নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"মস্তিষ্ক বিকৃত, কিন্তু বিক্রীত নয়\" (never care for what they say......)

পুরোনো পাপী

"তোমার মনের মইধ্যে আলেকের বাস, সে না কাউরে শোনে, না কাউরে বোঝে। তুমি যা বোঝাও সে তাই বোঝে।"

পুরোনো পাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

Captain Phillip (2013) {সত্য ঘটনা দিয়েও অনেক সত্যকে ধামাচাপা দেয়া যায়, তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ}

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৪







সিনেমা দেখলাম। সিনেমার গুণ বিচারে পরে যাই। কারণ সিনেমার হিসেবে বলার কিছুই নাই। যথেষ্ট এনজয়েবল সিনেমা।





“জাহাজী”মানব জাতির একটা প্রজাতি। এদের মন থাকে না। এদের যা থাকে তা হলো দেহ, যাদের সম্পর্কে কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করলেই সবার আগে 3W ফরমুলার কথা যে কারো মাথায় চইলা আসবে। ক্যান জানিনা। ১) ওয়েলথ, ২) উইমেন, ৩)ওয়াইন/হুইস্কি (যার যেইটা কইতে ইচ্ছা হয়)। সাধারণ মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে আমরা চিন্তা করতে পারি না। চিন্তা করলেই সেইখানে নেগেটিভিটিই বেশি। এই কারণে হইতে পারে। তবে সকল ক্ষেত্রেই মানুষ ভুল টা বলব না। কারণ ইয়োরোপিয়ানদের ব্যাপারে তো বলার কিছুই নাই। এদের লাইফস্টাইল সবারই জানা। কর্মসূত্রে এদের সাথে বেশ ভাল ভাবেই মেশার সুযোগ হয়।





এর বাইরে আরো অনেক কিছুই আছে যা কিনা মানুষের মাথায় আসেই না। মাথায় আসে না এরা দিনের পর দিন সাগরের পানি দেখতে দেখতে বিরক্ত। তারপরেও সাগরের মায়া ত্যাগ করতে পারে না। মাথায় আসে না এদের অনেকেই হয়তো চায়ই না এই ধরণের জীবন। কিন্তু তারপরেও জীবিকার তাগিতেই চলে যাচ্ছে যে ভাবে জীবন চলে। জাহাজীদের আসলেই একটা ভালবাসাহীন নির্মম জীবনে প্রবেশ করা, উদ্দেশ্যের বলয়ে প্রবেশ করা, একটা নির্দিষ্ট সময় পর হাঁপিয়ে ওঠা। কিন্তু থেমে থাকা নামক কোন শব্দ এদের অভিধানে নেই। থেমে থাকে তখনই যখন ডাঙ্গায় উঠে আসে।





সিনামার কথাতেই ফিরে আসি। সিনেমা বানানো হয় মানুষের মনে কোন কিছু গেথে দেওয়ার জন্যে। যেমন করে “ডেভিলস্‌ ডাবল” বানানো হয়েছিল। “ক্যাপ্টেন ফিলিপ” ও তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করলো। আমেরিকা এক আজব জায়গা। আসলে আমেরিকা একটা গালির নাম। যারা যেইভাবে চায় সেইভাবেই দেখায়। আমরা দেখি। কিছুই করার নাই। একটা জাহাজ জলদস্যু দিয়ে আক্রান্ত হলে সাথে সাথে যেইভাবে আপনারা দেখবেন আমেরিকান নেভি দৌড়াইয়া আসছে ব্যাপারটা আসলে ওইরকম না। এইটা আমেরিকান ফ্ল্যাগ ভেসেল ছিল। এই কারণে এই অবস্থা। অন্য দেশী পতাকাবাহী জাহাজ হইলে “নোবডি গিভ এ শিট অন দ্যাট”। আমার এক খুব কাছের বন্ধুই প্রায় ৩ মাসেরও বেশি সোমালিয়াতেই আটকিয়ে ছিল। তখন মানুষের আসল রূপ দেখা গেছে। দরকারের সময়ে কাউরে খুইজা পাওয়া যায় না। এইটাই দুনিয়ার রীতি। জাহাজের মালিক ট্যাকা দিবে না। কোন মানুষ (আত্মীয়-স্বজন ব্যাতীত) এই ব্যাপার নিয়া মাথা ঘামাবে না। ইভেন তখন একটা মানব বন্ধনের ব্যাপার রেডী ছিল। যেখানে মাত্র ৩ জন মানুষ ৩ টা প্ল্যাকার্ড নিয়া মানব বন্ধন করছিল। এই ব্যাপারে আমার একটা মহান ডায়লগের কথা মনে পরে। আমাদের এডজুডেন্ট একদিন সবাইকে ডাইকা উপদেশ দিচ্ছিল। মাঝে হঠাত অমর এক উক্তি করে বসে “সেইভ ইয়োর ওউন এস(SAVE YOUR OWN ASS)”।





যেইদিন ওদের জাহাজ ধরা পরে, আমি নিজেও “গাল্‌ফ অফ এডেন” এই ছিলাম। ঠিক কেন যেন আমি বাসায় ফোন দিয়া আম্মুরে বলছিলাম, “আমার কেন যেন ভাল লাগতেছে না। ধরা পরলে আর আমি ফিরা না আসলে কিছু মনে কইরো না।” ব্যাপারটা ঘটছে শেষ পর্যন্ত। আমার সাথে না, আমারই এক খুব কাছের মানুষের সাথেই। আমার এই ধরণের ফিলিং হইলেই সাধারণত আমার বন্ধুরা এর শিকার হয় (এইটা পরীক্ষিত, আমি ওইদিনের পরে অপরাধবোধে ভুগতাম। এইকথা কখনোই কইনাই ওই বন্ধুটারে। হয়তো বলবও না কোনদিন)। তারপরে কি আর প্রতিদিনই চিন্তা করতাম দেশের কি অবস্থা? মানুষ নিশ্চয়ই কিছু না কিছু করবে। সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয় হলো সব স্বাভাবিক ভাবেই চলতেছিল। কারোই এসব নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা থাকে না। ২০-২৫ জন মানুষ হারিয়ে গেলে কারো কিছুই যায় আসে না। তাদের কপাল ভাল ছিল। আমাদের দেশী জাহাজ আর দেশী পতাকাবাহী বলেই ফিরা আসতে পেরেছিল সৃষ্টিকর্তার কৃপায়। তাই এই বিষয়টা বেশ সেনসিটিভ আমর কাছে।





এইক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যেটা হয় টা হল মেন্টাল ব্রেকডাউন। মানুষের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে হরদম। এই রকম অনেক ঘটনা আছে। শাহরিয়ার রাব্বি নামক বন্ধুটার মানসিক শক্তি বোধকরি বেশিই ছিল। সে এখনো তার ৪র্থ তম সমুদ্র যাত্রার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এইধরণের উদাহরণই বেশি যেখানে জাহাজের মালিকেরা ধরা পরা জাহাজের উদ্ধারের জন্যে টাকা দিতে নারাজ এবং সব শেষে কি হয় সবারই জানা। আমি এইবার আসার আগে পর্যন্ত ২ জন বাংলাদেশী সোমালিয়ায় আটকা আছে শুনে আসছি। ছাড়া পায়না প্রায় ২ বছর যাবত।এইখানে যে শুধুই টাকার খেলা তাই না। এই টাকা আদান প্রদানের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ফর্মালিটি আছে। এক নির্দিষ্ট এজেন্টের মাধ্যমে টাকার আদান প্রদান ঘটে। এই এজেন্টদের মাঝেও ভুয়া এজেন্ট আছে। একবার এদের হাতে গেলে ওই টাকা নিয়ে এরা পগার পার। তাই সঠিক এজেন্ট খুজে টাকা হস্তান্তর না করতে পারলেও ওই জাহাজের বাসিন্দাদের জীবনের হুমকি এতটুকুও কমেনা।





সকল কিছুর পিছেই লুকিয়ে থাকা মানুষ গুলা আড়ালেই থেকে যায়। এরা বাইরে আসে না সাধারণত। জাহাজীদের বেশিরভাগই বিশ্বাস করে এখনো এইটা আমেরিকার এক বিশাল রাজনীতি। এক একটা জাহাজের থেকে কয়েক মিলিওন ডলার করে এদের ইনকাম। কিন্তু জলদস্যুরা এর সিকিভাগও পায় না। সব চলে যায় উপরওয়ালাদের কাছেই। কিন্তু খুব বেশি মানুষ এইখান থেকে পাইরেসি নির্মূলে কাজ করে না। তাদের মূল কাজ কিবভাবে পাইরেসি থেকে জাহাজ বাচানো যায়। সে ক্ষেত্রে আর্ম গার্ড দেয় সাথে। যাতে প্রায় প্রতি আর্ম গার্ডের পিছনে একটা বড় অংকের ব্যয় হয়। আর্ম গার্ড থাকলে জলদস্যু সেই জাহাজের দিকে আগায় না। যদিও ভুলে আগায়, পরে সেইটার পিছু আর নেয় না।





যত কিছুই করুক এদের নির্মূল করবে না। এটা আয় করার এক উৎস। কিন্তু সিনেমার কোন অংশেই এইধরণের কিছুই দেখায় নাই। সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরী। কারণ এইটা আমেরিকার দায়িত্ব ছিল, সেইটা মানুষকে দেখাতে পেরেছে সুন্দর করেই। কিন্তু তারা দেখায় নি যে অংশটা টা হল কিভাবে মানুষ দিনের পর দিন মাসের পর মাস না খেয়ে বেচে থাকে। খুব ভাল ভাগ্য হলেই কিছু খেতে মিলে। খাবার পানি মেলে কিছুটা। সবাইকে এক জায়গায় বন্দী করে রাখাহয়। নিজের অতিপরিচিত জাহাজেও নিজের ইচ্ছায় চলাফেরা করা সম্ভব না।

আরেকটা দিকও কেউ বুঝতেই পারবে না। সেটা হল এই জলদস্যুরা কিভাবে জলদস্যুতে পরিণত হয়। কে এদের জলদস্যু বানায়। কাদের জন্যে তারা কাজ করে। তাদের উপরওয়ালারা কারা? এত এত টাকা কাদের কাছে যায়, কিভাবে যায়?





অনেক ভ্যাজর ভ্যাজর করলাম। আসলে এইসবই নির্মম সত্য। সত্য সবাই সহ্য করতে পারে না, তাই মিথ্যার মাঝে আশ্রয় খোজে। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখতে চায়। অথবা নির্মমতাকে পাশ কাটিয়ে যায়। নির্মমতা সহ্য করতে হয় আমাদেরই।



সিনেমার দিক দিয়ে দেখলে ১০ এ ৯ এর কম দেয়া যাবে না। অসাধারণ অভিনয়ে টম হ্যাংক্স আবারো সবার দৃষ্টি নন্দিত করবে। পুরোটুকুই ছিল “ওয়ান ম্যান শো”। ক্যাপ্টেন সাধারণত এইরকমই হয়। সব দিকে সতর্ক নজর থাকে। মাথায় চুলচেরা বিশ্লেষণ ক্ষমতা থাকে। সকলের প্রতি সন্তানের মতন খেয়াল করে। নিজের কষ্টের মূল্যে হলেও অন্যদের রক্ষা করার চেষ্টা করে (ব্যাতীক্রমতাও কম নয়)। আর বাকী সব আপনাদের বলে দিলে সিনেমার আকর্ষণ খুজে পাবেন না।



সিনেমাটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে আমাকে। আর সাথে পরিচালকের পরিচালনা বেশ সবটুকু সময়েই আপনাকে সাসপেন্সে রাখবে।

দেখে ফেলুন প্রতিটা মিনিট, প্রতিটা সেকেন্ড উত্তেজনায় থাকবেন আমার মতন।







Captain Phillip (2013)

Director: Paul Greengrass

Writers: Billy Ray (screenplay), Richard Phillips (based upon the book "A Captain's Duty: Somali Pirates, Navy SEALS, and Dangerous Days at Sea" by)

Stars: Tom Hanks, Barkhad Abdi, Barkhad Abdirahman

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:০২

তোমোদাচি বলেছেন: চমৎকার রিভিউ !

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

পুরোনো পাপী বলেছেন: এইটা রিভিউ ছিল নাগো :( কিছু সত্য কথা তুইলা ধরলাম খালি :(

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:২৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: দেখার ইচ্ছে বেড়ে গেলো। দারুন লিখেছেন ভাই।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

পুরোনো পাপী বলেছেন: দেখেন, ভাল লাগবে। :)

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: "কিন্তু তারা দেখায় নি যে অংশটা টা হল কিভাবে মানুষ দিনের পর দিন মাসের পর মাস না খেয়ে বেচে থাকে। খুব ভাল ভাগ্য হলেই কিছু খেতে মিলে। খাবার পানি মেলে কিছুটা। সবাইকে এক জায়গায় বন্দী করে রাখাহয়। নিজের অতিপরিচিত জাহাজেও নিজের ইচ্ছায় চলাফেরা করা সম্ভব না।"
খুবই করুন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

পুরোনো পাপী বলেছেন: ধরা পরার পরে পুরো ব্যাপারটাই করুন।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১৮

ইসপাত কঠিন বলেছেন: মুভিটার ব্যাপারে বলবো। Hostage negotiation এর লাসট ২০ মিনিট অত্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর। বাস্তবেও কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

যারা এই মুভি এখনো দেখেন নাই, এখনই দেখে ফেলেন। It will worth your time.

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

পুরোনো পাপী বলেছেন: :) সত্য কথা :)

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হলিউডের ছবিগুলো সাধারনত মার্কিন ও ইউরোপিয়ান দর্শক উপযোগি কররেই তৈরি করা হয়। ডেইলি মেল পত্রিকা এই ছবিটি প্রশংসা করে অর্ধেক পাতা ব্যয় করেছিল গত ডিসেম্বরে।

ছবিটি এখনো দেখার সৌভাগ্য এখনো হয় নি। দেখবো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

পুরোনো পাপী বলেছেন: জি, তাই তো ডেভিলস ডাবল হইছিল :)

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০১

উপদ্রুত উপকূল বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ার আগে সৌভাগ্যক্রমে সিনেমাটা দেখে ফেলেছি মাসখানেক আগে। সত্যি কথা বলতে এমন স্নায়ুটনটনে মুভি অনেকদিন দেখিনি।প্রতিটা সিক্যুয়েন্স প্রতিটা মিনিট এমন উত্তেজনার যা বলে বোঝানো যাবে না। টম হ্যাঙ্কস কে নিয়ে নতুন কিছু বলা আমার সাহসে কুলোবে না। সিনেমার সবচেয়ে মজার বিষয়টা হলো দস্যু ক্যাপ্টেনের পুঁজিবাদের হার না মানা টান, আমেরিকার জীবন তার কামনার। পুঁজিবাদের একটা বিশাল চালান বরাবরের মত ভাঁজে ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টাটা ভালো লাগেনি।
লেখাটা পড়ে ভালো বেশ লাগল। সিনেমাটা আবার দেখার ইচ্ছে জাগরিত হলো। অনেক ধন্যবাদ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

পুরোনো পাপী বলেছেন: াস খানেক আগে :( ভাল প্রিন্ট ছিল না তখন :(

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৮

সামাইশি বলেছেন: ছবিটা আমি দেখব কালকেই। আজ দেখলাম গোল্ডেন গ্লোব পেল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

পুরোনো পাপী বলেছেন: :)

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: লাইক আগেই দিয়েছিলাম, এখন সরাসরি প্রিয় পোষ্টে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন লিখেছেন। ছবিটা দেখার খুবই আগ্রহবোধ করছি।
ভালো লাগল।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

প্রান্তিক জন বলেছেন: সিনেমা হচ্ছে শিল্প। শেষ বিচারে শিল্প শিল্পের জন্য হলেও তার শেষ আশ্রয় জীবনের কাছেই। সে যাই হোক, আপনি সিনেমার আলাপ করতে গিয়ে যে ইঙ্গিত দিলেন, জলদস্যুদের উৎপত্তি, তাদের এত টাকার গন্তব্য এবং শেষ বিচারে তাদের নির্মূলে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার রহস্য - চিন্তার খোরাক জোগালো। ধন্যবাদ আপনাকে। লেখা এমনি হওয়া উচিত। যেখানে কেবল ভাবুকের মতো বিনোদনে ভেসে যাওয়া নয়। চেতনার উৎসারণ যার অন্তিম লক্ষ্য।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

পুরোনো পাপী বলেছেন: যা যা লিখলাম, এইগুলা চিন্তা কইরা বাইর করা না ভাই, সবই বাস্তবতা :(

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

জনাব মাহাবুব বলেছেন: ছবিটি দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল। B-) B-) B-)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

পুরোনো পাপী বলেছেন: েখে ফেলেন :) ভাল সময় কাটবে :)

১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

ভষ্ম মানব বলেছেন: আপনার পেশগত জীবনের সাথে না মিললে সত্যর আড়ালে আরেক সত্যকে জানাই হতে না।দারুন লিখেছেন আপনি।লিংকের জন্য ধন্যবাদ।

মুভিটা প্রথমবার একা একা দেখি। ভাল লাগায় বাপ সহ আবার দেখি। দেখার পর বাপ-বেটা ভাবছিলাম নিজের দেশের মানুষের জন্য আমেেরিকানরা কতটা না করে!!কিন্তু এখন মনে হচ্ছে শুধু জাহাজটা আমেরিকান পতাকাবাহী ছিল বলেই তারা এতটা মরিযা ছিল। তাই কি??শুধু প্রেস্টিজ রক্ষায় কি এতসব ছিল?

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে জানতে ইচ্ছে করছে প্লাগহীন দূরপাল্লার জাহাজ কি সমুদ্রে চলাচল করে?

আপনার পেশগত জীবনের সুন্দর সমাপ্তি হোক!!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

পুরোনো পাপী বলেছেন: পেশাগত জীবন সমাপ্ত হইলে খামু কি মিয়া :/ আর কিছু করতে পারি না :(

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

এ্যাংগরী বার্ড বলেছেন: কাল রাতেই সিনেমাটা দেখলাম। দারুণ রিভিউ লিখেছেন। সবচে ভাল লেগেছে বিষয়টি নিয়ে আপনার প্রাসঙ্গিক কথাগুলো। ধন্যবাদ।

মুসা প্রকৃত পক্ষে একজন জেলে ছিল। কেন জলদস্যু হলেন ? টম হ্যাঙ্কসের এই প্রশ্নের উত্তর সে দিয়েছিল এভাবে " All the foreign big ships come and catches all the fishes from Somali water. What is left for us to fish?'

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

পুরোনো পাপী বলেছেন: খালি এইটুকুতেই খুশি হইতে পারি নাই আমি। এইটা যে কেউ বলতেই পারে। কিন্তু এর পিছনে আরো অনেক বড় বড় কারণ আছে যা আমেরিকা আমাদের কখনোই দেখাবে না :)

১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

পথহারা নাবিক বলেছেন: আমার জানা মতে অনেক জাহাজ কেই US navy উদ্ধার করেছে। ওদেরকে এবং রাশিয়া ও ফ্রান্স নেভীকে নিয়মিত টহল দিতে দেখেছি। আপনার হয়তো জানা নেই আমেরিকান ফ্ল্যাগ স্ট্যাটের অনেক জাহাজ ওদের খাছে ধরা খাইছে। আমারা নাবিকরা মনে করি যে আমেরিকা ওদের সমর্থন দেয় কিন্তু এইটা সত্য যে ওরা আছে বলেই আমরা নাবিকরা কিছুটা হলেও পানিতে নিরাপদ অনুভব করি। শেষ কথা হলো আপনি যা বলছেন তা সম্পূর্ণ আপনার নিজের মতামত, বাস্তব সম্পূর্ণ বিপরীত।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫

পুরোনো পাপী বলেছেন: :) ভাবতে পারেন :) সকলেরই নিজ নিজ মতামতের স্বাধীনতা আছে। তবে আমেরিকার চাদরে ঢাকা চরিত্রে বিশ্বাস করতে পারিনা। :)

আমেরিকার সব মানুষের কথা বলতেছিনা, বলতেছি তাদের রাজনীতির কথা :)

ধন্যবাদ জানানোর জন্যে :) তবে বাস্তবতা যা বলছি তাই মনেকরি।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

পুরোনো পাপী বলেছেন: আর, রাশিয়া আর ফ্রান্সের ব্যাপারটা জানি ভাল করেই। ওদের কারণেই বলতে পারেন এখন ওই জায়গা পাড়িদেয়া বেশ সহজ। লাস্ট মার্চে বোধ করি শুনেছিলাম ৩ মাস কোন জাহাজে এটাক হয় নি।

১৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

ইখতামিন বলেছেন:
গতকালই ব্লুরে টা ডাউনলোড করেছিলাম। সিনেহাব২৪ থেকে। আজই দেখবো। মুভি দেখার আগেই রিভিউটা পড়তে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। :)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

পুরোনো পাপী বলেছেন: এইডা রিভিউ না ভআই :ী সিনামার সম্পর্কে প্রায় কিছুই লেখি নাই :)

১৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

ইখতামিন বলেছেন:
:/

যাক, একটা হইলেই হইল। কিছু তো ধারণা পাইলাম। :P

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২১

পুরোনো পাপী বলেছেন: :)

১৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৫

বটবৃক্ষ~ বলেছেন:


নাইস পোস্ট!! :)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২২

পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দেখার ইচ্ছে হচ্ছে!
দারুন লিখেছেন!!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২২

পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

গৃহ বন্দিনী বলেছেন: খুবই বাস্তব কিছু কথা তুলে ধরেছেন । পারিবারে অনেক গুলো মানুষ এই পেশায় জড়িত থাকায় শিপ পাইরেসির ব্যাপারটা ভালই জানা আছে। এটা যে কতটা আতংকজনক তা কেবল এই পেশার মানুষ আর তাদের পরিবারগুলোই ভাল জানে।

তখন মানুষের আসল রূপ দেখা গেছে। দরকারের সময়ে কাউরে খুইজা পাওয়া যায় না। এইটাই দুনিয়ার রীতি। জাহাজের মালিক ট্যাকা দিবে না। কোন মানুষ (আত্মীয়-স্বজন ব্যাতীত) এই ব্যাপার নিয়া মাথা ঘামাবে না। ইভেন তখন একটা মানব বন্ধনের ব্যাপার রেডী ছিল। যেখানে মাত্র ৩ জন মানুষ ৩ টা প্ল্যাকার্ড নিয়া মানব বন্ধন করছিল

অত্যন্ত নির্মম বাস্তবতা । নিজের গায়ে বিপদের বাতাস না লাগলে কেউই এইসব নিয়ে মাথা ঘামায় না । :(


ভাল প্রিন্টের আশায় এখনও মুভিটা দেখা হয় নাই । দেখে ফেলব শীঘ্রই ।














১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৪

পুরোনো পাপী বলেছেন: ভাল প্রিন্ট এইখানে দেখেনঃ Click This Link

আর মানব জাতি বড় নিষ্ঠুর। আত্মকেন্দ্রিকতা ছেড়ে বাইরে আসতে পারে না সাধারণোত। :)

২০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখুম।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৫

পুরোনো পাপী বলেছেন: েরী কইরেন না :)

২১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৫

বেলা শেষে বলেছেন: মুভিটা দেখেছিলাম। অসাধারন মুভি।

২২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সুযোগ পাইলে নামাবু। থ্যাঙ্কস।

২৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২১

নতুন বলেছেন: সত্য নাটকের চেয়েও নাটকিও....

ডাউনলোড দিসি... দেখুম আজ বা আগামী কাল..

ভাল থাকবেন... নিরাপদে থাকবেন আশা করি...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:০৪

পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩৬

আছিফুর রহমান বলেছেন: দেখার প্রতিক্ষায় আছি

২৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: ডাউন তো মারছি, কবে যে কমপ্লিট হয় কে জানে!

২৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

উপদ্রুত উপকূল বলেছেন: আমি যখন দেখেছি প্রিন্টটা ভালই ছিল। সেটা এখনো সংগ্রহে আছে।

২৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২১

আবু মান্নাফ খান বলেছেন: এ সিনেমা টি জাহাজে এক ভিডিও ট্রেনিং এ দেখাইছে এক দিন। তার পর কয়েকবার দেখছি। শুধু আফসোস ই হইছে। একজন ক্যাপ্টেন কে বাচাতে যত আয়োজন করছে তা আমাদের কাছে ছিনেমার বাহুল্য কাহিনী মনে হইছে। তবে হ্যা হ্যাঙ্কস এর অভিনয় বার বার কাঁদিছে আমাকে

২৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২২

আবু মান্নাফ খান বলেছেন: এ সিনেমা টি জাহাজে এক ভিডিও ট্রেনিং এ দেখাইছে এক দিন। তার পর কয়েকবার দেখছি। শুধু আফসোস ই হইছে। একজন ক্যাপ্টেন কে বাচাতে যত আয়োজন করছে তা আমাদের কাছে ছিনেমার বাহুল্য কাহিনী মনে হইছে। তবে হ্যা হ্যাঙ্কস এর অভিনয় বার বার কাঁদিছে আমাকে

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:০২

পুরোনো পাপী বলেছেন: ভাইরে, এক ক্যাপ্টেন না, একটা মানুষ। মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি।

মানুষ বাচাইতে করতেই পারে। কিন্তু আমার চাওয়া হইলো, এইটা যেন একটা আলাদা জাতির প্রতি এত কিছু করা না হয়।

২৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

অথৈ সাগর বলেছেন:
শরত দা কাছ থেকে লিংক নিয়ে আপনার পোষ্টে আসলাম । দারুন লিখেছেন । সোমালিয়ায় আটকা পড়া নাবিকদের দুঃখ দুরদশ ডেনিশ মুভি A Hijacking অনেকটা দেখান হয়েছে। আর আমেরিকা তো আমেরিকাই । ওদের নিয়ে কি আর বলব ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:০০

পুরোনো পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে সিনেমটা দেইখা আমার ৩ নভেম্বরে ২০১০ এর কথা মনে পইরা গেছে। সেই মনে পরা থেইক্কাই লেখলাম।


আবারো ধন্যবাদ কষ্ট কইরা আইসা কমেন্ট করার জন্যে সাথে সাজেশনের জন্যে। আর A Hijacking দেখি নাই, দেখবো ইনশাল্লাহ। :)

৩০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০৯

অগ্নিপাখি বলেছেন: অনেক আগেই দেখা মুভিটা। টম হ্যাঙ্কস এর অভিনয় দুর্দান্ত ছিলো।

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪৭

পুরোনো পাপী বলেছেন: টম হ্যাংস এর কথা বলার কিছুই নাই :)

৩১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৫১

রাজিব বলেছেন: খুবই সুন্দর রিভিউ। টম হ্যাঙ্কস দারুণ অভিনেতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.