নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"মস্তিষ্ক বিকৃত, কিন্তু বিক্রীত নয়\" (never care for what they say......)

পুরোনো পাপী

"তোমার মনের মইধ্যে আলেকের বাস, সে না কাউরে শোনে, না কাউরে বোঝে। তুমি যা বোঝাও সে তাই বোঝে।"

পুরোনো পাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

╚»★ চিত্রা নদীর পাড়ে (১৯৯৯) ★«╝ কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী সেই দিন গুলো?? :((:(( (২য় পর্ব)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

বাংলা সিনামার একটা খারাপ সময় পার করে অনেক ধুকে ধুকে যখনই দাড়াতে শুরু করেছি আমরা তখনই আমাদের সোজা হয়ে দাড়াতে না দেয়ার ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি প্রথমেই। আসুন আমরা সবাই অনলাইন আন্দলনে যোগ দেই।

বাঁচাও বাংলাদেশী চলচ্চিত্র





অনেকদিন কিছু লেখার সময় পাইনা। আসলে লেখার সময় পাইনা বললে খুবই ভুল বলা হবে। অলসতা মূল কারণ। সারাদিনই সিনামা দেখি কিন্তু কিছু লেখার ইচ্ছা হয় না। গত কয়েকদিন আগে সিনামাটি শেষ করে ভাবলাম কিছু লিখি, তারপরে আবারো ঘুমাইয়া গেলাম। আজকে ভাবলাম কেউ যদি আমার মতন অভাগা হইয়া থাকে যে কিনা এখনো এই সিনামা দেখেননি তাদের অবশ্যই জানান দেয়া উচিত যে তারা কি মিছ্‌ করছেন এতদিন যাবৎ।







১৯৪৭ সাল। ভারতবর্ষ বিভাগের পরপরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঠিক নয়, দেশ বিভাগের সাথে সাথে তৎকালীন পাকিস্তান থেকে হিন্দুদের(নিজ দেশ হওয়া সত্ত্বেও) দেশ ত্যাগকে পটভুমি করেই নির্মিত এই চলচ্চিত্র। এছাড়াও সেসময়কার অস্থিতিশীলতা ও অরাজকতা সহ সকল অসঙ্গতি তুলেধরা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে।





শাসক ও শোষক এই শব্দ দুটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত এবং কাউকে বলে দিতে হবে না যে আমরা সকলেই এখনো পর্যন্ত দুটি দিক না দেখলেও একটি (শোষক) অবশ্যই দেখছি। বিপরিতার্থক শব্দ শাসক আর শোষক। দেশ পরিচালনা শাসনের পর্যায়ে পরে। যারা পরিচালনা কার্যে থাকেন তারাই শাসক। কিন্তু দেশের মানুষের অর্থে সরকারের ব্যায়ভার বহনের কথা বলে মানুষকে নির্যাতনের মাধ্যমে(যার প্রত্যক্ষ দর্শী বাংলাদেশী মানুষ) চিহ্নিত গোষ্ঠীর পকেট ভারী করা শোষন। আর যারা এইসবে লিপ্ত হয় তারাই শোষক। ভারতবর্ষ বিভাগ বৃহত্তর স্বার্থে হলেও এই বিভাজনকে পুজি করে তৎকালীন সরকারের শোষণ এর বলী হয়েছিলেন এইদেশেরই মানুষ। নিজস্ব ভিটামাটি থাকা স্বত্বেও অনেককে পাড়ি জমাতে হয়েছিল পার্শবর্তী দেশে। বেদখল হয়ে যায় অনেকের নিজস্ব সম্পদ। এই রকম কিছু স্পর্শকাতর ব্যাপার গুলো সুন্দর ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন তানভীর মোকাম্মেল তার “চিত্রা নদীর পাড়ে” চলচ্চিত্রে। সিনেমার প্রতিটি ভাজে ভাজে যেন লুকিয়ে আছে তখনকার হিন্দু সমাজের মানুষ গুলোর দিশেহারা চিত্র। কোথায় যাবে নিজ দেশ ছেড়ে, কি করবে সব কিছু নিয়ে দোটানা কাজ করছিল সবার মাঝে।





সিনেমার সকল চরিত্রই মঞ্চের বলিষ্ঠ সব অভিনেতা। তাই অভিনয় বা তাদের অভিনয় দিয়ে পুরো চলচ্চিত্র সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার ব্যাপারে কোন প্রশ্ন থাকে না। অসাধারণ অভিনয় ছিল খ্যাপাটে চরিত্রের মমতাজউদ্দিন আহমেদের। সিনেমার মূল কাহিনীই তাকে ঘিরে। চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন, শিল্প নির্দেশক উত্তম গুহ ও পোশাক পরিকল্পনায় থাকা চিত্রলেখা গুহ সহ সকল কলা-কুশলী যথেষ্ঠ প্রশংসার দাবীদার।





ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে এবং সে বছরের জন্যে ছবিটি সাতটি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার লাভ করেছিল। ক্যাটগরিগুলো হল- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, , শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য, শ্রেষ্ঠ গল্প, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশনা, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ মেকআপ। ছবির পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল নিজেই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন।





বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল তার এই চলচ্চিত্র বেশ সুনিপুন ভাবেই তৈরী করেছেন। পরিচালনায়ও ছিল যথেষ্ট মুন্সিয়ানার ছাপ। সেই সময়কার চিত্র সকলের কাছে সুস্পষ্ট করে তুলে ধরতে কোন কিছুরই অভাব বুঝতে দেননি। এটি তার নির্মিত অসাধারণ বাংলা সিনেমা গুলোর মাঝে একটা।





সিনেমা দেখার সিনেমার কাহিনী সম্বলিত কিছু পড়া থেকে আমি বিরত থাকি সাধারণত। তাই চেষ্টা করি সবসময়েই কিছু লেখার সময়েও যতটুকু সম্ভব না বলে থাকা যায় গল্পের কাহিনী। তাই কাহিনী নিয়ে আর বেশি কিছু লিখলাম না। শুধু এইটুকুই বলতে পারি; যারা এখনো দেখেননি, এখনই যোগার করে দেখতে বসেপরুন। সময় খারাপ যাবেনা এইটা গ্যারান্টি দিতে পারি।









ছবির নাম : চিত্রা নদীর পাড়ে

কাহিনী-চিত্রনাট্য-পরিচালনা : তানভীর মোকাম্মেল

প্রযোজনা : জানি না

শ্রেষ্টাংশে : মমতাজউদ্দীন আহমেদ, আফসানা মিমি, তৌকির আহমেদ, রওশন জামিল, সুমিতা দেবী, আমীরুল ইসলাম এবং অন্যান্য।।

চিত্রগ্রহন : আনোয়ার হোসেন

সংগীত পরিচালনা : সৈয়দ সাবাব আলী আরজু







✘✘✘ দয়া করে কোন বাংলাদেশী মুভির ডাউনলোড লিংক শেয়ার করবেন না। বাংলা মুভি সিনেমাহলে গিয়ে অথবা অরিজিনাল ডিভিডি কিনে দেখুন। দেশের চলচ্চিত্র রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করুন।



প্রথম প্রকাশঃ আমরা ɯoʌıǝ পাগল বোইন qɹoʇɥǝɹ

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: এই আর্ট ফিল্মটা বেশ ভাল লেগেছিল। ১৯৯৯ সালে পহেলা বৈশাখে পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে দেখেছিলাম মুভিটা। তখন যদিও ছোট ছিলাম (ক্লাস সেভেনে পড়তাম) তাও খুব ভাল লেগেছিল মুভিটা।


আপনার পোস্টটা পড়ে নস্টালজিক হয়ে গেলাম।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৮

পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: ভাইয়া, এই ছবিটি আমার দেখা সেরা বাংলা ছবিগুলোর মধ্যে একটি কিন্তু ইন্টারনেটে অনেক খোঁজ করেছি কোন ডাউনলোড লিংক পাই নি...... আর বিদেশে বসে এই ছবির ডি ভি ডি বের করা তো অসম্ভব......... :) :) :)

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

পুরোনো পাপী বলেছেন: ইয়ুটিউবে ২ পার্টে আছে খুজে দেখুন। আর ঢাকায় এখনো ডিভিডি পাওয়া যায় :)

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: সরি ভুল ইমো দিয়ে ফেলেছি...... :( :( :(

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

পুরোনো পাপী বলেছেন: :) :) :)

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: বাংলা মুভি সিনেমাহলে গিয়ে অথবা অরিজিনাল ডিভিডি কিনে দেখুন

সবারই এটা মানা উচিত। কালে কালে বাংলা চলচিত্র হারিয়ে যেতে দিতে না চিলে এটা করতেই হবে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.