নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"মস্তিষ্ক বিকৃত, কিন্তু বিক্রীত নয়\" (never care for what they say......)

পুরোনো পাপী

"তোমার মনের মইধ্যে আলেকের বাস, সে না কাউরে শোনে, না কাউরে বোঝে। তুমি যা বোঝাও সে তাই বোঝে।"

পুরোনো পাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন হৃদয়হীন মানুষের হৃদয় ফিরে পাবার গল্প "The Man from Nowhere (2010)"

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৪৩

IMDB







মাঝে মাঝে মনেহয় পাগল হয়ে যাচ্ছি। কোন কিছুই স্পর্শ করেনা। কারো ভালবাসা, কারো ক্ষোভ কারো আকাঙ্ক্ষা কিংবা কারো রাগ কোন কিছুই না। সাথে সাথে মানুষকে সহ্য করার ক্ষমতাও হ্রাস পাচ্ছে দিন দিন। কাউকেই সহ্য করতে পারিনা। নিজেকে বন্দী করে রাখি খাচাসদৃশ ছোট এই ঘরে। দরকার ছাড়া বাইরে বের হই না। সূর্য্যের আলোর মতন অসহ্য আর কিছুই লাগে না। বাচার দরকারে খাই।



কি ভাবছিলেন সবাই? আমার নিজের বর্ণনা দিচ্ছি?? ... না। সিনেমা দেখার সময়ে তার মাঝে কতটুকু প্রবেশ করি জানিনা। মাঝে মাঝে নিজেকেই তার চরিত্র মনে হয়। সেই চরিত্র মনে করে চরিত্রের বর্ণনা দিলাম কিছুটা। শুনে হয়তো ধারণা হচ্ছে হৃদয়হীন মানুষ। কোন কিছুই স্পর্শ করে না তাকে। কিন্তু আসলেই কি মানুষ শেষ পর্যন্ত এই রকম থাকতে পারে? সেটা জানতে হলে দেখে ফেলতে হবে The Man from Nowhere।







একজন হৃদয়হীন মানুষের হৃদয় ফিরে পাবার গল্প নিয়ে সিনেমার কাহিনীর সৃষ্টি। একটা পানশালা (বন্ধকীর কারবার) চালানো মানুষ যে তার প্রয়োজনের বাইরে কারো সাথে কোন অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় না, লেন দেন ছাড়া যার অন্য কোন চিন্তা নেই সেই মানুষ হঠাৎ আমূল বদলে ছুটে চলে কোন এক অঙ্গীকার পূরণে। কিছু পুরোনো স্মৃতির তাড়নাই কি তবে এই ছুটে চলার কারণ? নাকি শুধুই এক ছোট বাচ্চার প্রতি জন্ম নেয়া তার ভালবাসা? ? সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন The Man from Nowhere সিনেমাতে।







একটা সিনেমার গল্পের গভীরতা কতটুকু হতে পারে আর সেই গভীরতা চিত্রায়ন কিভাবে করা যায় তার জন্যে কোরিয়ান সিনেমা গুলো উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। সিনেমা দেখতে দেখতে একসময়ে নিজেকে সিনেমার অংশ হিসেবে মনে হবে। চরিত্রের মাঝে নিজের ছায়া খুজতে থাকবেন। প্রতিটা সিনেমার গল্পে ভিন্নতা সহ চিত্রায়নের দিক থেকে অসাধারণতা সবই যে কোন দর্শককে আকর্ষণ করতে বাধ্য। সেই সাথে আছে অসাধারণ ক্যামেরার কাজ।



অভিনেতা, অভিনেত্রী (যদিও স্ট্রিপ গার্ল গুলা ছাড়া অভিনেত্রী তেমন কেউ ছিল না)দের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে গিলতে থাকবেন পুরো সিনেমা। ভিলেন থেকে শুরু করে (অনেকে ভেটো দিতে পারেন ভিলেন কেমনে আগে হয়, আমার কাছে এই চরিত্র গুলোই বেশি আকর্ষনীয় মনে হয়) মূল চরিত্রের পিচ্চি কিংবা নায়ক সবাই অসাধারণ ভাবে গল্পটাকে চোখের সামনে নিয়ে আসে।







কোরিয়ান সিনেমা গুলো দেখার প্রিপারেশন আগের বার যা যা ছিল তাই থাকবে। দূর্বল হার্টের মানুষ (এইখানে মারামারি কাটাকাটি দেইখা অজ্ঞান হইয়া যাওন টাইপের মানুষের কথা কই নাই, কইছি যারা সিনেমা দেইখা কান্নাকাটি কইরা ভাসাইয়ালান তাগো কথা) দের জন্যে টিস্যুর সুব্যাবস্থা থাকতে হবে। সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণের চিপস্‌, ড্রিঙ্কস (সফ্‌ট বা হার্ড যার যা পছন্দ), ধুম্রজালে আচ্ছন্ন হওয়ার কাঁচামাল (এইটা মানুষভেদে শিথিল যোগ্য)







সিনেমার প্রতিটা সেকেন্ড উপভোগ্য। কোন অংশে ঘুর্ণাক্ষরেও কারো বিরক্তির কারণ হবে না। কোরিয়ানরা মানুষকে অত্যাচার করতে পছন্দ করে। ইমোশনাল অত্যাচার। তবে এমন ভাবে অত্যাচারিত অতেই বোধ করি বার বার একটার পরে একটা সেনেমা দেখে যাচ্ছি।

মাঝে মাঝে অত্যাচারিত হওয়াটা মন্দ লাগে না।



Movie: The Man from Nowhere (2010)

Director: Jeong-beom Lee

Story: Jeong-beom Lee

Gener: Action |Crime |Thrill

Stars: Bin Won, Sae-ron Kim, Tae-hoon Kim



ডাউনলোড লিঙ্কঃ Click This Link



প্রথম প্রকাশঃ আমরা ɯoʌıǝ পাগল বোইন qɹoʇɥǝɹ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল হবে মনে হচ্ছে। দেখব।

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

পুরোনো পাপী বলেছেন: বশ্যই দেখবেন :)

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:




দেখে নিবো। ধন্যবাদ

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা ছিলো আমার কাছে। কী মনে কৈরা যেন মুইছা দিছি। আফসোস!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.