নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিশ্চিত গন্তব্য

ভণ্ড সাধক

আমি কেউ না

ভণ্ড সাধক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ কেনো মন্ত্রিসভায় রদবদল!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:০৯



বর্তমান সরকারের মেয়াদপূর্তির শেষ সময়ে মন্ত্রিসভায় বড় ধরণের রদবদল আনা হলো। নতুন তিন মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীর অন্তর্ভুক্তির পরদিনই দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা চার মন্ত্রীর দফতর বদল নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। চলতি বছরেরই শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা, সেই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিসভায় এ পরিবর্তনকে অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। নতুন যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাদের প্রায় সবাই রাজনৈতিকভাবে খুব বেশি আলোচিত নন, প্রভাব নেই সরকারী দলের রাজনীতিতেও। তবুও হঠাৎ করেই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন তারা। পাশাপাশি যে চার মন্ত্রীর দফতর বদল হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজনই মহাজোটের শরিক দলের। এসব নিয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানারকম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ শুরু করেছেন।

হঠাৎ বড় ধরণের এই রদবদলকে আওয়ামী লীগ নেতারাও চমক হিসেবে দেখছেন। তবে বিষয়টিকে তারা দলের তাদের নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসাবে বর্ণনা করছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, রদবদলের প্রভাব বেশি পড়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের উপরে। শরিক দলগুলো থেকে যারা মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, তাদেরই অনেকের দায়িত্ব পরিবর্তন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরীক ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রাশেদ খান মেননকে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, সেটিকেও তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বলেই মনে করছেন। যদিও বাংলাদেশ বিমান এবং সিভিল এভিয়েশনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে মি. মেননের ব্যাপারে অনেক দিন ধরে অসন্তোষ ছিল।

২০১৬ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাঙ্গেরি সফরে যাওয়ার সময় বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেই বিমান জরুরি অবতরণ করাতে হয়েছিল। এ নিয়ে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এখন মি. মেননকে সরিয়ে অন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার পিছনে এসব বিষয় অন্যতম কারণ হয়ে থাকতে পারে বলে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের আরেক শরীক জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পানিসম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে সরিয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাঁর ব্যাপারেও আওয়ামী লীগের ভেতরে সমালোচনা ছিল। আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে বলেছেন, হাওর অঞ্চলে বাঁধ ভেঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়ার ক্ষেত্রে পানিসম্পদ মন্ত্রী হিসাবে মি: মাহমুদ যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেননি বলেই তারা মনে করেন।

এখন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির আরেক অংশের নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে। তিনি এতদিন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। সেই মন্ত্রণালয়ে তাঁর কাজ নিয়েও আওয়ামী লীগের ভিতরে সমালোচনা ছিল বলে দলটির নেতাদের অনেকে বলছেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের আরেক শরিক জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বহাল থাকলেও সেখানে তাঁর একক ক্ষমতা কিছুটা খর্ব হবে বলে মনে হচ্ছে। আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। সেই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিশ্বস্ত একজনকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বসানো হলো বলে দলের মধ্যেই ধারণা করা হচ্ছে।তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আনা হয়েছে তারানা হালিমকে। তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলোর কয়েকজন নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এনিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরে ক্ষোভ ছিল এবং ঐ মন্ত্রীদের কাজ নিয়ে বিভিন্ন সময় দলটির ভিতরে সমালোচনাও হয়েছে। এখন মন্ত্রিসভার রদবদলে শরিক দলগুলোর মন্ত্রীদের মন্ত্রণালয়ে আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে দলটির নেতাদের অনেক মনে করেন।

নতুন শপথ নেয়া কাজী কেরামত আলীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাঁস এবং দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য করায় মি: নাহিদকে নিয়েও আওয়ামী লীগের ভিতরে সমালোচনা হয় বলে দলটির নেতারা বলছেন।

এছাড়া নতুন তিন জন মন্ত্রীর মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের একজন উদ্যোক্তা মোস্তাফা জব্বারকে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন জুনায়েদ আহমেদ পলক। আর তারানা হালিম ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী। এখন মোস্তাফা জব্বার টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হয়ে দু’টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন।

লক্ষীপুরের সংসদ সদস্য শাহজাহান কামাল দায়িত্ব পেয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের। আর মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ঐ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হলেন। এই মন্ত্রণালয়েরই মন্ত্রী ছায়েদুল হক কয়েক সপ্তাহ আগে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে মৃত্যুবরণ করেন। মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পদ পূরণের বিষয়কে সামনে এনেই মন্ত্রিসভায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগে পুরনো ও সক্রিয় এমন অনেকেই আছেন যারা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবি রাখেন। কিন্তু সরকার সে দিকে যায়নি। বেশ কিছু দিন পর নতুন মুখ হিসেবে যারা এসেছেন তারা সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট হলেও ক্ষমতাসীন দলের ভেতরে-বাইরে তাদের তেমন কোনো প্রভাব নেই। তাদের মধ্যে একজন বর্তমান সরকারের সিনিয়র একজন মন্ত্রীর সম্পর্কে বেয়াই। অপর একজন ব্যবসায়ী। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক হলেও মন্ত্রী হয়েছেন টেকনোক্র্যাট কোটায়। জাতীয় নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেয়ার কথা এ যাবৎ ঘুণাক্ষরেও শোনা যায়নি। অপর একজনকে পূর্ণ মন্ত্রী করা হয়েছে। যিনি প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন তাকে কোন বিবেচনায় সামনে আনা হয়েছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই তা বুঝতে পারছেন না।


হঠাৎ কেনো মন্ত্রিসভায় রদবদল!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মন্ত্রীদের সবচেয়ে বড় কোয়ালিফিকেশন হলো, এরা শেখ হাসিনা থেকে কম বুঝেন, ও উনার ভয়ে মুরগীর মতো হয়ে থাকেন।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২৩

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: মাননীয় শেখ হাসিনা যখন শক্তিমান বুদ্ধিদীপ্ত সাগর, তখন সময়োপযোগী চমক তো আসবেই B-)

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যাকে নিয়ে এতো ভাবলাম তাকে তো সরানো হলো না।

খুব হতাশ হলাম।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

সনেট কবি বলেছেন: লক্ষ্মীপুরের লক্ষ্মী ছেলে শাহজাহান কামালকে লক্ষ্মীপুরবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সেই সাথে তাঁকে বিবেচনা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

সাইন বোর্ড বলেছেন: রসুন এবং পিঁযাজ মন্ত্রনালয় থাকলে অারো কিছু লোককে ধরে এনে মন্ত্রীত্ব দেওয়া যেতো...

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখাটি দুইবার পোস্ট হয়েছে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ভণ্ড সাধক বলেছেন: ধন্যবাদ, অনিচ্ছাকৃত ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। কারেকশন করেছি।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ১ নং মন্তব্যকারীর সাথে ১০০% সহমত।

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: নাহিদ ভাইয়ের খবর কি?
তিনি কি ফাঁস মন্ত্রনালয়ে দায়িত্ব পেলেন?

৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঐ জেলাগুলোকে খুশী করা হল , তবে এদের পিছনে মাসে কোটি কোটি টাকা খরচ না বাড়িয়ে ঐ টাকা দিয়ে অণশনরত শিক্ষকদের জন্য কিছু,করা যেত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.