নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটি সৌভাগ্য, প্রতিটি মুহূর্তেই এই সৌভাগ্য অস্পৃয়মান তাই বর্তমান নিয়েই মগ্ন থাকতে চাই।

পুলক ঢালী

জীবন বয়ে চলে অজানা পথে

পুলক ঢালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকা ভ্রমন ৪। (ম্যাঞ্চেস্টার, কানেক্টিকাট)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪১





"নিঃসঙ্গ ব্যাঙ্গের ছাতা"
আছে অপেক্ষায় কখন আসিবে ব্যাং
আসন গাড়িবে তুলিয়া ঠ্যাং ।


যে সময়টায় আমেরিকা ভ্রমন করছিলাম সে সময়টা ছিলো সামার টাইম । ম্যানঞ্চেস্টারের পাহাড়ী এলাকায় সূর্য ডুবে সন্ধ্যা নামতো রাত সাড়ে আটটায় । সকাল হতো ভোর সাড়ে চারটায় । শীতকালে বিকেল সাড়ে চারটায় নামে গভীর রাত । সকাল হয় সকাল সাতটায় । তবে এতে স্থানীয় অধিবাসীদের তেমন কোন অসুবিধা হয়না ঘড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে ওখানকার অধিবাসীরা জীবনের পথ পরিক্রমায় অভ্যস্ত।
সামারে স্বল্পকালীন রাত হলেও ভোরে সূর্য্যমামা উকি দিলে আর বিছানায় থাকতে মন চাইতোনা । সবাই ঘুমে কাদা হয়ে থাকলেও আমি বেড়িয়ে পড়তাম মর্নিং ওয়াকে । একেক দিন একেক দিকে। প্রতিদিনের ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যপটের ছবি উঠাবার লোভ সামলাতে পারতাম না ।
মাঝে মাঝে মনে হতো, আহা ! যদি প্রকৃতির গভীরতায় হারিয়ে যেতে পারতাম, যদি মনের সুখে প্রকৃতির রূপ সুধা পান করতে পারতাম, এবং এই বাস্তব নিষ্ঠুর জগতে আর যদি ফিরতে না হতো তাহলে কেমন হতো ! কিন্তু আসলে তা হবার নয়, বাস্তবতার কাছে মনের আবেগের কোন মূল্য নেই, হার স্বীকার করে আবার সেই শুরুতে ফিরে আসা, জীবন চক্রের ঘূর্নায়মান চাকায় আবার সেই আত্মসমর্পন ।

বনপথে একাকী হেটে চলা ।


গাছগাছালীর ভিতর বসবাস।


পরিচ্ছন্ন পথের শেষে পাহাড়ের উকিঁঝুকিঁ ।


রৌদ্রেস্নাত গাঢ়ো রঙ্গের ম্যাপল লিফ ট্রী ।


"কাছ থেকে ম্যাপল লিফ" এটা কানাডার জাতীয় পতাকায় শোভা পায় ।


পাহাড়ে গাছগাছালীর ভিতর দিয়েই বৈদ্যুতক লাইন টানা হয়েছে। ঝড়ে বাদলে গাছ পড়ে তার ছিড়ে গেলেও বৈদ্যুতিক শকে মানুষ মারা যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই কারন লাইন ভোল্ট মাত্র ১১০। আমরা কেন ২২০ ভোল্ট ব্যবহার করি এতে নিশ্চয়ই উৎপাদন খরচ বেশীএবং এটা প্রাণঘাতীও বটে। বিশেষজ্ঞরা কারনটা বলুন।


পাহাড়ের ঢালে বসবাস ।


বাড়ীর পশ্চাতে সুইমিং পুল ।


বনের ভিতর ছোট কেবিন ।


ডাকবাক্সও ফুলের অলঙ্কারে শোভিত ।


রৌদ্রকরোজ্জ্বল নীলাকাশ নীচে স্বযত্নে লালিত খ্রীষ্টমাস ট্রী।


লজ্জায় লাজুক কাঠবিড়ালী নীচে চড়ে বেড়াচ্ছিল। আমাকে দেখে নিমিষে নিরাপদ দুরত্বে গাছের উপর। ছবি নেওয়ার জন্য যতই আমি তার দিকে ফিরি ততই সে ঘুরে কান্ডের আড়ালে আশ্রয় নেয়। কত করে বললাম, "বাবা একটু দাড়া, তোর চাঁদ বদনটা ক্যামেরার স্মৃতিতে একটু ধরে রাখি, পারলে একটু হাসি মুখে পোজ দে!" কিন্তু কে শোনে কার কথা !!??


নীলাকাশের নীচে মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি, বিশ্বাসই হয়না আর মাত্র মাস দুয়েক পর সব ঢেকে যাবে তুষারে ।


চেরী ফলের থোকা, ওরা বলে "আমেরিকান বড়ই" খেতে বেশ মজা, পাকলে রং বদলে কালো জামের মত হয়ে যায়। ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রনে নাকি সহায়তা করে তাহলে বয়স্কদের জন্য মহৌষধ !


একই ফল ।


ছোট ছোট লিলি ফুল ।


অচেনা গাছে আমাদের দেশের সজনার মত ফল ।


ক্লোজআপ ফল ।


দেখিলাম বিদেশ বিভূইয়ে একটি ঘাসের উপর ক্রিষ্টাল বলের মত শিশির বিন্দু ।


আরো কয়েকটি মুক্তোদানা ।


অজানা হালকা রং এর বেগুনী ফুলের থোকা ।


পথের ধারে অবহেলায় বেড়ে উঠে চলেছে নিঃস্বার্থে সৌন্দর্য্য বিলিয়ে, কমলা আর মেরুন মিশ্রিত লিলি ফুল।


অপাংক্তেয় হওয়ার ভয়ে লজ্জা নম্র ঘাসফুল।


ক্যামেরা জুম করে শেষ পর্যন্ত সেই ঘাসফুলটির হাস্যোজ্জ্বল রূপ আবিষ্কার।


পূর্বের পর্ব সমূহঃ
আমেরিকা ভ্রমন ১ ।
আমেরিকা ভ্রমন ২ ।
আমেরিকা ভ্রমন ৩ ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

পুলক ঢালী বলেছেন: হুমম! বুঝলাম আম জনতা কিভাবে বড় বড় চবি পুষ্টো করে । নেক্সট টাইম রেজ্যুলেশন কমিয়ে দেবো ছবিগুলি বেশী বড় মনে হচ্ছে। :D

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর ছবিগুলোর সাথে জায়গা সম্পর্কে কাব্যরসিক বর্ণনা মুগ্ধতা এনে দিল মনে

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

পুলক ঢালী বলেছেন: হাই ! নয়ন ভাই কেমন আছেন? আজকাল আপনাকে দেখাই যায়না। আপনার বিরহের কবিতা গুলিও দেখিনা একসময় তো ব্লগ খুললেই আপনার দেখা পেতাম গানও কি ছেড়ে দিয়েছেন ?
মুগ্ধতা প্রকাশে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সাথে থাকুন।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

চাঙ্কু বলেছেন: ফডুডি সুন্দর আছে!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার হিথ্রো পড়ে তো টাশকি খাইয়া গেছি অনেক নুতন শব্দ শিখে নিজের শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ করলাম। ভাল থাকুন।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আহা কবে যে যাবো !!!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই অবশ্যই যাওয়ার সুযোগ আসবে যেকোন সময়।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

তারেক সিফাত বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর কিন্তু রেজুলেশন কমিয়ে দিলে চোখের জন্য আরো কিছুটা বিশ্রাম হত।

১১০ ভোল্ট এবং ২২০ ভোল্টের এই দুইয়ের মাঝে আসলে পার্থক্য না, এটা যে ভোল্টেজ দেয়া হচ্ছে সেটা কিভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তার একটা পদ্ধতি। অনেক বছরেরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যবধানে ভোল্টেজের স্ট্যান্ডার্ড মানটা আজ অবধি এসেছে। নিকোলা টেসলা আর এডিসনের মধ্যে ব্যাপক ঝগড়া চলছিল বাসা-বাড়িতে এবং কমার্শিয়াল পারপসে কোন ভোল্টেজ ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে। এডিসন ১১০ ডিসি ভোল্টকে স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে সেট করেন কিন্তু টেসলা বলেন ২৪০ ভোল্ট, ৬০ হার্জ এসি ভোল্ট অপেক্ষাকৃত বেশি এফিসিয়েন্ট। শেষ পর্যন্ত টেসলার কথা সত্য বলে প্রমাণিত হয়। কিন্তু এডিসন যেটা করে টেসলাকে অপমানিত করার জন্য আমেরিকাতে সে প্রচার করতে থাকে এসি কারেন্ট বিপদজনক এবং রীতিমত এডিসন সারা আমেরিকাতে এসি কারেন্টের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করতে থাকে আমেরিকানদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য। আর এডিসনের পরিবারের অনেক টাকা-পয়সা থাকায় সে খুব সহজেই তার ধ্যান-ধারণার পাব্লিসিটি করতে পারতো যেটা টেসলার পক্ষে সম্ভবপর ছিল না। কাজেই আমেরিকাতে ১১০ ভোল্ট চালুর ব্যাপারে এডিসনের প্রভাব বেশ কাজে লেগেছিল।

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে আমেরিকাতে ভোল্টেজ মূলত ২৪০ ভোল্ট কিন্তু সেটা দুইটা ফেইসে দেয়া হয়। একটা ফেইসের পটেনশিয়াল +১২০ ভোল্ট এবং আরেকটা -১২০ ভোল্ট।( আমেরিকাতে ১৯৫০ সালে ১১০ ভোল্ট থেকে ১২০ ভোল্টে নেয়া হয় এবং নিরপেক্ষ ওইয়ার ব্যবহার করা হয়)।তাই ইলেক্ট্রিক এপ্লিয়ান্সেস যেগুলা লো ভোল্টেজ ব্যবহার করত সেগুলা এভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে হায়ার পাওয়ার ডিভাইসেও সেটা এপ্লাই করা হয়। অন্যদিকে ইউরোপে সিংগেল ফেইসের +২৪০ ভোল্ট হিসাবে ডিজাইন করা হয়। পরে আমেরিকা তাদের ডাবল ফেইস সিস্টেম পরিবর্তন করতে চায়নি যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং অত্যধিক বিবেচনা করে। তাই সেটাই থেকে যায় যা এডিসন চেয়েছিল।

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

তারেক সিফাত বলেছেন: অত্যধিক খরচ* বিবেচনা

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

পুলক ঢালী বলেছেন: তারেক সিফাত ভাই আপনার কাছথেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। তাহলে আমেরিকা বাদে বাকী বিশ্বে ২৪০ ভোল্ট সিস্টেম চালু আছে? + ১২০ ভোল্ট এবং -১২০ ভোল্টের বিষয়টা ক্লিয়ার হলোনা । আমেরিকায় কি তাহলে নিউট্রাল নেই? নেগেটিভ পজেটিভ দুই ফেজ দিয়ে বাতি মেশিনপত্র সব চলে ? আবার বলেছেন "নিরপেক্ষ ওইয়ার ব্যবহার করা হয়" নাহ্ বিষয়টা জটিল মনে হচ্ছে।
যাই হোক অনেক কষ্টকরে টাইপ করে বিষয়টি সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পোষ্টটি মিস করেছিলাম।
আহা কি সুন্দর পরিবেশ!দেখলেই চোঁখ জুড়িয়ে যায়।
পরের পর্বে আরও ছবি আশা করছি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেলভাই। এরকম আরো অনেক ছবি আছে একই বিষয় বারবার ব্লগে আনা যায়না। ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো । সঙ্গে থাকুন।

৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

ম্যাড মাক্স বলেছেন: যাক! অনেক দিন অপেক্ষার পরে ৪ নং পর্ব আসলো! যদিও আমি লেট এ দেখলাম।

অসাধারণ সব ছবি! অনেক অনেক অনেক অসাধারণ হয়েছে ভাই।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা অনেক ধন্যবাদ ম্যাডমাক্স ভাই। সময়ের অভাব মানসিক প্রস্তুতির অভাব দেরী হওয়ার কারন। এমাস শেষে আশা করি ধারাবাহিক ভাবে শুরু করতে পারবো। আপনার খবর কি কেমন আছেন ?

৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সুমন কর বলেছেন: কিছু ছবি বড় করাতে ফেটে গেছে, এই আর কি !!

এছাড়া বাকি পোস্ট ভালো লাগল।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ কবিভাই। ছবির বিষয়টা শিখছি মাত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এক সময় নিশ্চয় পারফেকশন আসবে। ভাল থাকুন।

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার ছবি।

পাতার উপর পানির ফোটাগুলো দুর্দান্ত। কিন্তু ছবিটা আর একটু ছোট হলে মনে হয় ওগুলো স্পষ্ট হত।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আখেনাটেন ভাই। ঠিক বলেছেন পরের ছবিগুলি আরেকটু ছোট করবো । ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.