নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বীরেন্দ্র রায় চৌধুরী বাড়ি ভ্রমণ চিত্র

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪


এক ঝলকে বীরেন্দ্র রায় চৌধুরী বাড়ি
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখ শুক্রবার ফেসবুক গ্রুপ Save the Heritages of Bangladesh তাদের ২৫তম ইভেন্ট পরিচালনা করছিলো। অন্য সব সদস্যদের সাথে আমি আমার বড় কন্যা সাইয়ারাও ঐদিন অংশ নিয়েছিলাম ডে ট্যুরে আড়াইহাজার ও সোনারগাঁয়ের কিছু প্রাচীন জমিদার বাড়ি, মন্দির, মঠ, মসজিদ ঘুরে দেখার জন্য। এখানে বলে রাখা ভালো এই ট্যুর গুলিতে শুধু প্রাচীন স্থাপত্যগুলি দেখার তালিকায় স্থান পায়।


পথের হদিস : গুগুল ম্যাপ

ভোর ৬.৩০ মিনিটে আমাদের যাত্রা শুরু হয় লালমাটিয়ার আড়ং এর সামনে থেকে, প্রায় ৩০ জনের গ্রুপ ছিলাম। আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল আড়াইহাজারের “বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ী”। সকাল ৮টার দিকে আমরা পৌছাই বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ী।

এক ঝলকে বালিয়াপাড়া জমিদার

৩০ মিনিটে আমরা বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ী দেখা শেষ করে রওনা হই আমাদের দ্বিতীয় গন্তব্য “পাল পাড়া মঠ” দেখতে। সকাল ৯টার সময় পৌছাই আমরা পাল পাড়া মঠের সামনে। ২০ মিনিট সময় লাগে পাল পাড়া মঠের পরিদর্শন শেষ হতে।

এক ঝলকে পাল পাড়া মঠ
এরপরে আমরা রওনা হয়ে যাই আমাদের পরবর্তী গন্তব্য “বীরেন্দ্র রায় চৌধুরী বাড়ি” উদ্দেশ্যে।


“বীরেন্দ্র রায় চৌধুরী বাড়ি”
পাল পাড়া মঠ থেকে খুব কাছেই বীরেন্দ্র রায় চৌধুরী বাড়ির অবস্থান। তবুও স্থানীয় লোকজন চিনতেই পারছিলনা সেটিকে। শেষে এলাকারা একটি ছেলে আমাদের গাইড করে নিয়ে যায় সেখানে।





দুঃখজনক হলেও সত্যি বাড়িটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। এটি কে কবে কিভাবে নির্মাণ করেছে, কেনো পরিত্যক্ত হয়েছে তার কিছুই জানা নেই। মনে হয়না আমার পক্ষে আর কখনো এটা সম্পর্কে কোন তথ্য জোগাড় করা সম্ভব হবে বলে।
তাই কোন তথ্য না দিয়ে শুধু যা দেখেছি তাই জানাচ্ছি এখানে, আর থাকছে আমার তোলা ছবি গুলি।





এটি ইটের গাঁথুনিতে নির্মিত একটি মাঝারি আকারের দ্বিতল পাকা বাড়ি। বাড়িটির সামনের দিকে পথের উপরেই এসেছে বাড়িতে ঢোকার পথ ও দোতলায় উঠার সিঁড়ি। সিঁড়িটি বাড়িটির প্রায় মাঝ বরাবর বানানো। দোতলায় চার দিকেই অনেকগুলি জানালা ও পিছন দিকে দুটি দরজা আছে। দরজা দুটি দেখে বুঝা যায় যে এককালে বাড়িটির পিছন দিকে বারান্দা ছিল যার অস্তিত্ব বর্তমানে নেই।






পরিত্যক্ত বাড়িটির দেয়াল বেয়ে উঠে গেছে নানান লতানো ঝোপ। ছাদের উপরেও জন্মেছে নানা ধরনের গাছ গাছালি। ছাদের প্রতিটি কোনায় আশ্রয় নিয়ে বেড়ে উঠেছে বট, অশ্বত্থ, পাকুড়ের মত গাছ। আর কত দিন বাড়িটি এভাবে টিকে থাকতে পারবে কে জানে।

















বাড়ির সিঁড়িগুলি এখনো অক্ষত রয়েছে। সিঁড়ি ধরে ছাদ পর্যন্ত উঠে যাওয়া যায়। সিঁড়ি ধরে দ্বিতীয় তলায় উঠলেই যেখানে সিঁড়ি শেষ হয়েছে সেখান থেকে বাড়ির ডানে , বায়ে ও সামনে যাবার পথ তৈরি হয়েছে। বেশ বড় বড় খোলা মেলা ঘড় ছিল দ্বিতীয় তলায় সেটা বেশ বুঝা যায়।






বাড়ির নিচ তালায় যাবার রাস্তা নিশ্চয় পিছন দিক থেকে আছে। কোনো একটা অনুষ্ঠানের জন্য প্যান্ডেল দিয়ে এমন ভাবে ঐ পাশটা ঘিরে দেয়া ছিল যে আমি আর সেখানে যেতে পারি নি।








বাড়ির ঠিক পাশেই একটি এক চিলতে মাঠের কাছে রয়েছে বিশাল একটি প্রাচীন প্রবেশ দরজা ও পাচিল অংশবিশেষ। বাড়ির সামনে একটি মন্দিরও রয়েছে।




আগামী পর্বে দেখা হবে পরবর্তী প্রাচীন স্থাপত্য মহজমপুর শাহী মসজিদ এর সামনে।

পথের হদিস : দেশের যেকোন যায়গা থেকে প্রথমে আপনি চলে যাবেন আড়াইহাজার বাজার। আড়াইহাজার বাজার থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে এই প্রাচীন বাড়িটির অবস্থান।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগা।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.