নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রঙ্গন

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৮



ফুলের নাম : রঙ্গন
অন্যান্য নাম : রুক্মিনী, রক্তক, বন্ধুক, ঈশ্বর।
ইংরেজি নাম : Burning Love, Jungle Flame, Jungle Geranium, Flame of the woods, West Indian Jasmine.
বৈজ্ঞানিক নাম : Ixora coccinea
ছবি তোলার স্থান : সোনারগাঁও, নারায়নগঞ্জ।
তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ ইং

রঙ্গন অতি পরিচিত একটি ফুল। রঙ্গন ফুল চেনা এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। রঙ্গনের আদি নিবাস ক্রান্তীয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। ভারত , বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস এবং থাইল্যান্ডেও এ গাছ প্রচুর দেখতে পাওয়া যায়।

রঙ্গনের অপর নাম রুক্মিনী হিন্দু দেবীর নামের থেকে এসেছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাঝে রঙ্গন ফুলের জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়। চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষে বৌদ্ধরা রঙ্গনের থোকা থোকা ফুল, ডাল, পাতা সংগ্রহ করে ঘরের দরজায় ঝুলিয়ে রাখে। বৌদ্ধরা এই ফুলকে বিযু ফুল বলে জানে। বৌদ্ধ মন্দিরে পুজার থালায় শোভাপায় রঙ্গন।

রঙ্গন চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত এরা ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়, তবে এরা সর্বচ্চ ১২ ফুটের মত লম্বা হতে পারে। রঙ্গন গাছকে সাধারণত দুইরকম হতে দেখা যায়। এক প্রাকার হয় ঝোপ আকৃতির, এদের কেটে ছেটে সুন্দর সেপে রাখা যায়। আরেক ধরনের রঙ্গন গাছে ডাল পালাগুলি হয় মল্বাটে ছড়ানো।

সাধারণত রঙ্গনের পাতার ঘন বিন্যাসের হয়। পাতা সরল, উপবৃত্তাকার প্রায় ৪ ইঞ্চির মত লম্বা হয়। কচি পাতা বাদামি রঙে আর পরিণত পাতা চকচকে, মসৃণ গাঢ় সবুজ রঙের। রঙ্গন খুব কষ্টসহিষ্ণু গাছ।

রঙ্গন গাছের সবুজ পাতার ঝোপের ফাকে ফাকে থোকা থোকা লাল রঙ্গের রঙ্গন ফুল ফুটতে দেখে সকলেই চিনতে পারে। রঙ্গন গাছে সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুতে ফোল ফোটলেও সারাবছরই কম বেশী ফুল ফুটতে দেখা যায়। তবে বর্ষায় রঙ্গন ফুল সবচেয়ে বেশী ফোটে। অন্যান্য ঋতুতে কম ফোটে।

আমাদের দেশে রঙ্গন ফুল সাধারণত লাল রঙের বেশি দেখা গেলেও লালের পাশাপাশি, সাদা, হলুদ, গোলাপী, সোনালীসহ আরো নানান রঙের হয়ে থাকে। ফুল ফোটার আগে প্রায় প্রতিটি শাখার অগ্রভাগে থোকা থোকা অসংখ্য ঊর্ধ্বমুখী মঞ্জরী দেখতে পাওয়া যায়। সেইসব মঞ্চুরী থেকে থোকা থোকা ফুল ফোটে। এক একটি থোকায় প্রায় ১৫ – ৫০ টির তম ফুল থাকে। কিছু কিছু থোকায় ফুলের সংখ্যা আরো বেশি হতে দেখা যায়। লাল রঙের থোকার মধ্যে হঠাত হঠাত সোনালী বা ঘিয়ে রঙের একটা দুটা ফুল ফুটে থোকার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়। নলাকৃতি এক একটি রঙ্গন ফুলের দৈর্ঘ্য প্রয় ৫ সেন্টিমিটার। চার দিকে ৪টি চোখা পাপড়ি ছড়িয়ে থাকে। প্রতিটি ফুলে ৪টি করে পুংকেশর থাকে। রঙ্গন ফুল খুব দির্ঘ্যস্থায়ী হয়।












সবুজ রঙের খুব ছোট, প্রায় গোলাকার ফল হয় রঙ্গনের। ফলগুলি পাকলে বেগুনী বা লালচে হয়ে যায়। প্রতি ফলে একটি করে বীজ থাকে। ফল থেকে চারা জন্মানো যায়। আবার পরিণত গাছের ডাল নিচ থেকে কেটে মাটিতে রোপণ করে বা জোড় কলম ও গুটি কলম করেও রঙ্গনের বংশবিস্তার করা যায়।

রঙ্গন ফল

রঙ্গনের কিছু ভেষজ গুণ রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় রঙ্গনের ফুল, পাতা, ডাল, কান্ড ও মূল নানাভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রথমটি বাদে বাকি ছবিগুলি উইকি থেকে নেয়াফুলের নাম : রঙ্গন

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর ফুল পরিচিতি পোস্ট। ধন্যবাদ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও মন্তব্যের জন্য।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে ফুলের পরিচিত। আমি নিজেও অনেক ফুলের পরিচয় জানলাম। ধন্যবাদ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্যে প্রিয় মহিউদ্দিন হায়দার ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.