচার ঃ আগে প্রায়ই শুনতাম শ্বাশুরীরা বউকে অত্যাচার করে, এখন কিন্তু বিষয়টি উল্টে গেছে। এখন বউরা শ্বাশুরীকে অত্যাচার করে। বৃদ্ধ বয়সে শ্বাশুরীরা অনেক সময় ঠিক মত দু’বেলা ভাতই পায় না। গ্রামে অনেক মহিলাকেই দেখেছি বৃদ্ধ বয়সে বউ ভাত দেয় না বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে খায়। এমনও দেখা যায় শ্বশুর মারা গেছে উপর্জনক্ষম ছেলের বউ স্বামীর মগজ ধোলাই করে শ্বাশুরীসহ ননদদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এইসব অসহায় মহিলারা কোথায় যাবে, কি খাবে, এসব্ চিন্তা ওইসব বউদের মাথায় নেই। আবার ছেলে মারা গেছে শ্বাশুরী বচ্চাসহ ছেলের বউকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এরকম অসংখ্য ঘটনা কল্পনায় নয় বাস্তবেই চোখে পড়ে। কিছু কিছু মহিলা নিজে সুখে থাকার জন্য এইসব নিষ্ঠুর কাজ করতে এতটুকুও দ্বিধাবোধ করে না।

এই তো কিছুদিন আগে একটা ঘটনা স্বচক্ষে দেখলাম। ছেলে ঢাকায় চাকরি করে। যেখানে থাকে সেই এলাকায় গোপনে প্রেম করে গোপনেই বিয়ে করেছে। বিষয়টি বাবা মা কেউ জানে না। বিয়ের কিছু দিন পরে ছেলের সাথে মেয়ের কি নিয়ে ঝগড়া হওয়ায় ছেলে আর রাগ করে মেয়ের কাছে যায় না। মেয়ে থানায় গিয়ে মামলা করেছে। সব কিছুই হয়েছে গোপনে অথচ মামলা করার সময় ছেলের বাবা মাকে আসামী করা হয়েছে। মামলা করার পর পুলিশ গিয়ে আর কাউকে খুঁজে না পেয়ে ছেলের মাকেই ধরে নিয়ে জেল হাজতে ঢুকিয়ে দিয়েছে। নিরীহ মহিলা, জীবনে কোনদিন কোন অপরিচিত লোকের সামনে যায় নাই, না খেয়ে থাকলেও কোনদিন দোকানে যায় নাই, বাজার করে নাই, সারা জীবন ঘরের কোনায় থেকেছে, সেই মহিলা নির্দোষ হয়েও প্রেম ঘটিত ছেলের বউয়ের কারণে ১৪দিন জেল হাজত খেটে আসল। পুলিশ ধরে নেয়ার সময় মহিলার সেকি কান্না, তার গগণ বিদারী চিৎকারে চোখে জল ধরে রাখা যায় না। কিন্তু গগণ বিদারী চিৎকারেও পুলিশ ছাড়ল না। প্রেম করলো গোপনে, বিয়ে করলো গোপনে, ছেলের মা কিছুই জানে না অথচ জেল খাটানোর সময় নিরাপরাধ জেনেও ওই মাকেই জেল খাটানো হলো। একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীর উপরে এটা কি ধরনের অত্যাচার।

আমার প্রশ্ন হলো-- আপনারা মহিলা হয়ে যদি এক মহিলা আরেক মহিলাকে অত্যাচার করেন, তাহলে আপনাদের নারী অধিকার আদায় করে কি লাভ? নারীর অধিকার আদায়ও করবেন আবার নারী হয়ে নারীকে ঘাড় ধরে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন, তাহলে নারীর অধিকার থাকলো কই? নারী দিবসে প্রত্যেকটি নারী শপথ নিন, ঝি-চাকরানী, বউ শ্বাশুরী যেই হোন না কেন, কেউ কাউকে অত্যাচার করবেন না।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বর্তমান সময়ে যেসব মহিলা গৃহকর্মী রাখে এদের ৮০% ভয়ানক মহিলা

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভিন্নধর্মী উপস্থাপনায় ধন্যবাদ।

প্রস্তাবনায় সহমত।

+++++

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্যর জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অধিকার আদায়ের পাশাপাশি নারীদের দায়িত্ব কর্তব্যের প্রতি সচেতন হতে হবে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৬

প্রামানিক বলেছেন: ঠিক বলেছেন, নারীদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে আরো সচেতন হওয়া দরকার।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,




সম্ভবত এই ব্লগে নারী দিবসের একমাত্র ব্যতিক্রমী ও সাহসী লেখা ।
নারীরা এটা নিয়েও ভাবুক , নিজেদের সংশোধন করুক , সকল শ্রেনীপেশার নারীকেও এক কাতারে বসাক - এটা হোক নারীদিবসের চেতনার এক অনন্য নজির ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩২

প্রামানিক বলেছেন: গুরু, আপনি আমাকে যে সার্টিফিকেট দিয়েছেন তাতে আমার কষ্ট সার্থক মনে করতেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: অনেক ভাল বিষয় তুলে ধরেছেন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: প্রামানিক ভাই, একটি কঠিন ভাস্তবতা তোলে ধরেছেন। নারীদের প্রতি নারীরাই সহনশীল নয় দোষ যত সকল পুরুষের! নারী পুরুষ সবাই সচেতন হতে হবে তবেই নারীরা তাদের কাঙ্খিত অধিকার রক্ষা করতে পারবে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, নরীরা যদি নারীদের প্রতি সহসশীল হয় তাহলে পারিবারিক দ্বন্দ অনেক কমে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০১

সোহানী বলেছেন: অবশ্যই প্রামানিক ভাই, আপনার এ লিখার দ্বিমত করার কোন সুযোগ নেই। আমার একটা লিখা আছে এ নিয়ে শেয়ার দিলাম,
আমার বুয়া কাহানি... পর্ব-৫

হাঁ, আপনি যাদের কথা বলেছেন তারা নারী নয় তারা মানুষ নয় তারা একটা অমানুষ একটা পশু। এদেরকে কিভাবে তুলনা করবেন নারী অধিকার বা অন্য কিছুর সাথে, কোনভা্বেই সম্ভব নয়।

এটি ডিপেন্ড করে পারিবারিক শিক্ষা, রুচি বা মানসিকতার উপর।

বাসার কাজের মেয়ে কথা না শুনলে বা ভালো না লাগলে বিদেয় করে দাও। কে তোমাকে বলেছে ওকে নির্যাতন করে দিনের পর দিন ধরে রাখতে। সেটা পুরুষ বা নারী নয়, দরকার সঠিক শিক্ষা। একটি অসহায় মেয়ে খেতে পায় না বলে আমার বাসায় এসেছে দুবেলা খাওয়ার জন্য। যে বয়সে তার বই নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, বান্ধবীদের সাথে হাড়ি পাতিল পুতুল খেলার কথা সে বয়সের সব অধিকার থেকে সকল সুযোগ থেকে রাস্ট্র তাকে বঞ্চিত করেছে। আর আমরা তার বিনিময়ে মারধর করি। ধিক আমাদের!

আর আমি বুঝি না, মাকে কেন তুলনা করতে হবে অন্য কিছুর সাথে। মাতো মা-ই। পৃথিবীর সকল কিছুর উর্ধে। পৃথিবীর এমন কোন ধর্ম বা সমাজ নেই সেখানে মায়ের মর্যাদা সর্ব্বোচ্চ......। তাহলে যে সব কুলাঙ্গার মায়ের মর্যাদা দিতে জানে না তার দায়িত্ব কেন নারী সমাজকে নিতে হবে। একটি ছেলে যদি চায় তার মায়ের সন্মান দিতে, তাহলে কোন বউ এর সাহস আছে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার। এর সাথে কোন তুলনা বা কম্প্রোমাইজ হতেই পারে না। মায়ের সন্মান মায়ের কাছে বউ এর সন্মান বউ এর কাছে।

যে ঘটনার উল্লেখ করেছেন, সেখানে নারী বা মা বিষয় জড়িত নয়। জড়িত প্রতিশোধ। সেখানে ছেলে কেন এগিয়ে আসলো না মাকে নেয়ার সময়, কেন বললো না আমিই দায়ী মা নয়। এ কুলাঙ্গার ছেলে সাথে আপনি কেন নারী দিবসের তুলনা করছেন। বউ শাশুড়ির সম্পর্ক এর তুলনা করছেন?

একটু ভাবুন প্রামানিক ভাই, এটি নারীর সাথে নারীর দন্দ নয়, এটি ক্ষমতার দন্দ, এটি প্রতিশোধের দন্দ।

অনেক ভালো থাকুন প্রিয় কবি।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: আপনার লেখা বুয়া কাহিনী পড়লাম। আপনি বুয়া নিয়ে ভালো লিখেছেন।
সব নারীই যে নারীদের অত্যাচার করে তা নয়। আমার মা কোন কাজের মেয়েকে জোরে ধমক দিয়েছে এরকম দৃশ্য আমার চোখে কখনই পড়ে নাই। তবে কিছু কিছু নারী যে এত হিংসুটে এবং অত্যাচারী বাস্তব জীবনে তার অনেক ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছি। একজন মা সারা জীবন কষ্ট করে ছেলেদেরকে মানুষ করে অথচ শেষ বয়সে মায়েরা ছেলের বউ দ্বারা অত্যাচারিত হয়। বাস্তব জীবনের এরকম অনেক ঘটনা চোখে পড়ার কারণেই আজকের এই লেখা। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য শুভেচ্ছা রইল।

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১৮

ঢাকার লোক বলেছেন: ভালো লিখেছেন প্রামানিক ভাই, আরেকটা বিষয়ও লিখতে পারতেন, কারো একাধিক স্ত্রী থাকলে এক বৌ আরেক বৌকে অত্যাচার না করলেও একজন আরেকজনের বঞ্চনার কারন হন ! আফ্রিকাতে দেখেছি তারা অত্যন্ত মিলে মিশে বাস করে, বড় বৌ ছোট বৌকে পিছনে বসিয়ে মোটর সাইকেলে করে হাসাহাসি করতে করতে বাজারে যাচ্ছে এমন দৃশ্য খুবই সাধারণ !!

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২১

প্রামানিক বলেছেন: আফ্রিকাতে যা সম্ভব বাংলাদেশে তা সম্ভব নয়, কারণ বাংলাদেশের পরিবেশটা আফ্রিকার মত নয়। তথ্যমূল্যক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
একাগ্রতা পোষণ করছি।

আমাদের শিক্ষিত সমাজ যেন এ থেকে নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে পারে; হতে পারে সুশিক্ষিত।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩০

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মূল্যবান মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

১০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

ওমেরা বলেছেন: সাব্বাস ভাইয়া !! নারী দিবসে নারীরা হবে কপোকাত । ধন্যবাদ ভাইয়া।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০০

প্রামানিক বলেছেন: না রে বোন, নারী দিবসে নারীদের কুপোকাত করার জন্য পোষ্ট লিখি নাই, নারীদেরকে সচেতন হওয়ার জন্যই লিখেছি। অনেক আগের কথা, আমি ফকিরাপুল এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছি, ড্রয়িং রুমে বসে আছি পাশের বাসা থেকে হাউমাউ করে কান্নার শব্দ এলো, জানালা দিয়ে তাকাতেই দেখি বাড়ির গিন্নি রুটি ডলা বেলুন দিয়ে কাজের বেটিকে পেটাচ্ছে। আমি তাকাতেই বাড়ির গিন্নির চোখাচোখি হওয়াতে জানালা বন্ধ করে দিল। ঘটনাটি দেখে খুব খারাপই লেগেছিল।

১১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: তিক্ত সত্যকে এভাবে সামনে আনার চেষ্টার জন্য সাধুবাদ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:২৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই | নারী গৃহকর্মী, গার্মেন্টের নারীশ্রমিক সহ সকল শ্রেণী ও পেশার নারীকে উপযুত পারিশ্রমিক এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করা পর্যন্ত নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা হিপোক্রেসির পর্যায়েই থাকবে |

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

প্রামানিক বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, এখনও অনেক জায়গায় নারীদের অর্ধেক বেতন দেয়া হয়, অথচ তারা প্রডাকশন কম দেয় না। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রামানিক ভাই, খুবই জরুরি বিষয়ে লিখেছেন | এই সমস্যাটার দিকে আসলেই একটু তাকানো জরুরি | কিছু কিছু বাসায় ছোট ছোট কাজের মানুষের ওপর এমন অমানবিক আচরণ কেমন করে বন্ধ করা যাবে সেটা ভাবাটা আসলেই দরকার | আমি জানি না কেন একজন শিক্ষিত ভদ্রমহিলা তার বাসার কাজের মানুষের ওপর এতো নির্মম হবেন | এটা জানা গেলে হয়তো এটাও জানা যাবে যে কেন বাংলাদেশের ঘরে বাইরে কিছু চিহ্নিত ও শিক্ষিত মানুষকে দিয়ে আমাদের মেয়েরাও আক্রমণের স্বীকার হয় |

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

প্রামানিক বলেছেন: আপনি মন্তব্যে সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, আসলেই লেখালেখি করে হবে না কাজের মেয়েদের নিরাপদ করার জন্য আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ করা দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

কানিজ রিনা বলেছেন: এই সুন্দর পোষ্টটা স্টিকি করলে ভাল হতো
নারীরা সচেতন হত। যাহা বলিয়াছেন সত্য
বলিয়াছেন সত্যবৈ মিথ্যা একটুও নয়। তয়
একখানা কথা হাচা কইবেন? আপনার
বাড়ির কাজের মেয়েকে ভাবী কি এমন
কোনও খারাপ ব্যবহার করেছে?
আসলে উচিৎ বাড়ির ঝি কাজের মেয়েকে
যদি গৃহিনীরা নির্যাতন করে গৃহ কর্তা সে দিকে
খেয়াল রাখা। অসংখ্য অত্যাচারী গৃহকতৃ
আছে। যারা কাজের মেয়েকে নিঃশংস
ব্যাবহার করে।
তবে আমার জীবনের কৌতুক আমার স্বামী
দেখতাম কাজের বেটির সাথে ভালুবাসা করত
যখন ভালুবাসা চরম পর্যায় এগুত টাকা পয়সা
নষ্ট করত ঠিক তখনই কাজের বুয়াকে বাদ
দিতাম। কখনও কাজের বুয়ার উপর অত্যাচার
করি নাই। কারন আমি জানতাম আমার স্বামী
লম্পট লোক। তথাপি অন্য নারীরা ঘরের
স্বামী বা নিজে ছেলে যদি কাজের মেয়ের
সাথে পরোকীয়া বালুবাসায় জরায় তারা নিজের
লোককে দোষ না দিয়ে কাজের মানুষের
অত্যাচার নির্মম ব্যবহার করে এমনকি মেরেও
ফেলায় বাথরুমে আটকে রাখে। এহেন অপরাধ
ঘরে বেশীরভাগ নারীই করে থাকে। নারী
দিবসে নারীর ভুল তুলে ধরার জন্য আপনাকে
অভিনন্দন। সেই সাথে পুরুষের পাশাপাশি
নারীর অবনতী, আমি বলব যে সব মেয়েরা
বিবাহীত পুরুষের সাথে পরকীয়া করে পুরুষের
সংশারে ছেলে মেয়ে স্ত্রী থাকতে নিজের স্বার্থে
আগের সংশার ভেঙে তছনছ করতে দ্বিধা
করেনা বা নিজের স্বামী সংশার রেখে অন্য
পুুরুষের হাত ধরে বিলাসীতায় গা ভাসায়
আমি বিক্ষিপ্ত ধীক্কার জানাই। ধরে নিলাম
কিছু পুরুষ বানর চরিত্রের সেই সাথে নারী
বানরী না জুটলে কেমনে শুধু পুরুষেই দোশ
হয়। আজ এই পরোকীয়ার পোকা সমাজে
এমন ভাবে জেকে বসেছে তা বলাই বাহুল্য
কতকত সংশার স্ত্রী পুত্র পুত্রী বাবা হারা মা
হারা হচ্ছে যত্রতত্র তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
বেশ ভাল বিষয় নিয়ে লিখেছেন তাই নিজের
মনের কথাগুল প্রকাশ করতে পারলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

প্রামানিক বলেছেন: কাজের মেয়ের সাথে পরকিয়া এবং কাজের মেয়েকে বিয়ে করা নিয়ে আপনার লেখা পোষ্ট অনেক আগেই পড়েছিলাম। এসব বিষয়ে আপনি আপনার পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপর কিছুটা নাখোশ সে কথাগুলো আপনার লেখা ঐ পোষ্ট থেকেই জেনেছি।

তবে কথা হলো আমার বাসায় কোন কাজের মেয়ে নাই, আমার গিন্নি একাই সব সামাল দেয়, মাঝে মাঝে আমিও তাকে সাহায্য করি। এক সময় কাজের মেয়ে ছিল। আমার গিন্নির বাপের বাড়ির এলাকা থেকেই কাজের মেয়ে এনেছিল। কাজের মেয়ে থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝেই আমার পকেট থেকে টাকা হারাতো। আমি গিন্নিকে সন্দেহ করতাম এবং টাকার জন্য বকাবকি করতাম। গিন্নিও বুঝতে না পেরে আমার সাথে এ নিয়ে ঝগড়া করতো।
একদিন অফিস থেকে ফিরে বাসায় জামা রেখে অন্য জামা পড়ে বাজারে গিয়েছি। গিন্নি চোখ আধবোজা অবস্থায় শুয়ে আছে, হঠাৎ দেখে কাজের মেয়েটি আমার শার্টের পকেট থেকে টাকা বের করতেছে। গিন্নি আর তাকে ভালো মন্দ কিছুই বলে নাই। আমি রাতে যখন টাকার প্রয়োজনে পকেটে হাত দিয়েছি দেখি একটি টাকাও নাই। মেজাজ খারাপ করে গিন্নিকে যখন বললাম, তোমার টাকার দরকার হলে আমার কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারো না, আমাকে না জানিয়ে টাকা নেও কেন? এতে আমার সমস্যা হয়।
আজকের কথায় গিন্নি কেন যেন ফোঁস করে উঠল না, আস্তে করে বলল, কত টাকা?
বললাম, ৯৫টাকা।
আমার কথা শুনে গিন্নি কাজের মেয়েকে ডাক দিয়ে বলল, এই দেখতো-- তোর খালুর টাকা হারিয়েছে কোথাও খুজে পাওয়া যায় নাকি। আমি খুঁজে তো পেলাম না। তুই খুঁজলে অবশ্যই পাবি। তোর চোখ আমার চেয়ে অনেক ভালো। ভালো করে খুঁজে দেখ।
কিছুক্ষণ পরেই কাজের মেয়েটি টাকা এনে আমার গিন্নির কাছে দিয়ে বলে, রান্না ঘরে পড়ে ছিল।
আমার গিন্নি হারানো টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য তাকে অভিনয়ের মাধ্যমে বুঝতে না দিয়ে অনেক ধন্যবাদ দিল।
অন্য কেউ হলে হয়তো লাঠি দিয়ে পিটাতো, কিন্তু আমার গিন্নি তা করে নাই।
এর কিছুদিন পরেই কাজের মেয়েকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে ঐ যে রেখে এলো-- সেই থেকে আর কখনই কাজের মেয়ে রাখে নাই। সেই ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সে একাই সব কাজ করে।

১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কি আর বলবো প্রত‍্যেক মানুষের উচিত অন্য মানুষ কে সম্মান করা অন্যের অনুভূতিকে সম্মান করা।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, আমরা যদি একজন আরেকজনের মূল্যায়ন না করি তবে অন্যরাও আমাদের মূল্যায়ন করবে না। মানুষ হিসাবে ছোট বড় সবাইকে সম্মান করা দরকার।

১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ মুদ্রার অপর পিঠের বিষয়টি সুন্দর করে তুলে এনেছেন। ধন্যবাদ চমৎকার সচেতনতা সৃষ্টিকারী মূল্যবান পোস্টের জন্য। এটা সত্যিই আত্মঘাতী বিষয় কারণ, নারীরাই যেখানে নারীদের হন্তারক! এটা অস্বীকার করার যো নেই। এই ক্ষেত্রে নারীরা তাদের নিজেদের মান নিজেরাই বাঁচাতে হবে। মমতাময়ী নারী যদি আগ্রাসী স্বভাবের হয় তবে, মমতার সন্ধান কোথায় পাব? ধন্যবাদ আবারো। ভালো থাকুন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগল, বর্তমান সমাজে নারীদের উপর যে অত্যাচার হয় তার অধিকাংশই হয় নারীর দ্বারা, বাকীটা হয় পুরুষের দ্বারা। নারীদের অত্যাচার থেকে নারীরা মুক্ত নয়।

১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনি মনে কিছু করেন না সমাজে অনেক
অন্যায় করা নারীরা আছে বিশেষ করে
কাজের মেয়ে নির্যাতন প্রায়ই পেপার পত্রীকায়
মিডিয়ায় উঠে আসে। কাজের মেয়েকে
অত্যাচার করে সবই নারী গৃহকতৃ।
আমার মেয়ে প্রায়ই আমাকে বলে আম্মু তুমি
আমাদের দুইভাই বোন থেকে কাজের মেয়েকে
বেশী ভালবাস, প্রতিউত্তরে বলি বাবা সংশারে
তোদের থেকে জোছনা বা রুনু আমাকে বেশী
হেল্প করে ওদের তো ভালবাসতে হবে।
হয়ত ভাববেন বাড়ায়ে বলছি আসলেও না।
কাজের মেয়েকে কেন টিভির সামনে বসায়ে
পড়াও ওদের কেন আগে খেতে দাও এরকম
কিছু কথা বলে আমার মেয়ে। আমি বলি
বাবা আমার কাছ থেকে শিখে রাখো কি আর
বলব বলুন। আমার বাসায় থেকে কোনও
কাজের মেয়ে যায়না বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত।
এই দেখেন আবেগে কতটা বলে ফেললাম।
আমি কাজের মেয়েকে বা ছেলেকে নিজের
ছেলে মেয়ের মতই মনে করি, কোনও
অন্যায় করলে বকা দেই পড়তে বসালে
বার বার না পারলে গায়ে হাত তুলি যেমন
নিজের ছেলে মেয়েকে তুলেছি।
কেন জানি মনে হয় যেসব নারী কাজের
মেয়েকে মারতে মেরেই ফ্যালে তারা মানুষীক
রোগী। আমার এক চাস্তো বনের মেয়ে এরম
অত্যাচার করত দুইটা তিনটা কাজের ছেলে
মেয়ের গায়ে দাগ দেখে আমি নিজে ওকে
সায়েস্তা করেছি তারপর থেকে বোনের মেয়ের
সাথে আর কথা বলিনা ওর স্বামীকে বলেছিলাম খেয়াল রেখেন। এসব নির্যাতনকারী
নারীরা থাকে আলাদা।
হ্যা আবেগে নিজের স্বামীর কথা বলে ফেলেছি
মার্জনার চোখে দেখেন। ভাবীকে আপনি হেল্প
করেন শুনে খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

প্রামানিক বলেছেন: আপনার মত মহিলা বা আমার মায়ের মত মহিলা যারা আছেন তাদের দিকে তাকালে মনে হয়না কাজের মেয়েরা অত্যাচারিত হয়। কিন্তু এই ভালো লোকগুলোর পাশাপাশি কিছু অমানুষ আছে যারা কাজের মেয়েকে অত্যাচার করা ভদ্রতা মনে করে, তারা কাজের মেয়েকে মানুষই মনে করে না, রাতে শুতে দেয় রান্না ঘরের ফ্লোরে, কথায় কথায় মারধোর করে বাথ রুমে আটকিয়ে রাখে, গরম খুন্তির ছ্যাকা দিয়ে মুখের চেহারা নষ্ট করে দেয় এইসব মহিলাদের জন্য আফসোস হয়, এরাই সমাজটাকে কুলুষিত করেছে। আমি তাদের কথাই এখানে লিখেছি। ভালো মহিলাদের সংখ্যা অনেক তাদের কথা এখানে আসবে না।
আবেগে আপনার স্বামীর কথা লিখে ফেলেছেন, অসুবিধা নাই-- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি আপনাদের মিল থাকে তাতে স্বামী বেচারা বেজার হওয়ার কথা নয়। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।

১৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: আপনার চাওয়া টা খুব ভালো লাগলো। আসলেই অসহায় গৃহকর্মীদের সাথে অনেকেই খুব খারাপ ব্যবহার করেন। এই অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

প্রামানিক বলেছেন: জী বোন, নিজের চোখেও অনেক ঘটনা দেখেছি এবং পত্রিকাতেও অনেক সময় ছবি দেখে চমকে উঠতে হয়। পেটে ভাতে কাজ করতে গিয়ে একটি অসহায় শিশু কন্যা পেটন খেয়ে মারা যাবে এটা মেনে নেয়া যায় না। এদেরকে রক্ষা করা দরকার। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

শায়মা বলেছেন: গৃহকর্মী বা যে কোনো কর্মী মেয়ে হোক ছেলে হোক নির্যাতন অবশ্য পরিত্যাজ্য।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

প্রামানিক বলেছেন: কাজের লোকদের নির্যাতন করা কোনভাবেই ভদ্রতা নয়, এটা নিষ্ঠুরতা, কাজেই নির্যাতন যারা করে তাদের এটা পরিহার করা দরকার।

২০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নারীর দ্বারা নারী নির্যাতনের ঘটনা আমিও আমার জীবনে ভুরি ভুরি দেখেছি। আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন প্রামানিক ভাই। আমি আপনার বক্তব্যের সাথে ১০০% একমত।

ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ হেনা ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

২১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

কালীদাস বলেছেন: লেখাটা ব্যতিক্রমধর্মী, বক্তব্যটা ভাল লেগেছে প্রায় পুরোটাই। সবাই আকাশ পাতাল কাঁপিয়ে নারীদের অন্তঃসারশূণ্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে, সেখানে আপনার ভাবনাটা অন্যরকম এবং বাস্তবতা সম্পন্ন। ভাল লাগল :)

যারা এই টর্চারগুলো করে এদের সাইকোলজিটা বুঝার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে, ডিটেইলস কোথাও আসে না। কাজটা সবাই যে করে, তা কিন্ত না।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: আপনি ঠিকই ধরেছেন, কিছু মহিলা আছে যারা আসলেই বিবেকহীন, নিষ্ঠুর। ছোট ছোট শিশুদের কাজে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করে নিষ্ঠুরভাবে মেরে ফেলে। এইসব অসহায় শিশুরা না পারে প্রতিবাদ করতে না পারে নিজেকে রক্ষা করতে। হাত পা বাঁধা অবস্থায় কিছু নিষ্ঠুর মহিলার অত্যাচারে নিহত হয়। অত্যাচার করার সময় তারা ভুলেই যায় কাজের ছেলেরাও কোন না কোন মায়ের সন্তান। এদের কাহিনীগুলো মনে করলে মানবিক দিকটা নাড়া দিয়ে উঠে। এদেরকে রক্ষা করার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসা দরকার।

২২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সুমন কর বলেছেন: নারী দিবসের ভিন্নধর্মী পোস্ট। ভালো লিখেছেন এবং +।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, নারীরাই নারীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে বেশী

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৫

প্রামানিক বলেছেন: এই তো বুঝতে পারছেন, আপনি আছেন কেমন?

২৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ব্যপারটা একই সাথে মানবিক ও হতাশাজনক।
গৃহকর্মীদের কথা কী বলবো? তাদের সাথে যে অবিচার করা হয় তা নিজের কাছেই খারাপ লাগে।
একই লেখায় বউ শাশুড়িকে টেনে এনেছেন। এটা বর্তমান সময়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। সময় বদলে গিয়েছে। এখন আর মেয়েরা ত্যাগ স্বীকার করতে চাইছে না। বিয়ের ২/৩ বছরের মধ্যেই শাশুড়িদের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটছে। অথচ এটা হওয়ার কথা ছিল না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তুচ্ছ কারণে শাশুড়ির উপর রাগ করে বরের কাছে নালিশ করা হয়। বর বেচারা মার পক্ষ নিলে বউ রাগ হয়, বউর পক্ষ নিলে মা রাগ হয়। এ সমস্যা থেকে একমাত্র বউ-ই পারে উদ্ধার করতে। কারণ, তাকে বুঝতে হবে সেও একদিন শাশুড়ি হবে...

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১১

প্রামানিক বলেছেন: বউ শ্বাশুরীর সমস্যাটা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম বিয়ের পরে একান্নবর্তী পরিবারে থাকতে চায় না তখনই স্বামীর বাবা মা বিপদে পড়ে যায়। সুন্দর কথাই বলেছেন ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অনেক পরিচিত লোককেই দেখেছি কাজের মেয়ের উপর নির্মম অত‍্যাচার করতে , এমনকি খাবার ও ঠিক মতো দেইনা ।
অত‍্যাচার তখনই হয় যখন কেউ তাকে সহ‍্য করতে পারেনা । আমার কথা হচ্ছে যে মানুষ রাখা সহ‍্য করতে পারেনা তার তো কাজের লোক রাখার দরকার নেই ।
বউ কেবল শাশুড়ি কে অত‍্যাচার করে তা না । বউ রাও অত‍্যাচারিত হয় ।
গ্রামে দেখেছি ব উর খাবার নিয়েও খোটা দেয়া হয় , ঘুমাতে যাওয়া নিয়েও , বাপের বাড়ি থেকে কি এনেছে ,যৌতুক এর জন্য শাশুড়ি , জামাই ,ননদ কেউ ছাড়ে না ।
আর শহরে একজন শুনলাম ব উ এর দখলে রান্না ঘর চলে যাবে বলে বউকে ডুকতে দেয়া হচ্ছে না , আরেকটা শুনলাম ব উ কিছু করলেই বাবা মা কে ডেকে শাশুড়ি কথা শুনাচ্ছেন ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৩

প্রামানিক বলেছেন: নতুন অবস্থায় শ্বাশুড়িরা বউকে অত্যাচার করে আবার পুরান হলে বউরা শ্বশুড়িকে অত্যাচার করে। কাজের মেয়ে বা বউ শ্বাশুড়ি যে যাকেই অত্যাচার করে না কেন এটা আসলে নারীদের জন্য কোন মতেই সুখকর নয়। ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।

২৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এ বিষয়গুলো নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না মনে হয়। নারী নির্যাতনের সব দায় একতরফাভাবে পুরুষদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা সবমসময়ই লক্ষ্য করা যায়। অথচ নারী কর্তৃক নারী নির্যাতনের ঘটনা এ দেশে অহরহ ঘটছে।

১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, বউগুলো কাজের মেয়েকে পিটায় সেই অপরাধে পুলিশ এসে স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। উল্টা বিচার।

২৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভাল লিখছেন। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক ঘটনা ঘটে, গুরুত্ব পায় না। সচেতনতার দরকার। ধন্যবাদ প্রামাণিক ভাই।

১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, এব্যাপারে সরকারকে এগিয়ে আসা দরকার।

২৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ব্যস্ত এবং টেনশনিত আছি ভাই

১০ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: টেনশন কেন ভাই? কোন ঝামেলা?

২৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর অভিমত প্রকাশ ভালো লাগল।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৩

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৩০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গৃহকর্মী রাখা একটা ফ্যাশন। নিজের কাজ নিজেরই করা উচিত। অন্যথায় নিয়োগপত্র সহ গৃহকর্মী নিয়োগ করা উচিত।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৩

প্রামানিক বলেছেন: আপনি ঠিক কথাই বলেছেন। অন্তত এদের কাজে রাখার আগে থানায় জানানো উচিৎ তাহলে এভাবে কেউ অত্যাচার করতে পারবে না।

৩১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে অত্যন্ত চমৎকার এবং সময়োপযোগী একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে গৃহ পরিচারিকাদের প্রতি নারীদের দ্বারা কৃত যেসব নির্যাতনের উদাহরণ দিয়েছেন, তা কম বেশী আমরা সবাই জানি, কেউ প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, কেউ মিডিয়ার সুবাদে। আপনার সাথে কন্ঠ মেলাচ্ছি, নারীদের দ্বারা নারীদের প্রতি (বালক বালিকাসহ) এসব নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ হোক! আমার বাকী কথাগুলো আহমেদ জী এস বলে দিয়েছেনঃ
"সম্ভবত এই ব্লগে নারী দিবসের একমাত্র ব্যতিক্রমী ও সাহসী লেখা ।
নারীরা এটা নিয়েও ভাবুক , নিজেদের সংশোধন করুক , সকল শ্রেনীপেশার নারীকেও এক কাতারে বসাক - এটা হোক নারীদিবসের চেতনার এক অনন্য নজির
"।
একদম শেষে যে ঘটনাটির কথা বললেন, তা সত্যিই হৃদয় বিদারক!
ঢাকার লোক আফ্রিকান সতীনদের যে বর্ণনা দিয়েছেন (৮ নং মন্তব্য), তা পড়ে খুব মজা পেলাম।
শায়মা'র ছোট্ট মন্তব্যটাও (১৯ নং) বেশ ভাল লেগেছে।
পোস্টে ভাল লাগা + +

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৬

প্রামানিক বলেছেন: আপনি লেখাটির চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন, আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.