নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোরসন্ধানে

পুষ্পজিৎ

বাংঙ্গালী

পুষ্পজিৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

ধর্ম একটি ছোট শব্দ। কিন্তু এর ব্যাখ্যার যেমন ব্যাক্তি ভেদে ভিন্নতা তেমনি আছে এই ধর্মকে আলোচনা সমালোচনা ও তর্ক বিতর্ক। আমরা কি সবসময় যুগোপযুগী ধর্মের আসল ব্যাখ্যা করতে পারি?তাহলে কি এর সংহত ব্যাখ্যা নাই? আছে, আমার ইষ্ট দেবতা পরম দয়াল ঠাকুর এর সম্পূর্ণ সমাধান ও যুগোপযুগী ধমে্র্র ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে .....
`` ধর্ম কি কতগুলি অনুষ্ঠান? দেবদেবীর পূজা, ব্রত-উপবাস? কতগুলি লৌকিক সংস্কার সর্ব্বস্ব? এগুলি ধর্মীয় বলে গৃহিত হলেও এগুলিই ধর্মের সব কিছু নয় বা ধর্মের ’ফান্ডামেনটালও নয়। এগুলির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা যথা সর্বস্ব নয়। প্রয়োজন বিচার করতে হবে জীবনের আঙ্গিকে, জীবন-বৃদ্ধির অনুকূল প্রতিকূলের পরিপ্রেক্ষিতে। ’আচারো হি পরম ধর্মঃ। আচার আচারণই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।’ এই আচার- আচরণ কি কতগুলি অনুষ্ঠান বা সংস্কারের প্রতিপালন? যদি তাই মনে করা হয়, তবে বুঝতে হবে, আমরা ধর্ম থেকে অনেক দূরে রয়েছি, ধর্ম সম্বন্ধে, ধর্মের মর্মকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে টানা হেঁচড়া করছি-এটা খুবই বিস্ময় ও দুঃখের।
এক কথায় যে আর্দশে, যে নীতিবিধির আচরণ, যে কর্ম ও চলন চরিত্র ও ব্যক্তিত্বের উদ্ভব ঘটায় বা সর্ব্বতো ভাবে জীবন বৃদ্ধির অনুকূল ও সহায়ক- তাই ধর্ম, জীবন-বৃদ্ধিকে যা ধরে রাখে তাই ধর্ম।
ধমের্র সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোন সংস্বর নেই। মহাপুরুষদের মধ্যে বিভেদ ও সাম্প্রদায়িকতা স্বার্থবাদীদেরই সৃষ্টি, তারা কল্যাণ বিরোধী, প্রতিবেশিকতার মহাশত্রু এবং ভয়াবহরূপ। এরা উগ্র গোষ্ঠী-কেন্দ্রিকতা বা আঞ্চলিকতা ও সমগ্রোত্রীয়। প্রকৃত হিন্দু, প্রকৃত মুসলমান ও প্রকৃত খ্রীষ্টান-এর মধ্যে কোন বিরোধিতা নেই প্রত্যেকেই প্রত্যেকের পরিপূরক ও সহযোগী। পূর্ব্বতন মহাপুরুষগণের বাণী ও জীবন চলার মধ্যেই ধর্মের এই শাশ্বতরূপ দেখতে পাওয়া যায়। তবু সাপ্রদায়িকতা ও গোষ্ঠী কেন্দ্রিকতা সারা বিশ্বটাকে পেয়ে বসল কেমন করে। ধমের্র গোড়ামী দ্বারা এই রোগের কবল থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না।
পৃথিবী আজ হিংসায় জর্জরিত। সর্বত্র অমিলনের সুর। এখানে বোমা, ওখানে বোমা। ধ্বংস নয়, শান্তি চাই। কোন মায়ের কান্না, আহাজারি আর শুনতে চাই না। শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন,-
“ভেজাল দেয়ার প্রবৃত্তি
মানুষের বোধ প্রবৃত্তিকে খিন্ন করে
অস্তিত্বকেও ভেজাল প্রয়াসী করে তোলে;
খাটি করা ভুলে গিয়ে
ভেজালই তার খাটি হয়ে দাড়াঁয়-
সাবধান হও।”
আজ আদর্শ দেশ, আদর্শ সমাজ তথা আদর্শ জাতির কথা চিন্তা করতে গেলেই আদর্শ মানুষের কথা আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, জাতি গঠনের প্রধান উপাদান হচ্ছে মানুষ। আর মানুষের জীবনের মূল ভিত্তিই হচ্ছে চরিত্র। আজ চরিত্রবান মানুষের সংখ্যা খুবই কমে গেছে। যার ফলে সমাজের বুকে দেখা দিয়েছে নানা বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি। তাই ঘুণেধরা সমাজ তথা জাতিকে বাঁচাতে হলে মানুষকে আবার জাগতে হবে, তৈরি হতে হবে। জগতকে সুন্দর করে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে প্রতিটি মানুষকে।
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র শিক্ষার প্রসঙ্গে বললেন, শিক্ষা শব্দটি দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়-প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশ লাভের শিক্ষা। তিনি শিক্ষার এই দুটি অর্থকে দুটি পৃথক শব্দের দ্বারা চিহ্নিত করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে তিনি বিদ্যা অর্থাৎ যাঁরা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করে ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাঁরা বিদ্বান, আর যাঁরা এর পাশাপাশি মনুষ্যত্ব অর্জনের বিধিগুলো হাতে কলমে করার ভেতর দিয়ে জীবনে রূপায়িত করতে পেরেছেন, তাঁরাই হচ্ছেন সু-শিক্ষিত। তাই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় যদি কোন ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিলাভ করে বিদ্বান হলে তিনি যে শিক্ষিত হবেনই-এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।
পরীক্ষায় যিনি নম্বর বেশী পেয়েছেন তার পরীক্ষায় বেশী নম্বর পাওয়া সিদ্ধিলাভ গুরুত্বপূর্ণ হইতেই পারে, কিন্তু সেটাই যে শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য, এই যুক্তিটি মেনে নেয়া কঠিন। অথচ কার্যক্ষেত্রে এই দেশের শিক্ষণ পদ্ধতি সেই সূত্রটিই মেনে চলে। ফলে শিক্ষার উদ্দেশ্য হইয়া উঠে যেনতেন ধরণের মস্তিষ্কের ভেতরে কিছু তথ্য ঠেঁসে রাখার বন্দোবস্ত করা। পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে যত মসৃণভাবে সেই তথ্য স্মরণ করতে পারবে, মানতে হবে লেখাপড়া তারই হয়েছে। ফলে গাড়ি-ঘোড়া ইত্যাদি যা কিছু পার্থিব সুখ ও উন্নতির সূচক, সেই সব বস্তু তারই করায়ত্ব হবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত কিছু ব্যক্তিত্ব এই প্রচলিত পন্থার বাইরে গিয়ে শিক্ষার স্বরূপ নিয়ে অন্য রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়াস পেয়েছিলেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন,-
“লেখাপড়ায় দড় হলেই
শিক্ষা তারে কয় না,
অভ্যাস, ব্যবহার, সহজ জ্ঞান
না হলে শিক্ষা হয় না”
শুধু ভাষায় জানা আছে, কিন্তু করায় জানা নেই, এমন যে বিদ্যা, চাকরি করে অর্থ উপার্জন ছাড়া প্রকৃতপক্ষে তার কোনও সার্থকতা আছে বলে মনে হয় না। ছোট বেলাতে শুনেছিলাম সে স্মৃতি থেকে মুছে গেলেও ছড়াটি মনে আছে-
“বাবার ইচ্ছে ইঞ্জিনীয়ার,
মায়ের ইচ্ছে ডাক্তারি
দাদুর ইচ্ছে উকীল হবো
জেঠুর ইচ্ছে মাষ্টারি
ইচ্ছেগুলো কেমন জানি
ভেবেই আমি থ
কেউতো আমায় বললো না তো
খোকা ‘মানুষ’ হ।”
আমরা আমাদের সন্তানদের শুধুমাত্র শিক্ষায় শিক্ষিত করে প্রথমে ‘মানুষ’ করতে চাইছি না। শ্রীশ্রীঠাকুর সবাইকে সাবধান করে বললেন,-
“মুখে জানে ব্যবহারে নাই,
সেই শিক্ষার মুখে ছাই।”
“শিক্ষা দিবি কি?
আচারে না থাকলে শিক্ষা
কথার ঝিকিমিকি।”
বর্তমান দিনের এই সমস্যার সমাধান শ্রীশ্রীঠাকুর ‘শিক্ষা বিধায়না’ গ্রন্থে দিয়েছেন। সৎসঙ্গের প্রধান আচার্যদেব শ্রীশ্রীবড়দা এইগ্রন্থের প্রথম ভূমিকার প্রথম অংশে বলেছেন- “শিক্ষার প্রধান কথা মানুষ গড়া”। পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের অপার করুণায় এবং প্রধান আচার্যদেব পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীদাদার অমিয় আর্শীবাদে, পূজনীয় বাবাইদার অনুপ্রেরণায় ও পূজনীয় বিঙ্কীদার নির্দেশনায় আমরা এই বিষয়ে জানতে পারছি। ভাবা, বলা ও করার এই অসঙ্গতি ও ব্যবধানই বিংশ শতাব্দীর জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিক্ষা-সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ সভ্য সমাজের এক বিকট বিড়ন্বনা-বিশেষ।
প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে ঘুমিয়ে আছে অফুরন্ত শক্তি, অনন্ত সম্ভাবনা। সেই শক্তিকে জাগিয়ে তোলা, সেই শক্তিকে পূর্ণ বিকশিত করাতেই তার আনন্দ। আমরা আমাদের অক্ষমতাকে বাক্-চাতুর্য্য দিয়ে, হতাশাকে পোষাকের চাকচিক্য দিয়ে, মনের আবিলতাকে প্রসাধনের সৌরভ দিয়ে ঢাকা দেওয়ার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা মানব মুখোশের পিছনে অসুর প্রকৃতির উপস্থিতি লক্ষ্য করছি। আজকালকার দৈনিক পত্রিকা, টিভি নিউজ বা অনলাইন নিউজে চোখ বুলালেই যেই জিনিসটা আমাদের মনে দাগ কাটে, ক্রমবর্ধমানহারে মানুষের হাতেই প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। একসময় বন্য জন্তুদের হিংস্র থাবা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ হয়েছিল সমাজবদ্ধ। কিন্তু হায়! সময়ের কি নির্মম পরিহাস; এখন এই সমাজবদ্ধ মানুষ একে অন্যকে হিংস্র বন্য জন্তুর চেয়েও বেশী ভয় পায়। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে মানুষ দিন দিন অধিকতর হিংস্র হয়ে উঠছে।
আজ আমরা সবকিছুকে তোয়াক্কা করে, কৃষ্টিবিহীন শিক্ষার চশমা লাগিয়ে জীবনের অতিপ্রয়োজনীয় বিধানকে অবজ্ঞা করছি। আর এ বিষয়গুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কুট যুক্তির অবতারণা করছি। তাই শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন-
“তুমি বিধিকে অবজ্ঞা করিতে পার,
প্রকৃতিকে তাচ্ছিল্য করিতে পার,
সে স্বাধীনতা তোমার আছে।
প্রকৃতিও তার দূর্দান্ত আঘাত হানতে নিবৃত্ত হবে না,
সে স্বাধীনতা প্রকৃতিরও আছে।
কা’জেই বোঝ,
যা’ শ্রেয় বলে মনে বিবেচনা কর, তাই করে চল। ”
জীবনকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে গড়ে তুলতে হলে একজন আদর্শ পরিচালক চাই-ই। পরিচালকহীন পথিকের পক্ষে গন্তব্যস্থল খুঁজে পাওয়া কঠিন। সেই পরিচালক হচ্ছেন পুরুষোত্তম – স্বয়ং ভগবান। তাঁকে জীবন দেবতারূপে গ্রহন করে তাঁর দেওয়া অমৃতময় আশির্বাদ লাভ করে যদি সাধনা ক্ষেত্রে নামা যায়, তবে আলোর সন্ধান অবশ্যই পাওয়া যাবে। বর্তমান যুগের অস্থির প্রকৃতির মানুষের মাঝে আলোকবর্তিকা নিয়ে এসেছেন সেই শ্রেষ্ঠ পরিচালক পরমদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। তিনি ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ দিশেহারা মানুষদের নির্ভয় বাণী শোনালেন।
“সৎদীক্ষা তুই এক্ষুণি নে
ইষ্টেতে রাখ সম্প্রীতি
মরণ তরণ এ নাম জপে
কাটেই অকাল যমভীতি।”
“দীক্ষা নিয়ে শিক্ষা ধরিস্
আচার্য্যকে করে সার
আচরণী বোধ চয়নে
জ্ঞানের সাগর হ’না পার।”
শ্রীশ্রীঠাকুর স্মরন করিয়ে দিলেন, সেই একই কথা- সেই বাঁচাবাড়ার প্রসঙ্গ। সু-শিক্ষা ও ভালবাসার প্রসঙ্গ। সবরকম সংকীর্ণতা-সংঘাত, বিভেদ-বিভ্রান্তি ভুলে সকলকে ভাল বাসার বন্যায় পাøবিত করতেই তাঁর শুভাগমন। তার পক্ষেই তাই সম্ভব যে-
’ ভাল বাসতে হবে বলেই ভালবাসা নয়,
ভাল না বেসে থাকতে পারি না বলেই ভালবাসি।’
কী অফুরন্ত ভালবাসা নিয়েই তিনি এসেছিলেন। এ এক বিস্ময়কর অনুভূতি। আমরা কেউ অর্থ, কেউ যশ, কেউ মান আবার কেউ প্রতিপত্তির কাঙ্গাল। শ্রীশ্রীঠাকুর ছড়ায় বলেছেন-
’ মানুয় আপন টাকা পর-
যত পারিস মানুষ ধর।’
’মা ম্রিয়স্ব
মা জহি-
শক্যতে চেৎ মৃত্যুমবলোপয়।’
মরো না, মেরো না, যদি পার মৃত্যুকে অবলুপ্ত কর। শ্রীশ্রীঠাকুরের উচ্চারিত এই বাণীটি বইয়ের পাতায় ছাপা ছোট ছোট কয়েকটি কথা। কিন্তু এই বাণী পড়বার সঙ্গে সঙ্গেই মনে হলো, এই বিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব যা খুঁজে বেড়াচ্ছে, এই বাণীটির মধ্যেই আছে তার ইঙ্গিত। আজ মানুষ শান্তি চায় । আজকে মানুষ জ্ঞানে,বিজ্ঞানে ,শিক্ষায় দীক্ষায় প্রতিটি দিক থেকে মৃত্যুকে জয় করবার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না কেন? চারিদিকে মৃত্যু আর জ্বালাও পোড়াও। যে মৃত্যুকে জয় করবার বাসনা সেই মৃত্যুর দিকেই তো মানুষ মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মৃত্যুর দিকেই জোর করে ঠেলে দিচ্ছে।তাহলে পথ কোথায়? সমাধান কি ? শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন-
’অন্যে বাঁচায় নিজে থাকে,
ধর্ম বলে জানিস তাকে’।
বাঁচা বাড়ার মর্ম যা
ঠিকই জানিস ধর্ম তা।’
প্রতি মুর্হুতে বিশ্বের চারিদিকে নৈতিক মৃত্যু, বিশ্বাসের মৃত্যু, আদর্শের মৃত্যু, সত্য ও নিষ্ঠার মৃত্যু ঘটছে। এ মৃত্যু থেকে সমাজকে বাচাঁতে না পারলে লর্ড ন্যুফিল্ড বা আলেকজান্ডার ফ্লেমিংরা হাজার রকম যন্ত্র ও ঔষধ আবিষ্কার করেও বর্তমান সভ্যতাকে মৃত্যু অথবা অপমৃত্যুর হাত থেকে বাচাঁতে পারবেন না । তাই তার জন্য দরকার নিজকে চেনা, নিজেকে তৈরী করা, যা দেশ ও দশের জন্য কার্য্যকর। এইটুকু স্মরণ রাখতে পারলে প্রতিদিনের মৃত্যুর হাত থেকে বাচাঁ বোধ করি মানুষের পক্ষে কঠিন হবে না ।``

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.