নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"তোমার মনের মইধ্যে আলেকের বাস, সে না কাউরে শোনে, না কাউরে বোঝে। তুমি যা বোঝাও সে তাই বোঝে।"
কিছুদিন আগে একবার লিখেছিলাম “FEW SONG LISTEN BEFORE YOU DIE” নিয়ে। যার একটি অংশে রয়েছে Gloomy Sunday. এই গান নিয়ে বিশাল ইতিহাস রয়েছে যা প্রায় সকল সঙ্গীতানুরাগী মানুষেরই জানা। এইরকম অনেক গান থেকে উৎসাহিত হয়ে প্যার ২৫০ টির ও বেশি সিনেমা তৈরী হয়েছে। তেমনি এই Gloomy Sunday নিয়েই পুরো একটা সিনেমাই তৈরী হয়ে গেছে।
১৯৩৩ সালে হাঙ্গেরীয়ান কবি লাজলো জাভোর এর একটি কবিতাকে উপজীব্য করে পিয়ানিস্ট রেজসো সেরেস সৃষ্টি করলেন একটি মোহনীয় সুর Gloomy Sunday.. ।এরপর সেরেসের সেই সুরের বিষন্নতায় ঘটে গেলো একে একে ১৭টি আত্মহত্যা। হাঙ্গেরীর সরকার তখন বাধ্য হলো সুরটিকে সেদেশে নিষিদ্ধ করতে !! কিন্ত আইনকরে কি আর শিল্পকে বদ্ধ করা যায়? তাই আইন কানুন উপেক্ষা করে সে সুর ছড়িয়ে পড়লো হাঙ্গেরীর বাইরে। ইউরোপ, আমেরিকা মিলিয়ে প্রায় ২০০ আত্মহত্যার সঙ্গে এই সুরের সম্পর্ক রয়েছে বলে অনুমান করা হয়।এক পর্যায়ে সেরেস নিজেকে দায়ী করতে শুরু করলেন এতগুলি প্রাণের আত্মাহুতির জন্য। ফল স্বরূপ তিনি নিজেও জানালা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন।
কি আছে এই সুরে? আপনারা শুনতেচাইলে দিলাম লিঙ্কঃ
আমার কাছে বেশ মেলডিয়াস সিম্ফোনিক একটা এটমোষ্ফেয়ার এর জন্য সুরটিকে বেশ ভালই মনে হয়েছে, কিন্তু আমি এখনও বহাল তবিয়তে বেঁচে আছি এবং আত্ম হননের বিন্দু মাত্র ইচ্ছাও আমার মনে উকি দেয় নাই এখনো । তবে প্রথম যেদিন গানটা শুনি সেইদিন বিরক্তিতে আত্মহত্যার ইচ্ছা যে জাগেনাই তা বলবো না । আশ্চর্যের ব্যাপার লাজলোর এই সুরটি এই ২০০২ সাল পর্যন্তও বিবিসি ইংল্যান্ডে নিষিদ্ধ ছিলো।
গানের এই ভার্সনটা আমার বেশ ভাল লাগেঃ যখন শুনি তখন BILLIE HOLIDAY VERSION টা ভাললাগে নাই।
এই সত্য ঘটনাটির সঙ্গে হাঙ্গেরীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের উপর নাৎসিদের অত্যাচার, আর একটি ত্রিভূজ প্রেম এই তিনটি ব্যাপারের সমন্বয় ঘটিয়ে পরিচালক রলফ সুবেল এর তৈরী সিনেমা Gloomy Sunday। “ধর্ম” এক বিবেদ সৃষ্টি করার উপকরণের নাম। এর কারণ সবাই নিজ নিজ ধর্ম অন্যের উপরে চাপিয়ে দিতে চায়। কেউ আলাদা ভাবে অন্যকে সহ্য করার ক্ষমতা রাখে না। সৃষ্টির পরথেকে এখন পর্যন্ত যত গুলো যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে তার মূলে খুজলে বেশিরভাগই ধর্মের কারণেই হয়েছে। তেমনই এক যুদ্ধ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যাতে জার্মানদের প্রধান টার্গেট ছিল ইহুদী। মুভিটিকে বলতে পারেন ফিকশন এবং ইতিহাসের সমন্বয়। ফিকশন বলছি কারণ পুরোপুরি ইতিহাসকে চিত্রায়িত করেননি গল্পের প্রয়োজনে। সে কারণেই কিছুটা ফিকশনের স্বাদ চলে এসেছে। যেমন, সেরেস এর আত্মহত্যাটা দেখানো অন্যভাবে বাস্তবের মতন নয়, বাস্তবে তিনি জানালা থেকে লাফ দিয়েছিলেন।
মূল কাহিনীটা লাজলো নামের এক ইহুদি ব্যবসায়ীর। লাজলোর রেষ্টুরেন্টে পিয়ানিষ্ট হিসেবে কাজ নেয় আন্দ্রাজ। লাজলো আর তার বান্ধবী ইলোনা দু’জনে মিলে রেষ্টুরেন্টটি পরিচালনা করেন। কিছুদিন পরে ধীরে ধীরে আন্দ্রাজের প্রতি তার বান্ধবী ইলোনার আসক্তি বাড়তে থাকে। লাজলোর সহজ সরল সাধারণ চরিত্রটি তার নীরব প্রতিবাদ (ইহুদী মাত্রই কি খারাপ?)। আর তাই আন্দ্রাজের প্রতি ইলোনার আসক্তিতে আক্রোশের পরিবর্তে লাজলোর প্রতিক্রিয়াটা শুনুন ‘কোন ইলোনা ছাড়া বেচেঁ থাকার চেয়ে আমি অর্ধেক ইলোনা নিয়েই বাঁচতে চাই’। এইখানে আন্দ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান আর লাজলো ইহুদী, এথেকে সহজেই বোঝাযায় পরিচালক কি বোঝাতে চেয়েছিলেন তার প্রতীকী এই সিনেমায়। এরপর আন্দ্রাজের সেই বিখ্যাত সুর সৃষ্টি, লাজলোর সহায়তায় তার বিখ্যাত হয়ে যাওয়া এবং একটার পর একটা আত্মহত্যা এগুলি গতানুগতিক গল্প। কিন্তু এর মধ্যেও সংলাপের গভীরতায়্ বিশ্ব রাজনীতিতে মানবতার সংকট সবাইকে মোহে জরিয়ে রাখবে। যেমন এক পর্যায়ে লাজলোর উপর এক ইহুদী জেনারেলের আক্রমণ এর ফলে ইলোনার কাছে লাজলোর সহজ সরল কৌতুহলী প্রশ্ন ‘আমার মা-বাবা ইহুদী, তাই আমিও ইহুদী, তারা অন্য ধর্মের হলে আমিও অন্য ধর্মের হতাম। যা আমি আমার জন্ম সূত্রে পেয়েছি, যার জন্য আমি দায়ী নই, তার জন্য কেনো আমাকে মরতে হবে?”…এই প্রশন দিয়েই সহজে বোঝাযায় প্রশ্ন আসলে দর্শকের উদ্দেশ্যে ছুড়ে দিয়েছেন পরিচালক।
ছবিটির মেকিং এবং স্ক্রিপ্ট খুব সুন্দর। স্ক্রিপ্টে গভীরতা আছে। প্রতিটি চরিত্রের অভিনয় অসাধারণ। বিশেষ করে মূল চরিত্র গুলো সবাই বেশি ভাল অভিনয়ে সবাইকে মুগ্ধ করবে। মিউজিক সিলেকশন আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অসাধারণ। কস্টিউম ডিজাইন বেশ চোখে পরার মতন। দুঃখের রঙ নীল বলেই হয়তো ইলোনার কস্টিউমে নীলের ব্যাবহার লক্ষ্যনীয়। ২০০০ সালে Deutscher Filmpreis এ বেস্ট চিত্রনাট্য ও Bavarian Film Awards এ বেস্ট পরিচালক ও সিনেমাটোগ্রাফীর পুরস্কার পায় এই সিনেমাটি।
যারা এখনো দেখেননি জলদি বসেপরুন দেখতে। এই জিনিষ মিছ খাইলে জীবন বৃথা।
Director: Rolf Schübel
Writers: Ruth Toma (screenplay), Rolf Schübel (screenplay), 1 more credit »
Stars: Joachim Król, Erika Marozsán, Stefano Dionisi
Music: Detlef Friedrich Petersen
Producer: Richard Schops
ডাউনলোড করুনঃ Click This Link
সংবিধি বদ্ধ সতর্কীকরণঃ একটু বড় সাইজের সিনামার লিঙ্ক দিলাম। ছোট সাইজ খুইজা ভাল পাইনা। কেউ আপনাদের ছোট সাইজের লিঙ্ক দিলে তারপরে ধরা খাইলে আমি দায়ী থাকবো না।
প্রথম প্রকাশঃ আমরা ɯoʌıǝ পাগল বোইন qɹoʇɥǝɹ
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ
কি যে কন মিয়া গান হুইন্যা মরে নাই। অরা এম্নেই মরতো আর গানডা আছিল আগুনে বাতাস দেওনের মতন
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০
মাক্স বলেছেন: নামাইতাসি, আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা না হৈলে আপনেরে মাইনাস দিয়া যামু
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮
পুরোনো পাপী বলেছেন: কি যে কন মিয়া গান হুইন্যা মরে নাই। অরা এম্নেই মরতো আর গানডা আছিল আগুনে বাতাস দেওনের মতন
ধন্যবাদ মাইনাচ (অগ্রীম) এর জন্যে
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
শুনলাম ! কিন্তু আত্মহত্যা করার মত কোন কিছু পাইলাম নাহ !
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯
পুরোনো পাপী বলেছেন: কি যে কন মিয়া গান হুইন্যা মরে নাই। অরা এম্নেই মরতো আর গানডা আছিল আগুনে বাতাস দেওনের মতন
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০
আরজু পনি বলেছেন:
--------
কোন ছবিটা এ্যাড করতে চাচ্ছেন ?
৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১
আরজু পনি বলেছেন:
---------
ছয়টা ছবি দেখা যাচ্ছে ।
প্রথমটাতো একেবারে উপরেই দেখা যাচ্ছে ।
বাকীগুলোর মধ্যে কোনটা ?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮
পুরোনো পাপী বলেছেন: আমিতো এক এক টা এক এক জায়গায় এড করতে চাচ্ছিলাম
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০
পুরোনো পাপী বলেছেন: ২য় ছবি টা এড করতে চাইছিলাম ১৯৩৩ সালের আগে
৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৫
রাশেদ অনি বলেছেন: ভুই পাই শুনতে
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯
পুরোনো পাপী বলেছেন: শুধু সিনেমাটি দেখেন। গানটির ভক্ত হয়ে যাবেন
৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩১
আরজু পনি বলেছেন:
img|https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/ANPony_1378232862_1-purono_papi._1.jpg
এটা হচ্ছে দুই নম্বর ছবিটা
লিংকের আগে আর পরে থার্ড ব্র্যাকেট [ ] শুরুতে আর শেষে দিন ।
লেখার যেখানে ছবিটা রাখবেন সেখানে ।
৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
আরজু পনি বলেছেন:
এভাবে দিন ।
১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
আরজু পনি বলেছেন:
আপনার কাজ হয়ে গেলে ইচ্ছে করলে অদরকারী মন্তব্য গুলো মুছে দিতে পারেন ।
১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
আদনান০৫০৫ বলেছেন: সিনেমার ব্যাপারে কিছু বলি - মেয়েটার অভিনয় আর জার্মান সেনাটার অভিনয় অনেক সুন্দর। কাহিনীটাও খুব আকর্ষণীয়।
গানের ব্যাপারে বলি - এই গানটার বোধহয় মিনিমাম ৭০টা ভার্সন ইউটিউবে আছে। বেশ কিছু ভাষায় অনুবাদ হইছে। এই গানটা আমি খুব কড়াভাবে ফিল করেছিলাম - যখন শুনেছিলাম তখন উইন্টারের শুরু, মাত্র কদিন হলো বিদেশের মাটিতে পা দিছি। উইন্টার ডিপ্রেসন তাই এমনিতেই ধরছিলো - তার উপর এই গান শুনেছি - সত্যি বলছি, আমার আশেপাশে কিছু বাংলাদেশি থাকায় আর তাদের সাথে আড্ডা দিতাম বলেই আমার দ্বারা সুইসাইড করা হয়তো হয়ে উঠেনি - তবে আমি নিশ্চিত এ গানটা শুনে সুইসাইড করার হার যতটা বলা হয়েছে তার চেয়ে বেশি হওয়া অস্বাভাবিক না। শীতপ্রধাণ দেশগুলার মানুষগুলা অনেক বেশি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন- একা লাইফ লিড করে, এটা তার একটা কারণ।
আর উন্নত দেশগুলার আত্মহত্যার হার আমাদের গরীব কিন্তু অসম্ভব সুখী মানুষের দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্যে
১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
মুনসীমাহফুজ বলেছেন: ইস্টিশন ব্লগে হুবূহু একি পোস্ট দেখলাম, নকলটা করল কে ? বুঝতাছি না
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
পুরোনো পাপী বলেছেন: ইস্টিশনে ওইটা আমারই পোস্ট। কারো নকল কোনটা না। দুইটাই আমার একাউন্ট। নিক দেখেন পুরোনো পাপী
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
খাটাস বলেছেন: কত কি জানার বাকি। গান শুইনা মানুষ আত্মহত্যা করে!!! প্লাস সহ বক্সে। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।