নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ী ভ্রমণ চিত্র

১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩১


২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখ শুক্রবার ফেবু গ্রুপ Save the Heritages of Bangladesh তাদের ২৫তম ইভেন্ট পরিচালনা করছিলো। অন্য সব সদস্যদের সাথে আমি আমার আমার বড় কন্যা সাইয়ারাও ঐদিন অংশ নিয়েছিলাম ডে ট্যুরে আড়াইহাজার ও সোনারগায়ের কিছু জমিদার বাড়ি, মন্দির, মঠ, মসজিদ ঘুরে দেখার জন্য।

ভোর ৬.৩০ মিনিটে আমাদের যাত্রা শুরু হয় লালমাটিয়ার আড়ং এর সামনে থেকে, প্রায় ৩০ জনের গ্রুপ ছিলাম। আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ী।


বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ী সম্পর্কে যা জানা যায় -
আড়াইহাজারে ঐতিহ্যবাহী একটি জমিদার বাড়ী হলো স্থাপত্যশৈলীর অনুপম নির্দেশনা বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি। স্থানীয়ভাবে বলা হয় বাইল্যাপাড়া জমিদার বাড়ি। আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকায় এই বাড়িটির অবস্থান। ঐতিহ্য বুকে ধারন করে লাল ইট ও চুন সুরকির মিশ্রণে তৈরি বাড়িটি এখনো কালের স্বাক্ষী হিসেবে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে।

তিন তিলা এল প্যাটার্ণের বাড়ি। বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি নিয়ে বাজারে অনেক কথাই প্রচলিত। তবে অধিকাংশই শোনা কথা। এই বাড়িটির ইতিহাস একশ বছরের পুরনো। বাড়িটির মালিক জমিদার মুকুন্দ মুরালির কোন বংশধর এখানে থাকে না। দেশ বিভাগের পরপরই তারা ভারতে চলে যায়।যাওয়ার আগে তাদের সমস্ত জমাজমি বিক্রি করে দিয়ে যায়। স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে বাড়িটি রেখে দেয়। জমিদার মুকুন্দ মুরালি তাঁর এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জে। সে কারণে তিনি বালিয়াপাড়া বাড়িটি বিক্রি করেননি। দেশ বিভাগের আগ পর্যমত্ম জমিদার মকুন্দ মুরালি এই বাড়িতেই বসবাস করতেন। জনশ্রুতি আছে, বালিয়াপাড়া রাজবাড়ির মালিক মুকুন্দ মুরালি প্রথম জীবনে হিন্দু জমিদার কিশোরী পোদ্দারের খাজাঞ্চি ছিলেন। অনেক পড়ে মুকুন্দ মুরালি জমিদারী লাভ করেন। জমিদার হলেও মূলত: তারা ছিলেন বণিক শ্রেণীর। ঢাকা নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসা করতেন।

তথ্য সূত্র : Save the Heritages of Bangladesh এর ২৫তম ইভেন্ট
তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ইং

পথের হদিস : ঢাকা > আড়াইহাজার > বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ী

এবার তাহলে বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ীর ছবিগুলি দেখা নেয়া যাক।










































































































মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর জিনিস দেখালেন সে জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে প্রিয় ফরিদ ভাই।

২| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪১

জাহিদ হাসান বলেছেন: ছবি দেখে বুঝা যায় এটা বহুদিন ধরে সংস্কার করা হচ্ছে না। সংস্কার না করলে একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজম্ম আর তা দেখতে পাবে না।
আমি কিছুদিন আগে ময়মনসিংহ এর গফরগাঁও ভ্রমণ করেছি। সেখানে একটা ৫০০/৬০০ বছরের পুরনো মসজিদ ছিল। গিয়ে দেখি সেটি আর নেই। তার জায়গায় নতুন একটি বড় মসজিদ হয়েছে। আগের মসজিদ ধ্বংসপ্রায় ছিল বলে- পুরনো মসজিদ ভেঙ্গে নতুন মসজিদ করা হয়েছে। মসজিদ ভেঙ্গে মসজিদ করা হয়েছে, এটাই সেখানকার মানুষের যুক্তি। কেউ একটি বারের জন্যও পুরাকীর্তি ও ইতিহাসের কথা ভাবল না।
এই হচ্ছে পুরো বাংলাদেশের অবস্থা। দশ বছর পরে দেশে কয়টা ঐতিহাসিক স্থান টিকে রবে তাই এখন অনেক বড় প্রশ্ন।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঠিক বলেছে জাহিদ ভাই। আমরা পুরাকীর্তি ব্যাপারে খুবই উদাসীন। পুরাকীর্তি গুলি কিছু নাজেনেই ধ্বংস করা হচ্ছে, ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। কোনটা বা সংস্কারের নামে পুরাকীর্তি সৎকার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকার বেশীরভাগ ছোট ও প্রত্তন্ত পুরাকীর্তি গুলির কোন খোজই রাখে না। বড় বড়গুলিতে একটি সতর্কতা সাইনবোড লাগিয়েই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে। আর যেগুলিতে লোক সমাগত বেশী হয় সেগুলিকে লিজ দিয়ে দেয় ব্যাবসার জন্য।

আর আমরা ভ্রমণার্থিরা আরেক কাঠি সরেস। পুরাকীর্তি দেখতে গিয়ে নিজের নামটি লিখে দিয়ে আসি সেটির গায়ে।

৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো ভ্রমণকাহিনী। ছবিগুলো দেখতে পারলাম তাতে আরও খুশি।

শুভকামনা আপনার জন্য।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় নয়ন ভাই।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সুন্দর একটা পোষ্ট বেশ ভাল লাগলো। +

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় আলো ভাই।

৫| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শ্যাডো ডেভিল বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। আমিও ছিলাম ঐদিন আপনাদের সাথে। কোন একদিন হয়ত আমার তোলা ছবিগুলো দিবো এখানে।

শুভেচ্ছা রইলো। :)

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাহ!! তাই নাকি!!
অপেক্ষায় রইলাম আপনার ছবির জন্য।

৬| ২০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ছবিগুলি অনেক সুন্দর।
জানলাম অনেক কিছু।

২০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

৭| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২৩

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: অসাধারণ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। সময় করে ঘুরে আসবো একদিন। পোস্টে প্লাস। :)

২২ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্য আর ভ্রমণের ইচ্ছে প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.