নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিশ্চিত গন্তব্য

ভণ্ড সাধক

আমি কেউ না

ভণ্ড সাধক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগের আধুনিক নতুন কার্যালয় বনাম বিএনপির জীর্ণ কার্যালয়

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৩১



আ.লীগের ৭০ বছরে পদার্পন উদযাপন নতুন কার্যালয়ে


বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পথচলার ৬৯ বছর পূর্ণ হচ্ছে হলো আজ (২৩ জুন) শনিবার। এবারের বর্ষপূর্তির প্রধান আকর্ষণ হলো বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন। সকাল ১০টায় নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের নয়নাভিরাম ও বিশ্বমানের ১০ তলা ভবনটি নির্মাণে সময় লেগেছে দুই বছরে। নির্মাণ খরচ প্রায় ১০ কোটি টাকা, দলের নিজস্ব ফান্ড থেকেই এই ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে বলে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ঐতিহ্যের দীর্ঘপথে আওয়ামী লীগ এ ঠিকানার কার্যালয়টি ব্যবহার করছে ১৯৮১ সালের মে মাসে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ।
সেই থেকে এখনও এখানেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় রয়েছে। এর আগে ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করার পর এর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৯১, নবাবপুর রোডে দলের অফিস নেন। এর কিছু দিন পর অস্থায়ীভাবে সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলের গলিতে কিছু দিন বসেন নেতারা। পরে পুরানা পল্টনে দুটি স্থানে দীর্ঘদিন দলের অফিস ছিল।

দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েকে যুগোপযোগি এবং আধুনিক করার লক্ষে ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই ওই ভবনটি ভাঙ্গা হয়। পুরনো ভবন ভেঙ্গে ১০ তলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে গতমাসেই । সাজসজ্জার কাজও প্রায় শেষ। এখন অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের, দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনুষ্ঠানিকভাবে নবনির্মিত কার্যালয়ের দুয়ার উন্মোচন করবেন।

দৃষ্টিনন্দন এভবনের সামনের দেয়ালে রঙতুলির অাঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। প্রবেশমুখের দেয়ালে লেখা রয়েছে কোটি মানুষের সেই প্রাণের শ্লোগান ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধ’। এর পাশেই প্রতীক নৌকার ছবি। বাম পাশে আ.লীগের ৪ মূলনীতি খোদাই করে লেখা গণতন্ত্র, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষতা। ভবনের উপরের অংশের দেয়াল জুড়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে রেসকোর্সে ময়দানেঐতিহাসিক ভাষণের প্রতিচ্ছবি। মূল প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই নিচতলার দেয়ালজুড়ে থাকছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরেকটি বিশাল প্রতিকৃতি চোখে পড়ে। এরই একপাশে রয়েছে অভ্যর্থনা টেবিল। সবমিলিয়ে মনোরম সজ্জা।

এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী নিজেদের নতুন অফিস দেখতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ভিড় করছেন। মন্ত্রী থেকে আরম্ভ করে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা সবাই আসছেন। তাদের আনাগোনায় প্রটোকলের নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। এ ভবনটিকে নেতাকর্মীরা এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপহার হিসেবে দেখছেন।

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, ‍পুরনো ভবনটি ভেঙে ফেলার পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ভবন নির্মাণের আনুষ্ঠানিক কাজে হাত দেওয়া হয়। লক্ষ্য ছিল দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার। সেই হিসেবে আগামী সেপ্টেম্বরে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার চার মাস আগেই শেষ হলো ভবন নির্মাণের। নতুন কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবন নির্মাণ করতে কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়নি। পূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ভবনটি নির্মিত হয়।

বিল্ডিং কোড মেনে সামনের দিকে রাস্তা থেকে ১০ ফুট ও পেছনের দিকে ১৭ ফুট জায়গা ছেড়ে মোট জমির ৬৫ শতাংশ ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা ও ভবন নির্মাণ-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দলের নিজস্ব ফান্ড থেকে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এর সামনের দেয়ালের দুইপাশ কাচ দিয়ে ঘেরা আর মাঝখানে সিরামিকের ইটের বন্ধন। ভবনের সামনে-পেছনে থাকবে ফুলের বাগান। এ ভবনের সামনে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে স্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। ভবনটির প্রথম থেকে তৃতীয়তলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোর ৪ হাজার ১শ’ বর্গফুট। চতুর্থতলা থেকে উপরের সব ক’টি ৩ হাজার ১শ’ বর্গফুটের।

ভবনের ভিতরেই ঢুকতেই সিঁড়ির পাশাপাশি রয়েছে দুটি লিফট। একটি লিফট সাইজে ছোট অপরটি সাইজে বড়। ভবনের বেসমেন্ট এ থাকছে গাড়ি পার্কিং, নীচ তলায় প্রবেশ ও গাড়ি পার্কিং, ১ম ও ২য় তলায় সভাকক্ষ, ৩য় ও ৪র্থ তলায় সাধারণ অফিস, ৫ম তলায় সম্মেলন কক্ষ, ৬ষ্ঠ তলায় কোষাধ্যক্ষ’র অফিস, ৭ম তলায় সাধারণ সম্পাদকের অফিস, ৮ম তলায় দলের সভাপতির অফিস এবং ৯ম তলায় ক্যাফেটেরিয়া।

দলের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ সহকারি ড. আবদুস সোবহান গোলাপ পূর্বপশ্চিমকে জানান, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একটি শীর্ষ রাজনৈতিক সংগঠন। ক্রমান্বয়ে এ সংগঠনের পরিধি বাড়ছে ও সে সাথে বাড়ছে দলীর জনবল এবং বাড়ছে সংগঠনের দলীয় কার্যক্রমও। তাছাড়া নতুন নিজস্ব কার্যালয়টি আমাদের দীর্ঘ দিনের ফসল। যার ফল ভোগ করবে দলের সকল নেতাকর্মীরা। আগামী ২৩ জুন আ.লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নব-নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই উপস্থিত থেকে নব-নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করবেন। সে জন্য পুরো ভবনকে নান্দনিক রূপে জানানো হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এবারের বর্ষপূর্তিতে ১০ তলা নব-নির্মিত ভবনটি আমাদের নেতা-কর্মীদের জন্য একটি বড় সারপ্রাইজ। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে নির্মিত ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে ওয়াই-ফাইয়ের সিস্টেম চালু করা হবে। তাছাড়া দলের নেতা-কর্মীদের জন্য প্রচার দফতর, গবেষণা ইত্যাদি আলাদা আলাদা রুম রয়েছে।

ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ভবনের আইসিটি রুমে সাংবাদিকদের বসে সরাসরি সংবাদ প্রেরণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে সাংবাদিক ভাই-বোনেরা বসে নিউজের কাজ করতে পারবেন।।

এক প্রশ্নের জবারে দলের এই দফতর সম্পাদক পূর্বপশ্চিমকে বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে জানে বলেই আওয়ামী লীগ ৬৯ বছর ধরে নিজস্ব ঐতিহ্য বজায় রেখে এখনও দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে আছে। তবে আগে যারা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা এনালগ সিস্টেমে কাজ করছে। আর নতুন দিনের নতুন আ.লীগ এখন কাজ করছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

কার্যালয় প্রসঙ্গে কথা হলো ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি দেশের বৃহত্তম পার্টি অফিস হবে। এটা আমাদের নেতাকর্মীদের জন্য গর্বের বিষয়। পুরনো ভবন ভাঙার প্রায় দুই বছর পর নতুন ভবনে উঠতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম পুরনো দল আওয়ামী লীগ। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে এক ছাদের নিচে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা বসে দলের কার্যক্রম চালাতে পারবো। নেত্রী আমাদের সকল কাজে উৎসাহিত করবে সে আশাই করছি।



সংস্কারহীন জরাজীর্ণ নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয়


দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের একটি হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটি প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে সবচেয়ে নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেখানে আওয়ামী লীগ নতুন দিনের প্রত্যয়ে নতুন কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে চলেছে, সেখানে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রায় ১০ বছর ধরে পড়ে আছে সংস্কারবিহীন জরাজীর্ণ অবস্থায়।

১৯৯৩ সালে বিএনপি’র প্রধান কার্যালয় ধানমন্ডি থেকে নয়াপল্টনে স্থানান্তরিত হয়। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনও করা হয়নি।তৎকালীন বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন চৌধুরী নেতৃত্বে বর্তমান ভবনটি দখল করেন বিএনপি নেতৃত্বধীন সরকার। বর্তমানে ৬ তলা ভবনটির বেহাল দশা। গত এক দশক ধরে ভবনটির কোনো সংস্কার হয়নি। একসময় যেখানে হরদম নেতাকর্মীদের ভিড় লেগেই থাকতো, সেখানে এখন মাঝে মধ্যে সন্ধ্যায় বাতি জালানোর মতো থাকে না।

অাশির দশকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন করা হয় দাবি করে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের অফিস থেকে জাগোদল পরিচালনা করতেন প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ১৯৭৭-৭৮ সালের দিকে নয়াপল্টনস্থ নিজস্ব কার্যলয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বঙ্গভবন থেকে এখানে এসে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন ।১৯৭৯ সালের দিকে দলের সব অঙ্গ সংগঠনের কার্যক্রম ও দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নয়াপল্টন অফিস কেন্দ্রীক অানাগোনা বাড়তে থাকে।

তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যার পর এরশাদ ক্ষমতায় আমলে জাতীয় পার্টিরনেত্রী রিজিয়া বেগম এর মামলার ফলে বিএনপিকে নয়াপল্টনস্থ কার্যলয় ছাড়তে বাধ্য হয় সেই থেকে টানা ৮ বছর দলটি কার্যলয়ে ঘেসতে পারেনি। এরশাদ পতনের পর ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় ফিরে আসলে ১৯৯৩ সালে পল্টনের দলিয় কার্যলয় পূর্ণ রায় দখলে নেয় দলটি।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে ধানমন্ডি পুরাতন কার্যালয় থেকে গাড়ি করে সকল মালামাল নিয়ে পল্টন অফিসে সরাসরি কার্যক্রম আরম্ভ করে বিএনপি। সবমিলিয়ে বর্তমানে ভবনটিকে জরাজীর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। তাছাড়া বর্তমানে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ডিজিটাল ব্যানারে ঢাকা পড়েছে মূল ভবনটি। সড়কের দুদ্বারে রয়েছে এ রকম অনেক ব্যানার ফ্যাস্টুন। এ সকল ব্যানার ফ্যাস্টুনের অধিকাংশ নেতাকর্মীদের নাম জানেন না কেন্দ্রীয় নেতারা। তারপরেও তাদেরকে দলের শুভাকাঙ্খী মনে করছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের একাংশ।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ পথের পাশেই রয়েছে শহীদ জিয়ার ভাস্কয। ভাস্কর্যের উপরে লেখা আছে ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক’। ডানে রয়েছে বিএনপি সামগ্রী প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র। সে কেন্দ্র রয়েছে বিএনপির কাযক্রমের সকল ডকুমেন্ট, সিডি, বই ইত্যাদি।

২য় তলায় তালাবন্ধ অবস্থায় চেয়ারপার্সন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কার্যালয় দেখা গেছে। এছাড়াও ৩য় তলায় রয়েছে কনফারেন্স রুম, মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব ও দাফতরিক কাযক্রমের অফিস। কনফারেন্স রুমে জিয়াউর রহমান মাঝে খালেদা জিয়া এবং পরে তারেক জিয়ার ছবি একই ফ্রেমে বাধাই করা ছবি ঝুলানো রয়েছে। তবে ভিতরে ছোট একটি রুমে অবস্থানরত রয়েছে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল করিব রিজভী আহমেদ। ছোট কিসেন রুমের অবস্থাও খুব একটা সুবিধাজনক নয়। অপরিস্কার হয়েছে আছে। দেয়ালের অবস্থাও শেওলাযুক্ত। তারপরে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আনাগোনা দেখা গেছে।

৩য় ফ্লোর অর্থাৎ ৪র্থ তলায় অন্ধকার ও তালাবন্ধ অবস্থায় দেখা গেছে বেশ কয়েকটি দলের কার্যালয়। ‘তারেকের অবৈধ সাজা বাতিল কর’, ‘খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে’ এমন পোস্টের চারদিকের দেয়ালে লাগানো। ভিন্ন ভিন্ন রুমে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জাতীয়তাবাদী যুবদলকেন্দ্রীয় কার্যালয়, জাতীয়তাবাদী যুবদল (ঢাকা মহানগর উত্তর কার্যালয়), জাতীয়তাবাদী যুবদল (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কার্যালয়), জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রধান কার্যালয়। ৪র্থ ফ্লোর অর্থাৎ ৫ম তলায় তালাবদ্ধ রয়েছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)। ৫ম ফ্লোর ৬ষ্ঠ তলায় রয়েছে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৫১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: নিজদের কাজ, ২৪ মাসের বদলে ১৮ মাসেই ১০তলা শেষ! হতেই পারে! মন্ত্রী নিজেই সরাসরি তদারকি, বাহ। জনগণের কাজ গুলো যদি এভাবে হত!

২| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:০৪

মোঃ জিদান খান (অয়ন) বলেছেন: নিজেদের কাজ সময়ের আগেই পূর্ণতা পায়। কিন্তু জনগণের ভ্যাটের টাকায় করা কাজ সময় গড়িয়ে গেলেও পূর্ণতা পায় না।
ব্লগটি ঘুরে আসার নিমন্ত্রণ রইলো।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


চোর, ডাকাত, মাফিয়া, টেন্ডারবাজদের মিলনকেন্দ্র তৈরি হয়েছে; আগামীে, কোন এক বাংলাদেশ সরকার উহা কেড়ে নেবে।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিএনপি'র অফিসে র‌্যাবের অফিস করে ফেলা উচিত।

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে সেই রকম পার্টি অফিস করবে। অবশ্য তারা ক্ষমতায় থাকা কালীন জায়গা নির্বাচন করে রেখেছিলেন। কিন্তু পার্টি অফিস বানানোর আগেই তাদের ক্ষমতা বাদ পড়লো।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

হাঙ্গামা বলেছেন: বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তারা মহাশুন্যে দলীয় কার্যালয় করে দেখাবে।
তারেক রহমান সরাসরি তত্ত্বাবধান করবেন।
আম্লীগ ২ বছরে করছে, বিম্পি ২ মাসে করে দেখাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.