নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুলের নাম : তমাল

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

ফুলের নাম : তমাল
অন্যান্য নাম : তমালক, বনগাব, মহেশকাণ্ড, বিস্তেন্দু, জগলকান্তি, মানজাকারা, ব্যাংকিনি, ভাক্কনাই, কালো ধোয়া, কেন্দু, দাকানান, নীলধ্বজ, তাপিষ্ণু, কলতান, মহাবর, পীলতাল, কালস্কন্দ ইত্যাদি।
Common Name : Mottled Ebony, Bombay ebony, Mountain persimmon
Scientific Name : Diospyros montana বা Diospyros cordifolia



তমালের কথা শুনেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যেমন দুষ্কর তেমনি, তমাল গাছ বা ফুল দেখেছেন এমন লোকের সংখ্যাও খুব বেশী নেই।

বাংলা সাহিত্যে তমালের উপস্থিতি উজ্জ্বল। পিয়াল-তমাল, হিজল-তমালের কথা যেমন আছে তেমনি আছে তাল-তমালের কথাও।
তাল-তমালের কথা রবীন্দ্রনাথ লিখেন তার কবিতা এইভাবে-
বায়ু বহে পূর্বসমুদ্র হতে
উচ্ছল ছলো-ছলো তটিনীতরঙ্গে।
মন মোর ধায় তারি মত্ত প্রবাহে
তাল-তমাল-অরণ্যে
ক্ষুব্ধ শাখার আন্দোলনে॥



আর তিনি পিয়াল-তমালের কথাও লিখেছেন তার কবিতায়-
গহন ঘন বনে পিয়াল-তমাল-সহকার-ছায়ে
সন্ধ্যাবায়ে তৃণশয়নে মুগ্ধনয়নে রয়েছি বসি॥
শ্যামল পল্লবভার আঁধারে মর্মরিছে,
বায়ুভরে কাঁপে শাখা, বকুলদল পড়ে খসি॥



অথবা বলেছেন এইভাবে-
সে কোন বনের হরিণ ছিল আমার মনে।
কে তারে বাঁধল অকারণে॥
গতিরাগের সে ছিল গান, আলোছায়ার সে ছিল প্রাণ,
আকাশকে সে চমকে দিত বনে
মেঘলা দিনের আকুলতা বাজিয়ে যেত পায়ে
তমাল ছায়ে-ছায়ে।
ফাল্গুনে সে পিয়ালতলায় কে জানিত কোথায় পলায়
দখিন-হাওয়ার চঞ্চলতার সনে॥






তমাল- পিয়ালের কথা কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন-
সখি কই গোপীবল্লভ শ্যামল পল্লব কান্তি
সখি আমার হরি বিনে হরি চন্দনে নাহি শান্তি।
ঐ দেখ দেখ শ্যাম দাঁড়িয়ে
ও নহে কদম তমাল পিয়াল পিয়া মোর ঐ দাঁড়িয়ে।



নজরুলের আরো অনেক কবিতায় উঠে এসেছে তমালের কথা-
মোরা আর জনমে হংস–মিথুন ছিলাম নদীর চরে
যুগলরূপে এসেছি গো আবার মাটির ঘরে।।
তমাল তরু চাঁপা–লতার মত
জড়িয়ে কত জনম হ’ল গত,
সেই বাঁধনের চিহ্ন আজো জাগে হিয়ার থরে থরে।।


অথবা-

ভুলে যা তোরা রাধারে কৃষ্ণ-নিশির আঁধারে
হারায়ে সে গেছে চিরতরে,
কালো যমুনার জলে ডুবেছে সে অতল তলে
ভেসে গেছে সে শ্যাম-সাগরে।।
ঐ বাঁশি বাজিছে শোন রাধা ব’লে,
তরুণ তমাল চলে, অঙ্গ-ভঙ্গে শিখি-পাখা টলে।


অথবা

এল শ্যামল কিশোর,
তমাল-ডালে বাঁধো ঝুলনা।
সুনীল শাড়ি পরো ব্রজনারী
পরো নব নীপ-মালা অতুলনা।
তমাল-ডালে বাঁধো ঝুলনা॥





পল্লিকবি জসীমউদ্দীন বলেছেন-
‘জালি লাউয়ের ডগার মত
বাহু দুখানি সরু
গা-খানি তার শাওন মাসের
যেন তমাল তরু’।



আর জীবনান্দ দাশ লিখেছেন তমালের নীল ছায়ার কথা-
মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে
এমনই হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ দেখেছিল


আরো লিখেছেন -
এসেছে দখিনা-ক্ষীরের মাঝারে লুকায়ে কোন্‌-এক হীরের ছুরি!-
তার লাগি তবু ক্ষ্যপা শাল নিম, তমাল বকুলে হুড়াহুড়ি!






লোক সাহিত্যে আছে-
"না পেড়াইও রাধার অঙ্গ
না ডুবাই ও জলে,
মরিলে তুলিয়া রাইখো
তমালের ও ডালে"।


তমাল গাছের বাকলের রং কালো আর কৃষ্ণের গায়ের রংও কালো, তাই তমাল রাধারও খুব প্রিয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায়ও এই কালো তমালের বিষয়টি উঠে এসেছে -
ওরে শাঙন-মেঘের ছায়া পড়ে
কালো তমাল-মূলে,
ওরে এপার ওপার আঁধার হল
কালিন্দীরই কূলে।
ঘাটে গোপাঙ্গনা ডরে
কাঁপে খেয়া তরীর 'পরে,
হেরো কুঞ্জবনে নাচে ময়ূর
কলাপখানি তুলে।
ওরে শাঙন-মেঘের ছায়া পড়ে
কালো তমাল-মূলে।



আর কাজী নজরুল ইসলাম কালো তমালের কথা লিখেছেন এই ভাবে-
রুম ঝুম ঝুম বাদল নূপুর বোলে বোলে,
তমাল বরণী কে নাচে, কে নাচে গগন কোলে।।





তমাল নিয়ে একটা প্রচলিত চুটকিও রয়েছে-
এক শিক্ষক ক্লাশে পড়াচ্ছিলেন - কপল ভিজিলো নয়নেরই জলে....
হঠাত এক ছাত্র মাঝ পথে বাধা দিয়ে বললো স্যার চোখের জলে কপাল কেমনে ভিজবো?
রেগে গিয়ে স্যার বললেন - দাঁড়া ভিজানোর ব্যবস্থা করতেছি।
"কপল ভিজিলো নয়নেরই জলে,
পা দুটি তার বাঁধা ছিল তমালেরই ডালে।"

আসলে ছাত্রটি জানতো না যে কপল অর্থ কপাল নয়, বরং গাল।



সাহিত্যে যতোই তমালবন্দনা হোক বাংলার প্রকৃতিতে তমালের উপস্থিতি কিন্তু অতিনগন্য। প্রকৃতিতে তমাল দুর্লভ হলেও দুষ্পাপ্য নয়। তাই বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।




তমালের আদি নিবাস মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের উষ্ণ অঞ্চলে।
শাখা আর পত্র পল্লবিত তমাল গাছ মাঝারি আকারের দীর্ঘজীবী বৃক্ষ। এদের কাণ্ড দৃষ্টি নন্দন খাটো, অমসৃণ, আঁকাবাঁকা এবং কালো। গাছের মাথা পত্রঘন এবং ছায়াময়ী।
এদের পাতা লম্বা উপবৃত্তাকার। মূলত পাতার গোড়ার দিকটা গোলাকার এবং অগ্রভাগ কিছুটা সুচালো বল্লমাকৃতি। পাতার রঙ সবুজ।



বসন্তে তমাল গাছে ফুটে ছোট ছোট সাদা সাদা ফুল ফুটে। ফুল গুলি ও সুগন্ধযুক্ত। তমালের পুং ও স্ত্রী ফুল আলাদা আলাদা হয়।
তমালের ফল দেখতে ছোট গাবের মতো গোল, পাঁকলে কিছুটা হলুদে রঙের হয় গাবের মতোই। তাই একে একে বন গাবও বলে। যদিও এই ফল বিষাক্ত।



হিন্দু সম্প্রদায় তমালকে পবিত্র বৃক্ষ হিসেবে পূজা দিয়ে থাকেন। বেশ কয়েকটি হিন্দু মন্দিরের প্রাঙ্গনে আমি তমালে গাছ দেখেছি। বিশেষ করে মহেশখালী দ্বীপের আদিনাথ মন্দিরে বেশ পুরনো একটি তমাল গাছ আছে।



তমালের ফল বিষাক্ত। এমনকি পাতাও মাছেদের জন্য ক্ষতিকর। তবে তমালের প্রতিটা অংশই ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ। ভেষজ চিকিৎসায় এর ব্যবহার দেখা যায়। জ্বর, ডায়ারিয়া, নিউমোনিয়া, প্রস্রাবে সমস্যা, প্রসব পরবর্তী জ্বর, বিষাক্ত মাকড়সার কামড় ইত্যাদিতে তমাল গাছের নানান অংশ ব্যবহৃত হয়।





ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা।



=================================================================

আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
ফুলেদের কথা
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অলকানন্দা, আকন্দ, আমরুল,
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার
গাঁদা, গামারি, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া,
ঘোড়া চক্কর
জ্যাকারান্ডা,
ঝুমকোলতা
ডালিয়া
তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা
ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা,
পপী, পুন্নাগ
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বেগুনী অলকানন্দা, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট
ভাট ফুল
মাধবীলতা, মধুমঞ্জরি
রঙ্গন, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাধাচূড়া, রাণীচূড়া
লতা পারুল
শাপলা (সাদা), শিউলি, শিবজটা, সুলতান চাঁপা
জবা - ১, জবা - ২, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, গোলাপী জবা


=================================================================
ফুলেদের ছবি
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১, ফুলের রাণী গোলাপ - ০২, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৪
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৫, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৬, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৭, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৮
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৯, ফুলের রাণী গোলাপ - ১০, ফুলের রাণী গোলাপ - ১১, ফুলের রাণী গোলাপ - ১২
ফুলের রাণী গোলাপ - ১৩, রাতের গোলাপ - ০১, রাতের গোলাপ - ০২, রাতের গোলাপ - ০৩

অর্কিড-২, অর্কিড-৩, অর্কিড-৪, অলকানন্দা (বেগুনী)-২, অলকানন্দা (বেগুনী)-৩,
কসমস-২, কসমস-৩, কসমস-৪, কসমস-৫, কসমস-৬, কর্ণফ্লাওয়ার-২,
গাঁদা-২, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-২,
ডালিয়া-২, ডালিয়া-৩, ডালিয়া-৪,
তারাঝরা- ২, দাদমর্দন-২, নাগলিঙ্গম-২,
পপী-২, পপী-৩, পপী-৪,
বাগানবিলাস-২, বোতল ব্রাশ-২, বোতল ব্রাশ-৩,
রাধাচূড়া-২, রাধাচূড়া-৩, লতা পারুল-২
গামারির হলুদ বন্যা, আরো কিছু গামারি, ঝুমকোলতা, শিমুল গাছে আগুন, কদম ফুলের ১০টি ছবি, অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভোমড়, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল
=================================================================
গাছেদের কথা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি

=================================================================
বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল
বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল - ০১, বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল - ০২, বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল - ০৩
বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল - ০৪, বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল - ০৫, বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল - ০৬
বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল - ০৭, বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল - ০৮

=================================================================
বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল
বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ০১, বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ০২, বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ০৩
বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ০৪, বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ০৫, বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ০৬
বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ০৭, বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ০৮, বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ০৯
বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ১০, বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ১১, বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ১২
বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ১৩, বিভিন্ন প্রজাতীর গোলাপ ফুল : পর্ব ১৪


=================================================================
১০টি ফুলের ছবি
১০টি ফুলের ছবি : পর্ব - ০১ , - , পর্ব - ০২ , - , পর্ব - ০২ , - , পর্ব - ০৪ , - , পর্ব - ০৫
১০টি ফুলের ছবি : পর্ব - ০৬ , - , পর্ব - ০৭ , - , পর্ব - ০৮ , - , পর্ব - ০৯ , - , পর্ব - ১০
১০টি ফুলের ছবি : পর্ব - ১১ , - , পর্ব - ১২ , - , পর্ব - ১৩ , - , পর্ব - ১৪ , - , পর্ব - ১৫
১০টি ফুলের ছবি : পর্ব - ১৬ , - , পর্ব - ১৭ , - , পর্ব - ১৮ , - , পর্ব - ১৯ , - , পর্ব - ২০
১০টি ফুলের ছবি : পর্ব - ২১ , - , পর্ব - ২২ , - , পর্ব - ২৩ , - , পর্ব - ২৪ , - , পর্ব - ২৫
১০টি ফুলের ছবি : পর্ব - ২৬ , - , পর্ব - ২৭ , - , পর্ব - ২৮ , - , পর্ব - ২৯ , - , পর্ব - ৩০
১০টি ফুলের ছবি : পর্ব - ৩১

=================================================================
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০১, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০২, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৩, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৪, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৫, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৬
=================================================================

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: বাহ্! মরুভূমির জলদস্যু, এখন তাহলে বাংলাদেশের তমাল বনে??

ভাই আমিও ছবি প্রেমী। পোস্টটা দারুন হয়েছে। ছবি তুলতে কোন ক্যামেরা ও লেন্স ব্যবহার করেছেন??

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কখনো তমাল ঝোপে, কখনো তালের সারিতে, সব খানেই আছি।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ছবিগুলি তুলেছি দুটি ক্যামেরায়।
nikon d3400 এবং nikon d40 তে।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার এমন পোষ্টগুলো আমার ভীষণ ভালোলাগে, অনেক তথ্য জানা হয়।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুকরিয়া মন্তব্যের জন্য কামাল ভাই।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগলো ছবি গুলো।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নুর ভাই।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: (সাদা মনের মানুষ, আপনি, আমি, +....
) আমরা কিন্তু ছবি পাগল!
বুঝলেন কিছু??

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সাদা মনের মানুষ মেলা যায়গায় যান বেড়াতে, প্রচুর সুন্দর সুন্দর ছবি উনি তোলেন তখন।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: তমাল ফুলের নামই শুনেছিলাম শুধু আজ দেখার সৌভাগ্য হল। ধন্যবাদ ভাই।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১১

নিয়াজ সুমন বলেছেন:
ফূল আর ফল কি একই গাছের ?
ফূলকে চেনা মনে হছ্চে না, কিন্তু ফলের ছবি দেখে খুব পরিচিত মনে হচ্ছে।
আমি একটু দ্বিদা-দন্দ্বে আছি। কেননা এ্ই রকম ফল গাছ আমাদের বাড়িতে ছিলো, আমি ছোট বেলায় অনেক খেয়েছি এই ফল। আমাদের এলাকায় এই রকম ফলকে গাব বলে। প্রচলিত আছে যে এই ফলের কষ দিয়ে নাকি জেলেরা তাদের জালের রঙ করে।
ফল গুলো মনে হয় পাকার পর ভিতরে বিচিতে রসালো কষ থাকে। কাচাঁ অবস্থায় সবুজ রঙের হয় তখন খুব শক্ত থাকে আর কষের পরিমান ও যা কাপড়ে লাগলে আর উঠে না।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রশ্ন : ফূল আর ফল কি একই গাছের ?
উত্তর : জ্বী একই গাছের।

আপনি যেটা খেয়েছেন (গাব) সেটি আমরা অনেকেই খেয়েছি।
গাব আর তমালের ফল দেখতে একই রকম হয় বলে তমালের আরেক নাম "বনগাব"। তবে এই বনগাব খাওয়া যায় না।
প্রতিটি ফলের সাথেই পাতা আছে। একটু লখ্য করলেই বুঝবেন সেটি দেখতে গাব গাছের পাতার মত নয়।

মন্তব্য আর আলোচনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো আপনার জন্য।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর হয়েছে তমাল গাছ , ফুল ও তার ফলের ছবি ।
ভাল লেগেছে তমালকে নিয়ে সাথে থাকা
কবিগুরু ও পল্লী কবির কবিতার উদ্ধৃতাংশ।
বৈষ্ণব কবিতা, লোকগীতিতেও তমাল মর্যাদার সঙ্গে আসীন।
একগুচ্ছ স্নিগ্ধ অন্ধকারের তমাল
অনেক পাতার ঘনিষ্ঠতায় একটি প্রগাঢ় নিকুঞ্জ’


ঠিকই বলেছেন গাছটি বেশ দৃর্লভ , তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই গাছটি দেখতে পাওয়া যায় । ঢাকার রমনা পার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে কয়েকটি অপরিণত গাছ আছে। বেনাপোল পাঠবাড়ী আশ্রম, ঠাকুরগাঁও গোবিন্দজীউ মন্দির, দিনাজপুর রাজবাড়ী কালিয়া কান্তজীউ মন্দির প্রাঙ্গণ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে, আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনের বাগানে এবং ময়মনসিংহের কাচিঝুলিতে বনবিভাগের বিভাগীয় কার্যালয়ের উলটো দিকে তমাল গাছ রয়েছে । তমাল গাছ এর নাম অনুসরণ করে তমাতলা নামে একটি বিখ্যাত জায়গাও রয়েছে বাংলাদেশে । ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলাধীন দিগনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ কিলোমিটার দুরে গোপালপুর পুরাতন আশ্রমে একটি তমাল গাছ আজ পর্যন্ত আশ্রমটির শোভা বর্রধন করে আছে।

তমাল গাছের বাকলের রং কালো আর কৃষ্ণের গায়ের রংও কালো, তাই তমাল শ্রী রাধারও প্রিয়। ঠিকই বলেছেন তমাল ফল বিষাক্ত। এর পাতা চূর্ণ মাছের জন্য বিষ। তবে ভেষজ চিকিত্সায় এর নানাবিধ ব্যবহার আছে বলে উল্লেখ দেখা যায় । জ্বর, ডায়ারিয়া, নিউমোনিয়া, প্রস্রাবে সমস্যা, নিউরালজিয়া, প্লুরিসি, মিনোরেজিয়া, প্রসব পরবর্তী জ্বর, বিষাক্ত মাকড়সার কামড় ইত্যাদিতে তমাল গাছের নানান অংশ ব্যবহূত হয়। এছাড়া এর ছালের নির্যাসে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি পাইরেটিক গুণ আছে (তথ্য সুত্র : দৈনিক ইত্তেফাক , তারিখ : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ইং)।

ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টটির জন্য ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে - ঢাকার রমনা পার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে কয়েকটি অপরিণত গাছ আছে।
আসলে বেশ কটি পরিনত গাছও আছে। বরং অপরিনত গাছই আমার চোখে পরেনি।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভালো লাগলো, আমিও আগে তমাল গাছ দেখি নি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:০৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: Beautiful! Absolutely beautiful!

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।কবীর গুরুর কবিতা সমৃদ্ধ করেছে লেখাটি।

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মতামতের জন্য।

১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কবি গুরু হবে। সেলফোন দিয়ে কমেন্ট করার এ বিড়ম্বনা ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কোন সমস্যা নেই আনোয়ার ভাই। আপনার বক্তব্য বুঝতে আমার কোনো সমস্যা হয়নি। আপনি যে ইচ্ছাকৃত ভাবে শব্দবিকৃত করেন নি।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। তমাল গাছ আমার কাছেও একটা আছে। সরকারি বরিশাল কলেজেও একটা বয়োবৃদ্ধ তমাল আছে। পোস্ট প্রিয়তে গেল।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার ছাদে একটা ছোট তমাল চারা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.