নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোরসন্ধানে

পুষ্পজিৎ

বাংঙ্গালী

পুষ্পজিৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

** শুভ ভাদ্র মাসের শ্রদ্ধার্ঘ্য **

২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০২

** শুভ ভাদ্র মাসের শ্রদ্ধার্ঘ্য **
।। ধারাবাহিকতায় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সংক্ষিপ্ত দিব্য জীবনী।।
(৪র্থ পর্ব)
‘‘জয় অনুকূল অপরূপ অতুল পুরুষোত্তমো জয় হে!
মাতা মনোমোহিনী-নন্দন জগজন-বন্দন ভবভয়-তারণ কারণ হে!’’
* * *
সত্যিই ধন্য হয়েছিলেন উমেশচন্দ্র লাহিড়ি মহোদয়। শ্রীশ্রীঠাকুরের এই বাল্য-লীলা প্রত্যক্ষ করে। ধন্য হয়েছিলেন বোসমা*-ও।
মনোমোহিনী দেবীর প্রতিবেশী বোসমা, নিজের সন্তানের অকাল বিয়োগ-ব্যথার শোকে পাগলিনী প্রায় হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে সুস্থ করতে পিতা শিবচন্দ্র তাঁর প্রথম পুত্র অনুকূলকে তাঁর কোলে দিয়ে বলেছিলেন---‘‘মা, আজ থেকে এই অনুকূলই তোর সন্তান, অনুকূলকে আমি তোকেই দিয়ে দিলাম। নিজের সন্তান ভেবে কোলে-পিঠে করে ওকে মানুষ কর্, তোর সব দুঃখ ঘুচে যাবে। ’’
কি আশ্চর্য! অনুকূলকে কোলে পাওয়ামাত্র শোকাতুরা জননীর হাহাকার মুহূর্তে শান্ত হয়। সেই থেকেই বোসমা অনুকূলকে সন্তানস্নেহে লালন-পালন করতেন। জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত তিনি শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিয়েই মশগুল ছিলেন।
একদিনের ঘটনা।
সংসারের কাজকর্ম সেরে মাতা মনোমোহিনী দেবী সকল মায়েদের ডেকে নিয়ে সদগ্রন্থাদি পাঠ করে শোনাতেন, ঘরে-বাইরের সব সমস্যার কথা শুনতেন এবং সমাধান দিতেন। এভাবেই হিমাইতপুরের প্রত্যেককে আদর্শ গৃহিনী করে গড়ে তুলেছিলেন তিনি। (ওটাই ছিল তখনকার মাতৃ-সম্মেলন।)
একদিন দুপুরে সবাই মায়ের কাছে বসে পাঠ শুনছেন। সেই সময় বোসমা দেড় বছরের অনুকূলকে কোলে নিয়ে বসে ফুল দিয়ে হাতে বালা, মাথায় চুড়ো, গলায় মালা তৈরি করে সাজাচ্ছেন, আর তাঁর ভুবন-ভোলানো রূপ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন আর ভাবছেন, এত রূপ কি মানুষের পেটে হয়! এই রূপ ছিল কৌশল্যার ছেলের,---এই রূপ ছিল যশোদা মায়ের কোলে,---এই রূপ এসেছিল শচীমায়ের কোলে। সাজাতে সাজাতে যখন যে রূপের কথা ভাবছেন তখনই দেখছেন অনুকূলের রূপ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। ---কখনো নীল, কখনো শ্যামবর্ণ, কখনো গৌরবর্ণ। তিনি অবাক বিস্ময়ে ভীত হয়ে পড়লে অনুকূল স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসেন। তিনি আর দেরী না করে মাতা মনোমোহিনীর কোলে ছেলেকে দিয়ে বলেন,---এই নাও তোমার ছাওয়াল। এ কেমন ছাওয়াল!---এক এক বার এক এক রকম রং ধরতিছে! তোমার ছাওয়াল তুমি নাও। বলে আপন মায়ের কাছে ছেলেকে দিয়ে দিলেন।
মাতা মনোমোহিনী দেবী বোসমা-র কাছে সব বৃত্তান্ত শুনে বলেন,---তবে তো ঠিকই আছে। তুই যা যা ভাবছিলি---সেই সেই রূপ চোখে দেখালো। (ক্রমশঃ)
*প্রশ্নঃ ‘বোসমা’-র প্রকৃত নাম কি ছিল?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.