নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোরসন্ধানে

পুষ্পজিৎ

বাংঙ্গালী

পুষ্পজিৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লবণও কিনতে হবে ৪৫ টাকা কেজিতে!

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৯

দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে চিঠি দিয়েছে কোম্পানিগুলো * এক বছরে দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি

দেশের মানুষকে আগামী সপ্তাহ থেকে এক কেজি ভালো মানের লবণ কিনতে ব্যয় করতে হবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বড় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনে অবস্থিত দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলকে চিঠি দিয়ে লবণের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে।

নতুন দর কার্যকর হলে এক কেজি লবণ কিনতে এক বছর আগের চেয়ে ভোক্তাদের প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ হবে। কোম্পানিগুলোর তথ্যমতে, ঢাকার বাজারে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও প্রতি কেজি ভালো মানের লবণের দাম ছিল ২৫ থেকে ২৮ টাকা।

এসব কোম্পানির দাবি, বাজারে সংকটের কারণে হু হু করে অপরিশোধিত লবণের দাম বাড়ছে। এতে পরিশোধিত লবণের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। তবে ঈদুল আজহা সামনে রেখে চাহিদা বেড়ে যাওয়াটাও দাম বৃদ্ধির আরেকটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

শীর্ষস্থানীয় লবণ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান এসিআই সল্ট জানিয়েছে, সম্প্রতি তারা দুই দফায় লবণের দাম কেজিপ্রতি তিন টাকা বাড়িয়ে ৩৮ টাকা করেছে। তারা নতুন দর নির্ধারণ করেছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, যা তিন-চার দিনের মধ্যে বাজারে ছাড়া হবে।

মোল্লা সল্ট জানায়, তারাও লবণের কেজিপ্রতি দর ৪০ টাকা করার কথা জানিয়ে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলকে চিঠি দিয়েছে। নতুন দর আগামী সপ্তাহ থেকে কার্যকর হবে।

পূবালী সল্টের স্বত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি পরিতোষ কান্তি সাহা প্রথম আলোকে জানান, তাঁর কোম্পানির উৎপাদিত ভালো মানের লবণের দাম নির্ধারণ করা হবে ৪৫ টাকা, যা এখন ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসিআই, মোল্লা ও পূবালী বলছে, তারা এখন এক বস্তা (৭৫ কেজি) অপরিশোধিত লবণ কিনছে প্রায় ১ হাজার ২৫০ টাকা দরে; যা কিছুদিন আগেও ৮০০ টাকার কাছাকাছি ছিল। স্বাভাবিক সময়ে এ দর ৪০০ টাকার নিচে থাকে।

জানতে চাইলে মোল্লা সল্টের মহাব্যবস্থাপক আবদুল মান্নান প্রথম আলোকেবলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রতি বস্তা লবণের দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ছিল। তখন তাঁরা প্রতি কেজি লবণ ২৫ থেকে ২৬ টাকায় বিক্রি করতেন।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) হিসাবে, গত মৌসুমে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে। তবে নতুন লবণনীতির চূড়ান্ত খসড়ায় চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চাহিদা ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ৬১ হাজার টন। তবে এ হিসাব মানতে নারাজ পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো। তাদের মতে, লবণের চাহিদা অনেক বেশি।

পূবালী সল্টের পরিতোষ কান্তি সাহা বলেন, চাষিদের স্বার্থের কথা বলে একটি গোষ্ঠী দেশের ১৬ কোটি মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। এখন লবণের মৌসুম নয়। অপরিশোধিত লবণের চড়া দরে লাভ হচ্ছে কেবল মজুতকারীদের।

সরকারি পরিদর্শন দলকে কারখানায় কারখানায় গিয়ে কার কাছে কতটুকু লবণ আছে, তা পরীক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে পরিতোষ কান্তি আরও বলেন, অপরিশোধিত লবণ আমদানির ওপর করভার দ্বিগুণ করে হলেও আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত। এতে দেশের মানুষ প্রতি কেজি লবণ ২০ টাকার কমে কিনতে পারবে।

আমদানি নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশে লবণ আমদানি নিষিদ্ধ। তবে ঘাটতি হলে সরকার মাঝে মাঝে আমদানির অনুমতি দেয়। সে অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৪ আগস্ট দেড় লাখ টন অপরিশোধিত লবণ আমদানির অনুমতি দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তবে সেই প্রজ্ঞাপনের বিপরীতে এখনো আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। যে কারণে কোম্পানিগুলো লবণ আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছে না।

আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকেবলেন, প্রজ্ঞাপন হলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখনো প্রশাসনিক আদেশ পাঠায়নি। আদেশ পেলেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.