নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সংবিধানের প্রথম ভাগের অনুচ্ছেদ ০৭ (১) অনুযায়ী আমরা দেশের মালিক। হে রাজনীতিবিদেরা আমাদের মালিকানা আমাদের বুঝিয়ে দাও।

আমপাবলিক

প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে। জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে৷

আমপাবলিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিটা নাগরিকের তার সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক অধিকারগুলি জানা উচিত। (পর্ব ০২)

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১১



বাংলাদেশ সংবিধানের মৌলিক অধিকার

বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭-৪৪ অনুচ্ছেদে মোট ১৮টি মৌলিক অধিকারের উল্যেখ রয়েছে।
মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে আদালত কর্তৃক বলবদ করা যায়।


অনুচ্ছেদ-৩৬ঃ
জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধÑসাপেক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা, ইহার যে কোন স্থানে বসবাস ও বসতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।

অনুচ্ছেদ-৩৭ঃ
জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধ্য-নিষেধÑসাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।

অনুচ্ছেদ-৩৮ঃ
জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধ্য-নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে। তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তির উক্তরূপ সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার কিংবা উহার সদস্য হইবার অধিকার থাকিবে না, যদি-
(ক) উহা নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়;
(খ) উহা ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ, জন্মস্থান বা ভাষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে গঠিথ হয়;
(গ) উহা রাষ্ট্র বা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কিংবা অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জঙ্গী কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়; বা
(ঘ) উহার গঠন ও উদ্দেশ্য এই সংবিধানের পরিপন্থী হয়।

অনুচ্ছেদ-৩৯ঃ
(১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইল।
(২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক্ ও ভাব-প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং
(খ) সংবাদক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল।

অনুচ্ছেদ-৪০ঃ
আইনের দ্বারা আরোপিত বাধা-নিষেধÑসাপেক্ষে কোন পেশা বা বৃত্তি গ্রহণের কিংবা কারবার বা ব্যবসায়-পরিচালনার জন্য আইনের দ্বারা কোন যোগ্যতা নির্ধারিত হইয়া থাকিলে অনুরূপ যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন আইনসঙ্গত পেশা বা বৃত্তি-গ্রহণের এবং যে কোন আইনসঙ্গত কারবার বা ব্যবসায়-পরিচালনার অধিকার থাকিবে।

অনুচ্ছেদ-৪১ঃ
(১) আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা- সাপেক্ষে
(ক) প্রত্যেখ নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে;
(খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে।
(২) কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোন ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত না হইলে তাঁহাকে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহণ বা যোগদান করিতে হইবে না।

অনুচ্ছেদ-৪২ঃ
(১) আইনের দ্বারা আরোপিত বাধা নিষেধ-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর ও অন্যভাবে বিলি-ব্যবস্থা করিবার অধিকার থাকিবে এবং আইনের কর্তৃত্ব ব্যতীত কোন সম্পত্তি বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত বা দখল করা যাইবে না।
(২) এই অনুচ্ছেদের (১) দফার অধীন প্রণীত আইনে ক্ষতিপূরণসহ বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্তকরণ বা দখলের বিধান করা হইবে এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ কিংবা ক্ষতিপূরণ নির্ণয় ও প্রদানের নীতি ও পদ্ধতি নির্দিষ্ট করা হইবে; তবে অনুরূপ কোন আইনে ক্ষতিপূরণের বিধান অপর্যাপ্ত হইয়াছে বলিয়া সেই আইন সম্পর্কে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

অনুচ্ছেদ-৪৩ঃ
রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, জনসাধারণের নৈতিকতা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের
(ক) প্রবেশ, তল্লাশী ও আটক হইতে স্বীয় গৃহে নিরাপত্তা-লাভের অধিকার থাকিবে; এবং
(খ) চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনতা-রক্ষার অধিকার থাকিবে।

অনুচ্ছেদ-৪৪ঃ
(১) এই ভাগে প্রদত্ত অধিকার সমূহ বলবৎ করিবার জন্য এই সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের নিকট মামলা রুজু করিবার অধিকারের নিশ্চয়তা দান করা হইল।
(২) এই সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার হানি না ঘটাইয়া সংসদ আইনের দ্বারা অন্য কোন আদালতকে তাহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে ঐ সকল বা উহার যে কোন ক্ষমতা দান করিতে পারিবেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিশ্বে তালিকাভূক্ত পাচটি স্বৈর শাসনের দেশে শোনাচ্ছেন মৌলিক অধীকারের বাণী!!!!!!!!!!!!!

যেখানে নিত্য লংঘিত হয় তা বারংবার
জানার চেয়ে না জানাই বুঝী সেথঅ স্বস্তির! :( :((

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

আমপাবলিক বলেছেন: গনতন্ত্রই পারে সৈরতন্ত্রকে পরাজিত করতে তাই তো সচেতনতার লক্ষ্যে লিখতেছি। হীরক রাজার একটা উক্তি আছে যত জানে তত সৈরতন্ত্রকে তত কম মানে তাই সবাইকে জানাতে আমার এই পোষ্ট।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ জনস্বার্থমূলক পোষ্ট।
শুভেচ্ছা নিন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

আমপাবলিক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে মুগ্ধ! :)

চলুক তবে জানাজানি! মুক্ত হোক গণতন্ত্র
নিপাত যাক স্বৈরাচার।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

আমপাবলিক বলেছেন: সৈরতন্ত্র নিপাত যাক
গনতন্ত্র মুক্তি পাক।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: লেখা নিয়ে মন্তব্য করমু না।

আপনাকে মন্তব্য করলে খালি ক্যাচাল বাঁধে:(:(
ক্যাচাল নয়, শান্তি চাই।:)

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

আমপাবলিক বলেছেন: মন্তব্যে গঠনমূলক আলোচনা করুন।

ক্যাচালের কিছু নাই আপনার মতামত আপনি প্রদান করবেন তবে লক্ষ্য রাখবেন তাতে যেন অন্যায়ভাবে কেউ যেন আঘাতপ্রাপ্ত্য না হয়।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ভাইজানের কথা শুনে, খুশি হলাম।:):)

আজকে আর পড়মু না। রাত্রে গান বাজনা করমু।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

আমপাবলিক বলেছেন: খুশি হয়েছেন জেনে ভাল লাগলো।

বিনোদন জীবনের একটা অংশ, আনন্দ করুন তবে খেয়াল রাখবেন আপনার আনন্দ যেন অন্যের কষ্টের কারন না হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.