নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সংবিধানের প্রথম ভাগের অনুচ্ছেদ ০৭ (১) অনুযায়ী আমরা দেশের মালিক। হে রাজনীতিবিদেরা আমাদের মালিকানা আমাদের বুঝিয়ে দাও।

আমপাবলিক

প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে। জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে৷

আমপাবলিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ আর গণতান্ত্রিক নয় , মন্তব্য জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৫



বাংলাদেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং সেখানে এখন গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদন্ড পর্যন্ত মানা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছে একটি জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

বিশ্বের ১২৯ টি দেশে গণতন্ত্র, বাজার অর্থনীতি এবং সুশাসনের অবস্থা নিয়ে এক সমীক্ষার পর জার্মান প্রতিষ্ঠান 'বেরটেলসম্যান স্টিফটুং' তাদের রিপোর্টে এই মন্তব্য করে। রিপোর্টটি শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে।

রিপোর্টে ১২৯ টি দেশের মধ্যে ৫৮ টি দেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং ৭১ টি দেশকে গণতান্ত্রিক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ২০১৬ সালে তাদের আগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিশ্বের ৭৪টি দেশে গণতান্ত্রিক এবং ৫৫টি দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে।

একশো উনত্রিশটি দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে যে সূচক এই সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান ৮০ নম্বরে। একই অবস্থানে আছে রাশিয়া।

উরুগুয়ে, এস্তোনিয়া এবং তাইওয়ান আছে এই সূচকের শীর্ষে। আর একেবারে তলায় রয়েছে সোমালিয়া, ইয়েমেন এবং সিরিয়া।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান অবশ্য বাংলাদেশের নীচে - ৯৮ নম্বরে। মিয়ানমারের অবস্থান ১০৪ নম্বরে। অন্যদিকে ভারত আছে বেশ উপরের দিকে - ২৪ নম্বরে। শ্রীলংকার অবস্থান ৪১ নম্বরে।

'বেরটেলসম্যান স্টিফটুং' ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এ ধরণের রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে।

তবে তাদের এই সমীক্ষায় উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া সহ পরিণত গণতন্ত্রের দেশগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, "বিশ্বে গত ১২ বছরের মধ্যে গণতন্ত্র এবং সুশাসনের অবস্থা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এক সময় বিশ্বের যেসব দেশকে মুক্ত বলে ভাবা হতো, সেসব দেশের সরকারও ক্রমশ কর্তৃত্বপরায়ন হয়ে উঠছে।"

রিপোর্টে বলা হয়, "বিশ্বে যে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে, সেটার চাইতে বেশি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে গণতান্ত্রিক দেশুগুলিতেও এখন নাগরিক অধিকার ক্রমশ খর্ব করা হচ্ছে এবং আইনের শাসন ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। ব্রাজিল, পোল্যান্ড এবং তুরস্কের মতো দেশ, যাদেরকে গণতন্ত্রায়নের আলোকবর্তিকা হিসেবে দেখা হচ্ছিল, তাদেরই সবচেয়ে বেশি অবনতি ঘটেছে।"

এই রিপোর্টে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে তুরস্কের কথা। এতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে তাদের সর্বশেষ রিপোর্টের পর তুরস্কেই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বেশি অধোগতি দেখা গেছে। প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান সেখানে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর মত প্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশ করার অধিকার ব্যাপকভাবে খর্ব করেছেন বলে মন্তব্য করা হয়।





২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে এই সমীক্ষা চালানো হয় যেসব দেশের ওপর, তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে পাঁচটি দেশের কথা—বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া এবং উগান্ডা।

রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই পাঁচটি দেশ এখন আর গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদন্ড পর্যন্ত মানছে না। এসব দেশে বহু বছর ধরেই গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছিল। এসব দেশের ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণেই এটা ঘটেছে বলে মন্তব্য করা হয় রিপোর্টে। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণেই বাংলাদেশকে 'স্বৈরতন্ত্র' বলে চিহ্ণিত করা হয়েছে।


"এই পাঁচটি নতুন স্বৈরতান্ত্রিক দেশ এমন একটা পর্যায় অতিক্রম করেছে, যেদিকে যাচ্ছে আরও কিছু ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশ - হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, মলডোভা, নিজার, ফিলিপাইন এবং তুরস্ক।"

তবে রিপোর্টে কিছু কিছু দেশে গণতান্ত্রিক অগ্রগতির প্রশংসা করা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে আর্জেন্টিনা, মরিশাস এবং উরুগুয়ে।

২০১৬ সালের রিপোর্টে বার্কিনা ফাসো এবং শ্রীলংকাকে মধ্যম মাত্রার স্বৈরতন্ত্র বলে বর্ণনা করা হয়েছিল। এই দুটি দেশকে এবারের রিপোর্টে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র বলা হয়েছে।


সংবাদ সূত্রঃ Click This Link
ছবি সূত্রঃ বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন গুগলে চিত্রশিল্পী হুদার প্রকাশিত কার্টুন। এখানে প্রকাশিত ছবিগুলোর যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র গুগল ও চিত্রশিল্পীর।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার মতে, কোন সাল থেকে বাংলাদেশে ডিক্টেটরশীপ চালু হয়েছে?

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪৬

আমপাবলিক বলেছেন: আপনি প্রবীন তাই আপনার কাছ থেকেই আমরা জানতে চাই।

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫০

কলাবাগান১ বলেছেন: যে কার্টুন প্রকাশ করেছেন, স্বৈরশাসক মাটির নীচ থেকে হলেও ধরে আনত... অথবা প্রকাশ ও করতে পারতেন না...টিভি চ্যানেল গুলিতে যে ভবে সরকার কে তুলাধুনা করা হয়, সেটা স্বৈরশাসক কোন দিন টলারেট করত না

যখন গ্রেনেড মেরে পুরা বিরোধী দলকে বিনাশ করার প্রয়াস হয় তখন গনতন্ত্রের সুবাতাস বয় আপনাদের মত লোকদের মতে। তো এতদিন ঘুমায়ে ছিলেন যে আপনি মনে করেছেন যে ব্লগার রা কেউ জানে না এই খবর??? এটা নিয়ে ৩০-৪০ টা পোস্ট হয়েছে, তার পর ও এমন ভাবে 'লিখলেন' যে এটা ব্রেকিং নিউজ। অবশ্য আপনাদের মত dimwit দের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশী আশা ও করা যায় না

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

আমপাবলিক বলেছেন: বাংলার মানুষ সব জানে। আমাকে গালমন্দ করলে করতে পারেন কিন্তু তাতে কি পুরনো বাকশাল আর নতুন সৈরতন্ত্রের তকমা ঘুচে যাবে ?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ভাই লেখার কথা কিছু বলমু না, আপনার ছবিগুলোন কিন্তু একদম সেরকম হয়েছে। একটু সাবধানে থাকবেন এখানে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

আমপাবলিক বলেছেন: ছবিগুলো গুগোল আর হুদার, এখানে আমার কোন দ্বায় নেই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০১

পিকো মাইন্ড বলেছেন: মাইনষে এহনো কোটা নিয়া ব্যস্ত। ধনতন্ত্র, গণতন্ত্র নিয়া গো-বেষণার টাইম নাই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০৫

আমপাবলিক বলেছেন: গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হলে কোঠা বিলুপ্তি আন্দোলন সফল হবে কি করে !

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " আপনি প্রবীন তাই আপনার কাছ থেকেই আমরা জানতে চাই।"

-ওকে, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট সেটার শুরু ছিল, আজও চলছে

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৪৭

আমপাবলিক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৫৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: জোশ কার্টুন। মজা লাগল।

বাংলাদেশের মত তুরষ্কের বিষয়টিও খুব উদ্বেগজনক। ছোট খাট সমালোচনাতেই মানুষজন জেলে যাচ্ছে। এগুলো আবার সাংবিধানিকও। এরদোগান হিজাব ইস্যুতে লড়াই করেছেন যা প্রশংসনীয়। কিন্তু বাক স্বাধীনতার বিষয়ে দেখা যাচ্ছে তিনি অন্যান্য ধর্ম নিরপেক্ষ সরকারের চেয়ে আলাদা কিছু নন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

আমপাবলিক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৪৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: কোন পরিসংখ্যান/অর্জন সত্যি, আর কোনটা ভুয়া, সেটা বুঝার জন্য মানুষের মগজ/বিবেকই যথেষ্ট, তদন্ত করতে হয় না।
---- সহলেখকের কথা।

*** বাকশাল সম্পর্কে আপনার ধারণা শোনা মুসলিম টাইপের।

*** ছবিগুলো দিয়ে আপনি বাক স্বাধীনতার অপপ্রয়োগ করেছেন।

***পুরো লেখা কপি-পেষ্ট করেছেন। এটা নিয়ে ১৫-২০ টা পোস্ট রয়েছে, খেয়াল আছে???

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

আমপাবলিক বলেছেন: ভাই এইধরনের সংবাদ লেখার ক্ষমতা আমার নাই তাই বিবিসি থেকে কপি করেছি এবং এই ছবিগুলোও হুদার আঁকা এবং গুগল থেকে সংগ্রহীত একথাগুলি পোষ্টের নিচে তথ্যসূত্র হিসেবে দেওয়া আছে তবুও আপনি প্রশ্ন করেছেন দেখে অবাক হলাম। আর ১৫-২০টা কেন! জনতার অধিকার খর্ব হয়েছে এমন বিষয় দেখলে তো ১৫,০০০ - ২০,০০০ একধরনের পোষ্ট হওয়া উচিত।

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এক জিনিষ বারবার পড়তে ভালো লাগে না। আপনার নিজের কোন কথা থাকলে সেটা আলাদা ব্যাপার। আর পাবলিক প্লেসে এসব ছবি দেখলে কষ্ট লাগে।

হাসানা আপার বিকল্প কোন নেতা এখন দেশে নাই। কোনদিন যদি আসমান থেকে নাজিল হয়। আমরা ভোট দিব।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

আমপাবলিক বলেছেন: শেখ হাসিনার মত একজন নেতার দরকার ছিল, তবে তার কিছু কর্মকান্ডের জন্য তিনি আজ প্রশ্নবিদ্ধ। আমার তো মনে হয় তার কিছু ত্রুটি হয় তার দলের পান্ডাদের কারনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.