নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটি সৌভাগ্য, প্রতিটি মুহূর্তেই এই সৌভাগ্য অস্পৃয়মান তাই বর্তমান নিয়েই মগ্ন থাকতে চাই।

পুলক ঢালী

জীবন বয়ে চলে অজানা পথে

পুলক ঢালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধুর শৈশব

০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৮




ছোট বেলায় একটু একটু জ্ঞান অর্জনের সময় যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশী অত্যাচার বলে মনে হতো সেটি ছিল মজার খেলা থেকে কান ধরে টেনে এনে পড়তে বসিয়ে দেওয়া। উহ্ সে সময় সুখের ঘরে (খেলার আসরে) বাবা মার আগমন মানেই মূর্তিমান আতঙ্ক বলে মনে হতো
( হায়! সেই স্নেহময় স্নেহময়ী বাবা মা যদি বেঁচে থাকতেন। )



স্কুলে শান্ত সুবোধ পড়ুয়া পোলাপান গুলিকে মেনিমুখো বলদ বলে মনে হতো। স্যারেরা অবশ্য ওদেরকে খুবই আদর করতেন। আর আমরা যারা ব্যাক বেঞ্চার স্যারদের দৃষ্টিতে আমরা এক একজন ছিলাম ইবলিশের চ্যালা । প্রত্যেক স্যারের ক্লাশে পিছনের বেঞ্চে কান ধরে দাড়িয়ে থাকা ছিল আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক রুটিন । তবে বান্দর জাতীয় প্রানীর গুন থাকায়, কোন ছাত্র আমাদের দুরোবস্থা দেখে হাসাহাসি করার তেমন সাহস পেতনা। মেয়েরা হাসাহাসি করলেও আমরা গা করতাম না। মেয়ে মানে আমাদের দৃষ্টিতে অদ্ভুদ শ্রেনীর প্রানী, এরা কেন যে নিজেদের মধ্যে কানাকানি ফিসফাস করে হাহা হিহি করতো আমরা তার কিছুই বুঝতাম না।
(আমাদের স্কুলে কো এডুকেশন সিস্টেমে ছেলে এবং মেয়েদের পড়াশুনা একসাথে হত। ক্লাশ এইট পর্যন্ত একসাথে এবং নাইন টেন পর্যন্ত আলাদা আলাদা তারপর টেষ্ট পরীক্ষার পর কোচিং আবার একসাথে )



আমাদের প্রিয় ইভেন্ট ছিল স্কুল ফাঁকি দিয়ে দুরের দিঘীতে গিয়ে বড়শিতে কেচোঁ গেথে বেলে মাছ ধরা টাকি মাছ ধরা।
পুকুর পাড়ের আমগাছে উঠে পুকুরের উপর বিছিয়ে থাকা ডাল থেকে ঝাপিয়ে পড়ে সাঁতার কাটা।
ডুব সাতাঁর দিয়ে কে কত দুর যেতে পারে তার পাল্লা দেওয়া। তারপর স্কুল ছুটির সময় চোখ লাল করে বাসায় ফেরা। মা লালচোখ দেখে জ্বর হয়েছে কিনা কপালে মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে পরখ করে দেখতেন ।
(সরল স্নেহময়ী মা জানতেন না তার বাঁদর ছেলে পড়াশুনার মত অপকর্ম বাদ দিয়ে কি সব মহান কর্ম করে চোখ লাল করেছে)



স্কুল ফাঁকি দিয়ে বনবাদারে ঘুরে ঘুরে পাখীর বাসায় হানা দিয়ে ডিম দেখতাম । কত রকমের ডিম! হালকা সবুজের উপর ছিট ছিট মোজাইকের মত আবার কোন কোন টি হালকা নীল, কোনটি ধূসর ওগুলো নেড়ে চেড়ে রেখে দিতাম কাকের ডিম কিন্তু খুব সুন্দর হালকা নীল । মা পাখীর চিৎকার চেচামেচি আর মাথায় দু চারটা ঠোক্কর খেয়ে তাড়াতাড়ি গাছ থেকে নেমে পড়তাম।




পরে ছানা জন্মালে নিয়মিত দেখে আসতাম। প্রথমে চোখ ফুটতোনা আমরা এলে কচি কচি ঠোট (গোড়ায় হলুদ রং) হা করে খাবার চাইতো (জানতো নাতো এগুলো আসলে মানুষের পোনা বান্দর প্রজাতির প্রানী) আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম কচি চামড়ার নিচে পেট, পালক বিহীন পাখার ঝাপটা ঝাপটি । তারপর নিয়মিত উঁকি দিয়ে এগুলোর বেড়ে উঠা দেখতাম । চোখ ফোটার পর আমাদের দেখে ভয়ে সরু কচি কচি কন্ঠে কিচির মিচির শুরু করে দিত। আমরাও দেখা বাদ দিয়ে অপেক্ষায় থাকতাম কবে উড়তে শুরু করবে । একদিন দেখি ডালে বাচ্চা গুলি বসে আছে মা পাখী পোকা ধরে এনে দিচ্ছে আর ওরা ডানা ঝাপটে ঝাপটে খাচ্ছে (কিইই জানি ওদের ডানা ঝাপটানিটা মনে হয় মায়ের কাছে আহ্লাদ প্রকাশ।)



একদিন ভুল করে কাকের বাসায় হানা দিয়েছিলাম তার ফল হয়েছিল মারাত্মক । মা আর বাবা কাকের হামলার সাথে জুড়ে গিয়ে পুরো কাক সমাজ আমাদের উপর হামলে পড়লো। সারাক্ষণ মাথার পিছনে ঠোক্কর আর খামচি খেতে খেতে পালিয়ে বাঁচলাম। তারপরও বাজার বা রাস্তাঘাটে আমাদের দেখলে কা কা করে এসে মাথায় ঠোকর দিত। ওরা আমাদের চিনতো কি করে ? আমরাতো একটা কাক থেকে আরেকটা কাকের পার্থক্য বুঝিনা সবগুলিকে দেখতে একই রকম লাগে। এদের আক্রমনের কারনে সবাই বুঝে যেত আমরা কিছুনা কিছু দুষ্টুমী করেছি। মহা জ্বালা কি করা যায় ভাবছিলাম, সিদ্ধান্ত নিলাম এবার ঠোকরাতে এলে কোন না কোন খাবার ছুড়ে দেবো। পরবর্তী আক্রমনের সময় পাউরুটির ছোট ছোট টুকরো দিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকলাম । প্রথমে ওরা ভয় পেয়ে আরও ক্ষেপে গিয়ে জোরে জোরে কা কা করে আরও ঘন ঘন ঠোকর দিতে এল, কিন্তু একটু পরেই বুঝতে পারলো এগুলো খাবার। তখন হুটোপুটি করে পড়ে থাকা সব পাউরুটি খেয়ে ফেলল, এরপর আমরা রুটির ঢিল ছুড়ে মারলেই শূন্যে খপ করে ধরে উড়ে যেতে লাগলো। আমরাও বেশ মজার খেলা পেয়ে গেলাম। খেলায় খেলায় আমাদের সাথে শত্রুতা ভুলে ওদের বন্ধুত্ব হয়ে গেল। এরপর পারতপক্ষে আমরা ওদের নীড়ের ধারে কাছেও আর যেতাম না।
একবার একটা ঘটনা থেকে (যদিও সেটার পরিনতি ছিল ভীষন নির্মম) আমরা পাখীর ছানা ধরা থেকে বিরত থাকতাম। সেবার আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ডানপিটে টা পকেটে করে একটা ছানা নিয়ে গাছ থেকে নেমে পড়ে। আমরা তুলতুলে বাচ্চাটা নিয়ে হাতবদল করতে করতে তার কাঁপুনী আর একটু পর পর খাবারের জন্য হা করা দেখতে থাকলাম। কিছুক্ষণ পর বাচ্চাটা কি করা হবে এটা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হলো । আমরা বললাম, ‘ওটা ওর বাসায় দিয়ে আয়, ও’ বললো, ‘না এটা তার বাসায় নিয়ে গিয়ে পালবে।‘ বললাম, ‘তুই সারাক্ষণ পোকা ধরে ধরে খাওয়াবি ? তাহলে তো! আমাদের সাথে ঘোরাঘুরি আর খেলাধুলা সব বাদ দিয়ে তুই খালি পোকার পিছনে দৌড়াবি। তার চেয়ে বাচ্চাটা রেখে আয় আরও একটু বড় হোক তখন ভাবা যাবে।‘ যেই কথা সেই কাজ বাচ্চাটা পাখীর নীড়েই রেখে আসা হলো। পরদিন আবার আমরা আমাদের রুটিন অনুসারে পাখীর ছানাদের দেখার জন্য সেই গাছের নীচে গেলাম। দেখলাম একটা ছানা নীচে পড়ে আছে। শুকনো পাতার জাজিমের উপর পড়ায় তেমন কোন ক্ষতি হয়নি, কিন্তু তেমন একটা নড়াচড়া করতে পারছিল না। গলার কাছে যে খাবারের থলিটা সবসময় টইটম্বুর থাকতো সেটা একদম খালি। বুঝতে পারলাম খাওয়া জোটেনি, আমাদের হাতে মৃতপ্রায় অবস্থায় কোনরকমে নড়াচড়া করছে। আমরা আবার বাচ্চাটিকে বাসায় ফিরিয়ে দিয়ে চলে গেলাম। পরদিন কৌতুহল নিয়ে আবার ফিরে এলাম ফলাফল দেখতে। দেখলাম গাছের নীচে ছানাটি মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
আমরা ছোট্ট পোলাপানরা এর কোন কারনই খুঁজে পেলাম না। সেই থেকে পাখীর ছানা আমরা আর ধরি না। ( আমার মনে হয় মা পাখী তার অপর একটি ছানাকেই পোকা খাওয়াচ্ছিল । আর নীড় থেকে সরিয়ে আনা ছানাটিকে নিজের ছানা হিসেবে রিকগনাইজ করতে পারছিল না । ওদিকে সবল ছানাটি প্রতিদ্বন্দীতা দূর করার জন্য দুর্বল ছানাটিকে সম্ভবত ঠেলে বাসা থেকে ফেলে দেয় )



একবার একটা ঘটনা ঘটিয়ে দিয়েছিলাম ক্লাশে । স্যার ক্লাশে কি একটা প্রশ্ন যেন করেছিলেন এখন ঠিক মনে নেই কিন্তু ঘটনা চক্রে উত্তরটা আমার জানা ছিল। অভ্যাস বশত: হাত উঠালেও তেমন গা করিনি, কারন ফার্ষ্ট বেঞ্চওয়ালারা তো আছেই। কিন্তু একটু পরেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে খেয়াল করলাম, আমি ছাড়া আর কারো হাত তোলা নেই। স্যার রক্ত চোখে অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে ব্যাক বেঞ্চারখ্যাত আমার দিকে তাকালেন, ‘ভাবখানা আইজ তোরে আমি খাইছি ! সবুজ কঞ্চির বারি মিস হওয়ার কোন চান্সই নাই।‘
স্যার বললেন, ‘উঠে দাড়ান মহাশয় ! উত্তরটা দেন দয়া করে !’
স্যারের সম্ভাষন শুনে ভীষন ভয় পেয়ে গেলাম, কাঁপা হাটু সামলাতে সামলাতে দুরু দুরু বক্ষে উঠে দাড়ালাম
( ভাবনায় কম্পমান হয়ে আকুল হয়ে ভাবছি আমার উত্তরটা সঠিক তো! ) মরি আর বাঁচি যা আছে কপালে !
উত্তরটা কাঁপা কাঁপা গলায় প্রায় কান্নার সুরে ঝেড়ে দিলাম।
সাহস করে স্যারের দিকে তাকালাম, দেখলাম, স্যারের চেহারা থেকে রাগ বিদায় নিয়ে সেখানে নরম স্নেহের ছায়া ফুটিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন । আমার ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো ! কিন্তু ঘটনা এখানে শেষ হয়নি হলে ভাল হতো।
স্যার আমাকে ডেকে সামনে নিয়ে এলেন। আমি লজ্জাবনত চোখে মাটির দিকে তাকিয়ে আছি। স্যার ঘোষনা করলেন আমি সবার কান টেনে টেনে যেন শাস্তি দেই । আমি পড়ে গেলাম মহা বিপদে এরা সবাই আমার সহপাঠী আমার বন্ধু,বান্ধবী আমি কি করে সবার কান টেনে টেনে শাস্তি দিয়ে শত্রু হই ? দুশ্চিন্তায় সামনে তাকিয়ে দেখলাম সবার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে আছে।
আমি এক কাজ করলাম স্যার সামনে তাকানো অবস্থায় সবাইকে চোখ মেরে দিয়ে আশ্বাস দিলাম না ঘাবড়াতে । এতে ঐ অবস্থায় কয়েকজন হেসে ফেললো । স্যার হাসির কারন খুঁজতে গিয় অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন। আমি তখন শান্ত সুবোধ বালকের মত মুখ করে মাটির দিকে তাকিয়ে আছি ।
স্যার ভাবলেন, ওরা কান টানার কথা শুনে হেসেছে। তাই যারা হেসেছে তাদের শাস্তি দ্বিগুন করে দিলেন দু হাত দিয়ে তাদের দুকান ধরে ঝাকাতে হবে।
যথারীতি শাস্তি দেওয়া শুরু করলাম। আমি ওদের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে স্যারকে আড়াল করে ফেললাম তারপর কানের কাছে হাত নেওয়ার ভান করে সবার গাল ছুয়ে ছুয়ে আদর করে করে শাস্তি দিলাম।
মেয়েদের গাল ছুঁয়ে আদর করে দেওয়ার পরও দেখলাম লাল হয়ে আছে । (কোন শাস্তি না দিয়ে বরঞ্চ আদর করে গাল ছুঁয়ে দিলাম তারপরও মেয়েদের গাল লাল কেন?? বোকা আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।)

আমাদের নিয়মিত ডানপিটেমির মধ্যে আরও ছিল মার্বেল খেলা, সূতায় মাঞ্জা দিয়ে ঘুড়ীর প্যাচ খেলা। (ইস্! কাঁচ গুড়ো করে বাটতে গিয়ে কতবার যে হাত কেঁটেছি তার ইয়ত্তা নেই।) টেনিস বল দিয়ে পিংপং খেলা, ডাংগুলি খেলা, দাড়িয়া বাঁধা খেলা, ক্যারম খেলা আরেকটু বড় হয়ে ক্রিকেট খেলা, হকি খেলা ইত্যাদি ইত্যাদি।
এগুলো করতে করতে এবং টিটিপি (টেনেটুনে পাশ) দিয়ে কবে যে বড় হয়ে গেলাম বুঝতেই পারলাম না। সেদিন বুঝলাম যেদিন টেষ্ট পরীক্ষা দেওয়ার পর ফুলের মালা গলায় দিয়ে স্যারেরা কাঁদলেন।
আমরাও কেঁদে কেঁটে বুক ভাসিয়ে উপলব্ধি করলাম স্যারেরা আমাদের মানুষ করার জন্যই শাস্তি দিতেন কিন্তু স্যারদের হৃদয় পূর্ন ছিল আমাদের প্রতি অকৃত্রীম ভালবাসায় ।
আমরাও সেই ভালবাসার প্রতিদান দিলাম কাঁদতে কাঁদতে চোখের জলে স্যারদের চরন ধুইয়ে দিয়ে।

(ভাবছিলাম ১০০তম পোষ্টে কি লিখবো ভাবলাম শৈশব নিয়েই লিখি, কিন্তু তখন জানতাম না যে, ‘শেষে এসে চোখের পানি ধরে রাখতে পারবোনা।‘ সেই স্যারেরা কেউই আর জীবিত নেই । মহান সৃষ্টি কর্তা স্যারদের আত্মা চিরশান্তির ভূমে রাখুন এই প্রার্থনা করি)

মাছ ধরার কিছু গল্প আছে কখনো মন চাইলে লিখবো।

ছবি সূত্র : গুগল ।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
তুমি তো দারুন এক রাইটার!!!!!!!


তবে কাকের সাথে কাকরামী করার মজা পড়ে অনেক হাসলাম!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

পুলক ঢালী বলেছেন: তুমি তো দারুন এক রাইটার!!!!!!!
বাব্বা! এ আমি কাকে দেখছি হেভীওয়েট ব্লগার এই অপাঙ্‌ক্তেয় গরীবের ঘরে !!
হে হে হে আমি মোটেও রাইটার নই। আপনার উদার মন এমন খেতাব বিলিয়ে দিয়েছে।
কাকরামী
বাঁদরামীর মত এই নুতন উদ্ভাবিত শব্দ বাংলা শব্দকোষে সংযোজনের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। :D
মজা পেয়ে প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে অশেষ ধন্যবাদ রইলো।
ভাল থাকুন

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: শৈশব ফিরে আসে না। বড় আনন্দময় শৈশব ছিলো আমার।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

পুলক ঢালী বলেছেন: রাজীব নুর ভাই ঠিক বলেছেন শৈশব ফিরে আসেনা। আপনার আনন্দময় শৈশব কাহিনী শেয়ার করুন।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৫

আনমোনা বলেছেন: মধুর শৈশবেই শততম গোল। যাক শেষে নার্ভাস নাইনন্টি পার হলেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪১

পুলক ঢালী বলেছেন: আনমোনাজ্বী কি আর করি আপনার তাগাদায় পোষ্টটা দিয়েই ফেললুম! :D
আপনার শৈশবকালের কাহিনী জান্তে মুঞ্চায় ! আশা করি অনেক মোজাদার কাহিনী আমরা জানতে পারবো। ;)

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: শৈশবের জন্যে আফসোস করে নাই এমন মানুষ আগে ও ছিল না,বর্তমানে ও নেই, ভবিষ্যতে থাকবে না।কিন্তু কোন দিনও কেউ ফিরে পাবে না।সৃষ্টিটাই এই রকম।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭

পুলক ঢালী বলেছেন: মোঃ ইকবাল ২৭ ভাই চিরন্তন সত্য কথা বলেছেন। তবে বর্তমান থেকে পালিয়ে গিয়ে শৈশবের দায় দায়িত্বহীন জীবনে সবাই ফিরে যেতে চায়, তা সম্ভব হয়না বলেই মানুষ নষ্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩১

মাহের ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে।
মাছ ধরার গল্প লিখে ফেলেন, জলদি।
আমি মাছ ধরার পাগল। তাই গল্প শুনতেও ভালো লাগে।

শুভ কামনা রইল।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫০

পুলক ঢালী বলেছেন: মাহের ইসলাম ভাই আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশী হলাম।
আপনার মাছধরার কিছু কাহিনী তাড়াতাড়ি শেয়ার করুন। :)

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

শত তম পোষ্টের জন্য রইল ফুলেল অভিনন্দন ।

শৈশবের মধুরতর কথা আরো সুন্দরভাবে উঠে এসেছে লেখাটিতে ।
কাকের সাথে কাকরামি সে যে কত যাতনাময় বুজিবেনা কেহ, যদি নীজ জীবনে তা না দেখে কেহ ।
স্কুল সহপাঠিদের সাথে সুখময় স্মৃতি যায় কি কভু ভুলা, যদিউ দিয়েছেন তাদেরকে সুখকর কিছু কান মলা ।
শিক্ষকের প্রতি ভক্তিতে চোখ অশ্রুসজল হওয়া কত যে ভাগ্যের কথা, সে কারণেইতো এখন লেখতে পারছেন এমন লেখা ।
তবে শিক্ষকদের প্রতি ভক্তি অভক্তি দুটোতেই এখন চোখে আসে জল, মনে হচ্ছে দেশে বিদেশে সকল জায়গাতেই শিক্ষকের প্রতি ভক্তি ক্রমেই হতেছে দুর্বল । দেশ জুরেই দেখা যায় শিক্ষক অপসরনে ছাত্রদের গন আন্দোলন, এর জন্য দায়ী কোন জন, সেসব কথা ভাবে, কোথায় এখন সেই মহাজন । তবু দেখি অনেকেই নীজ পদ কভু নাহি ছাড়ে, যদিউ বিদ্যায়তন মুখরিত হয় বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের পদভারে । অপর দিকে উন্নত বিশ্বেও এইতো গতকাল উন্নত বিশ্বের একটি দৈনিকে দেখেছি বড় অক্ষরে হেডলাইনে আছে লেখা Students Punching,Kicking and Spating at teachers(দেশের নামটি উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলাম),সংবাদের ভিতরে গিয়ে দেখলাম প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ছাত্ররা মাঝে মাঝে ক্লাশে পড়াশুনার কড়াকড়ির কারণে ঝাপিয়ে পড়ে শিক্ষকের উপরে, সংবাদে দেখা গেল ৩২% শিক্ষক কোন না কোনভাবে ছাত্রদের হাতে হয়েছেন নিগৃহিত শারিরিকভাবে , তারপরেও দয়াবান শিক্ষকগন অতি মমতাময়ীর মত ছাত্রদের বুকে জড়িয়ে ধরে সন্তানতুল্য আদর করছেন অকাতরে , এ দৃশ্য দেখে শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাই কেবল বাড়ে ।

এ পোষ্ট টি পাঠে মনে পরে যায় নীজের শৈশবেরো কিছু কথা , তারি কিছুটা নিয়ে সামুতেই লিখেছিলাম
শৈশবের স্মৃতি জাগানিয়া কিছু কথা

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:২১

পুলক ঢালী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ডঃ এম এ আলী ভাই ।
কি সুন্দরভাবে ছন্দবোদ্ধ কবিতায় মন্তব্য শুরু করলেন চমৎকৃত হলাম।
ফুলেল শুভেচ্ছার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সাথে একমত কাকের কাকরামী দিনের পর দিন চলতে থাকে। শুধু দেখলেই হলো তাঁড়স্বরে চিৎকার জুড়ে দেয়। তাইতো আত্মরক্ষার জন্য বন্ধুত্ব করে ফেলেছিলাম। :D

তবে শিক্ষকদের প্রতি ভক্তি অভক্তি দুটোতেই এখন চোখে আসে জল,
একদম ঠিক বলেছেন। পুরো সমাজ ব্যবস্থাই বদলে গেছে। শিক্ষা মহান প্রফেশনের মুকুট ত্যাগ করে বানিজ্যিক মুকুট পরিধান করেছে। এখানে গিভ এন্ড টেকের দৌরাত্ম এখন অর্থের পরিসীমা পেরিয়ে মেয়েদের কাছে জৈবিক চাহিদায় পৌছে গেছে। নীতি এবং নৈতিকতা শব্দগুলো যাদুঘরে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। পদ ছাড়তে কেউ রাজী নয় অথচ পদত্যাগ করার মত কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ার আগেই সরে যাওয়া উচিৎ। একজন একাডেমিশিয়ান কখনোই কোন পদের জন্য লালায়িত থাকার কথা নয় অথচ আমরা রীতিমত রেষারেষি দেখছি।
সুন্দর বিশ্লেষন মুলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো। ভাল থাকুন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার শৈশবের স্মৃতি জাগানিয়া কিছু কথা
দেখেছি ছন্দে ছন্দে উপস্থাপিত ঘটনা বহুল শৈশব। মন্তব্যও রেখে এসেছি।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কাকের কাহিনীটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। একটু এদিক ওদিক হলেও শৈশবের গল্প বোধহয় সবারই একরকম।

১০০ তম পোস্টের জন্য অভিনন্দন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

পুলক ঢালী বলেছেন: কাকের কাহিনীটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল।
কেনু কেনু গুরুজী?? ওদের সাথে বোঝাপড়া সেরে ঠোকর খাওয়া থেকে রেহাই পেতে বন্ধুত্ব করে ফেলেছিলাম তাই ???? ;)

যে পাখীর ছানাটিকে 'মা' পাখী গ্রহন করেনি সেটা ছিল বুলবুলির ছানা।

একটু এদিক ওদিক হলেও শৈশবের গল্প বোধহয় সবারই একরকম।
একদম ঠিক, কিন্তু শহুরে ছেলেদের সাথে কখনোই মিলবেনা।
পাঠ করে মন্তব্য করার জন্য এবং সেঞ্চুরী করার জন্য যে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন হেনাভাই।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একবার দুইটা দোয়েল পাখির বাচ্চা আমার কারনে মারা পরে, সেইদিন অনেক কান্না করেছি। এরপর থেকে আর কখনো পাখির বাসা খুঁজতাম না, কেউ খুঁজলে তাকে সেটার ক্ষতি করতে দিতাম না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

পুলক ঢালী বলেছেন: নূর আলম হিরণ ভাই একটি ঘটনাই আপনার সংবেদনশীল মনে দাগ কাটার জন্য যথেষ্ঠ ছিল।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার বাল্য, শৈশবসহ সব কালই কেটেছে ঢাকায়। আপনার, আপনাদের মতো মজা আমরা করতে পারি নাই সত্যি, তবে আমাদের মজাও কম মজা ছিল না। তবে, নিরপেক্ষভাবে দেখলে, বাল্যকালে গ্রামেই বেশী মজা করা যায়। এটাই সত্যি।

সময় করে কোন এক সময় আমার বাল্যকাল নিয়েও কিছু লিখবো ভাবছি।

আপনার স্মৃতিচারণ আসলেই খুব ভালো হয়েছে। আপনার জন্য একটা রবীন্দ্রসঙ্গীত পুরানো সেই দিনের কথা

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ ভুয়া মফিজ ভাই। দায় দায়িত্বহীন বাল্যকাল সবারই আনন্দেই কাটে, অবস্থানগত কারনে কিছুটা রকমফের হয়।
আপনার বাল্যকাল নিয়ে তাড়াতাড়ি লিখে ফেলুন। আপনার লেখার হাত চমৎকার।
রবীন্দ্র সঙ্গীত আমার খুবই প্রিয়। স্লো ভলিউমে চালিয়ে গল্পের বই পড়ে বহু রজনী অতিক্রান্ত করেছি। :D

আপনার স্মৃতিচারণ আসলেই খুব ভালো হয়েছে।
কথাটা ভুয়া নয়তো ?? ;) :D
পড়ে মন্তব্য করেছেন সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ++++++

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

পুলক ঢালী বলেছেন: মাইদুল ভাই কেমন আছেন আমাদেরকে মনে হয় মোটামুটি ত্যাগ করেছেন খুব কম দেখতে পাই।
মন্তব্যে প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা ‍দূরন্ত শৈশব!!

ইয়ে দৌলত ভি লেলো ইয়ে সহরত ভি লেলো
ভালে ছিনলো মুজছে মেরে জাওয়ানী
মাগার মুজকো লটাদো বচপানকা শ্রাবন
ও কাগজ কি কাস্তি ও বারিষ কা পানি!!!! গানটার কথাই মনে পড়লো!

সবকিছুর বিনিময়েও যদি পাওয়া যেত সেই সোনালী শৈশব!!!
তাতো হবার নয়!!!

দূরন্তপনায় ভয় পেয়েছিলাম দু’দিন।
বৃষ্টির মাঝে পাকা কাঠালের গন্ধে জাম্বুরা বল খেলা ছেড়ে বান্দরের দল উঠলাম গাছে।
সার্চ দা খোঁজ লাগালাম।
একজন চিল্লিয়ে উঠলো । ব্যাস গাছে বসেই দুমাদুম পাকা কাঠাল ভক্ষন শুরু হলো।
হঠাৎ একজনের চিৎকারে তারিয়ে দেখি সাপ!
উরেব্বাবা! কাঠাল ফেলেই সব সরসর করে নেমে পড়লাম। আর কাঠাল গাছে উঠা! ত্ওবা নাক খপ্তা!

আরেকবার,
রেল ব্রীজ থেকে সিরিয়াল ধরে চলতো বান্দর লাফানি। ট্রেন আসলে লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকতাম।
ড্রইভার প্রাণপন হউশেল বাজাতো আর আমাদের হাসির তোরড় বাড়তো।
যেইনা ব্রীজে উঠতো সিরিয়াল দিয়ে টাপটপ ঝাপ!
তো একদিন ঝাপ দিয়েছি। তখন বর্ষার জল নামছিল । পানিতে পাক খাচ্ছিল। পড়বি পড় সেই পাকের মাঝে!
উরিব্বাবা! নিয়মিত সকল চেষ্টা ব্যার্থ। কিছুতেই ভাসতে পারছিনা।
জলের ঘুর্নিতে ভেসে দূরে যাচিছ। সামনেই একটা বাঁক ছিল তাই বাঁচা।
বাকে ঘূর্ণিটা হালকা হলে পরে কোনরকমে পারে উঠে দম ফেলা!
এরপর থেকৈ আর ঝাপ দেয়া হয়ে উঠেনি। পরে তো নগর জীবনে অভিষেক!
হারিয়ে গেল সব সোনালী দিন।


শততম পোষ্টে অভিনন্দন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৫

পুলক ঢালী বলেছেন: আমার ধন সম্পদ যৌবনের বিনিময়ে হলেও আমার শৈশব ফিরিয়ে দাও
দারুন একটা গানের কলি দিয়ে ভীষন একটা মন্তব্য করলেন কবিবর ভৃগু ভাই, আমি খুবই আপ্লুত হলাম।
আপনার শাখামৃগ বিষয়ক দক্ষতা আর ডান পিটেমীর কাছে আমার অভিজ্ঞতা তো নস্যি হয়ে গেল।
বৃষ্টি ভেজা পিছল গাছে ওঠার জন্য ভীষন দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কৌশল প্রয়োজন অন্যথায় হাত পা ভাঙ্গা ছাড়া গতি নেই :D । আবার রেলব্রীজ থেকে স্রোতস্বী নদীতে ঝাপ দিতেও দুর্দমনীয় সাহসের প্রয়োজন । বাপরে বাপ! আপনি কেমন ডানপিটে ছিলেন বুঝতে পারছি।
পড়ে মন্তব্য করেছেন, একই সাথে দুটো কীর্তি শেয়ার করে সমৃদ্ধ মন্তব্য করেছেন সেজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন। :)

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব নুর ভাই ঠিক বলেছেন শৈশব ফিরে আসেনা। আপনার আনন্দময় শৈশব কাহিনী শেয়ার করুন।

অনেক দুঃখ কষ্ট ছিল। পেট ভরে খেতেও পারতাম না। একটা ডিমকে চার ভাগ করে খেতে হতো। আসলে এসব লিখলে আজ কেউ বিশ্বাস করবে না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

পুলক ঢালী বলেছেন: ব্লগে আপনার অবস্থান অনেকটা সত্যবাদী যুধিষ্ঠিরের মত। আপনি লিখলে সবাই বিশ্বাস করবে । সবার জীবন একই নিয়মে শুরু হয়না অতিক্রান্তও হয়না, ভিন্নতাই এর সৌন্দর্য। আপনি লিখেন ভাল, আপনার ব্যাতিক্রমধর্মী শৈশব নিয়েই লিখুন।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০২

বলেছেন: মধুর শৈশবের রোমাঞ্চকর স্মৃতিচারণে সেঞ্চুরী পূরণ করে শততম ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখলেন ........................…



দারূণ ...
...................

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

পুলক ঢালী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লতিফ ভাই। মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম ভাল থাকুন।

১৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

জুন বলেছেন: অসাধারন এক সেঞ্চুরী পোষ্টের জন্য শুভেচ্ছা পুলক ঢালী ।
আমার জীবনের কিছুকাল কেটেছে এক মফস্বল শহরে । সেখানে আমি প্রাথমিক স্কুলে পড়ালেখা করেছি। আমাদের ক্লাশে একটাই ছেলে ছিল, সে সারাক্ষন মাথানীচু করে থাকতো বেচারা :P
আপনার মত আমারও মার্বেল, ডাঙ্গুলী, ঘুড্ডি উড়ানো , মাঞ্জা দেয়া সবই চলতো আম্মার ঘুমানোর অবকাশে । এক ডানোর কৌটা ভরা মার্বেল কই যে গেল । তবে স্কুলে রুমাল চুরি , বৌ চি, কুমির কুমির ফুল টোকা এগুলোই বেশিরভাগ সময় খেলতাম ।
অনেক ভালোলাগলো আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে ।
+

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫০

পুলক ঢালী বলেছেন: স্বাগতম ! বাংলার ইবনে বতুতা প্রিয় জুন ম্যাডাম। আপনার মন্তব্যে দারুন উদ্দীপিত হলাম, অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের ক্লাশে একটাই ছেলে ছিল, সে সারাক্ষন মাথানীচু করে থাকতো বেচারা
আহা বেচারা! আমি দুজন মেয়েকে পথে দেখলে পথ পাল্টাবার চেষ্টা করতাম সেখানে এক দঙ্গল মেয়ের মধ্যে পড়ে সেই পুঙ্গবের কি দুর্দশায় দিন কাটত ভেবে করুনাবোধ করছি। :D
আপনি যে ডানপিটে মেয়ে ছিলেন কুনু সন্দো নাই। ;) আপনার সংক্ষিপ্ত বাল্যস্মৃতি রোমন্থন ভাল লাগলো। :)
মন্তব্যে প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভাল।

আপনি কেমন ?

ত্যাগ করবো কেন ভাই, আড্ডা ঘরে যাওয়া হয় তাই দেখা হয় না। ভাল থাকুন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

পুলক ঢালী বলেছেন: ভাল আছি মাইদুল ভাই। ফিরতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আড্ডায় আসেন না কেন ? খুব ব্যস্ত ?
আমাদের আড্ডা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রত্যাশা,উদ্দেশ্য নেই। যাষ্ট নির্মল আনন্দের জন্যই আড্ডা দেওয়া। সময় পেলে মজার মজার কথা বলে আড্ডা জমিয়ে দেবেন । :D
ভাল থাকুন।

১৬| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন, পোস্টে প্লাস + +।
শততমে পোস্টে আন্তরিক অভিনন্দন!
কাকদের সম্মিলিত আক্রমন এবং ঘটনার বহুদিন পরেও বাজার বা রাস্তাঘাটে আপনাদেরকে চিনে ফেলে আক্রমণের কথাটা পড়ে বেশ অবাক হ'লাম।
গল্পের শেষটা এত সুন্দর করে লিখেছেন, যে পড়ে মনটা আর্দ্র হয়ে উঠলো।
প্রথম মন্তব্যকারী শায়মা ঠিকই বলেছেন, আপনি ভাল লিখেন। তার কাকরামী - এ নতুন শব্দটাও চমৎকার উদ্ভাবন!
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা....

২৩ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

পুলক ঢালী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ খায়রুল ভাই।
কাকদের এই কাকরামী করার দক্ষতা নিয়ে আমি নিজেও ভেবেছি কোন কূলকিনারা পাইনি। এমন অভিজ্ঞতা শুধু এক জায়গাতেই হয়নি অন্য জেলায় অন্য কারনেও হয়েছে।
তখন কলেজে পড়ি, একদিন দেখি একটা বাচ্চা কাক বাসা থেকে পড়ে গেছে সম্ভবত বেকায়দা অবস্থায় ছিল দমকা হাওয়ার ঝাপটা সামলাতে না পেরে পড়ে গেছে। আমি ওটাকে ধরে গাছে তুলে দিতে চাইলাম, এমন সময় সম্মিলিত কাক আক্রমন শুরু হয়ে গেল। মাথার পিছনদিকে এবং ঘাড়ে অনবরত খামছি এবং ঠোকর খাওয়া শুরু করলাম, তখন রণেভঙ্গ দিয়ে বাচ্চাটাকে মাটিতে রেখে ঘরে ঢুকে পড়ে আত্মরক্ষা করলাম। এরপর অনেকদিন ঐ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দেখতাম বিদ্যুতের তারে বসে বা গাছের ডালে বসে আমাকে দেখলেই কা কা রবে চিৎকার শুরু করতো, ফলে খুব তাড়াতাড়ীই ডাক শুনে অন্য কাকরা এসে দলে ভারী হয়ে সম্মীলিত ভাবে চিৎকার জুড়ে দিত। কিভাবে ওরা চিনে ফেলে সেটা একটা রহস্য। আমি শত চেষ্টা করেও একটা কাক থেকে আরেকটাকে আলাদা করতে পারিনি :D
ভাল থাকুন খায়রুল ভাই।

১৭| ২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী যে মায়া ছড়িয়ে আছে পুরোটা লেখায় !!!
আসলেই শৈশব কৈশোরের স্মৃতি সব সময়ই আমাদের মন কে আদ্র করে তোলে , আমরা স্মৃতিকাতর হই।
আপনার গল্পের মত অত অত দুরন্ত জীবন না হলে ও কিছু টা আনন্দে আমাদের শৈশব ও কেটেছে,

অনেক অনেক ভালোলাগা জনাব ++++

২৩ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

পুলক ঢালী বলেছেন: আরে আরে এ আমি কাকে দেখছি !! গরীবের ঘরে হাতীর পদার্পণ !!??
আপনার গল্পের মত অত অত দুরন্ত জীবন না হলে ও
হা হা হা বুঝলাম বাল্যকালে শান্ত সুবোধ বালিকা ছিলেন। প্রত্যেক ক্লাশে ফার্ষ্ট গার্ল হয়ে উত্তীর্ন হয়েছেন।
আমরা যে কেমন দুষ্টু ছিলাম তা তো বুঝেই গেছেন।
আপনি একাধারে কবি,সাহিত্যিক এবং হেভীওয়েট ব্লগার। আপনি যদি বলেন পুরো লেখায় মায়া জড়িয়ে আছে তাহলে ধরে নিতে হবে যেটুকু না লেখায় মায়া রয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশী রয়েছে আপনার বিচারের মহত্ব এবং উদারতাপূর্ন মনের পরশের ছোঁয়া।
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন বনহূর সখী। :)

১৮| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরে আরে এ আমি কাকে দেখছি !! গরীবের ঘরে হাতীর পদার্পণ !!??
আপনার গল্পের মত অত অত দুরন্ত জীবন না হলে ও
হা হা হা বুঝলাম বাল্যকালে শান্ত সুবোধ বালিকা ছিলেন। প্রত্যেক ক্লাশে ফার্ষ্ট গার্ল হয়ে উত্তীর্ন হয়েছেন।
আমরা যে কেমন দুষ্টু ছিলাম তা তো বুঝেই গেছেন।
আপনি একাধারে কবি,সাহিত্যিক এবং হেভীওয়েট ব্লগার।


জনাব !!!
প্রতিবেশী হিসেবে আমার রান্নাঘরের জানালা দিয়ে আপনার বারান্দায় কোনকালে গরম ভাতের মার ফেলিয়াছিলাম বলিয়া মনে পড়ে না :( এত এত গালি' র হেতু খুঁজিয়া পাইলাম না ।

উ হু কিঞ্চিৎ ভুল বুঝিয়ছেন, সমস্ত জীবনের কোন পর্যায়েই (বর্তমান বাদে )শান্ত সুবোধ ছিলাম না, ক্লাসের ফার্স্ট তো ইহ জন্মে ও না। যদি প্রত্যেক বছর সকল বিষয়ে ৩৩ মার্কস উঠাইতে পারিতাম; বাসার সকলেই খুশি হইয়া উঠিত। যে যাক প্রমোশন পাইয়াছে B-))

প্রথমত প্রাইমারী মাধ্যমিক এবং কলেজ সব সময় ই গার্লস স্কুল এবং মহিলা কলেজে জীবন পার করিয়াছি। এরপর মৎস্য ধরার মত যথেষ্ট সঙ্গী সাথী জোগাড় করিতে অক্ষম ছিলাম। তথাপি যাহাই করিয়াছি নিশ্চিত ভেবে নিবেন নাটের গুরু আজকের এই ভদ্র মহিলাই :P

আর পাখির বাসায় উঁকি দেয়ার মত ডানপিটে না হলেও নারিকেল সুপারি অব্দি চরিয়াছি মাত্র। পাড়ায় সুনাম দুর্নাম যাহাই বলেন উহা ছিল। পরিচিতদের গাছের পাকা কুল, মগডালের পাকা পেয়ারা সংগ্রহে সর্ব প্রথমে আমাকেই স্মরণ করিতেন।

অন্যদিকে মরা প্রজাপতি কে ম্যাচের বক্সে কবর দিয়াছি শোকসভা সহকারে তাই তুলতুলে পাখির বাচ্চা' র মরা হয়ত সহ্য করতে পারতাম না।

যাইহোক লম্বা মন্তব্যে ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।


ভালো থাকার শুভ কামনা :)

২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:২২

পুলক ঢালী বলেছেন: জনাব !!!
প্রতিবেশী হিসেবে আমার রান্নাঘরের জানালা দিয়ে আপনার বারান্দায় কোনকালে গরম ভাতের মার ফেলিয়াছিলাম বলিয়া মনে পড়ে না :( এত এত গালি' র হেতু খুঁজিয়া পাইলাম না ।

হা হা হা জনাবা, কিছু লিখিবো কি! হাসিই থামাইতে পারিতেছিনা, উচ্চরবে হাসিয়া উঠাতে ঘরের মানুষজন অবাক দৃষ্টিতে চাহিয়া ভাবিতে শুরু করিয়াছে ব্যাপার কি একা একা এত হাসে ইহা কি পাগলামীর পূর্ব লক্ষন ?? যদিও আমি ভ্রুক্ষেপ না করিয়া হাসি সামলাইতে চেষ্টা করিতেছি কিন্তু ঐ লাইনগুলি চোখে পড়িলেই আবার হাসি শুরু হইয়া যাইতেছে।
মাগো মা! এমন চমকপ্রদ মিষ্টি শত্রুতার কথা জীবনেও শোনার অভিজ্ঞতা হয় নাই। :D

প্রথমত প্রাইমারী মাধ্যমিক এবং কলেজ সব সময় ই গার্লস স্কুল এবং মহিলা কলেজে জীবন পার করিয়াছি।
আহারে! কি যে মিস করিয়াছেন বুঝাইতে পারিবো না। :D

আর পাখির বাসায় উঁকি দেয়ার মত ডানপিটে না হলেও নারিকেল সুপারি অব্দি চরিয়াছি মাত্র। পাড়ায় সুনাম দুর্নাম যাহাই বলেন উহা ছিল। পরিচিতদের গাছের পাকা কুল, মগডালের পাকা পেয়ারা সংগ্রহে সর্ব প্রথমে আমাকেই স্মরণ করিতেন।
বাপরে বাপ! নাটের গুরুর কার্য কলাপের নমুনা দেখিয়া টাসকিত হইয়া গেলাম। অনেক সমৃদ্ধ ও ঐশ্বর্য্যপূর্ণ শৈশব কাটাইয়াছেন ম্যাডাম! হ্যাটস অফ। :)
শৈশবের ঘটনা গুলি আপনার লেখনীর দক্ষতার মাধুর্য্যে পুর্ণ করে ব্লগটিকে সমৃদ্ধ করিবার আবেদন রহিলো। :D

অন্যদিকে মরা প্রজাপতি কে ম্যাচের বক্সে কবর দিয়াছি শোকসভা সহকারে তাই তুলতুলে পাখির বাচ্চা' র মরা হয়ত সহ্য করতে পারতাম না।
আহা কি সুন্দর, কোমল হৃদয়, স্নেহ মায়া মমতায় পরিপুর্ন একটি মন আপনার। বর্ন কবিদের মতই। :)
আমি ভাবিয়াছিলাম জুন ম্যাডামই ডাকাবুকো একজন ক্ষুদে ডাকাত ছিলেন। এখন তালিকায় আপনিও স্থান করিয়া লইলেন বড়ই প্রীত হইলাম। :#)

যাইহোক লম্বা মন্তব্যে ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
যে মন্তব্যে এমন প্রাণ খুলিয়া হাসিলাম সেই মন্তব্যের শেষাংশে আসিয়া ফরমালিটির দেওয়াল দেখিয়া কিঞ্চিৎ বেদনা বোধ করিলাম। :(( (দুঃখের ইমু চিনিতে না পারিয়া কাঁদিয়া ফেলিলাম ;) )

ভাল থাকুন, নিরাপদে থাকুন, আনন্দে থাকুন নাতী নাতনী নিয়ে ;) এই কামনা রহিল প্রিয় বনহূর সখি। B-)

১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:




এটা কে? আমাদের পুলক!
এতোদিন পর কি মনে করে এই পথে!

পথ ভুল করে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.