নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিশ্চিত গন্তব্য

ভণ্ড সাধক

আমি কেউ না

ভণ্ড সাধক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য গ্রেট চালি চ্যাপলিন... শুভ জন্মদিন

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৮



ছোটখাটো দুই পায়ে বিশাল আকারের জুতা। হাতে বেতের ছড়ি, বিশেষ ভঙ্গিতে ছাঁটা গোঁফে গুঁজে রাখা চুরুট, গোল হ্যাট আর আঁকা কালো দুই চোখ—এই আমাদের পরিচিত, প্রিয় চার্লি চ্যাপলিন। বিশ্ব চলচ্চিত্রে তিনি ছিলেন এক আইকন, বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তি চার্লি চ্যাপলিন৷

৭৫ বছরের ক্যারিয়ারে চ্যাপলিন কৌতুকাভিনয় দিয়ে হাসিয়ে হাসিয়েই জয় করেছেন দর্শকদের হৃদয়, দেখতে দেখতে অশ্রুও ঝরেছে তাদের৷শিল্প, সংস্কৃতি, রাজনীতি থেকে শুরু করে শ্রমিক সমাজ, প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা এবং সামাজিক দুর্দশাও ছিল তার ছবির বিষয়৷ নির্বাক যুগ থেকে শুরু করে সবাক ছবির জগতেও চ্যাপলিনের মতো আর কোনো শিল্পী ছায়াছবির জগতে এতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি৷

১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন চার্লি স্পেন্সার চ্যাপলিন৷ আজ তার ১২৭ তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন দ্য গ্রেট চার্লি চ্যাপলিন।

চার্লির জন্মস্থান কোথায় তা নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য কারও জানা নেই। তার জন্মের দুই বছরের মাথায় তাঁর বাবা-মা’র মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়৷ চার্লি চ্যাপলিনের পিতার নাম চালর্স চ্যাপলিন। তিনি মারা গিয়েছিলেন মাত্র ৩৭ বছর বয়সে। তার মায়ের নাম ছিল হানা। ১৮৯১ সালের আদমসুমারী থেকে জানা যায়, চার্লি তার মা হান্নাহ চ্যাপলিন এবং ভাই সিডনির সাথে ওয়ালওয়ার্থ, দক্ষিণ লন্ডনের বার্লো স্ট্রিটে থাকতেন, এটি কেনিংটন জেলার অন্তর্গত।

চার্লি চ্যাপলিনের শৈশব কেটেছে দুঃখ-দারিদ্র্যের মধ্যে৷ দুঃস্থ শিশুদের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষালাভ৷ সাত বছর বয়সেই আয়-রোজগারে নামতে হয় তাঁকে৷ নয় বছর বয়স থেকে মঞ্চে কৌতুক শিল্পী হিসেবে প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেখানো শুরু৷ ১৯ বছর বয়সে ‘ফ্রেড কার্নো' থিয়েটার কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ইংল্যান্ড থেকে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে৷ সেখানেই ধীরে ধীরে চলচ্চিত্র জগতে রাজ্য বিস্তার শুরু৷

চার্লি চ্যাপলিন ছিলেন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও সংগীতকার৷ সব কিছুতেই ছিলেন স্বশিক্ষায় শিক্ষিত৷ এমনকি চেলো, বেহালা ও পিয়ানো বাজানেতোও ছিলেন সিদ্ধহস্ত৷ এসবও শিখেছিলেন কোনো গুরুর সহায়তা ছাড়াই৷ প্রতিটি ছবির সংগীত রচনা করেছেন নিজে৷ কোনো ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তার ছিল না৷

চ্যাপলিন ছিলেন উদার ও শান্তিবাদী৷ যে কোনো বৈষম্য, বিচ্যুতির সমালোচনায় ছিলেন অকুতোভয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত সমাজের সমালোচনাও বাদ যায়নি তাঁর ছায়াছবিতে৷ এ কারণে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের রোশানলে পড়ে ৫০ দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বাধ্য হন চ্যাপলিন, থিতু হন সুইজারল্যান্ডে৷ ভবঘুরের জীবন কাহিনি থেকে বেরিয়ে নতুন আঙ্গিকের ছায়াছবি নির্মাণ শুরু করেন সেখানে৷ ১৯৭৫ সালে ইংলেন্ডের রানি এলিজাবেথ চ্যাপলিনকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন৷ ৭৭ সালে, ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র শিল্পী স্যার চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন ওরফে চার্লি চ্যাপলিন৷

একনজরে

পুরো নাম: স্যার চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন
জন্ম: ১৬ই এপ্রিল, ১৮৮৯, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যু: ২৫শে ডিসেম্বর, ১৯৭৭, ভিভে, সুইজারল্যান্ড
পেশা: অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও সংগীতকার
বাবা: চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন সিনিয়র
মা: হান্নাহ হেরিয়েট চ্যাপলিন
স্ত্রী: মিলড্রেড হ্যারিস (১৯১৮ – ২০), লিটা গ্রে (১৯২৪ – ২৭), পোলেট গোদা (১৯৩৬ – ৪২), উনা ও-নিল (১৯৪৩ – ৭৭)
উল্লেখযোগ্য ছায়াছবি: দ্য ট্র্যাম্প, দ্য গোল্ড রাশ, দ্য সার্কাস, মডার্ন টাইমস, দ্য গ্রেট ডিক্টেটর ।

view this link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৬

পুলহ বলেছেন: লেট হ্যাপি বার্থডে টু দ্য লিজেন্ড...

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমার অতি প্রিয় একজন অভিনেতা..... লাভ হিম মোস্ট!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.