নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোরসন্ধানে

পুষ্পজিৎ

বাংঙ্গালী

পুষ্পজিৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা বেঁচে গেল

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩২


*
১৯৫০ এর দশকের ঘটনা। কাপুরদা ঠাকুরের সামনে বসে আছেন। ঠাকুর কাপুরদাকে বললেন-সামনে নির্বাচন আসছে। কম্যুনিস্ট নেতা মহম্মদ ইসমাইল এবং ডঃ বিধান চন্দ্র রায় পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। ঠাকুর বিধানচন্দ্র রায়ের জন্য খুবই উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত ছিলেন। ঠাকুর কাপুরদাকে বললেন- কোলকাতায় গিয়ে তিনি যেন বিধান রায়কে সাহায্য করেন। কাপুরদা ঠাকুরের ইঙ্গিত বুঝতে পারলেন। তিনি কোলকাতায় গেলেন পরদিনই। কিন্তু ঘটনা হল-কাপুরদা নির্বাচন ও রাজনীতি কোনদিনই কিছু করেননি। দরজায় দরজায় গিয়ে ভোট চাইতে হবে। কিছুতেই তার মাথায় আসছে না,কী ভাবে কী হবে। কাপুরদা ঘাবরালেন না। ঠাকুরকে মাথায় নিয়ে,তিনি আপ্রাণ হয়ে ডঃ বিধানচন্দ্র রায় যাতে নির্বাচনে জয়ী হন তার চেষ্টা করতে থাকেন। অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে। ডঃ বিধানচন্দ্র রায় অন্য মানুষের কথায় প্ররোচিত হয়ে কাপুরদাকে ও জনার্দন মুখার্জ্জীদাকে তাঁর অফিসে (রাইটার্স বিল্ডিং-এ, তখন তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী) ডেকে বলেছিলেন Why are you creating problems in my campaign? I do not need your help. (আমার নির্বাচনী প্রচারে তোমরা অসুবিধের সৃষ্টি করছ কেন? তোমাদের কোন সাহায্যের আমার প্রয়োজন নেই)। জনার্দনদা চুপ্ִ করে হতবাক্ִ হয়ে থাকলেন। কাপুরদা তখন ডাক্তার রায়ের দিকে ঘুরে সাহসের সাথে বলেছিলেন- I am not here to serve you,but to follow the order of my Lord and I shall do so to fulfil His command,whether you like it or not. (আমি আপনাকে সাহায্য করার জন্য এখানে আসিনি। এসেছি আমার গুরুর আদেশ পালন করার জন্যে। এবং তাঁর সেই আদেশকে পূর্ণ করার জন্যে আমার যা যা করণীয় আমি তাই করব,তা আপনি পছন্দ করুন বা নাই-ই করুন)। এই তীর বাক্য ছুঁড়েই কাপুরদা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। ডঃ বিধান রায় স্তব্ধ হয়ে গেলেন।এরপর কাপুরদা রাতদিন ডঃ বিধান রায়ের হয়ে প্রচার করতে থাকেন। নিজের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং সর্ব্বোপরি বিরাট সৎসঙ্গী-মহলে বিধান রায়ের হয়ে সমানে তদ্বির করতে থাকেন। জনার্দনদাও সাধ্যমত কাপুরদাকে এই প্রচারে সাহায্য করতে থাকেন। এ যেন নাছোড়বান্দা পণ। অবশেষে ভোট হল।ভোটের ফল বেরোল। ডঃ বিধানচন্দ্র রায় মোটে ৪০০(প্রায়) ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন।..…কাপুরদা যদি ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের হয়ে প্রচারে না নামতেন তাহলে ঐ স্বল্প অথচ মহামূল্যবান ৪০০ ভোটের ব্যবধানে ডঃ বিধানচন্দ্র রায় নির্বাচনে জিততেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
ঘটনার পর কাপুরদা যখন দেওঘরে এলেন তখন ঠাকুর তাঁকে দূর থেকে দেখতে পেয়েই উপস্থিত সবার দিকে দেখে হাসতে হাসতে বলে উঠলেন-" ঐ দ্যাখ! Kingmaker আস্ִছে! বাংলা বেঁচে গেল!"
*
সৌঃ-কত কথা মনে পড়ে
শ্রীমণিলাল চক্রবর্ত্তী

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাংলা বেঁচে গেল!" মানে?

কার কাছ থেকে বেঁচে গেল? বা কি থেকে বেঁচে গেল? কমিউনিজম থেকে? না মুসলমান নেতা নির্বাচিত হওয়া থেকে??? কম্যুনিস্ট নেতা মহম্মদ ইসমাইল নির্বাচিত হলে বাংলা কি হয়ে যেত????
ক্লিয়ার করবেন দয়া করে?
আলাপে সুবিধে হয় আরকি ? ;)

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই সামপ্রদায়িক মানসিকতাই পরবর্তীতে বাংলা দুই ভাগ করেছে।
অথচ এখনো তাদের ণ্যাকা কান্না দেখলৈ করুনাই করতে ইচ্ছে হয়! আবার তাদের যদি বলেন- ঠিকাছৈ দুই বাংলা এক হ্বে- নাইস, আমরা পিন্ডির জিঞ্জির ছিড়েছি- তোমরা দিল্লির শেকল ছিড়ে এসো.. তখন তাদের চেহারটা হয় দেখার মতো!
লেজ গুটিয়ে সুরসুর করে পালায়।
কারণ স্বাধীনতার অদম্য স্পৃহা তাদের মাঝৈ নেই।

আর বলতে হয়- আসলেই বাংলা বেঁচে গেছে- তাদের সাম্প্রদায়িক চেতনার সাথে একসাতে থাকতে হয় নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.