নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোরসন্ধানে

পুষ্পজিৎ

বাংঙ্গালী

পুষ্পজিৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

** শুভ ভাদ্র মাসের শ্রদ্ধার্ঘ্য **** শুভ ভাদ্র মাসের শ্রদ্ধার্ঘ্য **

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭

** শুভ ভাদ্র মাসের শ্রদ্ধার্ঘ্য **
।। ধারাবাহিকতায় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সংক্ষিপ্ত দিব্য জীবনী।।
(৫ম পর্ব)
‘‘জয় অনুকূল অপরূপ অতুল পুরুষোত্তমো জয় হে!
মাতা মনোমোহিনী-নন্দন জগজন-বন্দন ভবভয়-তারণ কারণ হে!’’
* * *
বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুরন্তপনা বেড়েই চলেছে।
নররূপে যখন তিনি প্রকট তখন আর প্রতীকি বিগ্রহের প্রয়োজন কেন?---এই সত্যটুকু বোঝাতে, পূজারীদের আকূল আহ্বানে সাড়া দিতে, মন্দিরের বিগ্রহের চন্দন নিজ অঙ্গে লেপন করেন। নারায়ণ-শিলার আর প্রয়োজন নেই। লুকিয়ে রাখেন বাঁশ-পাতার স্তূপে, পুকুরের কাদায়। ‘‘ভগবান-পূজার একমাত্র চিজ্ই হ’চ্ছে জ্যান্ত পুতুল ঐ পয়গম্বর, পীর, ঋষি, আদর্শ বা ইষ্ট।’’ (ই. প্র. পৃঃ ১২)-এই সত্যকে বাস্তবে রূপ দিতে।
সন্তানবিরহে মা গোরুর হাম্বা ডাক শুনতে পেলেই বাছুর ছেড়ে দিতেন। জেলেদের জালে ধরা- পড়া মাছেদের মুক্ত করতে ছুট্টে গিয়ে মায়ের কাছ থেকে দু টাকা এনে জেলেদের দিয়ে জলের মাছ জলে ফিরিয়ে দেন।
বছর তিনেক বয়স, মা এবং কর্তামা-র সাথে নৌকা করে ফিরছেন কুষ্ঠিয়া থেকে। মাঝ-নদীতে উঠল ঝড়! উত্তাল তরঙ্গে ফুঁসছে পদ্মানদী। মাঝিরা প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দিয়েছে জলে। যে-কোন মুহূর্তে ডুবে যেতে পারে কাণ্ডারী-বিহীন নৌকা। মা-দিদিমা ইষ্ট-নাম জপছেন। টলে উঠল স্বয়ং ইষ্ট-দেবতার আসন। ইষ্ট-দেবতা-স্বরূপ কোলের ভগবান বললেন, ‘মা, ছিগগির নাম্।’
‘মা, ছিগগির নাম্।’ এ নিশ্চয়ই কোন দৈববাণী। ইষ্টদেবতা অনুকূলের মুখ দিয়ে বলছেন। সেই দৈববাণী শুনে, আগে-পাছে চিন্তা না করেই, গুরুর নাম স্মরণ করতে করতে ভগবান কোলে ভগবানের মা, নিজের মায়ের হাত ধরে নেমে পড়লেন মাঝনদীতে। উন্মত্ত পদ্মার মাঝে পেয়ে গেলেন পায়ের নীচে মাটির পরশ। চলতে চলতে পৌঁছে গেলেন এক চরে। থেমে গেল ঝড়। অন্য এক নৌকা করে নির্বিঘ্নে পৌঁছলেন হিমায়েতপুরের বাড়ীতে।
দৈববাণী সম্পর্কে ঠাকুর পরবর্তীকালে বলেছিলেন --- ‘‘বাণীর মত শোনা যায়।অন্তরে feel (অনুভব) করা যায়। আসলে সেটা কিন্তু আমারই voice (কণ্ঠস্বর)। যদিও তা’ আমি আমার ব’লে জানি না। যাঁকে আমরা একান্ত ক’রে ভাবি, invoke (আহ্বান) করি, সেই হয়তো, মূর্তি ধ’রে দাঁড়াল আমার সামনে, বলল, Awake, do, follow me, I am ever for you.” ….. “ওগুলি সবই হ’ল, inner ---অন্তরের আদেশ, bid of curative urge. আরোগ্য লাভের অনুজ্ঞা।’’ (আঃ প্রঃ ২০, পৃঃ ১০৭ও দীপরক্ষী ৬, পৃঃ ৪ )
এর ক’দিন বাদেই মা বললেন, ‘‘অনুকূল, ও বাড়ীতে একটি ছেলে হয়েছে, চল্ যাই তাকে একটু দেখে আসি।’’ মার কথা শুনে ছেলে বললেন, ‘‘না মা, যাবো না। ওকে দেখে কি হবে? ও তো আঠারো দিনের বেশী বাঁচবে না।’’
কি অলুক্ষণে কথা‍! ওসব কথা বলতে নেই বাবা। মা বলেন ছেলেকে। কিন্তু যে ছেলের হাতে রয়েছে জন্ম-মৃত্যুর জাবেদা খাতা, তিনি তো সময় বুঝে হিসেবটা ধরিয়ে দেবেনই। বাস্তবে ঘটেছিলও তাই। আঠারো দিনের বেশী ওই ছেলে বাঁচেনি।
মৃত্যু বিষয়ে ঠাকুর পুণ্য-পুঁথি গ্রন্থে (ত্রিষষ্ঠিতম দিবস) বলছেন :
“Contraction, Stagnation, Expansion. এমনি করে এক-একটা মন্ডল তৈরী হচ্ছে। সোহহংপুরুষ পর্য্যন্ত চৈতন্যের সৃষ্টি।
Integration of ‘I’. Universal consciousness of ‘I’.
জগতের যাবতীয় জিনিষ তাই অমন করে পরিবর্তন হচ্ছে। একটা আণবিক প্রসারণ---এর চরমেই সঙ্কোচন, তাই মৃত্যু ক্ষতি নয়। তাই জগতের প্রত্যেক-প্রত্যেক জাতির আয়ু-সংখ্যা ঐরূপে নির্ধারিত হয়। চেতন আমির ধারা, তাই সবের ভিতর চেতনা। অখন্ডের চেতনা প্রত্যেক শরীরের ভিতর। সব কুড়িয়ে আান্ দিকিনি একবার।’’ (বোদ্ধা জনেরা ব্যাখ্যা করলে জন্ম-মৃত্যুর অন্তর্নিহিত রহস্যটা সবাই জানতে পারবে।) (ক্রমশঃ)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.