নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডায়েরী হারিয়ে ফেলি।

ৎৎৎঘূৎৎ

হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।

ৎৎৎঘূৎৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ভেতরের পিশাচ টি লড়েছিল,জেতেনি

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

একটি পরিত্যক্ত গ্যারেজ। একটি পুরাতন চেয়ার। একজন ভীত মানুষ। বিস্ফোরিত চোখ। হাত পা বাধা। অনবরত কম্পিত হচ্ছে কিছু সময় পরপর। চারদিকে অন্ধকার। একটু আগে একটা চামচিকা ছুটে গেল ডাকতে ডাকতে। আগে হলে ভয়ে কুকড়ে যেত মানুষ টা। সয়ে গেছে এখন। কুত্তার বাচ্চা টা বলেছিল,আস্তে আস্তে সয়ে যাবে। মানুষ নাকি ছাচে পড়লে ধীরে ধীরে অধিকতর ভয় কেও জয় করে নেয়। কি আধ্যাত্মিক?

এক বলে ছয় দরকার। শালারা। নামাবি সাত আট নাম্বারে। তারপর ছক্কা মার না হয় মার খা। আমি কি তোদের বন্ধু হতে পারিনাই? আর কি করতে হবে? করছি তো। কি করব তাল মেলাতে পারছি না যে। বাপরে! এত লম্বা রান আপ।শেষতক চশ্মায় ফেলে নাকি কে জানে? শচীন জাস্ট টাইমিং মেলাতো। ঈদগাহের মাঠ। সবটাই তো পাকা। বুম বলে খেলা। বলটা বাউন্স করে ভাল। বলের লাইনে গিয়ে স্ট্রেইট তুলে দিব? স্লোয়ার মারবে না। চশ্মা পড়া ছেলেদের সবাই আতেল ভাবে। আর বখাটে ছেলেরা সবসময় আহত করতে পছন্দ করে। একবার মাত্র চান্স পেয়েছি। আর বোধয় নিবে না খেলতে। আমি এমন কেন? আমার সাহস নাই কেন? সাই করে আসছে বলটা। মুহুর্ত। কিছু মুহুর্ত। আকাশে ঘুড়ির মত উড়তে থাকা বলটা লং অন দিয়ে এগুচ্ছে। আহ!! আমি পেরেছি। বন্ধুদের দৌড়ে আসা। কাধের উপর ঝাপিয়ে পড়া। মনে হচ্ছে কিছু ঘটছে,কিছু সময় পজ হচ্ছে।
-দোস্ত তুই বাচাইলিরে। সাইত্রিশশো টাকার বাজিরে ভাই।



-ও গেলে আমি যাব না। নোংরা ছেলে। ড্রেস দেখ। সারাদিন মানুষ হাসায়। নিজেকে অনেক ফানি ভাবে। ক্লাউন কোথাকার
-কিন্তু ও তোর কি ক্ষতি করেছে ডানা? ও ওর বন্ধুদের সাথেই তো থাকবে। না তোর মাথায় নাচতে আসবে? প্লিজ। বেচারা একা থাকে। তার এই চেহারা দেখে জীবনেও ওকে মাপিস না। ওর চেহারাটাই সবচেয়ে বড় ধোকা। তা ছাড়া মিশে দেখ ভালও তো লাগতে পারে।
-এই ছেলের সাথে মিশব আমি? জ্বর হয়েছে আমার,হ্যা? তুই ওর প্রেমে পড়লি নাকি? প্রশংসায় সহস্র মুখ। আমি যাবই না ও গেলে।



- লিয়া বলল আমি গেলে নাকি তুমি যাবানা? আমি কি করেছি?
-রাস্তা ছাড়ো। ক্লাসে যাবো।
-আরে রকিব স্যারের ক্লাস। মজা পাবা না। বরং আমার দোষ টা বলতে বেশি পাবা। শেষ বছর। আর দেখতে হবে না। আমি তোমার কাছেও ঘেষব না। বিলিভ মি। আমি যতদুর জানি আমি তোমার কোন ক্ষতি করিনি। টিজও না।
-তোমার কথা শেষ হয়েছে? তাহলে রাস্তা ছাড়ো




-কিরে হেল্প লাগবে? দে আমাকে একটা ব্যাগ। তুই কি বাপের বাড়ি ছাড়ছিস? এত ভারী কেন? খবরদার! নাক কুচকাবি না। আমার পেশী আর সবার মতই। আমাকে দেখছিস মাত্র দুইটা করে শার্ট আর প্যান্ট। আর একটা জ্যাকেট। শেষ।
-তোকে মেয়ে বানাইলো না কেন? তাহলে যদি একটু বুঝতি। আচ্ছা ভাল কথা। উনি ঠিক তোমার পেছনে।
-আসছে নাকি? ও। আচ্ছা গাড়িতে ওঠ। দোস্ত আমি তোর সাথে বসবো।
-তো এত মুখ বাকা করার কি আছে। বস আমার সাথে। আমি বুঝছি। এই ট্যুর আমার তোর ব্যাগ চ্যাচাতে চ্যাচাতে শেষ হবে।
-কথাই বলব না তোর সাথে।যা।
-আচ্ছা। ঠিকই বাস থেকে নেমে ব্যাগেজ আমার হাতে দিবি। সেটাতো আমি জানি। এমনিই হাসিস। আত্মার শান্তি শান্তি লাগে দেখে।
-আমি তোকে ভালবাসি জানিস?
- হু। আমিও। সবচেয়ে স্ট্রং এবং সমাজের না জানা বন্ডে আছি আমরা তাইনা?
-ব্যাস! তোমার ডেফিনেশন খুজা শুরু। সবকিছুতেই খুজতে হয় নাকি?



-কিছু হয় নি তোমার। এই যে। এই। চোখ খোল। এটা বিষধর সাপ ছিল না। যাও একটু বিষ ছিল। টেস্ট নিলাম। খেতে খারাপ না।
-হাউ ডেয়ার ইয়ু টু টাচ মি? তুমি জাননা আমি কি করব তোমার?
-আরে বাহ। এই লোক তো,,,,,,। নো কমেন্টস। এটারে হেল্প বলে। তোমার বডির প্রতি আমার বিন্দু মাত্র আকর্ষন নেই। ট্রাস্ট মি। আই হেভ সিন বেটার।
এখন ওঠো। কতক্ষন যাবত প্রানিদের লোভের কারন হয়েছিলে কে জানে?
-নোংরা ছেলে। আমার তোমার হেল্প নেয়ার দরকার নেই। -আহ!
-সেটাই। চল। সবাই খুজছে।

-পিয়াস
-ইয়েস স্যার।
-গ্রেট জব। ইয়াং ম্যান।
-থ্যাংকইউ স্যার। বাট স্যার। আই ডিডন্ট এনজয় ইট।
-হা হা হা। ফানি বয়। খেতে চল। ইয়ু গডা আইজ অন ইয়ু মাই বয়। ব্লাড আইজ। ইনফেক্ট।
-ইটস ওকে স্যার।




-বাহ। ভালই তো। লিয়া আর তুমি। তো তোমরা ভোগের ছবি এইখানে দিলা যে। স্টারডাস্ট এ দিলেও তো হইত।
-মানে কি?
-নোটিশ বোর্ডে যাইয়া দেখ। হা হা হা। দ্যা হিট।

-ছিহ। এমন কাজ কেউ করে
-ছবিও দেয়
-মাশাল্লাহ সেইরাম পিয়াস রে লিয়ার সাথে ভালই মানাইসে রে বাপ
-দেখি সর তোরা। দেখি দেখি দেখি। সর। হোয়াট দ্যা ফাক? কে করেছে এইসব? আর তোরা? সরাসনাই কেন? মোরন্স। লিয়া কোথায়?
-প্রিন্সিপালের রুমে
-অহ গড।



-লিয়া দরজা খোল। লিয়া? দরজা খোল প্লিজ।
-আয় ছাগল। ড্রামা করবি নাকি এখন? ইটস ওকে। ডানার কাজ। খবর নিলাম ।স্যার বলেছে আব্বু কে বলবে না। তুই আবার রাগের মাথা কিছু করতে যাস না।
- স্যার কি বলছে আমাকে জানিস? চারমাস ওয়েট কর রে খোকা। খুকীটা শান্তিমতই ঘুমাবে বাসে যেমন ঘুমিয়েছে।
-হা হা হা। আচ্ছা দোস্ত। ও ছবি কোনসময় তুলল রে?
-আমিও টের পাইনি। তবে ভাল ছবি তুলে কি বলিস?
-হু। সেন্সেটিভ বাট সেনশেনাল। গুড
- তোকে আমি,,,,,,,
-আউফ। আম্মা ।মারে।আরে ছাড়। শোন শোন শোন। একটু নুডুলস রান্না কর তো। অনেকদিন তোর হাতের নুডুলস খাইনা।



-হ্যালো পিয়াস?
-কিরে? কি হয়েছে। এমন ফোঁপাচ্ছিস?
-জানিস, ডানা আব্বু কে ঐ ছবি দেখিয়েছে।
-কিভাবে? আংকেল তো লন্ডনে জানি। অহ মাই গড। মেইল করেছে?
-হ্যা রে। বাবা স্রেফ আমার ক্লাসে যাওয়া বন্ধ ঘোষনা করেছে। আর,,,,,
-তোর সামনে পানি আছে?
-হ্যা
- এক গ্লাস পানি খা। একটু ঠান্ডা হ। আর,,,, কি?
-আমার জন্য টিকেট পাঠিয়েছে। আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারব না। হ্যালো,,,,,হ্যালো,,,,,শুনছিস,,,,,।পিয়াস?,,,হ্যালো কথা বল,,,,



-এখন আমার পড়নের ব্রাটাও কি খুলতে হবে কুত্তার বাচ্চা।
-এত উত্তেজনা ভাল নয়। নইলে আবার তোমাকে ট্রানক্যুয়ালাইজার ডার্ট মারতে হবে লক্ষীটি। এই দেখ বহুত আচড় দিয়েছ। তুমি কাপড় পড়তে চাও না,নতুন কাপড়?। কিন্তু আমি তোমাকে নতুন কাপড়ে দেখতে চাই।।
-আমি তোমার সামনে খুলব?পার্ভ।
-দেখ তুমি এক মেয়েকে সবার সামনে খুলেছ। তোমার নিজের কাপড় খুলবে তাতে তার থেকে পরিশ্রম কম। আর এমনিতেও লজ্জা ইন্সটল করা হয়নি তোমার সিস্টেমে। ও আমার একমাত্র বন্ধু ছিল যে সব বুঝত আমার। তুমি তাও কেড়ে নিয়েছ। নাও, বহুত হয়েছে। আমার সাথে কো অপারেট কর প্লিজ। আমি জীবনে এই একটাই প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ পেয়েছি।
-আমি পড়ব না। আমার দরকার নেই।
-তাই? শীট। জোর প্রয়োগ করতে হবে। তার চেয়ে ডার্ট মেরে নিজে পড়িয়ে দেই কেমন। তুমি না বললে আমি পার্ভার্ট। চোখের দিকে তাকিও না। বিব্রত লাগে। আগেও বলেছি তোমার বডি দিয়ে আমার কিচ্ছু করার নেই। আমি জাস্ট তোমাকে কস্ট দেয়ার উপায় খুজছি কেবল। পাচ্ছিনা। তুমি নরম হবার মত মেয়ে নও দেখছি। অনেক হয়েছে। আমার ডার্ট মারতে ভালই লাগে বুঝেছ।
-ওকে ওকে। ওটা রাখ। প্লিজ। প্লিজ প্লিজ।
-আচ্ছা তাহলে খোল দেখি।
-তুমি তাই চাও, না? আচ্ছা ঠিক আছে।
-ইয়ে,,, আ,,, তোমার রুমের মাকড়সার জাল গুলো সরাতে হবে।এখুনি আসছি। তুমি চেঞ্জ করে নাও।
-হাহ! তেজ আছে দেখছি ইগ্নোর করার। বাহ।



-কাপড় চেঞ্জ করে ফেলেছ। গুড। আচ্ছা তুমি তিন গোয়েন্দা সম্পর্কে জানো?
-সত্তর টার উপর পড়া আছে। মাসুদ রানা সহ আগাথা কৃস্টি, পো, ব্যোমকেশ.।.।
-আরেব্বাস। তাহলে তো বুঝতেই পারছ আমি তোমার কি কি ক্ষতি করতে পারি এবং যেকোন সময়।
-হ্যা। মাথাটা অতিরিক্ত ঠান্ডা তোমার। আমার জন্য ভয়ানক কিছুই অপেক্ষা করছে।
-আসল কথায় আসি। তুমি এখানে কেন তা তোমার জানা উচিত।
-আমি জানি। আমি লুতফর আংকেল কে মেইল করে আমার বন্ধুর বিপদ থামিয়েছি।আর এটা তোমার ভাল লাগেনি । এখন এটাই তোমার কাছে আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ।
-আমার কিছু কথা শুনতে হবে তোমার এখন।
-আমার ইচ্ছে নেই।
-মুখে টেপ দিয়ে শুনাতে হবে ভাবিনি। তারপর হ্যাচকা টানে ঠোটের উপরের নরম তুলতুলে চামড়া গুলো কে কস্ট দিয়েই তোমার ট্রিটমেন্ট শুরু করব তাহলে।দেরী করব না।
-দাত ভেংগে যাবে।দাতে দাত চেপে আছে কিভাবে, বাপরে। আচ্ছা বল।
-তার আগে বল। তুমি তো ছাড়া হাত পা অবস্থায় নিশ্চই পালানোর পথ খুজেছ? তাই না?
-হু। জানোই তো খুজার কথা ভিক্টিমের। তুমি গোয়েন্দা বই এত খুটিয়ে মনযোগ দিয়েছিলে। প্রশংসনীয়।
-থ্যাংক ইউ। আমি কনফেস করছি। রাগে আমি অন্ধ হয়ে তোমার হাত পা বেধে দিয়েছিলাম। দরকার ছিল না। এখান থেকে বেরুতে গেলে আমার সাহায্য দরকার তোমার। মন দিয়ে শুনবে। মাঝে কোন প্রশ্ন করবে না। একটা ছেলে। যখন থেকে সে তার নিজেকে বুঝতে শিখেছে তখন থেকে নিজেকে একা পেয়েছে। ইনট্রোভার্ট বলা যায় না ঠিক। ঠিক বাহিরের জগতের সাথে নিজেকে মেশাতে কনফিডেন্স খুজে ফিরছিল। বন্ধুরা তাকে সবসময় খেপাত। কিন্তু সে কিছু বলত না। চুপচাপ। বলার অনেক কিছু আছে কিন্তু ঠিক প্রকাশ করার সময় কেমন তালগোল পাকিয়ে যেত। অনেক দিন এমন গেছে যে স্কুল লিভের দরখাস্ত এনেও মার খেত। শুধু মুখ ফোটে বলতে পারেনি, স্যার আমার দরখাস্ত, এই নিন। সাইকোলজিক্যাল ইফেক্ট। দুর্বোধ্য এক রোগ। এক দু:সহ স্কুল এবং কলেজ শেষে একজন বিশেষ লোক তাকে খুজে পায়। জাস্ট একটা ফ্রেন্ড। জাস্ট একজন নিজের মানুষ যার কাছে কথা বলতে ছেলেটির কোন সংকোচ হয়নি। তাকে প্রকৃতির সাথে, সমাজের কয়েকটা সিলেবাসের সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করে ঐ লোকটি। যার কাছে নিজেকে সহজ ভাবে খুলতে পেরেছিল ছেলেটি। বাস্তবে ফিরি। এত বাজে স্টোরি শুনেছ আর? ইয়াহ! আই এম আ টেরিফিক স্টোরি টেইলার। আসল কথা হল। তুমি আমার লাইফের সেরা গিফট আমার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছ।এবং ওর মত ভাল মেয়েকে তুমি সবার সামনে অপমান করেছ তাও আমাকে জড়িয়ে। তাহলে বল তোমাকে কি ছাড়া যায়? এখন আমি তোমার উপর তীব্র প্রতিশোধ নিব। না নিলে আমার ভেতরের পিশাচ টা থামবে না। আচ্ছা আমি যদি এমন করি, তোমার পা গুলোকে ব্লেড দিয়ে কাটি। তারপর তাতে মরিচ লবনের গুড়ো ঢালি। তারপর তা গরম পানিতে ধুয়ে দেই,কেমন হবে। উহু। তোমার চোখে তো ভয়ের কোন লেশ মাত্র নেই। আচ্ছা এমন যদি করি, তোমার চামড়ায় খানিক কার্বলিক এসিড ঢালি। বিশ্বাস হচ্ছে না? দাড়াও উপকরন গুলো দেখাই তোমাকে। এই যে। দেখেছ। আরেক টা সংযোজন আছে। প্লায়ার্স। নখ উঠিয়ে ফেলা যেতে পারে। কোন আইডিয়া? তাতে তুমি অন্তত বুঝতে পারতে তুমি আমার কি ক্ষতি করেছ।
-আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ। সত্যি বলি। আমি খানিক ভয় পেতে শুরু করেছি। কতক্ষন নার্ভ ধরে রাখা যায় বল? হার মানছি। আমাকে ছেড়ে দাও।
-আমি একটা বইয়ে পড়েছি যে, দ্যা কন্সেপ্ট অব গিভিং ফরগিভনেস ইস ডিপেন্ডিং অন হু ইজ গিভিং ইট। সোজা বাংলায় যার যায় সেই বুঝে বাশের দৈর্ঘ্য কতটুকু। এই রে, তুমি তো ঘামিয়ে গেছো একদম। ইটস ওকে। আমি সহজ করে দিচ্ছি।
-প্লিজ স্টপ ইট।
-নো বেবী। আই জাস্ট অ্যাবাউট টু বিগিন।
-আমায় ছেড়ে দাও।
-ধুর! একটু আগে না কুল ছিলে। এখন সেই মেয়ে হয়ে যাচ্ছ। একটু আগে আগে না লৌহ মানবী ছিলে। ও একটু ব্যাথোস দরকার। আই মিন এন্টিক্লাইমেক্স। চল তোমাকে খানিক রিল্যাক্স করি। আমি ভাল রান্না করি। তোমার জন্য এনেছি। খেতে খেতে আমি আমার প্ল্যান তোমাকে বলছি। আমি তোমার সাথে কি করতে যাচ্ছি সেটার পুর্ব পরিকল্পনা করতে হবে। আর কান্নাকাটি স্যাতস্যাতে লাগে। এসব করো না। নইলে তোমার দুর্ভোগের শিল্ড সংক্ষিপ্ত হয়ে যেতে পারে। দুইটা অপশন বাদ দিতে হচ্ছে বুঝলে। চাবাচ্ছো না কেন? হ্যা। সম্ভ্রমের ব্যাপারটা। তোমার কোন পরোয়া নেই মনে হল। আর এসিডের ব্যাপার টা। পোড়া গন্ধ বেরুতে পারে,সিউর না। আর কেমন জানি বিদঘুটে লাগছে।
-ইয়ু আর ফাকিং ইন্সেইন।
-খাও তো। গালি আমাকে উত্তেজিত করে না। আগেও তো আমার বাবার নাম কুত্তা রেখেছিলে। আচ্ছা জান । আমি জানি তুমি এখান থেকে বের হলে আমার খাল খিচে নিবে। তার মানে আমি শেষ।
-বিশ্বাস কর। আমি কিছুই করব না। আমাকে যেতে দাও।
-তোমার কি মনে হয়?
-প্লিজ। কি চাও তুমি বল।
-আমি আর লিয়া কে পাবো না। কাল ও লন্ডন জানে গেছে। তোমার কারনে। আমি চাই তুমি কিছু যন্ত্রনা ভোগ কর। খাওয়া শেষ? গুড। চেয়ারটায় বস। সরি আবার বাধতে হল। এইবার তোমার ট্রিটমেন্ট শুরু। দাড়াও আগে নিজে টেস্ট করি। হ্যা। রক্ত বেরুচ্ছে। গুড। এইবার লবন মরিচের গুড়ো।
-না না না। হেই,,,হেই।
-দিলাম আমি। নাকমুখ কুচকায় তোমার। যন্ত্রনা খুব কড়া। তোমাকে দেয়া যাবে না। অজ্ঞান হয়ে গেলে বিপদ। দেখি নখ উলটে ফেললে কি হয়।
-হেভ ইউ টোটালি লস্ট ইট? স্টপ ইট।

-বাপরে। তুমি এত জোরে চেচাও। হুম। কই এটাও সহ্য করা যায় তো। কিন্তু তুমি নিতে পারো কিনা কে জানে? থাক বাদ দেই। এই যে। আরে কি হল। হ্যালো। ডানা ? হুহ! ননীর পুতুল যত্তসব। অজ্ঞান হবার আর সময় পেল না।

-তুমি আমার বাসার গ্যারেজেই আমাকে,,,,,
-এটা হাস্যকর যে তুমি তোমার গ্যারেজ চিনলে না।
-ওই বাসায় আমরা কি থাকি এখন? ডেটল দিয়েছ?ইনফেকশন হয়ে যাবে নইলে।
- হু।
-আংকেল কে কল দিয়ে বলে দিয়েছি। লিয়া বোধয় ক্ষমা করবেনা। তুমি করে দাও না হয়।
-আই এম সরি
-তার মানে ক্ষমা পাবো না?

আমার ভেতরের পিশাচ টা লড়েছিল, জিতেনি।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ ভালো লেগেছে। সুন্দর সাবলীল লেখনী।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগল কবি , ঝাঁঝালো । কেমন আছেন ভাই ?
অনেক দিন পর দেখলাম ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আগের মতই। আপনি কেমন আছেন? ধন্যবাদ জানবেন

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: কিছুই বলার নাই।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: কিছু তো বলেন

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: সবার ভেতরের পিচাশটা শেষ পর্যন্ত হার মানুক।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: হার মানুক। ধন্যবাদ

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

জেন রসি বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। সাবলীল বর্ণনা।সবার মধ্যেই একটা অমানুষ লুকিয়ে থাকে।তাই মাঝে মাঝে মানুষ নিষ্ঠুরতা খুব উপভোগ করে। গল্প ভালো লেগেছে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: মানুষের ভিতর দুইটাই থাকে বলে আমার ধারনা। ইভল এনার্জি আর ভাল এনার্জি। যে যখন যে এনার্জিকে পাওয়ার দেয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.