নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতি নিয়ে ১৫২টি প্রবাদ-প্রবচন

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৯

মনে করি, করী কিনি না হয় কিনি! হয় না কেনা।
উপরের এই বাক্যটির অর্থ কি আপনি জানেন?


হাতির প্রতি আগ্রহ নেই এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। ছেলে-বুড়-শিশু সকলেই হাতি দেখে আনন্দ পায়। বিশেষ করে শিশুরা হাতি খুব পছন্দ করলেও কাছে যেতে ভয় পায়। হাতির কাছে যেতে শুধু শিশু নয়, বরং আবাল-বৃদ্ধ সকলেই কিছুটা ভয় পায়। এই প্রাণীকে সমিহ করে চলে জগতের প্রায় সকল প্রাণীই। স্থলে চরে বেরানো সবচেয়ে বড় প্রাণী এই হাতি।

হাতি শব্দ টির উৎপত্তি হয়েছে : সংস্কৃত হস্তিন্ থেকে প্রকৃত হত্থি; হুত্থি থেকে বাংলা হাথী, হাতী, হাতি।

হাতি দেখতে যেমন বিশাল তেমনি তার নামেরও একটি বেশ বড় তালিকা আছে। যেমন-
ইরম্মদ, ঐরাবত, করী, করেণু, কুঞ্জর, কুনকি, ক্ষুদ্রাক্ষ, গজ, দন্তী, দন্তাবল, দ্বিপ, দ্বিরথ, দ্রুমারি, নগ, নগজ, নাগ, নাগেন্দ্র, পিল, পুষ্করী, বারণ, মাকনা, মাতঙ্গ, রদী, রদনী, সিন্ধুর, স্তম্ভরেম, হস্তী, হস্তিনী, হাতি

বাংলা বাগধারা-প্রবাদ-প্রবচনের প্রতি আমার আলাদা একটা ভালো লাগা আছে। মাঝে মাঝে আমি কোনো কারণ ছাড়াই বেশ আনন্দ ও আগ্রহ নিয়ে এগুলি পড়ি। ছাত্র অবস্থাতেও পড়তাম, কোনো নম্বর পাওয়ার আশা না করেই পড়তাম। বিগত কয়েক মাসে আমি সামুতে বিষয় ভিত্তিক প্রবাদ-প্রবচন-বাগধারা নিয়ে বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারে হাতি নিয়ে ১৫২টি প্রবাদ-প্রবচন-বাগধারা খুঁজা বের করেছি। এদের অনেকগুলি আবার একই রকম, একই অর্থ বহনকারী। শুধু এক বা একাধিক শব্দের ভিন্নতা আছে।

বাগধারা : কোন শব্দ বা শব্দ-সমষ্টি বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে অর্থের দিক দিয়ে যখন বৈশিষ্ট্যময় হয়ে ওঠে, তখন সে সকল শব্দ বা শব্দ-সমষ্টিকে বাগধারা বা বাক্যরীতি বলা হয় ।

প্রবাদ-প্রবচন : অনেকদিন ধরে লোকমুখে প্রচলিত জনপ্রিয় উক্তি যার মধ্যে সরলভাবে জীবনের কোনো গভীরতর সত্য প্রকাশ পায় সেগুলো প্রবাদ বা প্রবচন নামে অভিহিত হয়ে থাকে।

তাহলে এবার দেখে নেই হাতি নিয়ে বাংলা বাগধারা-প্রবাদ-প্রবচন গুলি।



১ । হাত দিয়ে হাতি ঠেলা। (অসম্ভব ব্যাপারকে সম্ভব করার চেষ্টা করা।)

২ । হাতির পা ঠেলা। (অসম্ভব ব্যাপারকে সম্ভব করার চেষ্টা করা।)

৩ । খাওয়াবে হাতির ভোগে, দেখবে বাঘের চোখে। (ছেলে মানুষ করার স্বীকৃত পদ্ধতি; শ্রেষ্ঠ শিক্ষা গৃহে শুরু হয়।)

৪ । সুচ চলে না সদরে, হাতি চলে অন্দরে।

৫ । খিড়কি দিয়ে হাতি গলে, সদরে বাঁধে ছুঁচ। (পিছনের খবর কেউ রাখে না; সামনের দিকেই যত নজর।)

৬ । এক দিকে ছুঁচ গলে না, অন্য দিকে হাতি গলে। (ছোটখাটো বিষয়ের দিকে আমরা বেশি নজর দিই।)

৭ । সদরে সূঁচ চলে না, মফস্বলে হাতি চলে।

৮ । সম্মুখ দিয়ে সূঁ গলে না পিছন দিয়ে হাতি গলে

৯ । সদর দিয়ে মশা (মাছি) গলে না, খিড়কি দিয়ে হাতি গলে। (নিয়ম-কানুনের বাহ্যিক কড়াকড়ি। নিয়ম-কানুনের মধ্যে
বিরাট ফাঁক।)

১০ । সমুখ দিয়ে কানাকড়িও যায় না, পেছন দিয়ে হাতি যায়।

১১ । হাতির মুখে দুব্বো ঘাস। (প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অকিঞ্চিৎকর।)

১২ । থলির মধ্যে হাতি পোড়া। (অসাধ্যসাধনের প্রয়াস।)

১৩ । পুরুষের দশ দশা, কখনও হাতি কখনও মশা।

১৪ । চন্দ্র সূর্য অস্ত গেল, জোনাকির পোঁদে বাতি। বাঘ পালাল, বেরাল এল ধরতে এবার হাতি। (বিজ্ঞরা যেখানে ব্যর্থ
সেখানে নির্বোধের নাক গলানো। বা অর্বাচীনের বাহাদুরি।)

১৫ । মোগল পাঠান হদ্দ হল, ফারসি পড়েন তাঁতি, বাঘ পালাল বিড়াল এল, শিকার করতে হাতি।

১৬ । হাতি ঘোড়া গেল তল, ভেড়া (মশা, হরিণ) বলে কত জল?

১৭ । কত শত গেল রথি, শেওড়াতলার চক্রবর্তী; কত হাতি গেল তল ভেড়া (মশা, হরিণ) বলে কত জল?

১৮ । হাতি ঘোড় গেল তল, বেতো গাধা বলে- আমার হাঁটুজল।

১৯ । কত শত হাতি ঘোড়া গেল রসাতল। লেজ নেড়ে ভেড়া বলে দেখ- মোর বল।

২০ । হাতি বলে রসাতল। ভেড়া বলে হাটু জল।

২১ । হাতি চড়ে ভিক্ষা মাঙ্গি, ইচ্ছায় না দাও ঘর ভাঙ্গি।

২২ । রাত উপোসে হাতি পড়ে। (রাতে না খেলে হাতিও দূর্বল হয়ে যায়।)

২৩ । হাতি শুলেও ঘোড়ার সমান উচু থাকে।

২৪ । হাতি মলে‘ও ঘোড়ার দুনো। (গুণী বা বিত্তশালী হীন অবস্থায় পড়লেও হীন হয় না।)

২৫ । হাতি মরলেও গাধার চেয়ে উচা থাকে।

২৬ । হাতি মরলেও লাখ টাকা। (মহার্ঘ বস্তু সবসময় মহার্ঘ থাকে।)

২৭ । মরা হাতিও লাখ টাকা।

২৮ । হাতি মরেতো দাঁত দিয়ে মরে। (হাতি মরলেও লেকের ভাল হয়।)

২৯ । হাতির কাঁধে আসে যায়, হাম্বা রবে মুর্ছা যায়। (বিরাট কাজ সাফল্যের সাথে করে এসে ক্ষুদ্র কাজ নিতে ভয় পায়।)

৩০ । হাতির শুঁড়ি আসে যায়, ব্যাঙ দেখে ভয় পায়। (কৃত্রিম ভীতিতে ভীতু হওয়া।)

৩১ । হাতির দম্ভ চূর্ণ হয় পাহাড়ের কাছে। (প্রবল পরাজিত হয় প্রবলতরের কাছে; বাপেরও বাপ আছে।)

৩২ । হাতির দর্প চূর্ণ হয় পৰ্ব্বতের কাছে।

৩৩ । হাতি বুড়ো হলেও দাঁত দিয়ে মাটি খোঁড়া ছাড়ে না। (সদ্বংশজাত অবস্থা বিপর্যয়েও চরিত্রগুণ হারায় না।)

৩৪ । হাতি যেমন খায় তেমনি নাদে। (ধনীর যেমন আয় তেমনি ব্যয়।)

৩৫ । হাতিকা দাঁত খানে কে আঔর, দিখানে কা আঔর- হিন্দি প্রবাদ। (কাজের বস্তু দেখানোর হয় না, আবার দেখানোর
বস্তু কাজের হয় না।)

৩৬ । হাতির দেখানোর দাঁত আলাদা, আর খাওয়ার দাঁত আলাদা।

৩৭ । জমি ওয়ালার সাথে হাতি ওয়ালা পারে না।

৩৮ । মরলে হাতির পায়ের তলে পড়ে মরা ভাল।

৩৯ । বড়লোককে বুন হাতিও প্রণাম করে। ছোটলোককে পিপিড়াও ঠিল মারে।

৪০ । পা সরিলে হাতিও পড়ে।

৪১ । পেট কাটলে মশাও মরে, হাতিও মরে। (বিপদ ছোট-বড় সবার পক্ষেই সমান বিপদজনক; বিপদ কাউকে রেয়াত
করে না।)

৪২ । হাতি কথবেল খাইলে নাকি তাহা বাহিরে যেমন তেমনি থাকে, কিন্তু অন্তঃসারশূক্ত হয়।

৪৩ । বাজ, জল, আগুণ আর হাতি ইহাদের সহিত তামাশা করিও না।

৪৪ । কুমীর, আপন নিবাস জল মধ্যে হাতি ধরে টানে।

৪৫ । হাতি জোগাড় হলে শেকলও জোগাড় হয়।

৪৬ । যখন হাতি পর্যন্ত দান, তখন অঙ্কুশটা লয়ে ঝগড়া কেন?

৪৭ । হাজার খান মোহর দিয়ে হাতি কিনে, অঙ্কুশ কিনিবার সময় অটাঅটি।

৪৮ । হাতি বেচে শেকল নিয়ে ঝগড়া।

৪৯ । হাতি স্বদেশে, বিড়াল বিদেশে ।

৫০ । ইন্দুরের মুখে হাতির দাঁত বেরয় না।

৫১ । শুয়োর বড় হলেও হাতি হয় না। (আপন প্রকৃতিকে কেউ অতিক্রম করতে পারে না।)

৫২ । হাতি বলে- আমার দুই দাঁত, শূয়র বলে- আমারও দুই দাঁত।

৫৩ । হাতির সঙ্গে, ভেরেণ্ডা গাছের লড়াই।

৫৪ । মশার সঙ্গে হাতির দ্বন্দ্ব।

৫৫ । মশা হাতির ওজন জানতে চায়।

৫৬ । প্রকাণ্ড গর্দভ হেলেও কখন হাতি হবে না।

৫৭ । সব শুক্তিতে মুক্তা মিলে না; সব হাতির মোতি নেই।

৫৮ । কবিওয়ালার শাল দোশালা, পুরুতের পা হাতি।

৫৯ । নিজে পিন্ধিতে খাপি ধুতি, বাপের শ্রাদ্ধে দুই-হাতি।

৬০ । কুড়ে ঘরে হাতি ঢোকানো।

৬১ । গরিবের ঘরে হাতির পারা।

৬২ । হাতিও মাটি খায়, মানুষও কইলে আক্কেল পায়।

৬৩ । হাতির পর হাওদা, ঘোড়ার পর জিন।

৬৪ । পাঁকে পড়া হাতিকে হাতিই তোলে।

৬৫ । হাতির কথবেল খাওয়া।

৬৬ । হাতির গলায় ঘন্টা। (মহতের সহিত ক্ষুদ্রের যোগ)।

৬৭ । হাতির গায় হাতির বিঘত, মাকড়ের গায় মাকড়ের বিঘত।

৬৮ । হাতির হাঁচি পড়লে মাকড়সা তা’তে সাঁতরায়।

৬৯ । মরদ কি বাত হাতি কি দাঁত।

৭০ । হাতির দাঁত আর মহতের বাত, লুকাবার নয়।

৭১ । হস্তীদন্ত দেখ যেন লুকাবার নয়। মহৎ জনের কথা সেই মত হয়।

৭২ । হাতির দাঁত, মহতের বাত, পড়ে ত নড়ে না।

৭৩ । হাতির দাঁত সোনা দিয়ে বাঁধানো।

৭৪ । হাতির নেদা দেখে খরগোশের পোঁদ ফাটে।

৭৫ । হাতির পিছনে কুকুর ভুখে।

৭৬ । হাতির পিছনে কুকুর ভুখে। হাতি চলে আপন (মনে) পথে।

৭৭ । হাতি চলেই যায়, আর খেকি কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করতে থাকে।

৭৮ । হাতি চলে আপন মনে, পিছনে খুকুর ঘেউ ঘেউ করে।

৭৯ । হাতির পিঠ খালি থাকে না।

৮০ । হাতির পিঠে মশার কামড়।

৮১ । হাতির সঙ্গে বেঁড়ে বলদের ঠেস।

৮২ । হাতিরে আগুন, শূয়রে জাঠা। বাঘেরে লাঠি, পাখীরে ভাটা।

৮৩ । হাতির পিঠে জিভই চাপায়। জিভই আবার মুণ্ডু খসায়।

৮৪ । কথাতে হাতি পায়, কথাতে হাতির পায়।

৮৫ । কঁদি কঁদি মন করছে, কেঁদে না আত্তি মিটছে। রাজাদের হাতি মরেছে, তার গলা ধরে কেঁদে আসি।

৮৬ । কাকের সঙ্গে গিয়ে হাতিও পাকে পড়ে।

৮৭ । শেয়াল মারতে হাতি চায়।

৮৮ । ব্রাহ্মণে আর চণ্ডালে, হাতি আর বেরালে।

৮৯ । না চাইলে ঘোড়াটা পাই, চাইলে বুঝি হাতিটা পাই।

৯০ । না চাইলে ছাতিটা পাই, চাইলে বুঝি হাতিটা পাই।

৯১ । না চাইতে ছাতি পেলাম, চাইলে বুঝি হাতি পেতাম

৯২ । ধার করে কানে সোনা, ধার করে হাতি কেনা।

৯৩ । চরকা আমার ভা তা র পুত, চরকা আমার নাতি। চরকার দৌলতে আমার দোরে বাঁধা হাতি।

৯৪ । টাকা দিয়ে টাকা ফাঁদে, হাতি দিয়ে হাতি বাঁধে।

৯৫ । মন মাতাল দাতাল হাতি, বেঁধে কর সামাল।

৯৬ । পোঁদের বিষে খেদায় হাতি।

৯৭ । মেয়ে চিনি হাসে, মুক্ত চিনি ভাসে। হাতি চিনি দঁতে, মরদ চিনি বাতে।

৯৮ । যেমন কন্যা মুঞ্জোদরী, তেমন পাত্র গৌরহরি। যেমন কন্যা রেবতী, তেমন পাত্র গদাহাতি'।

৯৯ । মারি তো হাতি, লুটি তো ভাণ্ডার।

১০০ । লতা চুরি পাতা চুরি, শেষে রাজার হাতি চুরি।

১০১ । রাজার পুতের হাতি, মালীর পুতের বেঙ। রাজার পুতের রক্তপাত, মালীর পুতের ঠেঙ ।

১০২ । গরীবের বাড়ি হাতির পারা।

১০৩ । বামন হাতি চড়লেও ভিক্ষা করে।

১০৪ । যেমন হাতি যেমন খাবে, তেমন হাতি তেমন নাদবে।

১০৫ । কোদাল কটি কলাই দাতি ঘর ভাঙানাের হাতি।

১০৬ । হাতি আড় হলে চামচিকেও লাথি মারে // হাতি গর্তে/পাঁকে পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে // হাতি পড়েছে দকে ঠোকর মারে বকে (প্রবল বিপাকে পড়লে দুর্বলও এসে অপমান করে।)

১০৭ । হাতিও হাবড়ে (পাঁকে বা কাদায়) পড়ে।

১০৮ । হাতি পড়েছে দকে, ঠোকর দিচ্ছে বকে।

১০৯ । হাতি পড়লে আড়ে চামচিকেতেও লাথি মারে।

১১০ । হাতি কাদায় পড়লে চামচিকেও লাথি মারে।

১১১ । কাদায় (গর্তে / খানায় / পাঁকে) পড়লে হাতি, চামচিকেতে মারে লাথি।

১১২ । হাবড়ে পড়িলে হাতি ব্যাঙ্গে মরে চাটি।

১১৩ । হাবড়ে পড়িলে হাতি কাকে মারে ছো।

১১৪ । হাতি যখন লোঁদে পড়ে, চামচিকেতেও পোঁদে চড়ে।

১১৫ । জলায় পড়লে হাতি। ব্যাঙেও মারে লাথি।

১১৬ । হাতি পাঁকে পড়লে হাতিই উদ্ধার করে। (প্রবল বিপাকে পড়লে প্রবলই এসে তাকে বাঁচায়।)

১১৭ । সতী হলে জীবনে কিছু এমন হাতি-ঘোড়া হয় না।

১১৮ । সতীর ঘরে নেইকো বাতি, জাত-অসতীর দুয়ারে হাতি।

১১৯ । সব পাহাড়ে মাণিক্য মেলে না, সব হাতির মাথায় মুক্ত মেলে না, সব সাধুর সন্ধান মেলেনা, সব বনে চন্দন গাছ মেলে না।

১২০ । শিল্প হলেও চন্দনগাছ যেমন তার গন্ধ পরিত্যাগ করে না, বৃদ্ধ হলেও হাতি তেমন ক্রীড়ামোদ ত্যাগ করে না।

১২১ । ব্রাহ্মণে আর চণ্ডালে, হাতি আর বেড়ালে।

১২২ । হাতি মরে দাপাইয়া বড়ইর আঁটি পাড়াইয়া ।

১২৩ । হাতি খুজেছিল হাতির দাঁতের চিরুনি !

১২৪ । আসল হাতির দাঁতে, পোঁকা লাগে না মোটে।

১২৫ । হাতির স্বপ্ন আর মাহুতের স্বপ্ন এক নয়।

১২৬ । দোজবরের মাগ গজরা হাতি, ভাতারকে মারে তিন লাথি।

১২৭ । মেয়েদের মাথার চুলে। হাতিকেও বাঁধা চলে ।

১২৮ । হাতি চার পা আছে, তবুও হোঁচট খায়।

১২৯ । হাতিরও মাঝে মাঝে পা পিছলে যায় ।

১৩০ । হাতি এসে পড়বার আগেই ঘণ্টার আওয়াজ পাওয়া যায় ।

১৩১ । হাতিব পিঠে চড়ে। কুত্তাকে কে ভয় করে ?

১৩২ । হাতির নিমিঝিমি (ধীরপদক্ষেপ) ঘোড়ার দৌড়।

১৩৩ । হাতির মিনমিন ঘোড়ার দৌড়। (ঘোড়া দৌড়ে যতদূর যায়। হাতি ধীরে ধীরে চলেও ততদূর যায়; কেউ দ্রুত যে কাজ শেষ করে; কেউ ধীরলয়ে সেই কাজই করে; যার যেমন পদ্ধতি।)

১৩৪ । হস্তীমূর্খ। (মহামূখ।)

১৩৫ । কুকী হাতি। (যে পোষা হস্তিনী বন্য হস্তীদের ভুলাইয়া আনে।)

১৩৬ । হাতি দিয়ে হাতি ধরা।

১৩৭ । হাতির পাঁচ পা দেখা। (অহঙ্কারী ব্যক্তির দাম্ভিক আচরণ।)

১৩৮ । মুখে হাতিঘোড়া মারা !

১৩৯ । মাছিকে হাতি করতে যাওয়া!

১৪০ । হাতি পোষা। (বহুব্যয়সাধ্য কাজ)।

১৪১ । হাতির খোরাক। (বহুব্যয়সাধ্য কাজ)।

১৪২ । হাতির গা হাতি দেখে না।

১৪৩ । হাতির চোখ। (ক্ষুদ্র কিন্তু তীক্ষ্ণদৃষ্টি)।

১৪৪ । খেয়ে-খেয়ে হাতি হওয়া।

১৪৫ । গজপৃষ্ঠে যে বা যায়, ফেউ দেখে সে ডরায়।

১৪৬ । গজকচ্ছপের লড়াই।

১৪৭ । গজমাত্রেই মোতি থাকে না।

১৪৮ । হস্তী মক্ষিকার দংশন অনুভবে অপারগ।

১৪৯ । অন্ধের হস্তীদর্শন।

১৫০ । শ্বেতহস্তী পোষা।

১৫১ । হস্তী হস্তসহস্রেণ শতহস্তেন বাজিনঃ। শৃঙ্গিনো দশহস্তেন স্থানত্যাগেন দুর্জনঃ।।
(হাতি থেকে হাজার হাত দূরে থাকবে, ঘোড়া থেকে একশ’ হাত দূরে থাকবে, শিংওয়ালা প্রাণী থেকে দশ হাত দূরে থাকবে আর দুর্জন লোক কাছে এলে সেই জায়গা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবে।) (চাণক্য)

১৫২ । নর গজ, বিশে শ’য়; তার অর্ধেক বাঁচে হয়। বাইশ বৃষ তের ছাগল, তার অর্ধেক বরা পাগল।
(মানুষ ও হাতি ১২০ বৎসর বাঁচে। ঘোড়র ৬০ বৎসর আয়ু। ষাড় ২২ বছর ও ছাগল ১৩ বৎসর বাঁচে। শুকর বাঁচে ৬.৫ বছর।)


সূত্র : বই সমূহ
০১। বাংলা বচনাভিধান - শ্রী অমরেন্দ্রনাথ রায়
০২। বাংলা প্রবাদ (ছড়া ও চলতি কথা) - শ্রী সুশীলকুমার দে
০৩। বাংলাদের প্রবাদ - (পত্র ভারতী থেকে প্রকাশিত)
০৪। ভারতের নানান ভাষার প্রবাদ - অঞ্জনাভ দত্ত
০৫। চাণক্য শতক - রায় বাহাদুর পণ্ডিত ও গোবিনলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
০৬। কিংবদন্তির খনা ও খনার বচন - পূরবী বসু
০৭। মীরার পদাবলী কবিরের দোঁহা চাণক্য শ্লোক খনার বচন ৭০০ প্রবাদ - প্রীতি পাল চৌধূরী
০৮। প্রবাদ বচন - শ্রীগোপালদাস চৌধুরী ও অপ্রিয়রঞ্জন সেন
০৯। নূতন বাংলা অভিধান প্রবচন সংগ্রহ -
১০। প্রবাদ মালা (২য় খণ্ড) - জেমস লঙ - বাবু রঙ্গো লাল
১১। প্রবাদমালা (এতদ্দেশীয়) - জেমস লঙ - বাবু রঙ্গো লাল
১২। প্রবাদমালা (বঙ্গদেশীয়) - জেমস লঙ - বাবু রঙ্গো লাল
এবং অন্তর্জাল




=================================================================
বাংলা ভাষার সৌন্দর্য
ব্যাসবাক্য সহ কতিপয় সমাস
আধুনিক বাক্য সংকোচন
নতুন শব্দার্থ
নতুন বিপরীত শব্দার্থ
অ তে অজগর, A for Apple
প পদ্য.....
এ-পলাশ সে-পলাশ নহে
বিবাহ বিভ্রাট
বিবাহ বিভ্রাট - ২
পরিচিত শব্দের ভিন্ন রকম অর্থ - ১
পরিচিত শব্দের ভিন্ন রকম অর্থ - ২
ঢাকাবাসীকে ডেকে কই, নাক-মুখ ঢাকা কই!!!
হট্টবিলাসিনী (১৮+)
শুক্তিবাক্য
দেখা-দেখি

প্রবাদ-প্রবচনে "অতি"
বাংলা বাগধারা-প্রবাদ-প্রবচনে চাঁদ
চাঁদ নিয়ে আরো ৫৯টি প্রবাদ-প্রবচন
বাংলা বাগধারা-প্রবাদ-প্রবচনে তাল
তাল নিয়ে আরো ৪৩টি প্রবাদ-প্রবচন
অন্ধ নিয়ে ২০টি প্রবাদ-প্রবচন
অন্ধ বা কানা নিয়ে আরো ১৫৫টি প্রবাদ-প্রবচন
কপাল নিয়ে ৫১টি প্রবাদ-প্রবচন
কুকুর নিয়ে ৩৭টি প্রবাদ-প্রবচন
গাধা নিয়ে ২৮টি প্রবাদ-প্রবচন
গাধা নিয়ে আরো ৫৯টি প্রবাদ-প্রবচন
বানর নিয়ে ৬৭টি প্রবাদ-প্রবচন
বাঘ নিয়ে ১৩২টি প্রবাদ-প্রবচন
সাপ নিয়ে ১১০টি প্রবাদ-প্রবচন
=================================================================

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ১:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:


২/৪ টা আপনি নিজে বানায়েছেন?

২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার মতো জ্ঞানী আমি নই গুরু, আমি নিজে কিছুই বানাতে পারি না।

২| ২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ৩:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক পর্ব দেখা যাচ্ছে, পরে সময় করে পড়বো।

গজ মাত্রেই মতি থাকে না <<< এটার মনে কি?

২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:২৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
পড়ে দেখবেন সময় করে।

গজ অর্থ হচ্ছে হাতি আর মতি অর্থ মূলবান পাথর।
অর্থাৎ সব তাহিতেই মুক্তা থাকে না।

গজমুক্তা বা গজমণি বা গজমতি হল এক বিশেষ প্রকারের পাথর যা হাতির শরীরে প্রস্তুত হয়ে থাতে। অনেকে বিশ্বাস করেন যে মূল্যবান এই পাথর যার কাছে থাকে সে এই পাথরের প্রভাবে প্রভুত ধনসম্পত্তির মালিক হয়।

৩| ২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:০৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হাতি নিয়ে অনেক প্রবাদ। দারুণ

২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:২৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৪| ২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার!!!

২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:২৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:০৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: পড়লাম দাদা কিন্তু মনে থাকে না

২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মনে রাখার দরকার কি! পড়ার সময় আনন্দ পাওয়া নিয়েই কথা।

৬| ২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হাতির বাড়িতে গরীবের পা রেখে গেলাম। :)

২৭ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
:D এ্যাএ...
প্রবাদ উলটে ফেললে খেলমু না। B:-/

৭| ২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর।

২৭ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৮| ২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: হাতী আমার প্রিয় প্রানী।

২৭ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার প্রিয় প্রাণী হাতি না।

৯| ২৭ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

হাতি দিয়ে চাঁদা তোলা ব্যবসা চলে এখন?

২৭ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চলেতো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.