নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
... তখন কলেজে পড়ি। এলাকার সমবয়সী বন্ধুদের নিয়ে নাটকের দল গঠন করেছিলাম। রিহের্সাল দিতাম গুলশান মডেল হাই স্কুলে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই প্রাক্তন ছাত্র আমি। এক বিকেলে রিহের্সালে গিয়ে চোখে পড়ে পাশের লেডিস পার্কে স্কুলের ইউনিফর্ম পরা কিছু ছেলে গোল হয়ে বসা। জটলার মাঝে একটু বয়স্ক দুই তরুণ, পরনে পাঞ্জাবি। স্কুল শেষ কখন, অথচ বাচ্চাগুলি বাসায় না গিয়ে ওইখানে কি করে!
দারোয়ান ইদ্রিস ভাই বললেন, পোলাপানগুলির মাথা খারাপ করতাছে। স্যার গো কইছি, তারা আমার কথা কানে নেয় না। বললাম, মাথা খারাপ করছে মানে? ঘটনা কি?
ইদ্রিস ভাইয়ের কথায় যা জানলাম, তার সারমর্ম হলো- ‘স্কুলে হানা দিয়েছে ছাত্র শিবির, চলছে ব্রেন ওয়াশ।’ শুনে নিজের ব্রেনেই চড়াৎ করে রক্ত ওঠে গেল। পাতা বাহারের ডাল ভেঙে সঙ্গীদের নিয়ে দিলাম ধাওয়া। আমাদের ধেয়ে আসতে দেখে পুচকি বিচ্ছুর দল যে যেদিক পারে ছুটে পালালো। ধরে ফেললাম এক শিবির নেতাকে। কিছু উত্তম-মধ্যম দিলেও গণপিটুনি থেকে তাকে রেহাই দিলাম একটা শর্তে, ইহজনমেও সে এবং তার দলের কেউ এ স্কুলের আশেপাশে আসবে না।
দুই বছর আগে এই স্কুল থেকে পাশ করেছি। তাই স্কুলের প্রতি ছিল বেশ দরদ। পরদিন হেডস্যার খালেদ মোমিনের সঙ্গে দেখা করে জানালাম ঘটনা। স্যার তো শুনে আকাশ থেকে পড়লেন। চিৎকার দিলেন, ইদ্রিচ্যারে তুই আমারে কস নাই কিল্লায়? কারা ছিল বেকগুনার নাম ক। ...বিপুল, কথা দিচ্ছি- আমি প্রত্যেকের গার্জিয়ানের সঙ্গে দেখা করবো। সব টিচারকে এলার্ট থাকতে বলবো।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীদের দলে টানতে না পেরে স্কুলের অপ্রাপ্তমনস্ক বাচ্চাদের মন রাঙানোর অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে মাঠে নেমেছিল শিবির ।
বুকের ভেতর টন করে ওঠলো যখন জানলাম, ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগ এবার একই অ্যাসাইনমেন্ট হাতে নিয়েছে। ছাত্রলীগ কি এতোটাই দেউলিয়া হয়ে গেল যে, তাদের শিবিরের তিন দশক আগের অপকৌশল অনুসরণ করতে হবে!
দেশের কোথাও কোনো কলেজে ছাত্র সংসদ নেই, ডাকসু নির্বাচন হয় না ২৭ বছর। অাগামী দিনকে নের্তৃত্ব শূন্যতার সংকট থেকে মুক্ত করতে চাইলে অবশ্যই ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন আছে। ডাকসু বা ছাত্র সংসদের নিয়ে ছাত্রলীগের মাথাব্যথা নেই, অথচ স্কুল পর্যায়ে রাজনীতির বীজ বপনের পরিকল্পনা! নিশ্চয়ই ছাত্রলীগের এই পদক্ষেপের পর বসে থাকবে না ছাত্রদল, নিজেদের জংধরা কৌশলে শান দিয়ে মাঠে নামবে ছাত্র শিবির। স্কুলের ক্লাস বাদ দিয়ে হবে মিছিল, আধিপত্য নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া আর গ্রুপিংয়ে মাতোয়ারা পোলাপান। কী দারুণ, জমবে খেলা ভালোই তো। এ খেলাই হতে পারে বুমেরাং।
ছাত্রলীগের নীতি নির্ধারক ও বর্তমান নেতৃত্বকে বুঝতে হবে, স্কুলের বাচ্চারা নিজেদের ভালোমন্দই তো ঠিকঠাক বুঝে না। রাষ্ট্রের ভালোমন্দ নিয়ে ভাবার মতো মানসিক ভিত্তি কি ওদের আছে?
বিপুল হাসানের ফেসবুক স্ট্যাটাস
# নিউজ লিংক: স্কুল পর্যায়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের নির্দেশ
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৩০
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: দেউলিয়া তো অবশ্যই। খালি ক্ষমতা চলে যাক। তারপর দেখবেন কোথায় যায় এসব।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৪১
কলাবাগান১ বলেছেন: এদেশে যখন এখনও সাকার অনুসারী আছে (দপ্তরবিহীন মন্ত্রী), তখন শিবির এর মত রাজাকার বাহিনীও থাকবে
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছাত্র রাজনীতি করে শেখ সাহেব নেতা হয়েছিলেন; উনার তিরোধানে ছাত্র রাজনীতির বিরাট অবদান ছিলো।
ছাত্র রাজনীতি বলতে কিছু নেই, আছে অপুষ্ট-মগজের লিলিপুটিয়ান রাজনীতিবিদ ও মাফিয়া
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৩৪
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ কলাবাগান আমাকে গুহাতে যেতে না বলার জন্য।
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হচ্ছে, এটা শিক্ষার বারটা বাজানোর পরিকল্পনার অংশ বিশেষ।
৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৭
জিল্লুর রহমান রিফাত বলেছেন: পুলা পাইন গুলানরে নষ্ট করার ধান্ধা।
৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২১
খাঁজা বাবা বলেছেন: সভ্য গনতান্ত্রিক দেশে ছাত্র রাজনীতির কোন ভুমিকা নেই। কওন প্রয়োজন ও নেই।
৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৪
মানিজার বলেছেন: বাল রাজনীতি বন্ধ করা দরকার । এইগুলার কারণেই আমাদের ছাত্ররা পড়াশুনা না শিখে রাজনীতি কনুইনীতি মারামারী শিখতে বাধ্য হয় ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:১২
কলাবাগান১ বলেছেন: কথা সেটাই..ছাত্রলীগ কি এত দেউলিয়ানাপনা হয়েছে যে শিবির কে অনুসরন করতে হবে???