নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটি সৌভাগ্য, প্রতিটি মুহূর্তেই এই সৌভাগ্য অস্পৃয়মান তাই বর্তমান নিয়েই মগ্ন থাকতে চাই।

পুলক ঢালী

জীবন বয়ে চলে অজানা পথে

পুলক ঢালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার স্ট্যাচু অব লিবার্টি এবং এলিস আইল্যান্ড ভ্রমন।

০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১২:১২




করোনার অখন্ড অবসর চলছে। মন আর মানেনা। মন চায় খোলা বাতায়ন পথে ফুড়ুৎ করে বেড়িয়ে গিয়ে মুক্ত আকাশে গাঙ্গচিলের মত ডানা মেলে ভেসে যাই।
মেঘেদের সাথে কোলাকুলি করে মেঘের কনার ভালবাসা গায়ে জড়িয়ে নেই ।
বাতাসের টানে উড়ে যাই সোনামাখা রোদ গায়ে মেখে ডানা মেলা ছায়ায় ধরনী ছুঁয়ে ছুঁয়ে।
কিন্তু চাইলেই কি সব পাওয়া যায় ???
ধার করা জ্ঞান নিয়ে ভাবতে বসি কোয়ান্টাম মেকানিক্স নাকি বলে সবকিছু কনা আর তরঙ্গের খেলা।
মাথা হল কনা আর মন হল তরঙ্গ ।
দুইটা উপাদান বাইনারী কম্পিউটারের ভাষার মত শূন্য এবং এক, অর্থাৎ অফ এবং অন।
তৃতীয় একটা অপশন কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ভাষার জন্য প্রয়োজন মানে মন আর মস্তিস্ককে নিয়ন্ত্রন করার জন্য সেটা হল ধ্যান, কনসেন্ট্রেশন বা একাগ্রতা যা মন এবং মস্তিস্ককে নিয়ন্ত্রন করবে।
জ্বী! মানুষের মাথাই হল কোয়ান্টাম কম্পিউটার। ( এগুলি কিন্তু পুরাই চাঁপাবাজী ;) )

কোয়ারাইন্টাইনে থেকে থেকে ধ্যান,মনঃসংযোগ বা একাগ্রতার অবস্থাও তথৈবচ। তাই কোয়ান্টাম কম্পিউটার ফেল মেরে বসে আছে। অতএব কি আর করা, ভাবছি কিছু অতীত স্মৃতি রোমন্থন করি, আর আপনাদের সাথে একটু খুনসুটি করি। :D

ভাবনা চিন্তার মধ্যে ছিল আমেরিকায় যখন এলামই, একটু ঘুরে ফিরে বেড়িয়ে দেখি কোথায় কি আছে !
ভাবনাটা মনে হয় যেন ব্যক্ত করার অপেক্ষাতেই ছিল ! যেইনা বেড়াবার কথা বললাম, অমনিই সবাই বিপুল উৎসাহে সমস্বরে সমর্থন দিয়ে এমন হৈচৈ শুরু করলো যে, পারলে যেন তখনই বেড়িয়ে পড়ে ।
একেবারে “উঠ ছেড়ি তোর বিয়ে লেগেছে” অবস্থা, সামার ফিভার মনে হয় একেই বলে।
পরদিন সকালেই সদলবলে যাত্রা শুরু হল, গন্তব্য নিউইয়র্ক, উদ্দেশ্য স্বাধীনতার স্মারক মূর্তি (Statue Of Liberty) পরিদর্শন।
প্যাকিং ট্যাকিং এর তেমন কোন বালাই নেই। মনের সঙ্গে দেহের সংযোগ, তাই মন চাঙ্গা রাখতে দেহকেও ঠান্ডা রাখা প্রয়োজন সুতরাং আমাদের জন্য নয় জঠরের বিনুদুনের :D জন্য কিছু খাবার টাবার পানীয় প্যাক করে হৈ হৈ রৈ রৈ করে রওনা দেওয়া হল।

আমি তো কিছুই চিনিনা, অঁজপাড়াগাঁ থেকে শহরে আসলে যেমন হয় তেমন আরকি ! তাই গোল্লা গোল্লা চোখ করে রাস্তাঘাট আকাশছোঁয়া বিল্ডিংগুলি দেখতে থাকি। সহযাত্রীদের কাছে তো শহরবাসীর মত ব্যাপারগুলো ডালভাত।
তাহারা নাদানকে এক নিমিষেই গভীর জ্ঞানে সমৃদ্ধ করিবার আকুল প্রয়াসে অতি উৎসাহের সহিত কলকল করিয়া সবাই মিলিয়া এটা ওটা দেখাইয়া পরিচয় করাইয়া দিতে লাগিলো । কে যে কোনটিকে নির্দেশ করিয়া কিসের সাথে পরিচয় করাইয়া দিতেছিল তাহার তল খুঁজিয়া পাইতেছিলাম না আমি শুধু হ্যা হু, হ্যা হু, করিয়া বজরা নৌকার গুন টানিতে ছিলাম :D ফলে এদিকে আমি শুধু দেখি আর ভুলিয়া যাই কিছুই মনে রাখিতে পারিনা। ভাগ্যিস তাহারা পরীক্ষা লইবার কথা ভাবিয়া রাখেনায়, তাহা না হইলে নির্ঘাৎ হাঁদারাম বলিয়া খ্যাত হইয়া যাইতাম। =p~

ঘন্টা দুই চলার পরে নিউইয়র্কের কাছাকাছি এসে প্রচুর হর্ন শুনতে পেলাম। এতক্ষণ নিঃশব্দেই চলছিলাম এখন ডান দিক বাম দিক দিয়ে গাড়ী ওভারটেক করে করে আমাদের গাড়ীর সামনে চলে এসে আমাদের সারথীর মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়াচ্ছিলো ।
ঢাকার কথা মনে করে আমি ভাবলাম এ আর এমন কি !? ঢাকায় তো আমরা সামনের গাড়ীর পশ্চাদেশ চুম্বন করে করে গাড়ী চালাই । ভাবছিলাম স্টিয়ারিং একবার হাতে পেলে হতো এসব ক্ষুদে মাস্তানদের এক হাত দেখিয়ে দিতাম হুম বাওয়া ঢাকাইয়া মানুষের সাথে মাস্তানী !!? ;) কিন্তু সমস্যা হলো লেফ্টহ্যান্ড ড্রাইভিং সিস্টেম এবং লাইসেন্স নেই অগত্যা নিরীহ মুষিকের মত চাহিয়া থাকা বিনে আর কিছুই করনীয় ছিলনা। :D

১।

২।

হাডসন নদীর তলদেশ টানেলে প্রবেশ ও বেরোবার পথে। এই টানেলটি ২.৪ কিঃমিঃ লম্বা প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের নামানুসারে নাম রাখা হয়েছে লিঙ্কন টানেল । তিনটি টিউবের সমন্বয়ে টানেলটি পর্যায়ক্রমে তৈরী করা হয়েছে। শুরু করা হয়েছিলো ১৯৩৪ সালে শেষ হয়েছে ১৯৫৭ সালে। তবে একেকটা টিউবের কাজ শেষ হওয়ার পর পরেই গাড়ী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিলো।

২ক।

৩।

৪।

৫। ব্যাটারি পার্ক এটা ম্যানহাটনের দক্ষিনে ক্যাসল ক্লিন্টন ন্যাশনাল মনুমেন্টে অবস্থিত। এখানে ইটালিয়ান নাগরিক জিয়োভান্নি ভ্যারাজান্নোর ভাস্কর্য রয়েছে। তিনিই আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম ইউরোপিয়ান যিনি ফ্লোরিডা থেকে উত্তর আটলান্টিক দিয়ে নিউইয়র্ক হয়ে কানাডার নিউ ব্রানশ উইক পর্যন্ত এক্সপ্লোর করেছিলেন।



৬। নিউইয়র্ক হারবার টার্মিনালের পথে।



৭। ক্রুজ শিপের জন্য অপেক্ষার মুহূর্তগুলি।



৮। ক্রুজশিপ গুলো লাইন দিয়ে অপেক্ষায় রত, একটার পর একটা প্যাসেঞ্জার নিয়ে ছেড়ে যাবে।



৯। ক্রুজ শিপ ছোট ছোট হারবার ফেরী



১০। অনবোর্ড ফ্রি সিটিং এ্যারেঞ্জমেন্ট, যে, যেখানে পারে বসে পড়তে পারে।
এক্ষেত্রে আমাদের মত হুড়োহুড়ি নেই, কে কার আগে সিট দখল করবে তার ব্যস্ততা নেই, (টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার পথে কেয়ারী সিন্দাবাদে আরোহনের স্মৃতি মনে পড়লো।) সবাই ভদ্র দুরত্ব বজায় রাখছে, গা ঘেষা ঘেষি নাই । (এরা সব বোকা ধাক্কা ধাক্কির যে কি মজা তা এরা বুঝবে কি করে হে হে হে)



১০ক। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সমাহার বেশ কিছু আমাদের মত চেহারার মানুষ ইভেন বাংলা কথাও হঠাৎ হঠাৎ শুনতে পাচ্ছিলাম তবে উচ্চারন শুনে বুঝলাম কলকাতাবাসী।



১১। যাত্রা শুরু।



১২/১২ক/১৩/১৪। হারবার থেকে শহরের মনোরম দৃশ্য।









১৫। ভ্রমনের সুখো স্মৃতিকে ক্যামেরায় বন্দী করার প্রয়াস।



১৬।তালগাছ একপায় দাড়িয়ের মত নিঃসঙ্গ স্ট্যাচুটি দাড়িয়ে আছে। আমাদের গন্তব্য দৃশ্যমান হচ্ছে।



১৭/১৮/১৯/২০। আমার মনে হচ্ছিল আমরা যাচ্ছিনা স্ট্যাচুটা আমাদের দিকে ভেসে ভেসে চলে আসছিলো (অবশ্য স্বপ্নে এমন দৃশ্য দেখলে খবর আছে :D =p~ )









২১/২২। ডকিং জেটির অবস্থান মূর্তি পেড়িয়ে গিয়ে তারপর।





২৩। স্ট্যাচু অব লিবার্টি এটা নিউইয়র্ক হারবারের Bedloes Island এ অবস্থিত। ১৮৮৬ সালে তৈরী এই ভাস্কর্য টি স্তম্ভমূল থেকে টর্চ পর্যন্ত উচ্চতা ৩০৫ ফুট ১ ইঞ্চি শুধু মূর্তিটির উচ্চতা ১৫১ ফুট ১ ইঞ্চি । ওজন ২২৫ টন এর মধ্যে বহিরাবরন ১০০ টন তামা দিয়ে তৈরী এই ওজনটাকে ধরে রাখার জন্য অভ্যন্তরভাগ ১২৫ টন রট আয়রন দিয়ে তৈরী।
নব্য ধ্রুপদীর ( Neoclassical sculpture) এই ভাস্কর্যটি রোমান স্বাধীনতা দেবীর পোষাকাবৃত।
ডান হাতের মশালটি স্বাধীনতা ও গনতন্ত্রের আলোক রশ্মিকে বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতীক।
বাম হাতে ঘুঘু দেখেছ বাপু ফাঁদ তো দেখনি সেই ঘুঘুর লেঙ্গুরের মত (ডাভ টেইল) ধারক সহ দুইটি ট্যাবলেট।
এটিও রোমান সম্রাজ্যের জনপ্রিয় ভোট দানের প্রতীক। এই ট্যাবে দারুন গুরুত্বপূর্ণ একটা তারিখ রোমান স্টাইলে লেখা আছে সেটা হল ৪ জুলাই ১৭৭৬ ( JULY IV MDCCLXXVI ) যেদিন আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষনা করা হয়। (ভাবছি কত মর্যাদার সাথে ওরা ঐতিহাসিক দিনটিকে সংরক্ষন করছে আমাদের দেশের মত বিতর্কিত ঘোষনা টোষনার বালাই নেই )
পায়ের কাছে পড়ে আছে ভাঙ্গা শিকল যা দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙ্গে মুক্ত স্বাধীনভাবে পথে এগিয়ে চলার প্রতীক।
এছাড়াও এটা ইমিগ্র্যান্টদের মুক্ত স্বাধীন দেশে সমুদ্র পথে আগমনে অভ্যার্থনার প্রতীকও বটে। ( যদিও বিভিন্ন কারনে আমেরিকা এখন তাদের অবস্থান পরিবর্তনের পথে আছে বলেই মনে হচ্ছে )
এই ভাস্কর্যটি রাতের বেলায় মশাল জ্বালিয়ে দিকভ্রান্ত নাবিকদের পথের দিশা প্রদর্শন করে, মানে লাইটহাউস হিসেবে কাজ করে।



২৪। এই ভাস্কর্যের আর্কিট্যাক্ট এবং ডিজাইনার হলেন ভাস্কর্ ‘ফ্রেডারিক অগাস্তে বার্থোল্ডি’ তিনি ফ্রান্সের নাগরিক । ওনাকে সহায়তা করেছেন আইফেল টাওয়ারের নির্মাতা ‘আলেক্সান্ডার গুস্তাভ আইফেল’ তিনি একাধারে আর্কিট্যাক্ট এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। এটি ছিল একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রকল্প, ফ্রান্সের অর্থায়নে এবং আমেরিকার জমি প্রদানের মাধ্যমে সম্পন্ন করা প্রকল্প।



২৫/২৬। তামার তৈরী লিবার্টি বাইক। স্ট্যাচু অব লিবার্টির শতবর্ষ জয়ন্তি পালনের পূর্বে গোল্ডলিফ কর্পোরেশন এটিকে রেস্টোরেশনের দায়িত্ব পায়।
তারা ১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে ১৯৮৬ র জুলাইয়ের আগে সিডিউলড টাইমেই কাজ সম্পন্ন করে । সেই কাজে অনেক লোহা ও তামা বদলাতে হয় সেগুলো শতবর্ষী আর্টিফ্যাক্ট হিসাবে ওখানে বিক্রয় হয় এবং মিউজিয়ামেও সংরক্ষন করা হয়। সেই তামা থেকেই এই বাইকটি তৈরী করা হয়েছে।





২৭। পশ্চাৎ দিকে এই শান বাধানো চত্বর দিয়ে মূর্তির ক্রাউনে ওঠার জন্য যেতে হয়, সেজন্য আগে থেকেই টিকিট কেটে বুকিং দিয়ে রাখতে হয়। তবে ক্রাউনে উঠা একটি কষ্টসাধ্য এ্যাডভেঞ্চার।
কারন, আপনাকে যেতে হলে কোমরের বেল্ট টাইট করে বেঁধে তারপর যেতে হবে । নাহলে এলিভেটর ছাড়া ৩৯৩ টা সিড়ি বাইতে হবে যার মধ্যে ১৬২ টা খুবই চিপা পুরো পথ নিজে নিজে বাইতে হবে সহায়তা পাওয়ার নো চান্স।
অনেক কষ্ট করে উপরে উঠতে উঠতে দেখা গেল ক্যালরী পুড়ে পুড়ে আপনি চিলিম হয়ে গেছেন এবং নিজের অজান্তে কখন যে পেন্টুলুন কোন স্টেপে রেখে এসেছেন সেটাও খেয়াল নেই ফাইনালি দিগম্বর হয়ে ------ তাই বলছিলুম কি বেল্টু--- হে হে হে ।



২৮/২৯। গাঙ্গচিল গুলোকে দেখুন কত সাহস ! আপনাকে মানুষ বলেই গন্য করছেনা ! এক পেদানি দিলে --- আহাহাহা ভুলেও ও কম্মোটি করতে যাবেন না তাহলে কিন্তু শ্রীঘর পরিদর্শনের সমুহ সম্ভবনা বা ট্যাক খালি হওয়ারও সম্ভাবনা আছে।
এদের শরীরের চেয়ে ৪/৫ গুন বড় ডানা।





৩০। ফেরার পথে তবে এবার গন্তব্য এলিস আইল্যান্ড।




১৯৬ টা ছবির মধ্যে কাটছাট করেও দেখি অনেক ছবি দেওয়া যাচ্ছেনা পোষ্ট ভারী হয়ে যাচ্ছে সুতরাং এটি দ্বিতীয় পর্বে গড়াবে বলে মনে হচ্ছে।

কিছু কিছু তথ্য এবং তিন টানেলের ২ক ছবিটি গুগলমামু দিয়েছেন। :D

(চলবে)


মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ , খুবই ভালো লাগলো।

০২ রা মে, ২০২০ রাত ১০:১১

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব নেওয়াজ আলি ।
ভাল থাকুন।

২| ০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো দেখতে পারলাম না। আমার নেট স্লো।

০২ রা মে, ২০২০ রাত ১০:১৭

পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব রাজীব নুর ভাই। সমস্যা নেই যখন নেটে গতি আসবে তখন দেখে নেবেন। ভাল থাকুন।

৩| ০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ২:০৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর সব ছবি ও বর্ণনায় আপনার ভ্রমন পোস্টটি চমৎকার হয়েছে।

০২ রা মে, ২০২০ রাত ১০:১৫

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা সুজনভাই এগুলো নেই কাজ তো খৈ ভাজ টাইপের পোষ্ট । আপনার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৪| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: পুলক ভাই, স্বাচ্ছন্দ্যে টাইপ করার অবস্থায় নেই। আপনার লেখায় এক পলক চোখ বুলালাম। আর একটা কথা বলার জন্য পোস্টে ঢুকলাম। অসাধারণ ধ্রুপদী বাংলা। দেশ পত্রিকার ঘরানার। সচরাচর মিলা ভার।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

পুলক ঢালী বলেছেন: শুভ ভাই বড়ই অশুভ সময়ে আমার ব্লগে ঢুঁ মেরেছিলেন :D (কারন ব্লগে ঢোকাই হয় না) তাই ১ মাস ৪দিনের মাথায় আপনার অমূল্য মন্তব্যটি চোখে পড়লো। আপনার মহানুগ্রহ যে এক পলক আমার লেখায় চোখ বুলিয়ে আবার মন্তব্যও করেছেন।
তবে কথা হলো গিয়ে আপনার এই অতি উচ্ছ্বাসকে সমাদর করতে পারছিনা উহা অন্ধ ভালবাসার ফল।
অসাধারণ ধ্রুপদী বাংলা। দেশ পত্রিকার ঘরানার। সচরাচর মিলা ভার।
এই কথাগুলো অতি বাহুল্য দোষে দূষিত। ;)
যাই হোক পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৫| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: অশুভ সময়ে আমার ব্লগে ঢুঁ মেরেছিলেন

কই বাত নেহি। দের আয়ে পার দুরুস্ত আয়ে। :)

এই কথাগুলো অতি বাহুল্য দোষে দূষিত।

মুঝে জুটা তারীফ করনা নেহি আতা। :D খুব ভাল থাকেন পুলক ভাই। সেইফ থাকেন।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৭

পুলক ঢালী বলেছেন: বলেছেন: আরে শুভ ভাই ইয়ে ক্যায়সে হো সাকতা ? কাল ম্যায় আপকা কমেন্টকা জবাব পেশ কিয়া আউর আপ ইতনা তুরন্ত আপ
প্রতিক্রিয়া ভী পেশ কিয়া ????
আচ্ছা ছোড় দিজিয়ে! ম্যায়নে ছুনা আপকা হাতপে কোই চোট লাগা, ইয়ে ক্যায়সে হুয়া ? শায়েদ আপ দেশ মে ভী ই হ্যয়, ইস করোনা স্থিতি মে কোই ইলাজ মিলনা য্যায়দা কঠিন হ্যায়। জারা সামভালকে চালনা বহুৎ জরুরী হ্যায়।
গার্ল ফ্রেন্ড কা সাথ ডেটিং করনা ইতনা জরুরী থা কে ইস লিয়ে বাহু তোড়না কো ভী পরোয়া নেহী থা ? ;) :D =p~ =p~
খেদ হই আপকা তকলিফ লেকে মজা উড়ানে কে লিয়ে।
আচ্ছা রেহেনা।

৬| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৪

শুভ_ঢাকা বলেছেন: গার্ল ফ্রেন্ড কা সাথ ডেটিং করনা ইতনা জরুরী থা কে ইস লিয়ে বাহু তোড়না কো ভী পরোয়া নেহী থা ?

হাহাহাহাহাহা...... আপনে মিঞা বহুত বিতলা।

কাফি খুউব সুরতি-কে সাথ আপনে হিন্দি মে আপকা মন কা বাত নিভাইয়্যা। আপনে সব্যসাচী মানুষ। পুলক ভাই একটা ভাষা জানলে কোন ক্ষতি নাই। আমি নিছকই মজা করার জন্য আমার কমেন্টে হিন্দি/উর্দুতে বাক্য ব্যবহার করি। প্রতি উওরে আপনেও তাই করেন। আমার অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ গিয়েছিল। করোনা কালে লকডাউনের প্রথম দিকে রাতের বেলায় চিকিৎসা পাওয়া কষ্টের ছিল। আমার সেই সময়ের কষ্টের কথা আড্ডাঘরে শেয়ার করেছিলাম। এনি ওয়ে এখন ভাল আছি। ঠিক আছে ভাই আপনার ইমেইল আমার কাছে রইলো।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৩

পুলক ঢালী বলেছেন: আমার অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ গিয়েছিল।
আমি আসলে এ ব্যপারে কিছুই জানিনা, এটা কবে কিভাবে হলো এবং কি হয়েছিল ?
লকডাউনের প্রথমদিকে তো আপনার সাথে কিছু বাতচিৎ হয়েছিল তখন সাবধানতার ব্যপারে কিছু তরিকা ভী বাতলাইয়া ছিলাম, এটা তাহলে তার পরের ঘটনা।
বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা ভয়াবহ। ঘরথেকে একদম বের না হলেই ভাল। এই দেশের মানুষ শিক্ষিত বলুন অশিক্ষিত বলুন পরিচ্ছন্নতা জ্ঞানের ক্ষেত্রে সব সমান। নিজেকে বাঁচিয়ে চলা ছাড়া কোন উপায় নাই। সাবধানে থাকুন।

একটা ভাষা জানলে কোন ক্ষতি নাই ক্ষতি তো নয়ই বরঞ্চ এটা একটা উপকারী গুন যত শিখবেন তত লাভ।

ঠিক আছে ভাই আপনার ইমেইল আমার কাছে রইলো।
ঠিকানা শেয়ার না করে একতরফা ঠিকানা রাখনা ভী গুনাহ্ হ্যায়। B-)

৭| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৫৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমি না হয় গুনাগার কসুরবার ঠিক হ্যাঁয়। :P লেকিন আপনে কিউ ১ মাস ৪ দিন ব্লগে আসেননি বা লগ ইন করেননি। কেন আপনে আপানার বিচরণভুমিতে নজর রাখেননি। যে সামুকে তার ডাইরি বানাতে চায়, যার ভাষার প্রতি এত অনুরাগ ও পান্ডিত্য সে কেন নিজেকে তার পছন্দদিদা স্থান-সে খুদকো মেহরুম (বঞ্চিত/depive) রাখ্খা। সেটা জানার কৌতুহল তো থাকতেই পারে। আমি বা মাকাল ফল (ব্লগবাড়িই তার প্রকৃষ্ট প্রমান) এবং চরণভূমিতে ব্রাত্য। আমার লগ ইন আর লগ আউট কই ফারাক নেহি পরতা। আপ কো ব্লগ-মে জরুরত হ্যাঁয়, মেরে-কো নেই। খাইরিত রহিয়ে। সাব্বা খায়ের। :) :D

১৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনে মিঞা একটা বিটকেল আদমী। ভাল হয়ে যান, ভাল হইতে পয়সা লাগেনা। এক কথার উত্তরে অন্য কথা কইয়া পাশ কাটানোর ফন্দি আচ্ছা নেহী হ্যায়। আমি কেন আসিনি তার কারন তো আছেই, আমি আমার ব্লগে ১মাস ৪দিন ঢুকিনি মানে এই নয় যে ব্লগেই ঢুকিনি । ব্লগে ঢুকে যার লেখা মনঃপুত হয়েছে সেখানে মন্তব্য করেছি।
আপনে গুনাহগার থাকতে চান এর মানে হলো পারসোনাল যোগাযোগের রাস্তা ওপেন করতে চাচ্ছেন না। ই-মেইল শেয়ার করলে যোগাযোগ হবেই তা বলা যাচ্ছেনা। এটা শুধু একটা অপশন মাত্র হাতে রাখা। এখানেও আপনার আপত্তিতে মনে হচ্ছে আপনি কোন একটা অপরাধ করেছেন, পাছে ধরা পড়ে যাবেন সেই ভয়ে যোগসূত্র তৈরী করতে ভয় পাইতেছেন। আপনার চিন্তার কোন কারন নেই আমনেরে ধরাইয়া দিমু না নিশ্চিত থাকেন। আপনার ফেরারী হওয়ার ঘটনাটা কি? তা বলুন।
আপ কো ব্লগ-মে জরুরত হ্যাঁয়
ইহা আপনার অতি বচন ব্লগে কারোই তেমন জরুরাত নেহী হ্যয়। আমি এমন কোন পোষ্ট লেখিনা যাতে জরুরাতের প্রশ্ন আসে। বরঞ্চ বহু হেভীওয়েট ব্লগার আছেন যারা খুব ভাল ভাল পোষ্ট লিখে ব্লগকে চালু রাখছেন, সমৃদ্ধ করছেন, আমি সেই কাতারের ধারে কাছেও নেই।
রাত ৩ টা পর্যন্ত জেগে জেগে করেন কি তা বলুন তো। আপনার দুর্ঘটনা কিভাবে হয়েছিল ?
ইদানিং বোর ফিল করি তাই ব্লগে ঢু মারতে ইচ্ছে করেনা।
জেন রসির পোষ্ট দেখে কি শিখলেন ? ব্লগ তার স্বকিয়তা হারিয়েছে। আইসিটি আইনের সাথে কম্প্রোমাইজ করে চলতে হচ্ছে। একটা গ্রুপকে কিছুটা প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকারের নীতি নির্ধারনী অবস্থানের সমর্থনে। এছাড়া আরো কারন আছে ব্লগের প্রতি অনীহার তারমধ্যে সিন্ডিকেটবাজী একটা। এগুলো তো আপনার মত মেধাবী, ধীশক্তি বিশিষ্ট মানুষের বোঝার কথা, না বুঝলে (আপনি একটা আবাল,পাজী,ফাজিল ,বদমাশ,লাফাঙ্গা,ইচড়ে পাকা,বেকুব,বলদ,নিষ্কর্মা,চিটিংবাজ,শয়তান,মাথামোটা,ফিচকে শয়তান,গাধা,ছাগল আরো অনেক কিছু, মনে পড়লে তখন বলবো আপাতত এই সামান্য খেতাব নিয়েই আপনাকে সন্তুষ্ট থাকতে হপে) আর কিইবা করার আছে ??? ;)
ভাল থাকুন।

৮| ১৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

শুভ_ঢাকা বলেছেন: মধ্যরাতের ঘুমের ঘোরে বাংলা ইংরেজি নানান বাবান ভুলের কমেন্ট আমাকে পীড়ন করে। পরে আপনার প্রশ্নের উওর দিতে চেষ্টা করবো পুলক ভাই। এখন ব্যস্ত আছি।

১৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

পুলক ঢালী বলেছেন: বাবান নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। ওটার লাইসেন্স আপনাকে দেওয়া আছে।

৯| ১৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমি জানি আপনে ঠাট্টা করে বলেছে। তারপরও আমি সিরিয়াসলি বলছি, নেপথ্যচারী বা নিভৃতচারী মানেই অপরাধী এমন সরলীকরণ করাটা বোধহয় ঠিক না। আপনাদের মত মানুষদের সংস্পর্শে থাকাটা সৌভাগ্যের। এন্ড আই মিন ইট। পরে আবার আসবো।

১৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

পুলক ঢালী বলেছেন: আমি ঠাট্টা করছি আমনেরে কইছে ক্যাঠায় আমি মিন করছি। নেপথ্যচারী বা নিভৃতচারী অনেক বড় আবার ছোট ব্যাপার। যুদ্ধাস্ত্র বিহীন অসহায় প্রানীদের ক্ষেত্রে তাদের জীবনের নিরাপত্তা বজায় রেখে খাদ্য সংস্থানের জন্য নিজেকে লুকিয়ে রাখতে হয় তাদের রাতে চলার জন্য প্রকৃতি চোখের গঠন সেভাবে করে দিয়েছেন যাতে রাতে তারা সেরকমই পরিষ্কার দেখে দিনে আমরা যেভাবে পরিষ্কার দেখি। এমন চোখ দিনে আলোর তীব্রতায় অন্ধ হয়ে যায় তাই দিনে অন্ধকার গুহা বা গাছের কোঠরে বাস করে।

অপরকদিকে মানুষের ক্ষেত্রে নিভৃতচারী মানুষ হচ্ছেনঃ
১। সেই মানুষ যারা মানুষের উপকারের জন্য পাড়া, মহল্লা, সমাজ এবং দেশের জন্য অনেক কাজ করেন, ধন সম্পদ দান করেন বা বিলিয়ে দেন নিজের পরিচয় গোপন রেখে। ওনারা নিঃস্বার্থবান, নিরহঙ্কার চরিত্রের, দানশীল, দয়ালু মনের মানুষ।

২।(ক) অপরাধী মনের মানুষ। যাদের চিন্তা চেতনায় মনের গভীরে ক্রাইম কনশাসনেস ( হামেসা অপরাধ কে বারেমে সোচতে রহেতে ) জুড়ে বসে থাকে।
(খ) অপরাধ করে বিচার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনকারী মানুষ।
আমার ধারনা আপনি (২ক) নং ক্যাটাগরির মানুষ।
নিভৃতচারী বা নেপথ্যচারীর মত সুন্দর বিশেষণ আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
;) =p~ =p~ =p~

১০| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

শুভ_ঢাকা বলেছেন: নিভৃতচারী শব্দের অন্তনিহিত মানে জানা থাকলে তাহলে ব্যবহার করতাম না। আমি সাধারণ অর্থে লিখেছিলাম, যে আমি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এই ধরনের।

অপরাধ নিয়ে এত কিছুর কিছুই জানতাম না। জানতেও চাই না। টিভিতে অপরাধ, ক্রাইম পেট্রল কি সব নামে নানান প্রোগ্রাম হয় জীবনেও একটা পর্ব দেখিনি। দেখতেও চাই না। রুচিই হয় না। তবে অপরাধ নিয়ে আপনার জ্ঞানে আমি মুগ্ধ। পড়াশুনা মানুষ, জ্ঞানী মানুষের সান্নিধ্য আমার ভাল লাগে।

আমার ডাক্তার ভাই একটা কথা প্রায়ই বলতেন ক্যালকুলেশন ইস গুড বাট ওভার ক্যালকুলেশন ইস ব্যাড। আমি এই মন্ত্রে বিশ্বাস করি। পুলক ভাই আড্ডাঘরে আপনি একবার আমাকে কল্পনা প্রসূতকারনে অভিযুক্ত করেছিলেন, কটু কথা বলেছিলেন যা ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ছিল। আপনার ওভার ক্যালকুলেশন।

জীবনের প্রয়োজনে সুযোগের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষ প্রবাসী, তাদের ফেরারি বলা ঠিক নয়। তবে ঠাট্টা করে হয়ত বলা যেতে পারে।

আপনার উত্তম ব্লগ লেখার যোগ্যতা জ্ঞান সক্ষমতা আছে। এটা অতি বচন নয়। তবে আপনি লিখবেন কিনা সেটা এটা আপনার চয়েস।

আপনার সাথে কথা বলতে সময় কাটাতে ভাল লাগে। আবার এটাও সত্য এই লাক ডাইনেও আমি কাজ করি। প্রডাক্টিভ কাজ। কাজে ব্যস্ত থাকতে আমার ভাল লাগে। এখনো কাজে ব্যস্ত আছি। কাজ বন্ধ করে প্রতি উওর লিখছি। কারণ অস্বস্তি নিয়ে আমি কাজ করতে পারি না। উওর দেওয়াটা জরুরী মনে হচ্ছিল।

আমাদের তিন বন্ধুর একটা আড্ডাঘর ছিল। ব্লগেও একটা আড্ডাঘর আছে। এই আড্ডাটা ওখানে হলে ভাল হত। কোন পোস্টে এরকম আড্ডা দিতে কেমন জানি বেখাপ্পা লাগে। কারণ এটা উন্মুক্ত ব্লগ।

আপনার জ্ঞানে গুনে বরাবর মানুষের সাথে দ্বৈরথ দেখবো বলে গ্যালারীতে বসেছিলাম। কিন্তু আপনে রণে ভঙ্গ দিলেন। যা আপনার কাছ থেকে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল।

ঠিক হ্যাঁয় পুলক ভাইয়া আজকের জন্য এই পর্যন্তই।

১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা শুভ ভাই এইবার ক্ষেপছে ! কি মজা কি মজা ! আমি চাই আপনি আরো ক্ষেপুন। :D
আপনি প্রোডাক্টিভ কাজ করেন ?? দারুন ব্যাপার এটা নিয়ে মজা করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু করবোনা কিউ কি ইস পল মেইন আপকো তবিয়ত ক্রোধিত আওর অপ্রসন্ন হো গ্যায়া হ্যায়। :D
আপনার প্রোডাকটিভ কাজে আমার কি অংশ নেওয়ার যোগ্যতা আছে ? থাকলে বলেন আপকা ছাত সামিল হুই। :D
তবে অপরাধ নিয়ে আপনার জ্ঞানে আমি মুগ্ধ। পড়াশুনা মানুষ, জ্ঞানী মানুষের সান্নিধ্য আমার ভাল লাগে। এই কথাগুলি বাহুল্যদোষে দূষিত আমি ক্ষেপিলাম কিন্তু। X(

আপনি একবার আমাকে কল্পনা প্রসূতকারনে অভিযুক্ত করেছিলেন, কটু কথা বলেছিলেন যা ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ছিল। আপনার ওভার ক্যালকুলেশন।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন তবে প্রশ্ন রাখছি আপনার কি ধারনা এই ওভার ক্যালকুলেশনের বিষয়টি আমার জানা ছিলনা ? আমি জেনে শুনে সব কিছুই বুঝে ইচ্ছাকৃতভাবে সে সময় কেন ঐ মন্তব্য করেছিলাম তার কারন খুঁজে দেখুন তো বের করতে পারেন কিনা ? ;) :D =p~ তখন আমি হাসতে পারতাম না এখন আমার ভীষন হাসি পাচ্ছে আপনার বিশ্লেষন টাইপের কমেন্ট দেখে। আপনাকে কনফার্ম করছি সেই সময়ের ঐ কমেন্ট আমি নিজেই বিশ্বাস করতাম না তখনও নয় এখনও নয়। :) :D

জীবনের প্রয়োজনে সুযোগের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষ প্রবাসী, তাদের ফেরারি বলা ঠিক নয়। তবে ঠাট্টা করে হয়ত বলা যেতে পারে।
আপনার এই পন্ডিতি মার্কা কথা আবার আপনাকে আবালে পরিনত করছে। প্রবাসী মাত্রই ফেরারী এই তত্ত্ব কৈ পাইলেন নাকি নিজেই বানাইছেন ? এখন আবার আপনার চামড়া তোলা যায় তবে আপনার এই কমেন্টের সিরিয়াসনেস বিবেচনা করে মাফ করে দিলাম।
আপনার সাথে ইন্টারেকশন চলছে জানিনা টেলিপ্যাথি সত্য কিনা! কাল ফাহিম বলল শুভ_ঢাকা ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে। আমি তখন ফাহিমকে বললাম মাননীয় শুভ সাহেবকে আমার ই-মেইল দিলাম [(যা আমি সাধারনতঃ করিনা) উদ্দেশ্য ছিলো ব্লগের বাহিরে একটা যোগসূত্র তৈরী করা যেমন ফাহিমের সাথে আমার হোয়াটস এ্যাপে যোগাযোগ আছে তাহলে তিনজনের একটা গ্রুপ বানানো যেতো ] কিন্তু মাননীয়,পরম শ্রদ্ধেয় এবং প্রাতঃ স্মরনীয় মহান শুভ সাহেব তাহা ইগনোর/প্রত্যাখ্যান করেছেন কি আর করা মাঝখান থেকে আমার ই-মেইল আইডি বেহাত(?) হয়ে গেল। ;)

আপনার উত্তম ব্লগ লেখার যোগ্যতা জ্ঞান সক্ষমতা আছে দুঃখীত সহমত প্রকাশ করতে পারছিনা।

ব্লগেও একটা আড্ডাঘর আছে। এই আড্ডাটা ওখানে হলে ভাল হত। কোন পোস্টে এরকম আড্ডা দিতে কেমন জানি বেখাপ্পা লাগে। কারণ এটা উন্মুক্ত ব্লগ।
আড্ডাঘর কি উন্মুক্ত ব্লগ নয় ? পার্থক্য হলো ওটার টপিক আড্ডা আর এটা ভ্রমন তাই এই প্লাটফর্ম ত্যাগ করতে চেয়েছিলাম সেটা আপনি বুঝতে পারছিলেন বলে মনে হচ্ছেনা।

কিন্তু আপনে রণে ভঙ্গ দিলেন
রণে ভঙ্গ দেওয়ার কারনটাও বলে এসেছি।

শুভ ভাইয়া আপনি ভঙ্গ হস্ত লইয়া যাবতীয় ক্লেশ ও কষ্ট সহিয়া অতীব কর্মব্যস্ততার মাঝে ভীষন দয়াপরবেশ হইয়া প্রতিমন্তব্য করিয়া যে মহানুভবতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাইয়াছেন তাহার জন্য আমি বার বার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিলেও মনে হইতেছে কম হইয়া যাইতেছে। হামেশা হামেশা খুশ রাহিয়ে ইয়ে মেরা দিল সে নিকলা উম্মীদ হ্যায়।

আউর এক বাত রাহে গয়ে ম্যায়নে আপকো পুছাথা আপকা ইয়ে বুড়ি হাল ক্যায়সে হুয়া? কিউ হুয়া? কব হুয়া? লেকিন আপনে তমিজ ছোড়কে (বেত্তমিজ নেহী কহুঙ্গা) জবাব পেশ নেহী আয়ী, ইসকা বাজাহ কেয়া হায় বাতাইয়েগা জরুর আগার আপকো কোই তাকলিফ না হো তো। আউর এক বাত ভী হ্যায় ডু নট রিপ্লাই হোয়েন য়ু আর এট ওয়ার্ক। ইন্তেজার করনেসে মেরা কোই প্রবলেম নেহী হ্যায়। :D
গুড লাক গুড বাই স্টে ওয়েল। :)

১১| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগে দ্বিতীয় প্লাস + +।
নেট স্লো থাকার কারণে সবগুলো ছবি উন্মোচিত হয়নি। যতগুলো হয়েছে, সেগুলো দেখেই আমি মুগ্ধ!
শুওকামনা---

২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৫

পুলক ঢালী বলেছেন: বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খায়রুল ভাই। ছবির জন্যই ব্লগ লেখা, ছবিগুলি শুধু আপনি নন আরো অনেকেই দেখতে পারেননি তাই এই পোষ্টগুলি আমার কাছেই অবহেলিত হয়ে আছে, সেখানে আপনার আগমনে ভীষন আনন্দিত হয়েছি ভাল থাকুন নিরাপদে থাকুন এই দোয়া রইলো।

(বিঃদ্রঃ এই পোষ্টের সাথে যায়না এমন কিছু মন্তব্য এখানে আছে সেগুলো আপনার ভাল নাও লাগতে পারে চটুল,খুনসুটি গুলি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এই প্রত্যাশা রইলো)

১২| ২৫ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ছবি ও বর্ণনা সুন্দর হয়েছে । পোষ্টটি লাইক সহ প্রিয়তে ।

এলিস দ্বীপ জাতীয় অভিবাসন জাদুঘরে আমেরিকাতে অভিবাসীদের ভ্রমণ, দীর্ঘ সমুদ্রপথে যাত্রা করে আমিরিকায় পৌঁছে যাওয়ার পরে বেঁচে থাকার সংগ্রাম , সম্প্রদায় গঠনের প্রচেষ্টা এবং তাদের নতুন জাতির নাগরিক হওয়ার মাধ্যমে অভিবাসীদের অভিজ্ঞতা অন্বেষণ করার চিত্রগুলি স্থান পেয়েছে মর্মে দেখা যায় । কিন্ত সৃদুর আফ্রিকা হতে জাহজের খুলে করে কিভাবে শিকলে বেধে কিংবা জাহাজের ডেকের নীচে গাদা গাদি করে অমানুষিক নির্যাতন করে তাদেরকে বলপুর্বকক ক্রিতদাস হিসাবে নিয়ে এসেছিল তার চিত্র কি আছে সেই যাদুঘরে । সেখানে ১৮৩০ সালে জার্মান চিত্রশিল্পি জোহান মর্টিস রোগেন্ডাস অঙ্কিত নীচের পেইনটিংটিরমত আরো কিছু চিত্র স্থান পেলে এখনকার অভিবাসিরা তাদের পুর্বপুরুষদের মর্মান্তিক কষ্টের কিছু অভিজ্ঞতা অন্বেষন করতে পারত।

যাহোক, আমিরিকানরা ক্রিতদাস ইমিগ্রান্টদের কিছুটা মনে রেখেছে সেটাই বা কম কি । মানব সভ্যতার আদিকাল হতেই একটা পর্যায়ে অনেক কিছুই উলট পালট হওয়ার ইতিহাস আছে । বলা যায়না পালের জাহাজ কালের প্রবাহে উল্টাদিকে চললেও চলতে পারে । তাই তাদের সচেতনতার সময় এসেছে । একটু ছোট ভুলেই অনেক কিছু উলট পালট হয়ে যেতে পারে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৩| ২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

পুলক ঢালী বলেছেন: জনাব ডঃ এম এ আলী,
আমার দুটি পোস্টে আপনার একই রকম মন্তব্য এসেছে আমি আপনার কোন মন্তব্য সরিয়ে দেইনি। আপনার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কি জবাব লিখব ভেবে না পেয়ে উত্তর দেওয়া থেকে বিরত রইলাম। নীচে আমার ভাবনা তুলে ধরছিঃ
দাস প্রথাঃ
দাসত্ব প্রথম সভ্যতায় পরিচালিত হয়েছিল (যেমন মেসোপটেমিয়ায় সুমার, [৪] যা খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০০ অবধি ঘটে)। হামুরাবির মেসোপটেমিয়ান কোডে (Code of Babylonian Law)।
মধ্য যুগের দিকে দাসত্ব ইউরোপের বেশিরভাগ অঞ্চলে সাধারণ হয়ে ওঠে এবং এটি পরবর্তী শতাব্দীতে অব্যাহত থাকে। বাইজানটাইন – অটোমান যুদ্ধ (1265–1479) এবং ইউরোপে অটোমান যুদ্ধের ফলে বিপুল সংখ্যক খ্রিস্টান দাসদের বন্দী করা হয়েছিল।
ডাচ, ফরাসি, স্পেনীয়, পর্তুগিজ, ব্রিটিশ এবং বেশ কয়েকটি পশ্চিম আফ্রিকার রাজ্য ট্রান্স আটলান্টিক ক্রীতদাস ব্যবসায় নিয়োজিত ছিল।
সাদা কথায় দাস কালচার এর জন্য আমেরিকা দায়ী নয়।
পোস্টে Statue Of Liberty এর ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। এটি আমেরিকায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে আমেরিকার স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে রয়েছে।
ইমিগ্রান্টঃ
আমেরিকায় স্পেন, পুর্তগাল, নরওয়ে, ডেনমার্ক, বৃটেন, অষ্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিন আমেরিকা থেকে অসংখ্য ইমিগ্র্যান্ট এসেছেন এলিস আইল্যান্ডের মাধ্যমে, তারা কেউ দাস নন, সেজন্য দাস নিবর্তনের ছবি ওখানে নেই, বরঞ্চ ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী এন্টি ইমিগ্র্যান্ট ছবি রয়েছে।

দাস প্রথার উচ্ছেদঃ
আমেরিকায় মুক্ত, উদার ও মানবতাবাদী কিছু মানুষ প্রত্যেক আমেরিকান এর জন্য সম অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সিভিল রাইট এর দাবি তোলেন। এতে দাস প্রথার সমর্থকরা আপত্তি তোলেন। ক্রমান্বয়ে আমেরিকা দুভাগ হয়ে যায় এবং ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধের ডামাডোল বেজে ওঠে। আমেরিকার উত্তর অংশ সিভিল রাইটের পক্ষে থেকে ইউনিয়ন আর্মি গঠন করে এবং দক্ষিন অংশ দাস প্রথা বহাল রাখার পক্ষে কনফেডারেট আর্মি গঠন করে। আমেরিকা সিভিল ওয়ারে ঢুকে পড়ে।
১৮৬১ সাল থেকে গৃহ যুদ্ধ শুরু হয়ে ১৮৬৫ সালে গেটিসবার্গে, ইউনিয়ন আর্মির কাছে কনফেডারেট আর্মির পরাজয়ের মাধ্যমে শেষ হয় এবং পুরো আমেরিকা জুড়ে সব মানুষের সম অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে দাস প্রথার বিলুপ্তি ঘটে।
এরই ধারাবাহিকতায় পুরো বিশ্ব থেকেই দাস প্রথা বিলীন হয়ে যায়।

সারাংশঃ
আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষনা আসে ৪ঠা জুলাই ১৭৭৬ সালে এবং প্রায় ৮৯ বৎসর পর ১৮৬৫ সালে দাস প্রথার বিলুপ্তী ঘটে। মধ্যবর্তী সময়ে এই অসহায় মানুষগুলি ইমিগ্র্যান্ট ক্যাটাগরীতে নয় বরঞ্চ ব্যবসায়িক পণ্যের ক্যাটাগরীতে ছিল।

১৪| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

মুল্যবান প্রতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

ধন্যবাদ আমি এখন বুঝতে পেরেছি ভুলটা কোথায় করেছি।

আপনার পুর্ববর্তী পোষ্টটি পাঠের সময় মন্তব্য লেখার আগে আপনার দেয়া লিংকে গিয়ে এখনে এসে মন্তব্যটি লিখে রেখে গিয়েছিলাম ।পরে মন্তব্যের জবাব কিছু আছে কিনা দেখতে এসেছিলাম আপনার সেইপোষ্টে । আমি একেবারে ভুলেই গিয়েছিলাম যে মন্তব্যটি এখানে রেখে গিয়েছিলাম । আর বিপত্তিটা ঘটে সেখানেই। কোভিড১৯ মনে হয় স্মৃতিতে কিছু প্রভাব রেখে গেছে। বয়সের করণে হোক কিংবা অন্য কোন কারণে হোক ইদানিং অনেক কিছুই ভুলে যাই, ফলে নীজেও ভোগী অন্যকেও ভোগাই ।আশা করি এই অনিচ্ছাকৃত ভুলটুকু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।

শুভেচ্ছা রইল




শুভেচ্ছা রইল

২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

পুলক ঢালী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ডাঃ এম এ আলী।
মানুষ জ্ঞানে যত বড় হয় ততই বিনয়ী হয় তার নিদর্শন আপনার মন্তব্যে রয়েছে।
খুব সামান্য, উল্লেখ করার মত নয় এমন ক্ষুদ্র একটি ব্যত্যয়ের জন্য যে মন্তব্য রেখেছেন তাতে আমার ভীষন লজ্জা লাগছে।
ভাল থাকুন, শিক্ষনীয় গবেষনা মূলক পোষ্ট দিয়ে আমাদের নিভু নিভু জ্ঞানের প্রদীপকে আরো প্রজ্জ্বলিত করে তুলবেন এই কামনা সব সময় করি। সামান্য একটু বিচ্যুতির কথা মনে স্থান না দিলে বিশেষ বাধিত হবো।
শুভেচ্ছা রইলো ভাল থাকুন সব সময় এই কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.